ভারতবর্ষ শ্ীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত । কলিকাতা, ২* কর্ণওয়ালিস্‌ স্্াট, মজুমদার লাইব্রেরি হইতে প্রকাশিত। ১৩১২ মূল্য ॥%* দশ আনা । কলিকাতা, ২০ কণওয়ালিস্‌ স্ত্রী, “দিনময়ী প্রেসে” শ্রীহরিচরণ মান্না দ্বার! মুদ্রিত । ৯০১৮৯ পিপাসা িতসসিলাসি পিপাসা পিসি ৯০০০ ৯ ৯ ৬৫৮৯ ৮৩ ৩৯ পি পাস তানি পাস পি পি বাসি পাসিাসিপাসিিসি ত৯ পি পাস প্রকাশকের নিবেদন । এই গ্রন্থের সমস্ত প্রবন্ধই বঙ্গদর্শনে (নব পর্যায়) প্রকাশিত হইয়াছিল। এক্ষণে কোন কোন প্রবন্ধের স্থানে স্থানে সামান্য পরিরর্তন হইয়াছে মাত্র। সুচী। বিষয়। পৃষ্ঠা অববর্ষ রর ০ রঃ ১ তারতবর্ষের ইতিহাস ... ১৮১৬ ব্রাহ্মণ রর 8 ৩১ চীনেম্যানের চিঠি ... রঃ ৯৯৯ ৫২ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সত্যতার আদর্শ *, ও. শী বারোয়ারি-মঙ্গলা ... ৪ ৮১ ৮২ অত্যুক্তি স্‌ ১০১০৬ মন্দিরের কথা রি রঃ ৯,১২৭ ধন্মপদং ১০ 5১৭ ৯৯৯ ১৩৪ বিজয়া-মন্মিজন ্ র্‌ ১১8৬ ভারতবষ। ০২৯০ নববর্ষ। অধুনা আমাদের কাঁছে কর্মের গৌরব অত্যন্ত বেশি। হাতের কাছে হৌক-_দূরে হৌক্‌, দিনে হৌক্‌--দিনের অবসানে হৌক্‌, কর্ণ করিতে হইবে। কি করি, কি করি, কোথায় মরিতে হইবে__ কোথায় আত্মবিসর্জন করিতে হইবে, ইহাই অশান্তচিত্বে আমরা! খুঁজিতেছি। যুরোপে লাগাম-পরা অবস্থায় মরা একটা গৌরবের কথা। কাজ, অকাজ, অকারণ কাজ, যে উপায়েই হৌক্‌, জীবনের শেষ নিমেষপাঁত পর্য্যন্ত ছুটাছুটি করিয়া মাতামাতি করিয়া মরিতে হইবে! এই কর্ধনাগরদোলার ঘূর্ণিনেশা যখন একএকটা| জাতিকে পাইয়া বসে, তখন পৃথিবীতে আর শান্তি থাকে না। তখন, ছুর্গম হিমালয়-শিখরে যে লোমশছাঁগ এতকাল নিরুদ্েগে জীবন বহন করিয়া আসিতেছে, তাহারা অকন্মাংৎ শিকারীর গুলিতে প্রাণত্যাগ করিতে থাকে। বিশ্বস্তচিত্ত সীল্‌ এবং গেসুয়িন্‌ পক্ষী এতকাল জনশূন্য তুষার- মরুর মধ্যে নির্কিরোধে প্রাণধারণ করিবার সুখটুকু ভোগ করিয়া আসিতেছিল,_অকৰস্ক শুত্রনীহার হঠাৎ সেই নিরীহ প্রাণীদের রক্তে রঞ্জিত হইয়া উঠে। কোথা হইতে বণিকের কামান শিক্পনিপুণ গ্রাচীন চীনের কণঠের মধো অহিক্ষেনের পিও বর্ষণ করিতে থাকে, এবং 2৬৮৮০, চটির রেযেরেকেরের * বেলপুর শান্তিনিকেতন আশ্রমে পঠিত। ২ ভারতবর্ষ। পাসপাসসপাপাসপস পাস সপাপপাস্পস্পস্পিসপাসিপাপপাস্পিপাস্পিস্পাপাস্পাসপিস্পস্পিস্পিসিপাস্পাসিপাসপিসিলিসিপসপিপাতি পাস পাসপিপপিসি পাতিল পাপা আফ্রিকার নিভৃত অরণ্যসমাচ্ছন্ন কৃষ্ণত্ব সভ্যতার বজে বিদীর্ণ হইয়! আর্তস্বরে প্রাণত্যাগ করে। এখানে আশ্রমে নির্জন প্রকৃতির মধ্যে স্তব্ধ হইয়া বসিলে অন্তরের মধ্যে স্পষ্ট উপলদ্ধি হয় যে, হওয়াটাই জগতের চরম আদর্শ, করাটা নহে। প্ররুতিতে কর্মের সীমা নাই, কিন্তু সেই কন্মরটাকে অন্তরালে রাখিয়া সে আপনাকে হওয়ার মধ্যে প্রকাশ করে। প্রকৃতির মুখের দিকে যখনি চাই, দেখি, সে অক্রিষ্ট-_অক্লাস্ত, যেন সে কাহার নিমন্ত্রণে সাজগোজ করিয়া বিস্তীর্ণ নীলাকাশে আরামে আসনগ্রহণ করিয়াছে । এই নিখিলগৃহিণীর রান্নাঘর কোথায়, টেকিশালা কোথায়, কোন্‌ ভাগারের স্তরে স্তরে ইহার বিচিত্র আকারের ভাগ্ড সাজানে। রহিয়াছে ? ইহার দক্ষিণ হস্তের হাতাবেড়িগুলিকে আভরণ বলিয়। ভ্রম হয়, ইহার কাজকে লীলার মত মনে হয়, ইহার চলাকে নৃত্য এবং চেষ্টাকে ওঁদাপীন্তের মত জ্ঞান হয়। ঘূর্্যমাঁন চক্রগুলিকে নিয়ে গোপন করিয়া স্থিতিকেই গতির উদ্ধে রাখিয়া, প্রকৃতি আপনাকে নিতাকাল প্রকাশ- মান রাখিয়াছে-_উর্ধশ্বীস কর্মের বেগে িজেকে অস্পষ্ট এবং সঞ্ধীয়- মান কর্থের স্তপে নিজেকে আচ্ছন্ন করে নাই। এই কর্মের চতুর্দিকে অবকাশ, এই চাঞ্চল্যকে ধবশাস্তির দ্বারা মণ্ডিত করিয়া রাখা,--প্রকৃতির চিরনবীনতার ইহাই রহম্ত। কেবল নবীনতা নহে, ইহাই তাহার বল। ভারতবর্ষ তাহার তগুতাতর আকাশের নিকট, তাহার শুফধূলর প্রান্তরের নিকট, তাহার জলজ্জটামগ্ডিত বিরাট মধ্যহের নিকট, ভাঙার নিকষরৃষ্ণ নিংশষ রাঝ্মির নিকট হইতে এই উদার শাস্তি, এই বিশাল স্ন্ধতা আপনার অস্তঃকরণের মধ্যে লাভ করিয়াছে। ভারত- বর্ধ কর্ণের ক্রীতদাস নহে। | সকল জাতির ন্বভাবগত আদর্শ এক নয়--তাহা লইয়া ক্ষোভ কাটি ট্রমা পম পিপাসা করিবার প্রয়োজন দেখি না । ভারতবর্ষ মানুষকে লঙ্ঘন করিয়া কর্মকে বড় করিয়া! তোঁলে নাই । ফলাকাজ্ষাহীন কর্ম্মকে মাহাত্ম্য দিয়া সে বস্তত কর্ম্মকে সংযত করিয়। লইয়াছে। ফলের আকাঙ্ষা উপ্ড়াইয়া ফেলিলে কর্মের বিষর্দাত ভাডিয়া 'ফেলা হয়। এই উপায়ে মানুষ কর্মের উপরেও নিজেকে জাগ্রত করিবার অবকাশ পায়। হওয়াই আমাদের দেশের চরম লক্ষ্য, করা উপলক্ষ্যমাত্র। বিদেশের সংঘাতে ভারতবর্ষের এই প্রাচীন স্তব্ধতা ক্ষুব্ধ হইয়াছে। তাহাতে'যে আমাদের বলবৃদ্ধি হইতেছে, এ কথা আমি মনে করি ন1। ইহাতে আমাদের শক্তি ক্ষয় হইতেছে। ইহাতে প্রতিদিন আমাদের নিষ্ঠ। বিচলিত, আমাদের চরিত্র ভগ্ন-বিকীর্ণ, আমাদের চিত্ত বিক্ষিপ্ত এবং আমাদের চেষ্টা বার্থ হইতেছে। পূর্বে ভারতবর্ষের কার্য প্রণালী অতি সহজ-সরল, অতি প্রশান্ত, অথচ অত্যন্ত দৃঢ় ছিল। তাহাতে আড়ম্বরমাত্রেরই অভাব ছিল, তাহাতে শক্তির অনাবশ্তক অপব্যয় ছিল না। সতী স্ত্রী অনায়াসেই স্বামীর চিতায় আরোহণ করিত, সৈনিক- সিপাহী অকাতরেই চান! চিবাইয়! লড়াই করিতে যাইত, আচাররক্ষার জন্ত সকল অস্থবিধা বহন করা, সমাজরক্ষার জন্ত চুড়ান্ত দুঃখ ভোগ করা এবং ধর্মরক্ষার জন্ত গ্রাণবিসর্জন করা, তখন অত্যন্ত সহজ ছিল। নিম্তজ্ধতার এই ভীষণ শক্তি ভারতবর্ষের মধ্যে এখনো সঞ্চিত হইয়া আছে; আমর! নিজেই ইহাকে জানি না। দারিদ্র্যের যে কঠিন বল, মৌনের যে স্তম্ভিত আবেগ, নিষ্ঠার যে কঠোর শাস্তি এবং বৈরাগ্যের যে উদ্দার গাস্ভীর্য্য, তাহা আমর! কয়েকজন শিক্ষাঞ্চল যুবক বিলাসে, অবি-. স্বাছনে, অনাচারে, অনুকরণে, এখনে ভারতবর্ষ হতে দুর করিয়া! দিতে পারি নাই। সংঘমের দ্বারা, বিশ্বাসের খারা, ধ্যানের দ্বারা এই মৃত্যু তয়হীন আত্মসমাহিত শক্কি ভারতবর্ষের মৃ্বজীড়ে মৃত এবং হজ্জায় ষধ্যে কাহিস্ক, লোকব্যবারে কোহলতা এবং দ্বধর্থরক্ষ$হ দুড় তখন ভারতবর্ষ। পাস লামপী্িলিলাস্িবীসি্ডিলাপসিলাদি লাস্ট সিলসিলা বাসা পসপিিস্টিসপসদল 'কারয়াছে। শাস্তির মর্গত এই বিপুল শক্তিকে অনুভব করিতে হইবে, স্তব্ূতার আধারভূত এই প্রকাণ্ড কাঠিন্তকে জানিতে হইবে। বছ ছুর্গতির মধ্যে বুশতাব্ধী ধরিয়া ভারতবর্ষের অন্তনিহিত এই স্থির শক্তিই আমাদিগকে রক্ষা করিয়া আসিয়াছে, এবং সময়কালে এই দীনহীনবেশী ভূষণহীন বাক্যহীন নিষ্ঠান্রড়িষ্ঠ শক্তিই জাগ্রত হইয়া সমস্ত ভারতবর্ষের উপরে আপন বরাভয়হন্ত প্রসারিত করিবে, ইংরাজি কোর্ডা, ইংরাজের দেকানের আন্বাব, ইংরাঁজি মাষ্টারের বাক্তঙ্গিমার অবিকল নকল কোথাও থাকিবে না, কোন" কাজেই লাগিবে না। আমরা আজ যাহাকে অবজ্ঞা করিয়া চাহিয়] দেখিতেছি না,--জানিতে পারিতেছি ন1, ইংরাকজ্িস্কুলের বাতায়নে বসিয়া যাহার সঙ্জাহীন আভাসমাজ্স চোখে পড়িতেই আমরা লাল হইয়া মুখ ফিরাইতেছি, তাহাই সনাতন বৃহৎ ভারতবর্ষ, তাহা আমাদের বাগ্ীদের বিলাতী পটতালে সভায় সভায় নৃত্য করিয় বেড়ায় না,₹- ভাঁহা আমাদের নদীতীরে রুদ্ররৌদ্রবিকীর্ণ, বিস্তীর্ণ, ধূসর প্রাস্তরের' মধ্যে কৌগীনবন্ত্র পরিয়া ভূণাসনে একাকী মৌন বসিয়া আছে। তাহা! ৰলিষ্ঠ-ভীষণ, তাহা দারুণ সহিষ্ণু, উপবাস-ব্রতধারী-_তাহার কৃশপঞ্জ- রের অভ্যন্তরে প্রাচীন তপোবনের অমৃত, অশোক, অভয় হোখাপ্সি এখনো জলিতেছে। আর আজিকার দিনের বহু আড়ম্বর, আস্ফালন, করতালি, মিথ্যাবাঁকা, যাহা আমাদের স্বরচিত, যাহাকে সমস্ত ভারত- বর্ষের মধ্যে আমরা একমাত্র সত্য, একমাত্র বৃহৎ বলিয়া মনে করিতেছি. যাহ! মুখর, যাহা! চঞ্চল, যাহা উদ্বেলিত পশ্চিমসমুদ্রের উদশীর্ণ ফেনরাশি _তাহা, যদি কখনো ঝড় আসে, দশদিকে উড়িয়া অদৃশ্ত হহয়া। যাইবে। তখন দেখিব, দী অবিচলিতশক্তি নন্গ্যাসীর দীপ্তচক্ষু ছুর্য্ো-: গের মধ্যে অলিতেছে তাহার পিজল জটাভুট বঞ্ধীর মধ্যে কম্পিত হই- ভেছে /--বখন ঝড়ের গর্জনে অতিবিশুদ্ধ উচ্চারণের ইংরাজি বক্তা; নববর্ষ। € আর গুন! যাইবে না, তখন এ সন্ন্যাসীর কঠিন দক্ষিণবাহুর লৌহবলযবের সঙ্গে তাহার লৌহদগ্ডের ঘর্ষগবস্কার সমস্ত মেঘমন্ত্রের উপরে শব্দিত হইয়া উঠিবে। এই সঙ্গহীন নিভৃতবাসী ভারতবর্ষকে আমর! জানিব, যাহা স্তব্ধ-_তাহাকে উপেক্ষ! করিব ন।, যাহা মৌন-_তাহাকে অবি- শ্বাস করিব না,-ধাহা। বিদেশের বিপুল বিলাসসামগ্রীকে ভ্রক্ষেপের দ্বারা অবন্ত। করে, তাহাকে দরিদ্র বলিয়া উপেক্ষা করিব না; কর- জোড়ে তাহার সন্মুথে আসিয়। উপবেশন করিব, এবং নিঃশব্দে তাহার পদধূলি মাথায় তুলিয়া স্তব্বভাবে গৃহে আসিয়া চিন্তা করিব। আজি নববর্ষে এই শৃন্ত প্রান্তরের মধ্যে ভারতবর্ষের আর একটি ভাব আমরা হৃদয়ের মধ্যে গ্রহণ করিব। তাহা। ভারতবর্ষের একা" কিত্ব। এই একাকিত্বের অধিকার বৃহৎ অধিকার। ইহা উপার্জন করিতে হয়। ইহা লাভ করা, রক্ষা কর! ছরূহ। পিতামহগণ এই একাকিত্ব ভারতবর্ষকে দান করিয়া গেছেন | মহাঁভারত-রামাণের স্তায় ইহা আমাদের জাতীয় সম্পত্তি। সকল দেশেই একজন অচেনা! বিদেশী পথিক অপূর্ব্ব বেশতৃষায় আসিয়া উপস্থিত হইলে, স্থানীয় লোকের কৌতুহল যেন উন্মত্ত হইয়! উঠে--তাহাকে ঘিরিয়1, তাহাকে প্রশ্ন করিয়া, আঘাত করিয়া, সনে করিয়া বিব্রত করিয়! তোলে। ভারতবামী অতি সহজে তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত করে--তাহার দ্বারা আহত হয় না এবং তাহাকে আঘাত করে না। চৈনিক পরিব্রাজক ফাহিয়ান, হিয়োন্থসাং যেমন অনা- প্লাসে আতীয়ের ন্যায় ভারত পরিভ্রমণ করিয়! গিয়াছিলেন, সুরোপে কখনে। সেরূপ পারিতেন না। ধর্শের একা বাহিরে পরিদৃষ্টমান নহে, __যেখানে ভাষা, আকৃতি, বেশভূষা, সমন্তই স্বতন্ত্র, সেখানে কৌতুছলের নিষ্ঠুর আক্রমণকে পদে পদে অতিক্রম করিয়। চলা অসাঁধ্য। কিন্তু সভারতবর্ষায় একাকী আত্মলমাহিত--সে নিদ্ছের চারিদিকে একটি ঙ ভারতবর্ষ । বিপদ শপসি্সিপক্ফিসসপ ি পট্মসটা্পধিরনট দ্পপপরস্ সপসসস্িসসিাি্ি সস ািপাসিপাির্িিপ ৯ ৯পিিিসািত "পাস পা পালাল চিরস্থায়ী নির্জনত! বহন করিয়া চলে--মেইজন্ত কেহ তাহার একেবারে গায়ের উপর আসমা! পড়ে না। অপরিচিত বিদেশী তাহার পারব দিয়া চলিয়! যাইবার যথেষ্ট স্থান পার । -যাহার! সর্বদাই ভিড় করিয়া, দল বাঁধিয়া, রাস্তা জুড়িয়। বসিয়। থাকে, তাহাদিগকে আঘাত না করি! এবং তাহাদের কাছ হইতে আঘাত ন1 পাইপ নৃত্তন লোকের চলিবার সম্ভাবনা নাই। তাহাকে সকল প্রশ্ত্রের উন্তর দিয়া, সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়!, তবে এক পা অগ্রসর হইতে হয়। কিন্ত ভারতবর্ষায় যেখানে থাকে, সেখানে কোন বাধ! রচন। করে না--তাহার স্থানের টানাটানি নাই-_ তাহার একাকিত্বের অবকাশ কেহ কাড়িয়া লইতে পারে না। গ্রীকৃ হুউক্‌, আরব হুউক্‌, চৈন হউক্‌, সে জঙ্গলের ন্তায় কাহাকেও আটক ফরে না, বনস্পতির ন্যায় নিজের তলদেশে চারিদিকে অবাধ স্থান রাখিয়। দেয়--আশ্রয় লইলে ছাঁয়। দেয়, চলিয্া গেলে কোন কথা বলে না। এই একাকিত্বের মহত্ব যাহার চিত্ব সাকর্ষণ করে না, সে ভারত- বর্ষকে ঠিকমত চিনিতে পারিবে ন। বহুশতাব্দী ধরিয়! প্রবল বিদেশী উন্মত্ত বরাহের ন্তায় ভারতবর্ষকে এক প্রান্ত হইতে আর এক প্রান্ত পর্য্যস্ত দত্তদ্বার! বিদীর্ণ করিয় ফিরিয়াছিল, তখনে! ভারতবর্ষ আপন বিস্তীর্ণ একাকিত্বদ্বারা পরিরক্ষিত ছিল--কেহুই তাহার মর্মস্থানে আঘাত করিতে পারে নাই। ভারতবর্ষ যুদ্ধ-ধিরোধ ন। করিয়াও নিজেকে নিজের মধ্যে অতি সহজে ম্বতন্ত্র করিয়া রাখিতে জানে-_ মেজন্ত এ পর্যন্ত অস্ত্রধারী প্রহরীর প্রয়োজন হয় নাই। কর্ণ যেন্প সহজ কবচ লইয়া! জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তারতবর্ষায় প্রকৃতি সেইরূপ একটি সহজ ঝেষ্টনের দ্বার] আবৃত-_সর্ধপ্রকার বিরোধবিপ্রবের মধ্যেও একটি ছুর্ভেন্ত শাস্তি তাহার সঙ্গে সঙ্জে অচলা হুইয়া ফিরে--তাই সে ভাঙিয়া পড়ে না, মিশিয়া বায় না, ফেহ তাহাকে গ্রাস করিতে পারে ন--সে উন্মত্ত ভিড়ের মধ্যেও একাকী বিরাজ করে। সির তা সিলা্িপাসিল ০ লাস পাস পালা পিপাসা নববর্ষ। | গ পা সিপাসপিসি পা সি সিরা অপাসিশা কর্ণ সিল পাস যুরোপ ভোগে একাকী, কর্মে দলবদ্ধ। ভারতবর্ষ তাহার বিপ- রীত। ভারতবর্ষ ভাগ করিয়া ভোগ করে, কর্ম করে একাকী । যুরো- পের ধন-সম্পদ, আরাম-নখ নিজের-_কিস্তু তাহার দানখধ্যান, স্কুল- কলেজ, ধন্মচচ্ঠা, বাণিজ্যব্যবসায়, লমন্ত দল বাধিয়া। আমাদের সুখ সম্পত্তি একলার নহে--মামাদের দান ধ্যান অধ্যাপন, আমাদের কর্তব্য একলার। ? | এই ভাঁব্টাকে চেষ্টা করিয়। নষ্ট করিতে হুইবে, এমন প্রতিজ্ঞা-কর৷ কিছু নহে--করিয়াও বিশেষ ফল হয় নাই, হইবেও ন1। এমন কি, বাণিজ্যবাবসায়ে প্রকাণ্ড মূলধন একজান্নগায় মত্ত করিয়া! উঠাইয়| তাহার আওতায় ছোটছোট সামধ্যগুলিকে বলপুর্বক নিক্ষল করিয়! তোলা শ্রেরস্কর বোধ করি না। ভারতবর্ষের তন্তবার যে মরিয়াছে, সে একত্র হইবার ক্রটিতে নহে--তাহার যন্ত্রের উন্নতির অভাবে। তাত যদি ভাল হয় এবং প্রত্যেক তত্তবার যদি কাজ করে, অন্ন করিয়। খায়, সন্ধষ্টচিত্তে জীবনযাত্রা নির্বাহ করে, তবে সমাজের মধ্যে প্রকৃত দারিদ্র্যের ও ঈর্ষার বিষ জমিতে পায় না এবং ম্যাঞ্চে্টার তাহার জটিল কলকারথান! লইয়াও ইহাদ্দিগকে বধ করিতে পারে না। একটি শিক্ষিত জাপানী বলেন, “তোমরা বহুব্যয়সাধ্য বিদেশী কল লইয়৷ বড় কারবার ফাদিতে চেষ্টা করিয়ো না। আমরা জান্মীণী হইতে একটা বিশেষ কল আনাইয়। অবশেষে কিছুদিনেই সন্ত। কাঠে তাহার স্থলভ ও সরল প্রতিকৃতি করিয়৷ শিল্পিসম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে তাহা গ্রচারিত করিয়া দিয়াছি-_-ইহাতে কাজের উন্নতি হুইয়াছে, সকলে আহারও পাই- তেছে।” এইরপে যন্ত্রত্ত্রকে অত্যন্ত সরল ও সহজ করিয্া। কাজকে সকলের আয়ত্ত করা, অন্নকৈ সকলের পক্ষে সুলভ কর! প্রাচ্য আদর্শ । এ কথ! আমাদিগকে মনে রাখিতে হইবে। আমোদ বল, শিক্ষ। বল, হিতকম্ম বল, সকলকেই একান্ত জটিল ও. ৮ ভারতবর্ষ । ০৮০০৪ সিসি সমস £সাধ্য করিল! তুলিলে, কাজেই সম্প্রদায়ের হাতে ধরা দিতে হয়। তাহাতে কর্মের আয়োজন ও উত্তেজনা উত্তরোত্বর এতই বৃহৎ হইয়া উঠে যে, মানুষ আচ্ছন় হইয়া যায়। প্রতিযোগিতার নিষ্ঠুর তাড়নায় কর্মমজীবীর! যন্ত্রের অধম হয় । বাহির হইতে সভ্যতার বৃহৎ আয়োজন দেখিয়া স্তত্তিত হই-__তাহার তলদেশে যে নিদারুণ নরমেধজ্ঞ অহোরাত্্ অনুষ্ঠিত হইতেছে, তাহা গোপনে থাকে । . কিন্তু বিধাতাঁর কাছে তাহা গোপন নহে--মাবেমাঝে সামাজিক ভূমিকম্পে তাহার পরিণামের ংবাদ পাওয়া যায়। মুরোপে বড় দল ছোট দলকে পিষিয়া ফেলে, বড় টাকা ছোট টাঁকাকে উপবাসে ক্ষীণ করিয়া আনিয়া শেষকালে বটি- কার মত চোথ বুজিয়৷ গ্রাস করিয়া ফেলে। কাজের উদ্যমকে অপরিমিত বাড়াইয়া তুলিয়৷, কাজগুলাকে প্রকাণ্ড করিয়া, কাজে কাজে লড়াই বাধাইয়া দিয়া যে অশান্তি ও অসস্তোষের বিষ উন্মথিত হুইয়। উঠে, আপাতত সে আলোচনা থাক। আমি কেবল ভাবিয়া দেখিতেছি, এই সকল কুষ্ণধুমশ্বসিত দানবীয় কারখানা" গুলার ভিতরে, বাহিরে, চারিদিকে মানুষগ্ডলাকে যেভাবে তাল পাকা- ইয়া থাকিতে হয়, তাহাতে তাহাদের নির্জনত্বের সহজ অধিকার,_- একাকিত্বের আক্রটুকু, থাকে না। না থাকে স্থানের অবকাশ, না থাকে কালের অবকাশ, না থাকে ধ্যানের অবকাশ। এইরূপে নিজের সঙ্গ নিজের কাছে অত্যন্ত অনভ্যন্ত হইয়া পড়াতে, কাজের একটু ফাঁক হইলেই মদ খাঁইয়! প্রমোঁদে মাতিয়া বলপূর্ববক নিজের হাত হইতে নিষ্কৃতি পাইবার চেষ্টা ঘটে। নীরব থাফিবার, স্তব্ধ থাকিবার, আনন্দে থাকিবার সাধ্য আর কাহারে থাকে ন1। | যাহার! শ্রমজীবী, তাহাদের এই দশা। যাহারা ভোনী, তাহারা ভোগের নব নব উত্তেজনায় ক্লান্ত । নিমন্ত্রণ, খেলা, নৃত্য, ঘোড়দৌড়, শিকার, ভ্রমণের ঝড়ের মুখে শুফ্পত্রের মত দিনরাত্রি তাহার]! নিজেকে নবব্ধ। ৯ সপপস্টপিস্পাসপাসপাস্পসপিসাসিপসিলিসপিসসপসসিপাস্পিাস্প সপ পাখি পিসি পাস শসমি আবর্তিত করিয়! বেড়ায়। ঘূর্ণাগতির মধ্যে কেহ কখনো! নিজেকে এবং জগৎকে ঠিকভাবে দেখিতে পায় না, সমগ্তই অত্যন্ত ঝাপ্স দেখে। যদি একমুহ্র্রের গন্য তাহার প্রমোদচক্র থামিয়া যায়, তবে সেই ক্ষণ- কালের জন্ত নিজের সহিত সাক্ষাৎকার, বৃহৎ জগতের সহিত মিলন- লাভ, "তাহার পক্ষে অত্যন্ত হুঃসহ বোধ ছয়। ভারতবর্ষ ভোগের নিবিড়তাকে আত্মীয়স্বজন প্রতিবেশীর মধ্যে ব্যাপ্ত করিয়৷ লঘু করিয়া দ্রিয়াছে, এবং কর্মের জটিলতাকেও সরল করিয়া আনিয়া! মানুষে-মানষে বিভক্ত করিয়া দিয়াছে । ইহাতে ভোগে, কর্মে এবং ধানে প্রত্যেকেরই মন্ুষ্যত্বচ্চার যথেষ্ট অবকাশ থাকে । ব্যবপায়ী--সে ও মন দিয়া কথকতা শোনে, ক্রিয়াকর্ম করে) শিল্পী-_সে-ও নিশ্চিন্তমনে সুর করিয়া রামায়ণ পড়ে । এই অবকাশের বিস্তারে গৃহকে, মনকে, সমাজকে কলুষের ঘনবাষ্প হইতে অনেকটা- পরিমাণে নিম্মল করিয়া রাখে _দূষিত বায়ুকে বদ্ধ করিয়া! রাখে না, এবং মলিনতার আবর্জনাকে একেবারে গায়ের পাশেই জমিতে দেয় না। পরস্পরের কাড়াকাড়িতে ঘেঁষার্ঘেষিতে মে রিপুর দাবানল জলিয়া উঠে, ভারতবর্ষে তাহা প্রশমিত থাকে । ভারতবর্ষের এই একাকী থাকিয়। কাজ করিবার ব্রত্কে যদি আমর! প্রত্যেকে গ্রহণ করি, তবে এবারকার নববর্ষ আশিষ-বর্ষণে ও কল্যাণশস্তে পরিপূর্ণ হইবে। দল বাঁধিবার, টাকা জুটাইবার ও সঙ্কপ্পকে স্বীত করিবার জন্ত স্থচিরকাল অপেক্ষা না করিয়া যে যেখানে আপনার গ্রামে, প্রান্তরে, পল্লীতে, গৃহে, স্থিরশাস্তচিত্তে ধৈর্যের সহিত -সস্তোষের সহিত পুণ্যকর্ম-_মঙগলকর্্ম সাধন করিতে আরম্ভ করি) আড়নম্বরের অভাবে ক্ষুন্ধ না হইয়া, দরিদ্র আয়োজনে কুষ্টিত না৷ হইয়া, .খদেশীয় ভাবে লজ্জিত না হইয়া, কুটারে থাঁকিয়, মাটিতে বসিয়া, উত্তরীম্ম পরিয়া সহজভাবে কর্মে প্রবৃত্ত হই ) ধর্মের সহিত কর্মুকে, কর্মের সহিত ১৬ ভারতবর্ষ ৷ ০০০০ লাস পাস সিসি সমস পাস সপ সীিাপাছি এ লালা পিপাসা পাস পসিপসিসিলাসিলীি লা শান্তিতে জড়িত করিয়া রাখি ; চাতকপক্ষীর স্তায় বিদ্বেশীর করতালি- বর্ষণের দিকে উর্ধমুখে তাকাইয় না থাকি; তবে ভারতবর্ষের ভিক্তর- কার যথার্থ বলে আমর বলী হইব। বাহির হইতে আঘাত পাইতে পারি, বল পাইতে পারি না) নিজের বল ছাড়া বল নাই। ভারতবর্ষ যেখানে নিজবলে প্রবল, সেই স্থানটি আমর! যদি আবিষ্কার ও অধিকার করিতে পারি, তবে মুহূর্তে আমাদের সমস্ত লজ্জা অপসারিত হইয়া যাইবে। ভারতবর্ষ ছোট-বড়, স্ত্রী-পুরুষ, সকলকেই মর্ধ্যাদাদান করিয়াছে । এবং সে মর্ধযাদাকে ছুরাকাজ্ষার দ্বার! লত্য করে নাই। বিদেশীর! বাহির হইতে ইহা দেখিতে পায় না। যে ব্যক্তি যে পৈত্রিককর্খের মধ্যে জন্মগ্রহণ করিয়াছে, যে কর্ম যাহার পক্ষে স্থলচতম, তাহ! পালনেই তাহার গৌরব-_তাহা! হইতে ভ্রষ্ট হইলেই তাহার অমর্ধযাদ। এই মর্যাদা মন্গুষ্যত্বকে ধারণ করিয়! রাখিবার একমাত্র উপায়। পৃথিবীতে অবস্থার অসাম্য থাকিবেই, উচ্চ অবস্থা! অতি অল্প লোকেরই ভাগ্যে ঘটে-_বাকি সকলেই ষদি অবস্থাপন্ন লোকের সহিত ভাগ্য ভুলন1 করিয়া মনে মনে অমর্ধ্যাদ। অনুভব করে, তবে তাহারা আপন, ্রীনতায় যথার্থই ক্ষুদ্র হুইয়া পড়ে । বিলাতের শ্রমজীবি প্রাণপণে কাজ করে বটে, কিন্তু সেই কাঞ্জে তাহাকে মর্যাদার আবরণ দেয় ন1।. সেনিজের কাছে হীন বলিয়া যথার্থ ই হীন হুইয়! পড়ে । এইরূপে মুরোপের পনেরো-আন! লোক দীনতায়, নঈর্ষায়, ব্যর্থ প্রয়াসে অস্থির। ফুরোপীক্স ভ্রমণকারী, নিজেদের দরিদ্র ও নিয়শ্রেণীরদের, হিপাবে আমাদের দরিদ্র: ও নিয়-শ্রেণীয়দের বিচার করে-_ভাচ্ব,, তাহাদের দুঃখ ও অপমান ইছার্দের মধ্যেও আছে। কিন্তু তাহা একেবারেই নাই। ভারতবর্ষে কর্ম্মবিভেদ--শ্রেণীবিভেদ সুনিদ্দিষ্ট বলিয়াই, উচ্চশ্রেণীয়ের! নিজের শ্বাতগ্ররক্ষার জন্ত নিয়শ্রেণীকে লাঞ্ছিত. লববর্ধ | ১১ শা সকালটা পপস্শীসপপসিসিপালাস্ান পাস সাস্লসসপাস্টিসপাসিপস্িপাসদিপাসস্পিসপসপিিসিশাসসপস্সিপীসপসিপাসদিপসিলাখি পালা সীল পা পাস্টিল সিল ি লাসিলানপপাসিলার্টি পারছি লা পাসিপাসপ সিসি সপ সপ করিয়৷ বহিষ্কৃত করে না। ব্রাহ্মণের ছেলেরও বাগৃদি দাদা আছে। গঙিটুকু অবিতর্কে রক্ষিত হয় বলিয়াই পরস্পরের মধ্যে যাতায়াত, মানুষেন্মানথষে হৃদয়ের সম্বন্ধ বাধাহীন হইর! উঠে--বড়দের অনাত্বীয়তার ভার ছোটদের হাড়গোড় একেবারে পিষিয়। ফেলে না । পৃথিবীতে যদি ছোট-বড়র অসাম্য অবশ্ঠস্তাবীই হয়, যদি স্বভাবতই সর্বত্রই সকলপ্রকার ছোটর সংখ্যাই অধিক ও বড়র সংখ্যাই স্বল্প হয়, তবে সমাজের এই অধিকাংশকেই অমর্ধ্যাদার লজ্ভ1 হইতে রক্ষা করিবার, জন্য ভারতবর্ষ যে উপান্ন বাহির করিয়াছে, তাহারই শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করিতে হইবে। | যুরোপে এই অমর্যাদা প্রভাব এতদুর ব্যাপ্ত হইয়াছে যে, সেখানে একদল আধুনিক স্ত্রীলোক, স্ত্রীলোক হইয়াছে বলিয়াই, লজ্জাবোধ করে। গর্ভধারণ করা, স্বামি-সস্তানের সেবা করা, তাহারা কুষ্ঠার বিষয় জ্ঞান করে। মানুষ বড়, কর্মবিশেষ বড় নহে? মনুষ্যত্রক্ষা। করিয়া যে-কর্মই কর! যায়, তাহাতে অপমান নাই )- দারিদ্র্য লঙ্জাকর, নহে, সেবা লঙ্জাকর নহে, হাতের কাজ লজ্জাকর নহে,_সকল কন্মে, সকল অবস্থাতেই সহজে মাথ! তুলিয়৷ রাখা যায়, এ ভাব মুরোপে স্থান পায় না। সেইজন্ত সক্ষম, অক্ষম, সকলেই সর্বশ্রেষ্ঠ হইবার জন্ত সমাজে প্রভূত নিক্ষলতা, অন্তহীন বৃথাকর্ম ও আত্মঘাতী উদ্বমের স্যঙি করিতে থাকে । ঘর কাট দেওয়া, জল আনা, বাটন। বাটা, আত্বীয়-অতিথি সকলের সেবাশেষে নিজে আহার করা, ইহ ুরোপের, চক্ষে অত্যাচার ও অপমান, কিন্তু আমাদের পক্ষে ইহা! গৃহলক্মীর উন্নত. জধিকার,_ইহাতেই তাহার পুণ্য, তাহার সম্মান। বিলাতে এই সমন্ত কাজে যাহার! প্রত্যহ রত থাকে, শুনিতে পাই, তাহায়। ইতব্ভাব প্রাপ্ত হইয়! শ্রীতরষ্ট হয়। কারণ, কাজকে ছোট জানির! তাহা করিতে বাধ্য হইলে, মান্য নিজে ছোট হুয়। আমাদেক: ১২ ভারতবর্ষ । পি লাসিপািপস্পিসিপ্পসিপাস্দিিসি সিলসিলা পারা সা র৯-তসিা লা পো, লক্ষীগণ যতই সেবার কর্মে ব্রতী হন,-_তুচ্ছ কন্মসকলকে পুণ্যকর্ম বলিয়া সম্পন্ন করেন,_-অসামান্ততাহীন ন্বামীকে দেবতা বলিয়া ভক্তি করেন, ততই তাহার! শ্রীসৌন্দর্য্য-পবিত্রতায় মণ্ডিত হুইয়া উঠেন-_ তাহাদের পুণ্যজ্যোতিতে চতুদ্দিকু হইতে ইতরতা অভিভূত হইয়। পলায়ন করে। | যুরোপ এই কথা বলেন যে, সকল মানুষেরই সব হইবার অধিকার আছে--এই ধারণাতেই মানুষের গৌরব। কিন্তু বন্ততই সকলের সব হইবার অধিকার নাই, এই অতি সত্যকথাটি সবিনয়ে গোড়াতেই মানিয়া লওয়া ভাল। বিনয়ের সহিত মানিয়| লইলে তাহার পরে আর কোন অগৌরব নাই। রামের বাড়ীতে শ্তামের কোন অধিকার নাই, এ কথা স্থিরনিশ্চিত বলিয়াই রামের বাড়ীতে কর্তৃত্ব করিতে ন! পারিলেও শ্ামের তাহাতে লেশমান্র লজ্জার বিষয় থাকে ন।। কিন্ত শ্টামের যদি এমন পাগ্লামি মাথায় জোটে যে, সে মনে করে, রামের বাড়ীতে একাধিপত্য করাই তাহার উচিত-_-এবং সেই বৃথাচেষ্টায় সে বারংবার বিড়প্বিত হইতে থাকে, তবেই তাহার প্রত্যহ অপমান ও ছুঃখের সীমা থাকে না। আমাদের দেশে স্বস্থানের নির্দিষ্ট গণ্তীর মধ্যে সকলেই আপনার নিশ্চিত অধিকারটুকুর মর্যাদা ও শাস্তি লাঁভ করে বলিয়াই, ছোট নুযোগ পাইলেই বড়কে খেদাইয়! যাঁর না, এবং ৰড়ও ছোটকে সর্বদ। সর্ব প্রধত্তে খেদাইয়া রাখে না। যুরোপ বলে, এই সস্তোষই, এই জিগীষার অভাবই, জাতির মৃত্যুর কারণ। তাহ যুরোপীয় সভ্যতার মৃত্যুর কাঁরণ বটে, কিন্তু আমাদের সভ্যতার তাহাই ভিত্তি। যে লোক জাহাজে আছে, তাহার পঙ্গে যে বিধান, যে লোক ঘরে আছে, তাহারও পক্ষে সেই বিধান নছে। যুরোপ যদ্দি বলে সভ্যতামান্ররেই সমান এবং সেই বৈচিত্র্যহীন সভ্যতার আদর্শ কেবল যুরোপেই আছে, তবে তাহার সেই ম্পর্দাবাক্য গুনিয়াই নববর্ষ । ১৩ বস্তি লস্ট পানপিতিস্সলািট লাস্ট সপ সি সিসি পাসপাস্পীসিসিপাস্সিপাস্িলাসি পাত পালাল তাড়াতাড়ি আমাদের ধনরত্বকে ভাঙা-কুল! দিয়া পথের মধ্যে বাহির করিয়। ফেল। সঙ্গত হয় না। বস্তত সস্তোষের বিকৃতি আছে বলিয়াই অত্যাকাজ্ার যে বিকৃতি নাই, এ কথ! কে মানিবে? সন্তোষে জড়ত্ব প্রাপ্ত হইলে যি কাজে শৈথিল্য আনে, ইহ] সত্য হয়, তবে অত্যাকাজ্ষার দম বাড়িয়া গেলে যেভূরি-ভূরি অনাবশ্তক ও নিদারুণ অকাজের স্থষ্টি হইতে থাকে, এ কথা কেন ভূলিব? প্রথমটাতে যদি রোগে মৃত্যু ঘটে, তবে দ্বিতীয়টাতে অপঘাতে মৃত্যু ঘটিয়া থাকে । এ কথ! মনে রাখা কর্তব্য, সন্তোষ এবং আকাজ্জা ছুয়েরই মাত্র! বাঁড়িয়। গেলে বিনাশের কারণ জন্মে। | অতএব সে আলোচনা ছাড়িয়! দিয়া ইহ! স্বীকার করিতেই হইবে, সন্তোষ, সংযম, শাস্তি, ক্ষমা, এ সমন্তই উচ্চতর সভ্যতার অঙ্গ । ইহাতে প্রতিযোগিতা-চক্মকির ঠোকাঠুকি-শব ও স্ফুলিল বর্ষণ নাই, কিন্তু হীরকের ক্সি্ধ-নিঃশব্ধ জ্যোতি আছে। সেই শব ও শ্মু'লিঙ্গকে এই গ্রবজ্যোতির চেয়ে মূল্যবান মনে করা বর্ধরতামাত্র । যুরোপীয় সভাতার বিদ্যালয় হুইতেও যদি সে বর্ধরতা প্রহ্থুত হয়, তবু তাহ। বর্বরত। | আমাদের প্রকৃতির নিভৃততম কক্ষে যে অমর ভারতবর্ষ ধিরাজ করিতেছেন, আজি নববর্ষের দিনে তাহাকে প্রণাম করিয়া আসিলাম। দেখিলাম, তিনি ফললোলুপ কর্মের অনন্ত তাড়না হইতে মুক্ত হইয়া শাস্তির ধ্যানাসনে বিরাজমান, অবিরাম জনতার জড়পেষণ হইতে যুক্ত হইয়া আপন একাকিত্বের মধ্যে আসীন, এবং প্রতিযোগিতার নিবিড় সংঘর্ষ ও ঈর্ষাকাঁলিমা হইতে মুক্ত হইয়া তিনি আপন অবিচলিত, র্ধ্যাদার মধ্যে পরিবেষিত। এই যে কর্মের বাসনা, জনসংঘের সংঘাত, ও জিগীষার উত্তেজনা হইতে মুক্তি, ইহাই সমস্ত ভারতবর্ষকে বঙ্গের ১৪ ভারতবর্ষ । ছিল লালা পাস ছি পা পাস্মিা্টি পাস লা লালা সিসি লী সস স্্্সপিসিিাি পথে, ভয়হীন শোক হীন মৃত্যুহীন পরম মুক্তির পথে স্থাপিত করিয়াছে। যুরোপ যাহাকে “ফ্রীডাম্*বলে, সে মুক্তি ইহার কাছে নিতান্তই ক্গীগ। মে মুক্তি চঞ্চল, দুর্বল, তীর, তাহা ম্পর্দিত, তাহ! নিষ্ঠুর,-_তাহা। পরের প্রতি অন্ধ, তাহ ধর্মাকেও নিজের সমতুল্য মনে করে না, এবং সত্যকেও নিজের দাসত্ব বিকৃত করিতে চাহে ! তাহা কেবলি অন্তকে আঘাত করে, এইজন্ত অন্তের আঘাতের তয়ে রাত্রিদিন বর্শে-চন্মে, অস্ত্রে-শস্্ে কণ্টকিত হইয়! বসিয়া থাকে-_তাহা। আত্মরক্ষার জন্ত স্বপক্ষের অধিকাংশ লোককেই দাসত্বনিগড়ে বদ্ধ করিক্া রাখে-__তাহার অসংখ্য সৈন্ মনুষ্যত্ত্র্ট ভীষণ যন্ত্রমাত্র। এই দানবীয় পফ্রীডাম্” কোনকালে ভারতবর্ষের তপস্তার চরম বিষয় ছিল না--কারণ আমাদের জনসাধা- বণ অন্যসকল দেশের চেয়ে যথার্থভাবে স্বাধীনতর ছিল। এখনে! আধুনিক-কালের ধিক্কারসত্বেও এই পফ্রীডাম্” আমাদের সর্বসাধারণের চেষ্টার চরমতম লক্ষ্য হইবে না। নাই হইল-_এই ক্রীডামের চেয়ে উন্নততর--বিশালতর যে মহত্ব-যে মুক্তি ভারতবর্ষের তপস্তার ধন, তাহা যদি পুনরায় সমাজের মধ্যে আমর! আবাহন করিয়া আনি,__ অন্তরের মধ্যে আমর! লাঁত করি, তবে ভারতবর্ষের নগ্নচরণের ধূলিপাতে পৃথিবীর বড়-বড় রাজমুকুট পবিভ্র হইবে। এইখানেই নববর্ষের চিন্তা আমি সমাপ্ত করিলাম। আজ পুরা- তনের মধ্যে গ্রবেশ করিয়াছিলাম, কারণ, পুরাতনই চিরনবীনতার অক্ষয় ভাণ্ডার । আজ যে নবকিসলয়ে বনলক্ষী উৎসববন্ত্র পরিয্বাছেন, এ বন্ত্রধানি আজিকার নহে--যে ধষিকবিরা ত্রিষ্টত্ছন্দে তরুণী উষার “বন্দন! করিয়াছেন, তাহারাও এই মত্যণ-চিক্কণ পীতহরিৎ বসনথানিতে ঘনশ্রীকে অকন্মাৎ স্াজিতে দেখিয়াছেন--উজ্জয়িনীর পুরোস্তানে কালিদাসের মুগ্ধনৃ্টির সন্দুখে এই নমীরকম্পিত কুন্ুষগন্ি অঞ্চলপ্রাত্তটি বনথর্য্যকরে ঝলমল করিক্কাছে। নৃতনত্থের মধ্যে চিরপুরাতনকে দ্বন্ধ- ১ তৰ করিলে তবেই অমেয় যৌবনসমুদ্রে আমাদের জীর্ণজীবন নান করিতে পায়। আজিকার এই নববর্ষের মধ্যে ভারতের বছুসহত্র পুরাতন বর্ষকে উপণন্ধি করিতে পারিলে, তবেই আমাদের দুর্বলতা, আমাদের লজ্জা, আমাদের লাঞগ্ছন।, আমাদের দ্বিধ! দুর হইয়া যাইবে। ধার কর! ফুলে- পাতায় গাছকে সাজাইলে তাহা! আজ থাকে, কাল থাকে ন!। সেই নৃতনত্বের অচিরপ্রাচীনতা ও বিনাশ কেহ নিবারণ করিতে পারে ন1। নববল, নবসৌন্দর্য্য, আমর ষদি অন্তত্র হইতে ধার করিয়া! লইয় সা'জিতে যাই, তবে ছুইদগুবাদেই তাহা! কদর্ধ্যতার মাল্যরূপে আমাদের ললাটকে উপহমিত করিবে; ক্রমে তাহা হইতে পুষ্প-পত্র ঝরিয়! গিয়া কেবল বন্ধনরজ্জুটুকুই থাকিয়া যাইবে। বিদেশের বেশতৃষা-ভাবভঙগী আমাদের গাত্রে দেখিতে দেখিতে মলিন, শ্রীহীন হইয়া পড়ে--বিদেশের শিক্ষা রীতিনীতি আমাদের মনে দেখিতে দেখিতে নিজ্জাব ও নিক্ষল হয়, কারণ, তাহার পশ্চাতে স্ুচিরকালের ইতিহাস নাই-- তাহা! অসংলগ্ন, অসঙ্গত, তাহার শিকড় ছিন্ন । অস্তকার নববর্ষে আমর1 ভারতবর্ষের চিরপুরাতন হইতেই আমাদের নবীনত। গ্রহণ কন্দিযে--সায়াহ্কে যখন বিশ্রামের ঘণ্ট। বাজিবে, তখনে। তাহ! ঝরিয়া পড়িবে না--তখন সেই অক্লানগৌরব মীল্যখানি আীর্বাদের সহিত আমাদের পুত্রের ললাটে বাধিয়। দিয় তাহাকে নির্ভয্নচিত্তে সবলহ্ৃদয়ে বিজয়ের পথে প্রেরণ করিব। জয় হইবে, ভারতবর্ষেরই অয় হইবে! যে ভারত প্রাচীন, যাহা প্রচ্ছন্ন, যাহ! বৃহৎ, যাহ] উদার, যাহ! নির্বাক, তাহারই জয় হইবে, _আমরা-_যাহারা ইংরাজি বলিতেছি, অবিশ্বাস করিতেছি, মিথ্যা কহিতেছি, আক্ষানন করিতেছি, আমর! বর্ষে বর্ধে- | “মিলি মিলি যাওব সাগরলহরী সমান|।” ৰ সিডি তাহাতে নিস্তব্ধ সনাতন ভারতের ক্ষতি হইবে না। ভঙ্মাচ্ছন্ন মৌনী ভারত চতুষ্পথে মৃগচর্্ পাঁতিয়। বসিয়া আছে--আমর! যখন আমাদের সমস্ত চটুলতা মমাধা। করি! পুত্রকন্ভাগণকে কোট্ক্রক্‌ পরাহিক় দির ১৬. ভারতবর্ষ। বিদার় হইব, তখনো সে শান্তচিত্ে আমাদের পৌন্রদের জন্ত প্রতীক্ষা করিয়া থাকিবে। সে প্রতীক্ষা ব্যর্থ হইবে না, তাহারা এই নন্ন্যাপীর সম্তুথে করযোড়ে আসিয়। কহিবে--“পিতামহ, আমাদিগকে মন্ত্র দাও।” তিনি কহিবেন--"ও' ইতি বরদ্ধ।* তিনি কহিবেন--“তুমৈব নুখং নাল্সে সথমন্তি।” তিনি কহিবেন-_“আননদ ব্রহ্ষণো বিদ্বান ন বিভেতি কদাচন, ভারতবর্ষের ইতিহাস। |] আমাদের দেশে রাজ! ছিলেন সমাজের একটি অঙ্গ । ব্রাহ্মণ গুরুগণও একভাবে সমাজরক্ষা-ধর্মনরক্ষায় প্রবৃত্ত ছিলেন, ক্ষত্রিয় রাজারাও অন্যভাবে সেই কার্ধ্যেই ব্রতী ছিলেন। দেশরক্ষা গৌণ, কিন্তু দেশের ধর্্মরক্ষাই তাহা- দের মুখ্য কর্তব্য ছিল। ভারতবর্ষে সাধারণত রাঞ্জ। সমস্ত দেশকে গ্রাস করেন নাই। তাহার! প্রধান ব্যক্তি ছিলেন সন্দেহ নাই, কিন্ত তাহাদের স্থান সীমাবদ্ধ, নির্দিষ্ট ছিল। সেইজ্ত রাজার অভাবে ভারতীয় সমাজ অঙ্গ- হীন হইত, দূর্বল হইত, তবু মরিত না। যেমন এক চক্ষুর অভাবে অন্ত চক্ষু দিকবা দৃষ্টি চলে, তেমনি স্বদেশী রাঁজার অভাবেও সমাজের কাজ চলিয়া গেছে। বিদেশী রাজ! আর সমস্ত অধিকার করিতে পারে, কিন্তু সামাজিক সিংহাসনের অংশ গ্রহণ করিতে পারে না। সমাজই ভারতবর্ষের ম্মস্থান) সেই সমাজের সহিত বিদেশী রাজার নাড়ীর সম্বন্ধ না থাকাতে যথার্থ ভারতবর্ষের সহিত তাহার সম্বন্ধ অত্যন্ত ্সীণ। সকল দেশেই বিদেশী রাঁজ! দেশের সম্পূর্ণ অভ্যন্তরে প্রবেশ করিতে পারে না-_ভারতব্ষে আরো! বেশি। কারণ, ভারতবর্ষীয় সমল ছর্গের সায় দৃঢ় প্রাকারের দ্বারা আপনাচক ছুর্গম করিয় রাখিয়াছে। বিদেপী অনাস্থীয় তাহার মধ্যে অবারিত পথ পায় না। এইজন্য বিদেশী সাঁ্জাজ্যের ইতিহাস ভারতবর্ষের প্রকৃত ইতিহাস নহে। ভারতবর্ষের রাষ্ট্রীয় ইতিবৃত্ত ভারত- ইতিবৃত্তের অতি সামান্ত অংশ-_তাঁহ পরিশিষ্টভাগে লিখিত হইবার যৌগ্য। ভায়তবর্ষের ইতিছাস। ১৭ _..০০০০০৮৮৮১শিশশিশিশিোোশিশিীশিশিপীসিপশশ ভারতবর্ষের যে ইতিহাস আমরা পড়ি এবং মুখস্থ করিয়া! পরীক্ষা দিই, তাহা ভারতবর্ষের নিশীথকালের একটা! দুঃস্বপ্রকাহিনীমান্র। কোথা হইতে কাহারা আদিল, কাটাকাটি-মারামারি পড়িয়া গ্রেল, ৰাপে-ছেলেয় ভাইয়ে-ভাইয়ে সিংহাসন লইয়া! টানাটানি চলিতে লাগিল, এক দল যদ্দি বা যায়, কোথা হইতে আর-এক দল উঠিয়া পড়ে__পাঠান-মোগল, পর্ত,গীজ-ফরাসী-ইংরাজ, সকলে মিলিয়া এই স্বপ্নকে উত্তরোত্তর জটিল করিয়। তুলিয়াছে। কিন্তু এই রক্তবর্ণে রঞ্জিত পরিবর্তমান স্বপ্রদৃশ্তপটের দ্বার! ভারত্ব- বর্ষকে আচ্ছন্ন করিয়। দেখিলে, যথার্থ ভারতবর্ষকে দেখা হয় না। ভারতবাসী কোথায়--এ সকল ইতিহাস তাহার কোন উত্তর দেয় না। যেন ভারতবাসী নাই--কেবল যাহারা কাটাকাটি-খুনাখুনি করিয়াছে, তাহারাই আচ্ছে। তখনকার দুর্দিনেও এই কাটাকাটি-খুনাখুনিই যে ভারতবর্ষের প্রধানতম ব্যাপার, তাহা! নহে। ঝড়ের দিনে যে :ঝড়ই পর্ধপ্রধান ঘটনা, তাহা তাহার গর্জনসতেও স্বীকার করা যায় না,_সে দিনও সেই ধুলিদমাচ্ছন্ন আকাশের মধ্যে পল্লীর গৃহে গৃহে যে জন্ম-মৃত্যু-মহখ- দুঃখের প্রবাহ চলিতে থাকে, 'তাহা৷ ঢাক! পড়িলেও মানুষের পক্ষে তাহাই প্রধান। কিন্তু বিদেশী পথিকের কাছে এই বড়টাই প্রধান, এই ধূলিজালই তাহার চক্ষে আর সমন্তই গ্রাস করে? কারণ, সে ঘরের ভিতরে নাই, সে ঘরের বাহিরে। সেইজন্ত বিদেশীর ইতিহাসে এই ধুলির কথা-__ঝড়ের কথাই পাই, ঘরের কথ! কিছুমাত্র পাই না। সেই ইতিহাঁম পড়িলে মনে হয়, ভারতবর্ষ তখন ছিল ন1, কেবল মোগল-পাঠানের গর্জনমুখর বাত্যাবর্ত গুফপত্রের ধ্বজ! তুলিয়া উত্তর হইতে দক্ষিণে এবং পশ্চিম হইতে পূর্বে ঘুরিয়া-ঘুরিয়! বেড়াইতেছিল। কিন্তু বিদ্ধেশ যখন ছিল, দেশ তখনো ছিল, নহিজে এই সমস্ত ২ টা ভারতবর্ধ। উপদ্রবের মধ্যে কবীর, নানক, চৈতন্ত, তুফারাম, ইহাদিগকে জন্ম দিলকে? তখন যে কেবল দিলী এবং আগ্রা ছিল, তাহা! নহে-_ কাশী এবং নবদ্বীপ ছিল। তখন প্রকৃত ভারতবর্ষের মধ্যে যে জীবনম্রোত বহিতেছিল, যে চেষ্টার তরঙ্গ উঠিতেছিল, যে সামাজিক পরিবর্তন ঘটিতেছিল, তাহার বিবরণ ইতিহাসে পাওয়া যায় না। কিন্তু বর্তমান পাঠাগ্রস্থের বছিভূতি সেই ভারতবর্ষের সঙ্গেই আমাদের োগ। সেই যোগের বনবর্ষকালবাপী গ্রতিহাসিক সুত্র বিলুপ্ত হুইয়৷ গেলে আমাদের হৃদয় আশ্রয় পায় না। আমর! ভারত- বর্ষের আগাছা-পরগাছা নহি-_ব্ুশত শতাব্দীর মধ্য দিয়া আমাদের শতসহম্র শিকড় ভারতবর্ষের মর্শস্থান অধিকার করিয়া আছে। কিন্তু ছুরৃষ্টক্রমে এমন ইতিহাস আমাদিগকে পড়িতে হয় যে, ঠিক সেই কথাটাই আমাদের ছেলের! ভুলিয়া যায়। মনে হয়, ভারতবর্ষের মধ্যে আমর! যেন কেহই না, আগন্তকবর্গই যেন সব। নিজের দেশের সঙ্গে নিজের সম্বন্ধ এইরূপ অকিঞ্চিংকর বলিয়। জানিলে, কোথা হইতে আমরা প্রাণ আকর্ষণ করিব? এরূপ অবস্থায় বিদেশকে শ্বদেশের স্থানে বসাইতে আমাদের মনে দ্বিধামাত্র হয় না ভারতবর্ষের অগৌরবে আমাদের গ্রাণান্তকর লজ্জাবোধ হইতে পারে না। আমরা অনায়াসেই বলিয়া থাকি, পুর্বে আমাদের কিছুই ছিল না, এবং এখন আমাদিগকে অশনবসন, আচারব্যবহার, সমস্তই বিদেশীর কাছ হইতে ভিক্ষা করিয়া লইতে হইবে । ধে সকল দেশ ভাগ্যবান্‌, তাহার! চিরস্তন শ্বদ্দেশকে দেশের ইতি- হাসের মধ্যেই খুঁজিয়া পান--বালককালে ইতিহাসই দেশের সহিত, তাহাদের পয়িচয়সাধন করাইয়! দেয়। আমাদের ঠিক তাহার উপ্টা। দেশের ইতিহাসই আমাদের দ্বদেশকে আচ্ছন্ন করিয়া! রাখিয়াছে। মাঘের আক্রমণ হইতে লর্ড কার্ডনের সাত্রাজাগর্কোদগারকাল পর্ব্ত্ত সপসপিপাসপাসস্িলি সপ ভারভবর্ষের ইত্চিহাস। ১৯ পট্টি পা পিপাসা স্পস্ট থে কিছু ইতিহাসকথা, তাহা! ভারতবর্ষের পক্ষে বিচিত্র কুহেলিকা_ তাহা স্বদেশসন্বন্ধে আমাদের দৃষ্টির সহায়তা করে ন।, দৃষ্টি আবৃত করে মাত্র। তাহা এমন স্থানে কৃত্রিম আলোক ফেলে, যাহাতে আমাদের দেশের দ্িক্টাই আমাদের চোখে অন্ধকার হইয়া যায়| সেই অন্ধ- কারের মধ্যে নবাবের বিলাদশালার দীপালোকে নর্তকীর মণিভূষণ জিয়া উঠে? বাদ্‌লাহের স্ুরাপাত্রের রক্তিম ফেনোচ্ছাস উন্মত্বতার জাগর- রক্ত দীপ্ত-নেত্রের ন্তায় দেখা দেয়__সেই অন্ধকারে আমাদের প্রাচীন দেবমন্দিরদকল মস্তক আবৃত করে এবং সুলতান-প্রেয়সীদের শ্বেতমর্মর- রচিত কারুখচিত কবরচুড়া নক্ষত্রলোক চুম্বন করিতে উদ্ধত হয়। সেই অন্ধকারের মধ্যে অশ্বের খুরধ্বনি, হস্তীর বুংহিত, অস্ত্রের ঝঞ্চনা, সুদুর- ব্যাপী শিবিরের তরঙ্গেত পাও্ুরতা, কিংখাব-আন্তরণের স্বর্ণচ্ছট|, মস্‌- জিদের ফেনবুদ্ধবুদাকার পাষাঁণমণ্ডপ, খোজা প্রহ্রীরক্ষিত প্রাসাদ-অজ্তঃ- পুরে রহস্তনিকেতনের নিন্তন্ধ মৌন--এ সমস্তই বিচিত্র শবে ও বর্ণে ও ভাঁবে যে প্রকাণ্ড ইন্্রজাল রচনা করে, তাহাকে ভারতবর্ষের ইতিহাস বলিয়। লাভ কি? তাহা তারতবর্ষের পুণ্যমন্ত্রের পুথিটিকে একটি অপরূপ আরব্য উপন্তাল দিয়! মুড়িয়! রাখিয়াছে-_সেই পুথিথানি কেহ খোলে না, সেই আরব্য উপন্যাসেরই প্রত্যেক ছত্র ছেলেরা মুখস্থ করিয়া! লয়। তাহার পরে প্রলয়রাত্রে এই মোগলসাম্রাজ্য যখন মুমুরু তখন শ্মশানস্থলে দূরাগত গৃধগণের পরম্পরের মধ্যে যে সকল চাতুরী- প্রবঞ্চনা-হানাহানি পড়িয়! গেল, তাহাও কি ভারতবর্ষের ইতিবৃত্ধ ? এবং তাহার পর হইতে পাঁচ পাঁচ বৎসরে বিভক্ত ছক-কাটা সত্তরঞ্চের মত ইত্রাজশাদন, ইহার মধ্যে ভারতবর্ষ আরো ক্ষুদ্র +_বস্তত সতরঞে সহিত ইহার প্রভেদ এই যে, ইহার ঘরগুলি কালোয়-শাদায় সমান বিভক্ত নহে, ইহার পনেরোআনাই শাদা। আমরা পেটের অন্নের বিনিময়ে সুশালন, সুবিচার, সুশিক্ষা, সমন্তই একটি বৃহৎ হোয়াইট্য।- টিন পাস সিসি জর স্মিত নিসা ৬. পো সম অসি পাট বন্ধ। এই কারখানাটির বিচায় হইতে বাণিজ্য পর্য্যস্ত সমস্তই স্থু হইতে পারে, কিন্ত ইহার মধ্যে কেরাণীশালার এককোথে আমাদের ভারতবর্ষের স্থান অতি যৎসামান্ত | ইতিহাস কল দেশে সমান হুইবেই, এ কুসংস্কার বর্জন না করিলে নর। যেব্যক্তি রথ্চাইল্ডের জীবনী পড়িয় পাকিয়! গেছে, সে খৃষ্টের ভীবনীর বেলায় তাহার হিসাবের খাতাপত্র ও আপিসের ডায়ারি তলব করিতে পারে; যদি সংগ্রহ করিতে না পারে, তবে তাহার অবজ্ঞা জন্মিবে এব সে বলিবে, যাহার এক পয়সার সঙ্গতি ছিল না, তাহার আবার জীবমী কিসের? তেমনি ভারতবর্ষের রাষ্থ্ীয় দফ্তর হইতে তাহার রাজবংশমাল| ও জয়পরাজয়ের কাগজপত্র না পাইলে ধাহার। ভারতবর্ষের ইতিহাসপন্বন্ধে হতাশ্বাস হইয়া পড়েন এবং বলেন, যেখানে পলিটিক্স নাই, সেখানে আবার ভিন্্রী কিসের, তাঁহার! ধানের ক্ষেতে বেগুন খুঁজিতে যান এবং না পাইলে মনের ক্ষোভে ধানকে শস্তের মধ্যেই গণ্য করেন না। সকল ক্ষেতের আবাদ এক নহে, ইহ! জানিয় ষেব্যক্তি যথাস্থানে উপযুক্ত শণ্তের প্রত্যাশ। করে, সেই প্রাজ্ঞ। যিশ্ুখৃষ্টের হিসাবে খাতা দেখিলে তাহার প্রতি অবজ্ঞা জন্মিতে পারে, কিন্ত তাহার অন্য বিষয় সন্ধান করিলে খাতাপত্র সমস্ত নগণ্য হইয়। যায়। তেমনি রাইরীয় ব্যাপারে ভারতবর্ষকে দীন বলিয়া জানিয়াঁও অন্য বিশেষ দিক্‌ হইতে সে দীন্তাকে তুচ্ছ করিতে পারা যায়। ভারত- বর্ষের সেই নিজের দিক্‌ হইতে ভাঁরতবর্ষকে ন" দেখিয়া, আমর! শিশু- কাল হইতে তাহাকে ধর্ব করিতেছি ও নিজে খর্ধ হইতেছি। ইংরা- জের ছেলে জানে, তাহার ষাপ-পিতামহ অনেক যুদ্ধজয়, দেশ-অধিকার ও ৰাণিজ্যব্যবসাঁয় করিয়াছে, সে-ও নিজেকে :ক্ঈণগৌরব, ধনগৌরব, রাজ্যপৌববের অধিক্কারী করিতে চায়। আমর! জানি, আমাদের ভারতবর্ষের ইতিহাস । ২১ পিতামহগণ দেশ-অধিকার ও বাণিপ্যবিস্তার করেন নাই-_এইটে জানাইবার জন্ধই ভারতবর্ষের ইতিহাস। শাহারা! কি করিয়াছিলেন “জানি না, সুতরাং আমরা কি করিব, তাহাও জানি ন!। স্থৃতর়াং পরের নকল করিতে হয়। ইহার জন্ত কাহাকে দোষ দিব 1 ছেলেবেল! হইতে আমর! যে প্রণালীতে যে শিক্ষা পাই, তাহাতে প্রতিদ্রিন দেশের সহিত আমাদের বিচ্ছেদ ঘটির়। ক্রমে দেশের বিরদ্ধে আমাদের বিদ্রোহভাব জন্মে। . আমাদের দেশের শিক্ষিত লোকেরাও ক্ষণে ক্ষণে হতবুদ্ধির স্তায় বলিয়। উঠেন, দেশ তৃমি কাহাকে বল, আমাদের দেশের বিশেষ ভাবটা! 'কি, তাহা! কোথায় আছে, তাহা কোথায় ছিল? প্রশ্্ করিয়া ইহার উত্তর পাওয়া যায় না। কারণ, কথাটা এত হুক্ম, এত বৃহৎ যে, ইহা কেবলমাত্র যুক্তির দ্বারা বৌধগম্য নহে। ইংরাজ বল, ফরাঁসী বল, কোন দেশের লোৌকই আপনার দেশীয় তাঁবটি কি, দেশের মুল মর্দ- স্থানটি কোথায়, তাহা এক কথায় ব্যক্ত করিতে পারে না-_তাহা 'দেহস্থিত প্রাণের ন্যায় প্রত্যক্ষ সত্য, অথচ প্রীণের স্যায় সংজ্ঞা ও ধারণার পক্ষে দুর্ঘম। তাহা শিশুকাল হইতে আমাদের জ্ঞানের ভিতর, আমাদের প্রেমের ভিতর, আমাদের কল্পনার ভিতর নানা অবক্ষ্য পথ দিয়। নানা আঁকারে প্রবেশ করে । সে তাহার বিচিত্র শক্তি দিয়া আমাদিগকে নিগুঢ়ভাবে গড়িয়া তোলে--আমাদের অতীতের সহিত বর্তমানের ব্যবধান ঘটিতে দেয় নাঁ_-তাহারই প্রসাদে আমরা বৃহত, আমরা বিচ্ছিন্ন নহি। এই বিচিত্র উদ্ভমসম্পন্ন গুপ্ত পুরাতনী শক্তিকে | ংশযী জিজ্ঞান্ুর কাছে আমরা সংজ্ঞার দ্বারা ছুই-চার কথায় ব্যক্ত করিব কি করিয়া ? ভারতবর্ষের প্রধান সার্থকতা কি, এ কথার স্পষ্ট উত্তর ষদি কে জিজ্ঞাসা ফরেন, সেউত্বর আছে; ভারতবর্ষের ইতিহাস সেই ঙ্২ , ভারতবর্ষ। পো পালি পম তে বলিলেন সা পরি উত্তরকেই সমর্থন হ করিবে। ভারতবর্ষের চিরদিনই একমাত্র চট দেখিতেছি, গ্রভের্দের মধ্যে প্রক্যস্থাপন করা, নানা পথকে একই লক্ষ্যের অভিমুখীন করিয় দেওয়া এবং বহুর মধ্যে এককে নিংসংশয়- রূপে অন্তরতররূপে উপলব্ধি করা,_বাহিরে যে সকল পার্থক্য গ্রতীরমান হয়, তাহাকে নষ্ট না করিয়া তাহার ভিতরকার নিগুঢ় যোগকে অধিকার করা। এই এককে প্রত্যক্ষ কর! এবং প্রক্যবিস্তারের চেষ্টা করা ভারতত- বর্ষের পক্ষে একান্ত স্বাভাবিক। তাহার এই ম্বাভাবই তাহাকে চিরদিন রাষ্ট্রগৌরবের গ্রতি উদাসীন করিয়াছে। কারণ, রাষ্ট্রগৌরবের খুলে বিরোধের ভাব। যাহার! পরকে একান্ত পর বলিয়! সর্বাস্তঃকরণে অনুভব না করে, তাহার! রাষ্ট্রগৌরবলাভকে জীবনের চরম লক্ষ্য বলিয়া? মনে করিতে পাঁরে না। পরের বিরুদ্ধে আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করিবার যে চেষ্টা, তাহাই পোলিটিক্যাল্‌ উন্নতির ভিত্তি--এবং পরের সহিত আঁপনার সম্বন্ধবন্ধন ও নিজের ভিতরকার বিচিত্র বিভাগ ও বিরোধের মধ্যে সামন্তস্তস্থাপনের চেষ্টা, ইহাই ধর্বনৈতিক ও সামাজিক উন্নতির ভিত্তি। যুরোপীয় সভ্যতা যে প্রক্যকে আশ্রয় করিয়াছে, তাহা বিরোধমূলক ) ভারতবর্ষীয় সভ্যতা! যে এঁক্যকে আশ্রয় করিয়াছে, তাহা মিলনমূলক। যুরোপীর পোলিটিক্যাল্‌ খ্বক্যের ভিতরে যে বিরোধের ফাস রহিয়াছে, তাহা! তাহাকে পরের বিরুদ্ধে টানিয় রাখিতে পারে, কিন্তু তাহাকে নিজের মধ্যে পামঞ্জন্ত দিতে পারে না। এইজন্য তাহ। ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে, রাজায় প্রজায়, ধনীতে দরিজ্রে বিচ্ছেদ ও বিরোধকে সর্বদা জাগ্রত করিয়াই রাধিয়াছে। তাহার! সকলে মিলিয়! যে নিজ নিজ্জ নির্দিষ্ট অধিকারের ছার! সমগ্র সমাজকে বহন করিতেছে, তাহা নয়, তাহারা পরস্পরের প্রতিকূল-_ঘাহাঁতে কোন পঙ্গের বলবৃদ্ধি না হয়, অপর পক্ষের ইহাই প্রাপপণ সন্তর্ক চেষ্টা । কিন্তু সকলে মিলিয়া ভারতবর্ষের ইতিহাস। ৩ উদ সপ সিস্পাসিতাসিিস্পী ১ পসরা পরস্পর প্্টপ্িস্প্্প্্স্জাপপপপাস যেখানে ঠেলাঠেলি করিতেছে, সেখানে বলের সামঞ্জশ্ত হইতে পারে না--দেখানে কালক্রমে জনসংখ্য। যোগ্যতার অপেক্ষা! বড় হুইয়! উঠে, উদ্ভম গুণের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতা লাভ করে এবং বণিকের ধনসংহতি গৃহস্থের ধনভাগারগুলিকে অভিভূত করিয়া ফেলে-__-এইনূপে সমাজের সামঞ্জস্ত নষ্ট হইয়! যায় এবং এই সকল বিসদৃশ বিরোধী অঙ্গ গুলিকে কোনমতে জোড়াতাড়! দিয় রাখিবার জন্ত গবমেণ্ট কেবলই আইনের পর আইন স্থষ্টি করিতে থাকে। ইহা অবশ্স্তাবী। কারণ বিরোধ যাহার বীঞ্জ, বিরোধই তাহার শস্ত ; মাঝখানে যে পরিপুষ্ট পল্পবিত ব্যাপারটিকে দেখিতে পাওয়। যায়, তাহা এই বিরোধশত্তেরই প্রাণবান্‌ বলবান্‌ বৃক্ষ। ভারতবর্ষ বিদদুশকেও সম্বন্ধবন্ধনে বাধিবার চেষ্টা করিয়াছে। যেখানে যথার্থ পার্থক্য আছে, সেখানে সেই পার্থক্যকে যথাযোগ্য স্থানে বিন্যস্ত করিয়া--মংযত করিয়া তবে তাহাকে এঁক্যদান করা সম্তৰ। সকলেই এক হইল বলিয়া! আইন করিলেই এক হয় না। যাহার! এক হইবার নহে, তাহারের মধ্যে সম্বন্ধস্থাপনের উপায় তাহাদিগকে পৃথক্‌ অধিকারের মধ্যে বিভক্ত করিয়া দেওয়া । পৃথককে বলপুর্ধক এক করিলে তাহারা একদিন বলপূর্বক বিছিন্ন হইয়া যায়, সেই বিচ্ছেদের সময় প্রলয় ঘটে। ভারতবর্ষ মিলনসাধনের এই রহস্ত জানিত | ফরাপীবিদ্রোহ গায়ের জোরে মানবের সমস্ত পার্থক্য রক্ত দিয় মুছিয়া ফেগিবে, এমন ্পর্দ। করিয়াছিল--কিন্ত ফল উল্টা হইয়াছে-_যুরোপে রাজশক্তি-প্রজাশক্তি, ধনশক্তি-জনশক্তি, ক্রমেই অত্যন্ত বিরদ্ধ হইয়। উঠিতেছে। ভারতবর্ষের লক্ষ্য ছিল সকলকে প্রক্যহ্থত্রে আবদ্ধ করা, কিন্তু তাহার উপায় ছিল স্বতন্ত্র। ভারতবর্ষ সমাজের সমস্ত গ্রতিষোগী বিরোধী শক্তিকে সীমাবন্ধ ও বিভক্ত করিয়া সমাজকলেববুকে এক এবং বিচিত্রকর্মের উপযোগী করিয়াছিল-নিজ নিজ অধিকারকে ৪ ভারতবর্ষ স্পস্ট পি লক্ষি পিস সমিপ্িিসিসছ াসস ক্রমাগতই লঙ্ঘন করিবার চেষ্টা করিয়া বিরোধ-বিশৃঙ্খলা জাগ্রত করিয়৷ রাখিতে দেয় নাই। পরম্পর প্রতিযোগিতার পথেই লমাজের সকল শক্তিকে অহরহ সংগ্রামপরায়ণ করিয়া তুলিয়। ধর্-কর্মম গৃহ দমস্তকেই আবন্তিত, আবিল, উত্তাঁস্ত করিয়] রাখে নাই। এঁক্য- নির্ণয়, মিলনসাধন, এবং শাস্তি ও স্থিতির মধ্যে পরিপূর্ণ পরিণতি ও সুক্তিলাভের অবকাশ, ইহাই ভারতবর্ষের লক্ষ্য ছিল। বিধাত! ভারতবর্ষের মধ্যে বিচিত্র জাতিকে টানিয়া আনিয়াছেন। ভারতবর্ষীয় আধ্য যে শক্তি পাইয়াছে, সেই শক্তি চর্চা! করিবার অবসর ভারতবর্ষ অতি প্রাচীনকাল হইতেই পাইয়াছে। একামুলক যে সত্যতা মানবজাতির চরম সভ্যতা, ভারতবর্ষ চিরদিন ধরিয়! বিচিত্র উপকরণে তাহার ভিত্তিনিম্মাণ করিয়া আসিয়াছে । পর বলিয়া সে কাহাকেও দূর করে নাই, অনার্য্য বলিয়া সে কাঁহাকেও বহিষ্কৃত করে নাই, অস- দত বলিয়! সে কিছুকেই উপহাস করে নাই। ভারতবর্ষ সমস্তই গ্রহণ করিয়াছে, সমন্তইংস্বীকার করিয়াছে । এত গ্রহণ করিয়াও আত্মরক্ষা করিতে হইলে এই পুঞ্জীভূত সামগ্রীর মধ্যে নিজের ব্যবস্থা, নিজের শৃঙ্খলা স্থাপন করিতে হয়-_পণ্ডযুদ্ধভূমিতে পশুধলের মত ইহাদ্দিগকে পরস্পরের উপর ছাড়িয়া দিলে চলে না। ইহাঁদিগকে বিহিত নিয়মে বিভক্ত-স্বতন্ত্র করিয়া একটি মূলতাবের দ্বার! বন্ধ করিতে হয়। উপ- করণ যেখানকার হউক, সেই শৃঙ্খলা ভারতবর্ষের, মেই মূলতাবটি ভাঁরতবর্ষের। যুরোপ পরকে দূর করিয়া, উৎসদন করিয়া সমাজকে নিরাপর্‌ রাখিতে চায়) আমেরিক।, অস্ট্রেলিয়া, নিয়ুজীলাও, কেপ্‌* কলনিতে তাহার পরিচয় আমরা আজ পর্য্যস্ত পাইতেছি। ইহা'র কারণ, তাহার নিজের সমাজের মধ্যে একটি স্ুুবিহিত শৃঙ্খলার ভাব নাই-_তাহার নিজেরই ভিন্ন সম্প্রদায়কে সে যথোচিত স্থান দিতে পারে নাই এবং বাহার! সমাজের অঙ্গ, তাহাদের অনেকেই সমাজ্র বোঝার ৯ পস্ছি ভারতবর্ষের ইতিহাস। এ মত হইয়াছে__এক্প স্থলে বাহিরের লোককে সে সমাজ নিজের কোন্‌- খানে আশ্রয় দিবে? আত্মীয়ই যেখানে উপদ্রব করিতে উদ্যত, সেখানে বাহিরের লোককে কেহ স্থান দিতে চায় না। যে সমাজে শৃঙ্খল! আছে, এঁক্যের বিধান আছে, সকলের স্বতন্ত্র স্থান ও অধিকার আছে, সেই সমাজেই পরকে আপন করিয়া লওয়া সহজ । হয় পরকে কাটিক়া-মারিরা খেদাইয়া নিজের সমাজ ও সভ্যতাকে রক্ষা করা, নয় পরকে নিজের বিধানে সংযত করিয়া ম্-বিহিত শৃঙ্খলার মধ্যে স্থান করিয়া দেওয়া, এই ছুইরকম হইতে পারে। যুরোপ প্রথম প্রণালীটি অবলম্বন করিয়া সমস্ত বিশ্বের সঙ্গে বিরোধ উন্মুক্ত করিয়! রাখিয়াছে ভারতবর্ষ দ্বিতীয় প্রণালী অবলম্বন করিয়া সকলকেই ক্রমে ক্রমে ধীরে ধীরে আপনার করিয়া লইবার চেষ্টা করিয়াছে । যদ্দি ধর্দ্ের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে, যদ্দি ধর্মকেই মানবসভ্যতার চরম আদর্শ বলিয়া স্থির করা যায়, তবে ভারতবর্ষের প্রণালীকেই শ্রেষ্ঠতা দিতে হইবে। পরকে আপন করিতে প্রতিভার প্রয়োজন। শেকৃম্পিয়র কোথা হইতে কি আম্মসাৎ করিয়াছেন, তাহা সন্ধান করিতে বসিলে নানা ভাগারেই তাহার প্রবেশাধিকার আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু আপনার করিবার শক্তি ছিল বলিয়াই তিনি এত লইতে পারিয়াছেন। অন্তের মধ্যে প্রবেশ করিবার শক্তি এবং অন্তকে সম্পূর্ণ আপনার করিয়া লইবার ইন্ত্রজাল, ইহাই প্রতিভার নিজন্ব। ভারতবর্ষের মধ্যে. সেই প্রতিভা আমরা দেখিতে পাঁই। ভারতবর্ষ অসন্কোচে অন্তের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে এবং অনায়াসে অন্ের সামগ্রী নিক্ষের করিয়া লইয়াছে। বিদেশী যাহাকে পৌত্তলিকত। বলে, ভারতবর্ষ তাঁহাকে দেখিয়া ভীত হয় নাই, নাস! কুঞ্চিত করে নাই! ভারতবর্ষ পুলিন্দ, শবর, ব্যাধ প্রভৃতিদের নিকট হইতেও বীভৎস সামগ্রী গ্রহণ করিয়া তাহার মধ্যে- ২৬ ভারতবর্ধ। স্পাস্িপসস্পিরিস্পিস লাস পিল সা সপ নিজেক্ ভাব বিস্তার করিয়াছে--তাহার মধ্য দিয়াও মিজের আধ্যাত্মিক- ভাকে অভিব্যক্ত করিয়াছে । ভারতবর্ষ ফিছুই ত্যাগ করে নাই এবং গ্রহণ করিয়। সকলই আপনার করিয়াছে । এই ক্যবিস্তার ও শৃঙ্খলাস্তাপন কেবল সমাজব্যবস্থার নহে, ধর্মনীতিতেও দেখি । গীতায় জ্ঞান, প্রেম ও কর্মের মধ্যে যে সম্পূর্ণ- সামঞ্জস্য-স্থাপনের চেষ্টা দেখি, তাহা বিশেষরূপে ভারতবর্ষের। যুরোপে রিলিজন্‌ বলিয়া যে শব্ঘ আছে, ভারতবর্ষীয় ভাষায় তাহার অনুবাদ অসম্ভব--কারণ ভারতবর্ষ ধর্মের মধ্যে মানসিক বিচ্ছেদ ঘটিতে বাঁধা দিয়াছে-_আমাদের বুদ্ধি-বিশ্বাস-আচরণ, আমাদের ইহকাল-পরকাল, সমস্ত জড়াইয়াই ধর্ম । ভারতবর্ষ তাহাকে থণ্ডিত করিয়া কোনটাকে পোঁষাকী এবং কোনটাকে আটপৌরে করিয়া রাখে নাই। হাতের জীবন, পায়ের, জীবন, মাথার জীবন, উদরের জীবন যেমন আলাদা নয়, বিশ্বাসের ধর্ম, আচরণের ধর্ম, রবিবারের ধর্ম, অপর ছয়দিনের ধর্ম, গির্জার ধর্ম এবং গৃহের ধর্মে ভারতবর্ষ ভেদ ঘটাইয়! দেয় নাই। ভারত- বর্ষের ধর্ম সমস্ত সমাঁজেরই ধর্ম _তাহার মূল মাটির ভিতরে এবং মাথা আকাশের মধ্যে--তাহার মূলকে স্বতন্ত্র ও মাথাকে শ্বতন্ত্র করিয়া ভারতবর্ষ দেখে নাই--ধর্্মকে ভারতবর্ষ দ্যুলোক ভূলোকব্যাপী, মানবের সমস্ত জীবনব্যাপী একটি বৃহৎ বনস্পতিরূপে দেখিয়াছে। পৃথিবীর সভাসমাজের মধো ভারতবর্ষ নানাকে এক করিবার আদর্শরূপে বিরাজ করিতেছে, তাহার ইতিহাস হুইতে ইহাই প্রতিপন্ন হুইবে। এককে বিশ্বের মধ্যে ও নিজের আত্মার মধো অনুভব করিয়া সেই এককে বিচিত্রের মধ্যে স্থাপন করা, জ্ঞানের দ্বার। আবিষ্কার করা, কর্মের দ্বার! প্রতিষ্ঠিত করা, প্রেমের দ্বার! উপলব্ধি কর] এবং জীবনের দ্বার! প্রচার করা-_নানা বাধা-বিপত্তি-র্গতি-সুগতির মধ্যে ভারতবর্ষ ইহাই করিতেছে। ইতিহাচের ভিতর দিয়া যখন ভারতের,সেই চিরস্তন . ভারতবর্ষের ইন্ডিহান। ২% আপার সপ্ত সিলসিলা পান পাটানি বলি পাস পাস্্পিপাসপাসিলাসমিরডিএ সপ সস স্পা পান পাস পপি পিলার ভাবটি অনুভব করিব, তখন আমাদের বর্তমানের মহিত অতীতের বিচ্ছেদ লোপ পাইবে। বিদেশের শিক্ষা ভারতবর্ষকে অতীতে ও বর্তমানে খা বিভক্ত করিতেছে। যিনি সেতু নির্মাণ করিবেন, তিনি আমাদিগকে রক্ষা করিবেন। যদ্দি সেই সেতু নির্মিত হয়, তবে এই দ্বিধারও সফলত| আছে --কারণ বিচ্ছেদের আঘাত না পাইলে মিলন সচেতন হয় না। যদি আমাদের মধ কিছুমাত্র পদার্থ থাকে, তবে বিদেশ আমাদিগকে ষে আঘাত করিতেছে, সেই আঘাতে শ্বদেশকেই আমরা নিবিড়তররূপে উপলব্ধি করিব। প্রবাসে নির্বামনই আমাদের কাছে গৃহের মাহাত্ম্যকে, মহত্তম করিয়! তুলিবে। মামুদ ও মহন্ষদঘোরীর বিজয়বার্ভার সমস্ত তারিখ আমরা মুখস্থ, করিয়া পরীক্ষার প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হইয়াছি, এখন যিনি সমস্ত ভারতবর্ষকে আমাদের সন্মুখে মুত্তিমান্‌ করিয়৷ তুলিবেন, অন্ধকারের মধ্যে দাড়াইয়া সেই এঁতিহাসিককে আমরা আহ্বাণ করিতেছি। তিনি তাহার শ্রদ্ধার দ্বারা আমাদের মধ্যে শ্রদ্ধার সঞ্চার করিবেন, আমাদিগকে প্রতিষ্ঠাদান করিবেন, আমাদের আত্মউপহাস আত্ম- অবিশ্বানকে অতি অনায়াসে তিরস্কত করিবেন, আমাদিগকে এমন প্রাচীন সম্পদের অধিকারী করিবেন যে, পরের ছদ্মবেশে নিজের লজ্জা, নুক|ইবার আর প্রবৃত্তি থাকিবে না। তখন এ কথা আমরা বুবিঝুঃ পৃথিবীতে ভারতবর্ষের একটি মহৎ স্থান আছে, আমাদের মধ্যে মহৎ আশার কারণ আছে; আমর] কেবল গ্রহণ করিব না-- অনুকরণ করিব না, দান করিব--প্রবর্তন করিব, এমন সম্ভাবন। আছে; পলিটিক্স এবং বাণিজ্যই আমাদের চরমতম গতিমুক্কি নহে, প্রাচীন ব্রহ্মচর্যের পথে বৈরাগ্য-কঠিন দারিদ্রাগৌরব শিরোধাধধ্য করিয়া ছুর্গম-নির্মল মাহাত্বের উ্নততম শিখরে অধিরোহণ করিবার ৯৮ ঈলাসদিতিরণ ছিপ সর্প ৮ ভারতবর্ধ । ০০ জন্ত আমাদের খবি-পিতামহদের সুগন্তীর নিদেশ-নির্দেশ প্রাপ্ত হুইয়াছি ) সে পথে পণ্যতা রাক্রান্ত অন্ত কোন পান্থ নাই বলিয়! :আমর! 'ফিরিব না, গ্রস্থভারমত শিক্ষকমহাশয় সে পথে চলিতেছেন না বলিয়া কজ্জিত হইব না। মূল্য না দিলে কোন মূল্যবান জিনিষকে আপনার কর! যায় না। . ভিক্ষা করিতে গেলে কেবল খুদকুঁড়া মেলে, তাহাতে “পেট অল্পই ভরে, অথচ জাতিও থাকে না। বিদেশকে যতক্ষণ আমরা কিছু দিতে পারি না, বিদেশ হইতে ততক্ষণ আমরা কিছু লইতেও শারি না) লইলেও তাহার সঙ্গে আত্মসন্মান থাকে না বলিয়াই তাহা "তেমন করিয়া আপনার হয় না, সঙ্কোচে সে অধিকার চিরদিন গ্অসম্পূর্ণ ও অসঙ্গত হইর। থাকে । যখন গৌরবসহকারে দিব, তখন গৌরব সহকারে লইব। হে প্রতিহাসিক, আমাদের সেই দিবার সঙ্গতি কোন্‌ প্রাচীন ভাগারে সঞ্চিত হইয়া আছে, তাহ! দেখাইয়া দাও, তাহার দ্বার উদঘাটন কর। তাহার পর হইতে আমাদের গ্রহণ করিবার শক্তি বাধাহীন ও অকুষ্টিত হইবে, আমাদের উন্নতি ও শ্রীবুদ্ধি অকৃত্রিম ও স্বভাবসিদ্ধ হইয়া উঠিবে। ইংরাজ নিজেকে সর্ধত্র প্রসারিত, দ্বিগুণিত, চতুগ্ণিত করাকেই জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ শ্রেয় বলিয়! জ্ঞান করিয়াছে, তাহাদের বুদ্ধিবিচারের এই উন্মত্ত অন্ধ অবস্থায় তাহার! ধৈর্যের সহিত আমাদিগকে শিক্ষাদান করিতে পারে না। উপনিষদে অনুশাসন আছে- শ্রদ্ধা দেয়ম্‌, অশ্রদ্ধয়া অদেয়ম্--শ্রদ্ধার সহিত দিবে, অশ্রদ্ধার সহিত দিবে নাঁ_ কারণ, শ্রদ্ধার সহিত না দিলে যথার্থ জিনিষ দেওয়াই যায় না, বরঞ্চ এমন একটা জিনিষ দেওয়া! হয়, যাহাতে গ্রহীতাকে হীন কর! হয়। আজকালকার ইংরাজশিক্ষকগণ দানের থাঁরা আমাদিগকে হীন করিয়া খাকেন,_ তাহার! অবজ্ঞা-অশ্রদ্ধার সহিত দান করেন, সেই সঙ্গে প্রত্যহ সবিজপে শ্মরণ করাইতে থাকেন--প্যাহ] দিতেছি, ইহার তুল্য ভারতবর্ষের ইতিহাস। ২৯ তোমাদেরর কিছুই নাই এবং যাহা। লইতেছ, তাহার প্রতিদান দেওয়! তোমাদের সাধ্যের অতীত ।” প্রত্যহ এই অবমাননার বিষ আমাদের মজ্জার মধ্যে প্রবেশ করে, ইহাতে পক্ষাঘাত আনিয়। আমাদিগকে নিরুদ্ধম করিয়া দেয়। শিশুকাল হইতেই নিজের নিজত্ব উপলব্ধি, করিবার কোন অবকাশ--কোন সুযোগ পাই নাই, পরভাষার বানান-. বাক্য-ব্যাকরণ ও মতামতের দ্বার! উদত্রাস্ত-অতিভূত হইয়। আছি-_. নিজের কোন শ্রেষ্ঠতার প্রমাণ দিতে ন1 পারিয়া মাথা হেটে করিয়া থাকিতে হয়। ইংরেঞজের নিজের ছেলেদের শিক্ষা প্রণালী এরূপ নহে. অক্সফোর্ড-কেঘ্ি,জে তাহাদের ছেলে কেবল যে গিলিয়। থাকে, তাহ৷ নহে, তাহারা আলোক, আলোচনা ও খেল! হইতে বঞ্চিত হয় না । অধ্যাপকদের সঙ্গে তাহাদের সুদুর কলের সম্বন্ধ নহে । একে ত তাহাদের চতুর্দিক্বর্তী স্বদেশী সমাজ শ্বদেশী শিক্ষাকে সম্পূর্ণরূপে আপন করিয়া লইবার জন্য শিশুকাল হইতে সর্বতোভাবে আঙ্ককুল্য করিয়া থাকে, তাহার পরে শিক্ষাপ্রণালী ও অধ্যাপকগণও অনুকূল। আমাদের, আগ্োপান্ত সমন্তই প্রতিকূল-_ষাহ। শিখি, তাহা প্রতিকূল, বে উপায়ে শিখি, তাহ! প্রতিকূল, যে শেখায়, সে-ও প্রতিকূল। ইহা সত্ত্বেও যদ্দি আমর! কিছু লাভ করিয়া থাকি, যদি এ শিক্ষা আমরা কোন কাজে থাটাইতে পারি, তাহা আমাদের গুণ। অবশ্ত এই বিদেশী শিক্ষাধিকারের হাত হইতে ন্বজাতিকে মুক্তি: দিতে হইলে শিক্ষার ভার আমাদের নিজ্বের হাতে লইতে হইবে এবং যাহাতে শিগুকাল হইতে ছেলের। শ্বদেশীয় ভাবে, শ্বদেশীয় প্রণালীতে, স্বদেশের সহিত হৃদয়মনের যোগরক্ষ। করিয়া, স্বদেশের বায়ু ও আলোক প্রবেশের দ্বার উন্মুক্ত রাখিয়া শিক্ষা পাইতে পারে, তাহার জন্ত আমাদিগকে একান্ত গ্রযত্বে চে&। করিতে হইবে। ভারতবর্ষ সুদীর্ঘ কাল ধরিয়। আমাদের মনের ষে প্রকৃতিকে গঠন করিয়াছে, তাহাকে: ও ভারতবর্ষ । দিসি ভাত পাস নিস সপ্বাস্ি্সসস নিজের বা পরের ইচ্ছামত বিকৃত করিলে, আমর! জগতে নিক্ষল ও জঙ্জিত হইব। সেই প্ররুতিকেই পূর্ণপরিণতি দিলে সে অনায়াসেই বিদেশের জিনিষকে আপনার করিয়া লইতে পারিবে এবং আপনার জিনিষ বিদেশকে দান করিতে পারিবে। এই স্বদেশী প্রাণংলীর শিক্ষার প্রধান ভিত্তি স্বার্থত্যাগপর ভূতিনিরপেক্ষ অধায়ন-অধ্যাপনরত নিষ্ঠাবান গুরু এবং তাহার অধ্যাপনের প্রধান অবলম্বন স্বদেশের একখানি সম্পূর্ণ ইতিহাস। এক- দিন এইরূপ গুরু আমাদের দেশে গ্রামে-গ্রামেই ছিলেন_ তাহাদের জুতামোজা, গাড়িঘোডা, আস্বাব, পত্রের প্রয়োনজই ছিল না--নবাৰ ও নবাবের অন্থুকারিগণ তাহাদের চারিদিকে নবাবী করিয়া বেড়াইত, তাহাতে তাহাদের দৃক্পাত ছিল না, তাহাদের অগৌরব ছিল ন]। এখনো আনাদের দেশে সেই কল গুরুর অভাব নাই। কিন্তু শিক্ষার বিষর পরিবর্তিত হইয়াছে--এখন ব্যাকরণ, স্বৃতি ও ন্যায় আমাদের জঠরানলনির্বাণের সহায়তা করে না এবং আধুনিক কালের জ্ঞানস্পৃহা! মিটাইতে পারে না। কিন্তু বাহার নুতন শিক্ষাদানের অধিকারী হইয়াছেন, তাহাদের চাল বিগ্ড়াইয়া গেছে, তাহাদের আদর্শ বিকৃত হইয়াছে, তাহারা অল্পে সন্তষ্ট নহেন, বিদ্বাদানকে তাহার! ধর্মকর্খব বলিয়। জানেন না, বিদ্যাকে তাহার! পণ্যদ্রব্য করিয়া বিস্যাকেও হীন করিয়াছেন, নিজেকেও হেয় করিয়াছেন। নব্যশিক্ষিতদের মধ্যে আমাদের সামাজিক উচ্চ আদর্শের এই বিপধ্যয়দশ। একদিন ংশোধিত হুইবে--ইহা আমি দুরাশা বলিয়া গণ্য করি না। আমাদের বৃছৎ-শিক্ষিতমগ্ডলীর মধ্যে ক্রমে ক্রমে এমন ছুই-চারিটি লোক নিশ্চয়ই উঠিবেন, ধাহার! বিভ্তাব্যবসার়কে ত্বরণ করিয়া বিস্তাদীনকে কৌলিক ব্রত বলিয়। গ্রহণ করিবেন। তাহারা জীবনযাত্রার উপকরণ সংক্ষিপ্ত করিয়!, বিলাস বিসর্ন দিয়া, দেশের ৬ ত্রাঙ্ধণ। ৩১ স্ম্ইি উস সম বা সগাগস্উলো স্থানে স্থানে ঘে আধুনিক শিক্ষার টোল করিবেন, ইন্স্পেক্টরের গর্জন ও যুনিভারনিটির তর্জন বজ্জিত সেই সকল টোলেই বিদ্তা শ্বাধীনতালাত করিবে, মর্যাদালাভ করিবে। ইংরাজ রাঁজবণিকের দৃষ্টান্ত ও শিক্ষা সত্বেও বালাংদেশ এমনতর জনকয়েক গুরুকে জন্ম দিতে পারিবে, এ বিশ্বাস আমার মনে ছু রহিয়াছে । ব্রাহ্মণ । সকলেই জানেন, সম্প্রতি কোন মহারাস্ী ব্রাহ্মণকে তাহার ইংরাজ প্র পাছুকাঘাত করিয়াছিল--তাহার বিচার উচ্চতম বিচারালয় পধ্যন্ত গড়াইয্বাছিল--শেষ বিচারক ব্যাপারটাকে তুচ্ছ বলিয়া! উড়াইয়া দিয়াছেন। ঘটনাট1 এতই লঙ্জাকর যে, মাসিকপত্রে আমরা ইহার অবতারণ। করিতীম না। মার খাইয়া মারা উচিত বাক্রনান করা উচিত বা নালিশ করা উচিত, মে সমস্ত আলোচনা খবরের কাগজে হইয়া গেছে-_ সে সকল কথাও আমর! তুলিতে চাহি না। কিন্তু এই ঘটনাটি উপলক্ষ্য করিয়। যে সকল গুরুতর চিন্তার বিষয় আমাদের মনে উঠিয়াছে, তাহা ব্যক্ত করিবার সময় উপস্থিত ! বিচারক এই ঘটনাটিকে তুচ্ছ বলেন-__কাজেও দেখিতেছি ইহ তুচ্ছ হুইয়! উঠিয়াছে, সুতরাং তিনি অন্তায় বলেন নাই। কিন্তু এই ঘটনাটি তুচ্ছ বলিয়া গণ্য হওয়াতেই বুঝিতেছি, আমাদের সমাজের বিকার ভ্রুত- বেগে অগ্রসর হইতেছে। ইংরাজ যাহাকে প্রেীজ্‌, অর্থাৎ তাহাদের রাঁজসন্মান বলেন, তাহাকে মূল্যধান্‌ জান করিয়া থাকেন। কারণ, এই প্রে্টীজের ঞ্রোর ৩২ ভারতবর্ষ । পপ লস ০ পাস তা সপ পাস্তা স্পিন পা আপস সা সপ সিপা্িপপাস্পিিস্পিিা পাস হলো দি আপা সিনা অনেক সময়ে সৈন্তের কাঙ্জ করে। যাহাকে চালনা! করিতে হইবে, তাহার কাছে প্রেইীভ্‌ রাখ| চাই । বোয়্ারযুদ্ধের আরস্তভকালে ইংরাজ- সাত্ত্রাজ্য যখন হ্বল্পপরিমিত রুষকসম্প্রদায়ের হাতে বারবার অপমানিত হইতেছিল, তখন ইংরাজ্জ ভারতবর্ষের মধ্যে যত সঙ্কোচ অন্থভব করিতে- ছিল, এমন আর কোথাও নহে । তখন আমরা সকলেই বুঝিতে পারিতেছিলাম, ইংরাজের বুটু এ দেশে পুর্ধের স্তায় তেমন অত্যন্ত জোরে মচ্মচ করিতেছে না। আমাদের দেশে এককালে ব্রাহ্মণের তেমনি একটা! প্রেষ্টীদ ছিল ॥ কারণ, সমাজচালনার ভার ব্রাহ্মণের উপরেই ছিল। ব্রাঙ্গণ যথারীতি এই সমাজকে রক্ষা করিতেছেন কি ন। এবং সমাঁজরক্ষা করিতে হুইলে যেসকল নিঃস্বার্থ মহদ্‌গুণ থাকা উচিত, সে সমন্ত তাহাদের আছে কি না, সে কথা কাহারে! মনেও উদয় হয় নাই--যতদিন সমাজে তাহাদের প্রেই্টীজছিল। ইংরাজের পক্ষে তাহার প্রেষ্টীজ্‌ যেরূপ মৃল্যবান্‌, ত্রাহ্গ- ণের পক্ষেও তাহার নিজের প্রেষ্টাীজ. সেইরূপ । আমাদের দেশে সমাঁজ যে ভাবে গঠিত, তাহাতে সমাজের পক্ষেও ইহার আবশ্তক আছে। আবশ্তক আছে বলিয়াই সমাজ এত সন্মান ব্রাহ্মণকে দিয়াছিল। আমাদের দেশের!সমাজতন্ত্র একটি স্বৃহৎ ব্যাপার । ইহাই সমস্ত দেশকে নিয্মিত করিয়৷ ধারণ করিয়| রাখিয়াছে। ইহাই বিশাল লোকসম্প্রদায়কে অপরাধ হইতে, স্থলন হইতে রক্ষা করিবার চেষ্টা করিয়া আসিয়াছে। যদি এরূপ না হইত, তবে ইংরা তাহার পুলিশ ও ফৌজের দ্বারা এত-্বড় দেশে এমন আশ্চর্য্য শাস্তিস্থাপন করিতে, পারিতেন না। নবাব-বাদশাহের আমলেও নানা [রাজকীয় অশাস্তি- সন্বেও সামাজিক শাস্তি চলিয়| আমিতেছিল,--তখনে!। লোকব্যবহার শিথিল)হয় নাই, আদানগ্রদানে সতত। রক্ষিত হইত, মিথা। সাক্ষ্য স্রারণ। ৩৩ পোস্পিলিসসপি সিসি সি লালিত উি তাসিতাসি 2 পািরাশিপপাসিলা সি ২১৫ পর পাতাল সিলাস্পিতিস্সি নিন্দিত হইত, খণী উত্তমর্ণকে ফাকি ক দিত? না এবং সাধারণ ধর্ের বিধানগুলিকে সকলে নরল বিশ্বাসে সন্মান করিভ। ' সেই বৃহৎ সমাজের আদর্শ রক্ষা করিবারও ,বিধিিধান স্মরণ করা ইয়া দিবার ভার ব্রাঙ্গণের উপর ছিল। বাহ্গণ এই সমাজের চালক,ও ব্যবস্থাপক | এই কার্ধ্য সাধনের উপযোগী সম্মানও তাহার ছিল। প্রাচ্য প্রকৃতির অন্থুগত এইপ্রকার সমাজবিধানকে যদি নিন্দনীয় বলিয়া! না মনে কর! যায়, তবে ইহার আদর্শকে চিরকাল বিশুদ্ধ রাখি- বার এবং ইহার শৃঙ্ঘলাস্থাপন করিবার ভার কোন এক বিশেষ সম্প্র- দায়ের উপর সমর্পণ করিতেই হয়। তাহারা! জীবনযাত্রাকে সরল ও বিশুদ্ধ করিয়, অভাবকে সংক্ষিপ্ত করিয়া, অধ্যয়ন-অধ্যাপন .যজন- যাজনকেই ব্রত করিয়া দেশের উচ্চতম আদর্শকে সমস্ত দোকানদারীর কলুষম্পর্শ হইতে রক্ষা করিয়৷ সামাজিক যে সম্মান প্রাপ্ত হইতেছেন, তাহার যথার্থ অধিকারী হইবেন, এরূপ আশ করা যায়। যথার্থ অধিকার হইতে লৌক নিজের দোষে ভুষ্ট হয়। ইংরাজ্গের বেলাতেও তাহ দেখিতে পাই। দেশী লোকের প্রতি অন্তায় করিয়। যখন প্রেষ্টিজ্রক্ষার দোহাই দিয়া ইংরাজ দণ্ড হইতে অব্যাহতি চান্ব, তখন যথাথ প্রেষ্টিজের অধিকার হইতে নিজেকে বঞ্চিত করে। স্তায়পর- তার প্রেষ্টিজ, সকল প্রেষ্টিজের বড়--তাহার কাছে আমাদের মন স্বেচ্ছাপূর্বক মাথ নত করে--বিভীষিকা আমাদিগকে ঘাড়ে ধরিয় নোয্াই়। দের, সেই প্রণতি-অবমাননার বিরুদ্ধে আমাদের মন ভিতরে ভিতরে বিদ্রোহ না! করির।.থাকিতে পারে ন|। ব্রাঙ্গণও যখন আপন কর্তব্য পরিত্যাগ করিয়াছে, তখন কেবল গায়ের জোরে পরলোকের ঠভয় :দেখাইরা সমাজের উচ্চতম আসনে আপনাকে রক্ষা করিতে,পারে না] | কোন লম্মান বিনামূল্যের নহে--যথেচ্ছ কা করিয়। সম্মান রাখা 1 সপন ৩৪ ভারতবর্ষ । চিজ যায় না। যেরাজ! সিংহাসনে বসেন, তিনি দোকান খুলিয়া ব্যবসা চালাইতে পারেন না। সম্মান বাহার প্রাপ্য, তাহাকেই সকল দিকে সর্বদ| নিজের ইচ্ছাকে থর্ধ করিয়া চলিতে হয়। গৃহের অন্যান্ত লোকের অপেক্ষা আমাদের দেশে গৃহকর্ত ও গৃহকর্ত্রীকেই সাংসারিক বিষয়ে অধিক ৰঞ্চিত হইতে হয়-বাড়ীর গৃহিণীই সকলের শেষে অন্ধ পান। ইহা না হইলে আত্মস্তরিতার উপর কর্তৃত্বকে দীর্ঘকাল রক্ষা কর৷ যায় না। সম্মানও পাইবে, অথচ তাহার কোন মূল্য দিবে না, ইহা! কখনই চিরদিন সহ হয় না। আমাদের আধুনিক ব্রাহ্মণের বিনামূল্যে সম্মীন-আদায়ের বৃত্তি অবলম্বন করিয়াছিলেন। তাহাতে তাহাদ্দের সম্মান আমাদের সমাজে উত্তরোত্তর মৌখিক হইয়৷ আিয়াছে। কেবল তাহাই নম্বর, ব্রাহ্মণের সমাজের যে উচ্চকর্মে নিধুক্ত ছিলেন, দে কর্মে শৈথিণ্য ঘটাতে সমাঞ্রেরও সন্ধিবন্ধন প্রতিদিন বিশ্লিষ্ট হইয়া আসিতেছে । যদি প্রাচ্যভাবেই আমাদের দেশে সমাজরক্ষা করিতে হয়, যদি যুরোপীয় গ্রণালীতে এই বহুদিনের বৃহৎ লমাজকে আমূল পরিবর্তন করা সম্ভবপর ব৷ বাঞ্চনীয় না হয়, তবে যথার্থ ব্রাঙ্মণসন্প্রদায়ের একান্ত প্রয়ো- জন আছে। তাহার! দরিদ্র হইবেন, পর্ডিত হইবেন, ধর্মনিষ্ঠ হইবেন, সর্বপ্রকার আশ্রমধর্মের আদর্শ ও আশ্রয়স্ববূপ হইবেন ও গুরু হইবেন। ষে সমাঞ্জের একদল ধনমানকে অবহেঞ্ো। করিতে জানেন, ধিল- সকে স্বণা করেন, যাহাদের আচার নির্দল, ধর্নিষ্ঠ। দৃঢ়, যাহার! নিঃস্বার্থভাবে জ্ঞান অর্জন ও নিঃন্বার্থভাবে জ্ঞান দ্িতরণে রত--পরাধী, নতা| হা দারিত্র্যে সে সমাজের কোন অবমাননা নাই। সমাজ ধাহাকে বথাথভাবে সম্মাননীয় করিয়া তোলে, সমাজ তাহার দ্বারাই সন্মানিত ছয় | | | ব্রাঙ্গণ। ৩৫ সকল সমাজেই মান্তব্যক্তির--শ্রেষ্ঠ লোকেরাই নিজ নিজ সমাজের শ্বরূপ। ইংলগুকে যখন আমর! ধনী বলি, তখন অগণ্য মরিদ্রকে হিসাবের মধ্যে আনি না। যুরোপকে যখন আমর! স্বাধীন ৰলি, তখন তাঁহার বিপুল জনসাধারণের দুঃসহ অধীনতাকে গণ্য করি ন।। সেখানে উপরের কয়েকজন লোকই ধনী, উপরের কয়েকজন লোকই স্বাধীন, উপরের কয়েকজন লোকই পাশবতা হইতে মুক্ত। এই উপরের কয়েকজন লোঁক যতক্ষণ নিয়ের বতর লোককে ম্খস্থাস্থ্য জ্ঞানধন্ম দ্বার জন্ত সর্বদা নিজের ইচ্ছাকে প্রয়োগ ও নিজের স্বখকে নিম়্মিত করে, ততক্ষণ সেই সভ্যসমাজের কোন ভয় নাই। যুরোগীয় সমাজ এই ভাবে চলিতেছে কি না, দে আলোচন। বৃথা মনে হইতে পারে, কিন্তু সম্পূর্ণ বৃথা নহে। যেখানে প্রতিযোগিতার তাড়নায় পাশের লোককে ছাড়াইয় উঠিবার অত্যাকাঁজ্ষায় প্রত্যেককে প্রতিমুহুর্তে লড়াই করিতে হই- 'তেছে, সেখানে কর্তব্যের আদর্শকে বিশুদ্ধ রাখা কঠিন। এবং সেখানে কোন একট! সীমায় আসিয়। আশাকে সত করাও লোকের পক্ষে 'ছঃসাধ্য হয়। মুরোপের বড় বড় সাম্রাজ্যগুলি পরস্পর পরস্পরকে লঙ্ঘন করিয়া যাইবার প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছে, এ অবস্থায় এমন কথ! কাহারে! মুখ দিয়া বাহির হইতে পারেন! যে, বরঞ্চ পিছাইয়া প্রথম শ্রেণী হইতে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়িব, তবু অন্যায় করিব না। এমন কথাও কাহারো! মনে আসে ন! যে, বরঞ্চ জলে স্থলে সৈন্তসজ্জা কম করিয়া রাজকীয় ক্ষমতায় প্রতিবেশীর কাছে লাঘব স্বীকার করিব, কিন্ত সমাঙ্গের অত্য- স্তরে স্থখসস্ভোষ ও জ্ঞানধর্খের বিস্তার করিতে হইবে। প্রতিযোগিতার আকর্ষণে ধে বেগ উৎপর হয়, তাহাতে উদ্দামভাবে চালাইয়। লইয়। ৩৬ ভারতবর্ষ। ষায়-__এবং এই ছুর্দান্তগতিতে চলাকেই যুরোগে উন্নতি কহে, আমরাও তাহাকেই উন্নতি বলিতে শিথিয়াছি। কিন্ত যে চলা পদে পদে থামার দ্বারা নিন্মিত নহে, তাহাকে উন্নতি বল! যায় না। যে ছনে যতি নাই, তাহা ছন্দই নহে। সমাজের পদমূলে সমুদ্র অহোরাত্র তরঙ্গিত ফেনায়িত হইতে পারে, কিন্তু সম" জের উচ্চতম শিখরে শান্তি ও স্থিতির চিরন্তন আদর্শ নিত্যকাল বিরাঁজ- মান থাক! চাই। সেই আদর্শকে কাহার অটলতাবে রক্ষা করিতে পারে ? যাহার! পুরুষান্ত্রমে স্বার্থের সংঘর্ষ হইতে দুরে আছে, আর্থিক দারিদ্র্যেই যাহাদের প্রতিষ্টা, মঙ্গলকর্ম্নকে যাহারা পণ্যদ্রব্যের মত দেখে না, বিশুদ্ধ জ্ঞান ও উন্নত ধন্মের মধ্যে যাহাদের চিত্ত অভ্রভেদী হইয়া বিরাজ করে, এবং অন্ত সকল পরিত্যাগ করিয়া সমাজের উন্নততম আদর্শকে রুক্ষ করিবার মহড্তারই ধাহাদিগকে পবিত্র ও পৃজনীয় করিয়াছে। যুরোপেও অবিশ্রাম কন্মালোড়নের মাঝে মাঝে এক একজন মনীষী উঠিয়া ঘুর্ণাগতির উন্মত্ত নেশার মধ্যে স্থিতির আদর্শ, লক্ষ্যের আদর্শ, পরিণতির আদর্শ ধরিয়া থাকেন। কিন্তু ছুইদও দড়াইয়া গুনিবে কে? মশ্মিলিত প্রকাণ্ড স্বার্থের প্রচণ্ড বেগকে এই প্রকারের ছইএকজন লোক তর্জনী উঠাইয়া রুখিবেন কি করিয়৷ 1 বাণিজা-জাহাজে উন- পঞ্চাশ পালে হাওয়! লাগিয়াছে, যুরোপের প্রান্তরে উন্মত্ত দর্শকবুনের মাঝখানে সারিসারি যুদ্ধঘোড়ার ঘোড়দৌড় চলিতেছে, এখন ক্ষণকালের জন্ত থামবে কে? | এই উন্মত্বতায়, এই প্রাণপণে নিজশক্তির একাস্ত উদ্‌ঘন্টনে আধ্যা- স্িকভার জন্ম হইতে পারে, এমন তর্ক আমাদের মনেও ওঠে। এই বেগের আকর্ষণ অত্যত্ত বেশী, ইহা আমাদিগকে প্রনুদ্ধ করে, ইহা ফবে গ্রলয়ের দিকে যাইতে পারে, এমন সঙ্গেহ আমাদের হয় না। বাচ্গণ। ৩৭ ইহা কি প্রকান্পের? যেমন চীরধারী ধে একটি দল নিজেকে সাধু ও সাধক বলিয়া পরিচয় দেয়, তাহারা গাজার নেশাকে আধ্যাত্মিক 'আনন্দলাভের লাধনা বলিয়া মনে করে। নেশার একাগ্রতা জন্মে, উত্তেজনা হয়, কিন্তু তাহাতে আধ্যাত্মিক স্বাধীন সবলতা হাঁস হইতে থাকে । আর সমস্ত ছাড়া যায়, কিন্ত এই নেশার উত্তেজনা ছাড়া যায় না- ক্রমে মনের বল যত কমিতে থাকে, নেশার মাত্রাও তত বাড়াইতে হয়। ঘুরিয় নৃত্য করিয়া বা শবে বাস্ত বাজাইয়া, নিজেকে উদ্‌ত্রাস্ত ও মুচ্ছান্থিত করিয়া যে ধর্মোন্মাদের বিলাস সম্ভোগ কর! যায়, তাহাও ক্কজিম। তাহাতে অভ্যাস জন্বিয়া গেলে, তাহ! অহিফেনের নেশার মত আমাদিগকে অবসাদের সময় কেবলি তাড়না করিতে থাকে। আত্মসমাহিত শাস্ত একনিষ্ঠ সাধন! ব্যতীত যথার্থ স্থায়ী মূল্যবান কোন জিনিষ পাওয়া যায় না ও স্থায়ী মূল্যবান কোন জিনিষ রক্ষা করা যায় না। অথচ আবেগ ব্যতীত কাজ ও কাঁজ ব্যতীত সমাজ চলিতে পারে না। এইজন্তই ভারতবর্ষ আপন সমাঁজে গতি ও স্থিতির সমন্বয় করিতে চাহিয়াছিল। ক্ষত্রিয়, বৈশ্ঠ প্রভৃতি যাহারা হাতে-কলমে সমাজের কার্ধযসাধন করে, তাহাদের কর্মের সীম৷ নির্দিষ্ট ছিল। এইজন্যই ক্ষত্রিয়. ক্ষাত্রধর্ম্মের আদর্শ রক্ষা করিয়া নিজের কর্তব্যকে ধর্মের মধ্যে গণ্য করিতে পারিত। স্বার্থ ও প্রবৃত্তির উর্ধে ধর্মের উপরে কর্তব্যস্থাপন করিলে, কাজের মধ্যেও বিশ্রাম এবং আধ্যাত্মিকতালাভের অবকাশ পাওয়া যায়। মুরোপীয় সমাজ যে নিয়মে চলে, তাহাতে গতিজনিত বিশেষ একটা ঝৌকের মুখেই অধিকাংশ লোককে ঠেলিয়! দেয়। সেখানে বুদ্ধিজীবী লোকেরা রাহীয় ব্যাপারেই ঝুঁকিয়া পড়ে-_সাধারণ লোকে র্থোগার্জনেই ভিড় করে। বর্তমানকালে সাম্রাজ্যলোলুপত1 সফলকে ৩৮ ভারতবর্ষ । স্সিস্দিপলস গ্রাস করিয়াছে এবং জগৎ ভূড়িক্া লঙ্কাভাগ চলিতেছে । এমন সময় হুওয়! বিচিন্জর নহে, যখন বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চা যথেষ্ট লোককে আকর্ষণ করিবে না। এমন সময় আসিতে পারে, যখন আবহ্ক হইলেও সৈম্থ পাওয়া যাইষে না। কারণ, প্রবৃত্তিকে কে ঠেকাইবে? যে জর্শনী একদিন পঙ্ডিত ছিল, সে জন্মণী যদি ধণিক্‌ হইয়] দাড়ায়, তবে তাহার পাঙ্ডিতা উদ্ধার করিবে কে? যে ইংরাজ একদিন ক্ষত্রিয়ভাবে' আর্তত্রাণব্রত গ্রহণ করিয়াছিল, সে যখন গায়ের জোরে পৃধিবীর চতৃদ্দিকে নিজের দোকানদারী চালাইতে ধাৰিত হুইয়াছে--তখন তাহাকে তাহার সেই পুরাতন উদার ক্ষত্রিয়ভাবে ফিরাইয়! আনিবে কোন্‌ শক্তিতে? এই ঝৌকের উপরেই সমস্ত কর্তৃত্ব না দিয়া সংযত সুশৃঙ্খল কর্তব্য- বিধানের উপরে কর্তৃত্ভার দেওয়াই ভারতবর্ষায় সমাজপ্রপালী। সমাজ যদি সজীব থাকে, বাহিরের আঘাতের দ্বারা অভিভূত হুইয়! না পড়ে, তবে এই প্রণালী অনুদারে সকল সময়েই সমাজে সামগ্রস্য থাকে একদিকে হঠাৎ ছুড়ামুড়ি পড়িয়া অন্যদিক্‌ শৃন্ত হইয়| বায় না। সকলেই আপন আদর্শ রক্ষা করে এবং আপন কাঁজ করিয়া গৌরব বোধ করে। কিন্ত কাজের একটা বেগ আছেই। সেই বেগে সেআপনার পরিণাম ভূলিয় যায়| কাঁজ তখন নিজেই লক্ষ হইয়া উঠে। শ্রদ্ধ- মাত্র কর্ধের বেগের মুখে নিজেকে ছাড়িয়া দেওয়াতে সুখ আছে।, কর্শের তৃত কশ্মাঁ লোককে পাইয়া! বসে। গুদ্ধ তাহাই নহে। কার্যযসাধনই খন অতান্ত প্রাধান্ত লাভ কে, তখন উপায়ের বিচার ক্রমেই চলিয়! যায় । সংসারের সহিত, উপস্থিত, আবন্তকের সহিত কর্্মাকে নানাগ্রকায়ে রফ1 করিয়। চলিতেই হ়। অতএব যে সমাজে কর্ম আছে, সেই সমাজেই কর্্কে সংযত, রাখিবার বিধান থাক! চাই-_জন্ধ কন্মই যাহাতে মনুষ্যত্বের উপর কর্তৃক ্রাহ্মণ। : ২৩৯ লাভ ন! করে, 'খমন সতর্ক পাহার! থাকা চাই। কর্ণমিদলকে বরাৰর ঠিক পথটি দেখাইবাঁর জন্ত, কর্্মকোলাহলের মধ্যে বিশুদ্ধ স্ুরটি বরাবর অবিচলিতভাবে ধরিয়া রাখিবার জন্য, এমন এক দলের আবশ্টক, বাহার! যখাসম্ভৰ কর্ম ও স্বার্থ হইতে নিজেকে মুক্ত রাখিবেন। তাহারাই ব্রাহ্মণ । | | এই ত্রাক্মণেরাই ষথার্থ শ্বাধীন। ইহারাই যথার্থ স্বাধীনতার আদর্শকে নিষ্ঠার সহিত, কাঠিন্তের সহিত সমাজে রক্ষা] কমন) সমাজ ইছাদিগকে সেই অবসর, সেই দামর্থ, সেই সম্মান দেয়। ইহাদের এই মুক্তি, ইহা! সমাজেরই মুক্তি । ইহার! যে সমাজে আপনাকে মুক্ততাবে রাখেন, ক্ষুদ্র পরাধীনতায় সে সমাজের কোন ভয় নাই, বিপদূ নাই। ব্রাহ্মণ-অংশের মধ্যে সে সমাজ সর্বদা আপনার মনের, আপনার আত্মার স্বাধীনত| উপলব্ধি করিতে পারে । আমাদের দেশের বর্তমান ব্রান্ণগণ যদি দৃঢ়ভাবে, উন্নতভাবে, অলুন্ধভাবে সমাজের এই পরমধনটি রক্ষা করিতেন, তবে ব্রাহ্মণের অবমানন1 সমাজ কখনই ঘটিতে দিত না এবং এমন কথা কখনই বিচারকের মুখ দিয়! বাহির হইতে পারিত না যে, ভদ্র ব্রাহ্মণকে পাছৃকাঘাত করা তুচ্ছ ব্যাপার । বিদেশী হইলেও বিচারক মানী ব্রাহ্মণের মান আপনি বুঝিতে পারিতেন। কিন্তু যে ব্রাহ্মণ সাহেবের আফিসে নত মন্তকে চাকুরি করে-_-ষে ব্রাঙ্ণ আপনার অবকাশ বিক্রয় করে, আপনার মহান অধিকারকে বিসর্জন দেয়__ষে ব্রাঙ্গণ বিদ্যালয়ে বিস্তাবণিকৃ্‌, বিচারালয়ে বিচার- ব্যবসায়ী, যে ব্রাহ্মণ পয়লার পরিবর্তে আপনার ব্রাহ্ষণ্যকে ধিক্কৃত, করিয়াছে, সে আপন আদর্শ রক্ষা করিবেকি করিয়া, সমাজ রক্ষা করিবে কি করিয়া, শ্রদ্ধার সহিত তাহার নিকট ধর্মের বিধান লইতে যাইব কি বলিয়।? সে ত সর্বসাধারণের সহিত সমানতাবে মিশিয়া র্্ান্তকলেবরে কাড়া কাড়ি-ঠেলাঠেলির কাছে ভিড়িয়া গেছে । তক্তির 8৩. ভারতবর্ধ। ৯৯ স্মপিসিলিলৌসসসপ কিসমিস দ্বার! সে ব্রাহ্মণ ত সমাজকে উর্ধে আকৃষ্ট করে না_নিয়নেই লইয়া যায়। এ কথা জানি, কোন সম্প্রদায়ের প্রত্যেক লোকই 'কোনকালে আপনার ধর্মকে বিশুদ্ধভাবে রক্ষা করে না, অনেকে (ম্থলিত হয়। অনেকে ব্রাহ্মণ হুইয়াও ক্ষত্রিয় ও বৈশ্তের ম্তায় আচরণ করিয়াছে, পুরাণে এরূপ উদ্দাহরণ দেখা যায়। কিন্তু তবু যদি সম্প্রদায়ের মধ্যে আদর্শ সজীব থাকে, ধর্মপালনের চেষ্টা থাকে, কেহ আগে যাক কেছ পিছাইয়৷ পড.ক, কিন্তু সেই পথের পথিক যদি থাকে, যদি এই আদর্শের প্রত্যক্ষ দৃষ্টান্ত অনেকের মধ্যে দেখিতে পাওয়া! যায়, তথে সেই চেষ্টার স্বারা, সেই সাধনার দ্বারা, সেই সফলতা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের দ্বারাই সমস্ত সম্প্রদায় সার্থক হইয়1 থাকে। আমাদের আধুনিক ব্রাহ্মণসমাজে সেই আদর্শই নাই। সেইজন্তই ক্রাঙ্গণের ছেলে ইংরাজি শিখিলেই ইংরাজি কেতা৷ ধরে--পিতা৷ তাহাতে অসন্তষ্ট হন না। কেন? এম্*এ-পাস-কর! মুখোপাধ্যায়, বিজ্ঞানবিৎ চট্টোপাধ্যায় যে বিস্তা পাইয়াছেন, তাহ ছাত্রকে ঘরে ভাকিয়া আসন হইয়া বসিয়া বিতরণ করিতে পারেন না; সমাজকে শিক্ষা্থণে খণী করিবার গৌরব হইতে কেন তাহারা নিজেকে ও ব্রাহ্মণসমাজকে বঞ্চিত করেন ? | তাহারা জিজ্ঞাস! করিবেন, খাইব কি? যদি কালিয়া'পোলোয়া না খাইলেও চলে, তবে নিশ্চয়ই সমাজ আপনি আসিয়া! যাচিয়া খাওয়াইয়া যাইবে। তাহাদের নহিলে সমাজের চলিবে না, পায়ে ধরিয়া সমাজ তাহাদিগকে রক্ষা করিবে। আজ তাহার! বেতনের জন্ত ছাত পাতেন, সেইলন্য সমাজ রসিদ লইয়া! টিপিয়া“টিপিয়! তীহা- ন্িগকে বেতন দেয় ও কড়ায়-গণ্ডায় তাহাদের কাছ হইতে কাজ আদায় করিস! লয়। তাহারাও কলের মত বাধা নিয়মে ঝা করেন? শ্রদ্ধা ঝ্রাহ্ধণ। ৬৯ পরান তোল লাস পাস ্ছি্িস তসশপা লস সিলোস াসিিপািিএ তো লা পো এ, দেনও না, শ্রদ্ধা পানও না-উপরন্ত মাঝে মাঝে সাহেবের পাছুফা পৃষ্ঠে বহনকরা-রূপ অত্যন্ত তুচ্ছ ঘটনার সুবিখ্যাতত উপলক্ষ্য হইয়! উঠেন। | আমাদের সমাজে ব্রাঙ্গণের ফাজ পুনরায় আরম্ভ হইবে, এ সম্ভাবনাকে আমি সুদূরপরাহত মনে করি না এবং এই আশাকে আমি 'লঘুভাবে মন হইতে অপদারিত করিতে পারি না। ভারতবর্ষের চিরকালের প্রকৃতি তাহার ক্ষণকাঁলের বিকৃতিকে সংশোধন করিয়! লইবেই 1 এই পুনর্জাগ্রত ব্রাহ্মণদমাজের কাজে অব্রান্ধণ অনেকেও যোগ দিবেন। প্রাচীন ভারতেও ব্রা্গণেতর অনেকে ব্রাঙ্গণের বত গ্রহণ করিয়া জ্ঞানচর্চা ও উপদেষ্টার কাঁজ করিয়াছেন-_ব্রাহ্মণও তাহাদের কাছে শিক্ষালাভ করিয়াছেন, এমন দৃষ্টান্তের অভাব নাই । প্রাচীনকালে যখন ব্রাঙ্গণই একমাত্র দ্বিজ ছিলেন না, কত্রিয়-বৈশ্ঠও দ্বিজসম্প্রদায়ভূক্ত ছিলেন, যখন ব্রহ্ষচর্ধ্য অবলম্বন করিয়া! উপযুক্ত শিক্ষালাভের দ্বারা ক্ষত্রিয়-বৈশ্তের উপনয়ন “হইত, তখনই এ দেশে ব্রাহ্মণের আদর্শ উজ্জল ছিল। কারণ, চারিদিকের সমাজ যখন অবনত, তখন কোন বিশেষ সমাজ আপনাকে উন্নত রাখিতে পারে না, ক্রমেই নিয়ের আকর্ষণ তাহাকে নীচের স্তরে লইয়া আসে। ভারতবর্ষে যখন ব্রাহ্মণ একমাত্র দ্বিজ অবশিষ্ট রহিল, যখন তাহার আদর্শ ম্মরণ করাইয়! দিবার জন্ত, তাহার নিকট ব্রাঙ্গপত্ব দাবী করিবার অন্ত চারিদিকে আর কেহই রহিল না, তখন তাহার দ্বিজত্বের বিশুদ্ধ কঠিন আদর্শ ক্রতবেগে ত্রষ্ট হইতে লাগিল। তখনি সে জ্ঞানে, বিশ্বীসে, কুচিতে ক্রমশ নিকৃষ্ট অধিকারীর দলে আসিয়া! উত্তীর্ণ হইল, চারিদিক্ষ যেখানে গোলপাতার কু'ড়ে, সেখামে মিজের বিশিষ্টতা রক্ষা করিতে স্ইলে একটা আট্চাল। বাঁধিলেই যথেষ্ট সেখানে সাতমহল প্রাসাদ ৪২ ভারত বর্থ ৷ পিসি সসিিপাশিসিসসি এপ্স শি পপ ভাব পিসি নির্শাণ করিয়। তুলিবার ব্যয় ও চেষ্া স্বীকার করিতে সহজেই অপ্রবৃত্ি জন্মে। | প্রাচীনকালে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্ঠ দ্বি্ ছিল, রী সমস্ত আর্য্য সমাই দ্বিজ ছিল--শুদ্র বলিতে যে সকল লোককে বুঝাইত, তাহারা সাঁওতাল, ভিল, কোল, ধাঙড়ের দলে ছিল। আর্ধ্যসমাডের সহিত তাহাদের শিক্ষা, রীতিনীতি ও ধর্মের সম্পূর্ণ রক্যস্থাপন একেবারেই অসস্ভব ছিল। কিন্ত তাহাতে কোন ক্ষতি ছিল না, কারণ সঙ্গত্ত আর্য্য- সমাজই দ্বিজ ছিল__অর্থাৎ সমস্ত আধ্যসমাঁজের শিক্ষা একইরূপ ছিল । প্রভেদ ছিল কেবল কর্শে। শিক্ষা একই থাকায় পরম্পর পরস্পরকে আদর্শের বিশ্ুদ্ধিরক্ষায় সম্পূর্ণ আনুকূল্য করিতে পারিত। ক্ষত্রিয় এবং ৰৈশ্ঠ, ব্রাহ্মণকে ব্রাহ্মণ হইতে সান্কাধ্য করিত, এবং ব্রাহ্গণও ক্ষত্রিয়- বৈশ্তকে ক্ত্রিয়-বৈশ্ব হইতে সাহাষ্য করিত | সমস্ত সমাজের শিক্ষার আদর্শ সমান উন্নত না হইলে, এরূপ কখনই ঘটিতে পারে না। বর্তমান সমাঁজেরও ষর্দি একটা মাথার দরকার থাকে, দেই মাথাকে যদি উন্নত করিতে হয় এবং সেই মাথাকে যদি ব্রাহ্মণ বলিয়! গণ্য করা যায়, তবে তাহার স্কন্ধকে ও গ্রীবাকে একেবারে মাটির সমান করিয়া রাখিলে চলিবে না। সমাজ উন্নত না হইলে তাহার মাথা উন্নত হুয় না, এবং সযাজকে সর্বপ্রধত্বে উন্নত করিয়া রাখাই সেই মাথার কাজ। আমাদের বর্তমান সমাজের ভদ্রসম্প্রদায়-_ অর্থাৎ বৈস্ত, কায়ন্থ ও বণিক্‌ সম্প্রদ্ধায়--সমাজ যদি ইছাদিগকে দ্বিজ বলিরা গণ্য 'না করে তবে ব্রাহ্মণের আর উত্থানের আশা নাই। একপায়ে ।ঠোড়াইয়া সমাজ বকধৃত্তি করিতে পারে না। _ বৈস্ের| ত উপবীত গ্রহণ করিয়াছেন। মাঝে মাঝে কায়স্থেরাঁ বলিতেছেন তাঁহার! ক্ষতিয়, বণিকেরা বলিতেছেন তাহারা বৈশ্ত-_-এ ত্রান্মণ। ৪৩ কথা অবিশ্বাস করিবার কোন কারণ দেখি না। আকার-প্রকার, বুদ্ধি ও ক্ষমতা, অর্থাৎ আর্য্যত্বের লক্ষণে বর্তমান ব্রাহ্মণের সছিত 'ইহা- দের প্রভেদ নাই। বঙ্গদেশের ষে কোন সভায় পৈত! না দেখিলে, ক্রাহ্মণের সহিত কায়ন্থ, স্থবর্ণবণিক্‌ প্রভৃতিদের তফাৎ করা অসম্ভব ।' কিন্তু যথার্থ অনার্ধ্য, অর্থাৎ ভারতবর্ষীয় বন্তজাতির সহিত তাহাদের. তঞ্চাৎ করা সহজ । বিশুদ্ধ আর্ধ্যরক্তের সহিত অনার্ধযরক্তের মিশ্রুণ' হইয়াছে, তাহা! আমাদের বর্ণে, আরুতিতে, ধরে, আচারে ও মানসিক দুর্বলতায় স্পষ্ট বুঝা যায়__কিন্তু সে মিশ্রণ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, সকল: সম্প্রদায়ের মধ্যেই হইয়াছে । তথাপি, এই মিশ্রণ এবং বৌদ্ধযুগের সামাজিক অরাজকতার পরেও. সমাজ ব্রাহ্মণকে একটা বিশেষ গণ্ডী দিয়! রাঁখিয়াছে। কারণ, আমা-- দের সমাজের যেরূপ গঠন, তাহাতে ব্রাঙ্গণকে নহিলে তাহার সকল দিকেই বাধে, আত্মরক্ষার ত্বন্ত যেমন-তেমন করিঘ্। ত্রাঙ্গণকে সংগ্রহ করিয়া রাখ! চাই। আধুনিক ইতিহাসে এমনও দেখা যায়, কোন কোন স্থানে বিশেষ প্রয়োজনবশত রাজ পৈত| দিয়া একদল ব্রাহ্মণ. তৈরি করিয়াও লইয়াছেন। বাংলাদেশে যখন ব্রাহ্মণের আচারে, ব্যবহারে, বিস্তাবুদ্ধিতে ব্রাহ্গণত্ব হারাইয়াছিলেন, তখন রাজ ঘিদেশ হইতে ব্রাহ্মণ আনাইয়! সমাজের কাজ চালাইতে বাধ্য হুইয়াছিলেন। এই ব্রাহ্মণ যখন চারিদিকের প্রভাবে নত হইয়া পড়িতেছিল, তখন রাজ। কৃত্রিম উপায়ে কৌলীন্ স্থাপন কয়া ব্রাহ্মণের নির্বাগোনুখ মর্য্যাদাকে খোঁচা দিয়া! জাগাইতেছিলেন। অপর পক্ষে, কৌলীন্তে- বিৰাহসন্বন্ধে যেরূপ বর্ধরতাঁর সৃষ্টি করিল, তাহাতে এই কোৌলীন্তই বর্ণমিশ্রণের এক গোপন উপায় হুইয়। উঠিয়াছিল। | ॥ যাহাই হউক্‌, শান্ত্রবিহ্ত ক্রিয়া কর্রক্ষার জন্ত, বিশেষ আব্উকতা. বশতই সমাজ বিশেষ চেষ্টায় বরা্গণকে স্বততরভাবে নির্দি্ট করি, ৪৪ ভারতবর্য। রাখিতে বাধ্য হইয়াছিল। ক্ষত্রিয়বৈহ্দ্িগকে মেরূপ বিশেষভাষে তাহাদের পূর্বতন আচারকাঠিন্যের মধ্যে বদ্ধ করিবার কোঁন অত্যাবশ্ত- কত] বাংলাসমাজে ছিল না। যে খুসি যুদ্ধ করুকৃ, বাণিজ্য করুক, তাহাতে দমাজের বিশেষ কিছু আসিত-যাইত না_ এবং যাহার! যুদ্ধ. বাণিজ্য-রুষি-শিল্পে নিষুক্ত থাকিবে, তাহাদিগকে বিশেষ চিত্রের হ্বারা পৃথক্‌ করিবার কিছুমাত্র প্রয়োজন ছিল না। ব্যবসায় লোকে নিজের গরজেই করে, কোঁন বিশেষ ব্যবস্থার অপেক্ষা রাখে না__ধর্মসন্বন্ধে লে বিধি নহে; তাহা প্রাচীন নিয়মে আবদ্ধ, তাঁহার আয়োজন, রীতি- পদ্ধতি আমাদের স্বেচ্ছাবিহিত নহে । অতএব জঙ্ভত্বপ্রাপ্ত সমাজের শৈথিল্যবশতই একসময়ে ক্ষত্রিয়-বৈশ্ঠ আপন অধিকার হইতে ভ্রষ্ট হইয়া! একাকার হইয়া গেছে। তাহার! বদি সচেতন হন, যদ্দি তাঁহার! নিজের অধিকার ষথার্থভাবে গ্রহণ করি বার জন্ত অগ্রসর হন, নিজের গৌরব যথার্থভাবে প্রমাণ করিবার জন্ত উদ্ভত হন, তবে তাহাতে সমস্ত সমাজের পক্ষে মঙ্গল, ব্রাহ্মণদের পক্ষে মঙ্গল। ব্রাহ্মণদ্দিগকে নিজের যথার্থ গৌরব লাঁত করিবার জন্ত যেমন প্রাচীন আদর্শের দিকে যাইতে হইবে, সমস্ত সমাজক্কেও তেমনি ষাইতে হইবে ; ব্রাহ্মণ কেবল একলা যাইবে এবং আর সকলে ষে যেখানে আছে, সে সেইথানেই পড়িয়। ধাকিবে, ইহ। হইতেই পারে না। সমন্ত সমাজের এক দিকে গতি না হইলে তাহার কোন এক অংশ সিদ্ধিলাভ করিতেই পারে না। যখন দেখিব, আমাদের দেশের ক্ায়স্থ ও বণিক্‌গণ আপনাদিগকে প্রাচীন ক্ষত্রিয় ও বৈশ্ত সমাজের সহিত যুক্ত করিয়া! বৃহৎ হুইযার, বু পুরাতনের সহিত এক হইবার চেষ্টা করিতেছেন এবং প্রাচীন ভারতের হিত আধুনিক ভারতকে সম্মিলিত স্করিয়া আমাদের জাতীয় সত্তাকে অবিচ্ছিন্ন করিঘার চেষ্টা কল্পিতেছেন, তখনই নিব, আধুনিক ব্রাহ্মণ প্রাচীন ব্রাহ্মণের সহিত মিলিত হ্ইয় ভারতবর্ধীায় সমাজকে সজীবভাবে যথার্থতাবে, অথগ্ুভাবে এক করি- বার কার্যে সফল হইবেন। নহিলে কেবল স্থানীয় কলহ-বিবাদ-দলাদলি লইয়া বিদেশী প্রভাবের সাংঘাতিক অভিঘাত হইতে সমাজকে 'রক্ষা করা! অসন্তব হইবে, নহিলে ব্রাহ্মণের সম্মান অর্থাৎ আমাদের সমস্ত সমাজের সম্মান ক্রমে তুচ্ছ হইতে তুচ্ছতম হইয়া আসিবে। আমাদের সমস্ত সমাজ প্রধানতই দ্বিজসমাজ $ ইহা যদি ন| হয়, সমাজ যদি শূদ্রসমাঁজ হয়, তবে কয়েকজনমাত্র ব্রাহ্মণকে লইয়া! এ সমাজ যুরোগীয় আদর্শেও খর্ব হইবে, ভারতবর্ষীয় আদর্শেও খর্ব হইবে। সমস্ত উন্নত সমাজই সমাজন্থ লোকের নিকট প্রাণের দাবী করিয়া থাকে, আপনাকে নিকৃষ্ট বলিয়া স্বীকার করিয়া! আরামে জড়ত্ব-ম্বখ- ভোগে যে সমাজ আপনার অধিকাংশ লোককে প্রশ্রয় দিয়। থাকে, সে সমাজ মরে, এবং না-ও যদ্দি মরে, তবে তাহার মরাই ভাল। যুরোপ কর্মের উত্তেজনার, প্রবৃত্তির উত্তেজনায় সর্বদাই প্রাণ দিতে প্রস্তত--আমরা যদি ধর্মের জন্ত প্রাণ দিতে প্রস্তুত না হই, তবে সে প্রাণ অপমানিত হইতে থাকিলে অভিমান প্রকাশ করা আমাদের শোভা পায় না। | | যুরোপীয় সৈস্ত যুদ্ধান্তরাগের উত্তেজনায় ও বেতনের লোভে ও. গৌরবের আশ্বাসে প্রাণ দেয়, কিন্ত ক্ষত্রিয় উত্তেজনা ও বেতনের অভাৰ. ঘটলেও যুদ্ধে প্রাণ দিতে প্রস্তত থাকে। কারণ, যুদ্ধ সমাজের অত্যা- বশ্তক কর্ম, এক সম্প্রদায় যদি নিজের ধর্ম বলিয়াই সেই কঠিন কর্তব্যকে গ্রহণ করেন, তবে কর্মের সহিত ধর্মরক্ষা হয়। দেশস্ু্ধ সকলে মিলিয়াই যুদ্ধের অন্ত প্রস্তুত হইলে মিলিটারিভ্মের গ্রাবল্যে: দেশের গুরুতর অনিষ্ট ঘটে। : ৰাণিজ্য সমাজরক্ষার পক্ষে অত্যাবীক কর্ম। সেই মামাজিক- ৪ ভারতবর্ষ । আবশ্ককপালনকে এক সম্প্রদায় যদি আপন সাম্প্রদায়িক ধর্ম, আপন 'কৌলিক গৌরব বলিয়। গ্রহণ করেন, তবে বণিগৃবৃত্তি সর্বত্রই পরিব্যাপ্ত 'হ্ইয়া সমাজের অন্তান্ত শক্তিকে গ্রাস করিয়া ফেলে না।. তাছাড়া কর্মের মধ্যে ধর্মের আদর্শ সর্ধদাই প্রাগ্রত থাকে। ধর্ম এবং জ্ঞানার্জন, যুদ্ধ এবং রাজকার্ধা, বাণিজ্য এবং শিল্পচর্চা, অষাজের এই তিন অত্যাবশ্তক কর্ম । ইহার কোনটাকেই পরিত্যাগ করা যায় না। ইহার প্রত্যেকটিকেই ধর্মগৌরব, কুলগৌরব দান করিয়া সম্প্রদায়বিশেষের হস্তে সমর্পণ করিলে তাহাদিগকে সীমাবদ্ধও করা হয়, অথচ বিশেষ উতৎকর্ষলাধনেরও অবসর দেওয়া হয়। কর্মের উত্তেজনাই পাছে কর্তা হইয়া! আমাদের আত্মাকে অভিভূত করিয়া! দেয়, ভারতবর্ষের এই আশঙ্কা ছিল। তাই ভারতবর্ষে সামাজিক মানুষটি লড়াই করে, বাণিজ্য করে, কিন্তু নিত্যমান্ুষটি-_ সমগ্র মানুষটি শুদ্ধমাত্র সিপাই নহে, শুদ্বমাত্র বণিক নহে। কর্মে কুলব্রত করিলে, কর্ম্মকে সামাজিক ধর্ম করিয়া তুলিলে, তবে কর্মম- সাধনও হয়, অথচ সেই কর্ম আপন সীমা লঙ্ঘন করিয়া, সমাজের সামগ্ীস্ত ভঙ্গ করিয়া, মানুষের সমস্ত মন্তুষ্যত্বকে আচ্ছন্ন করিয়া, আত্মার বাজসিংহাসন অধিকার করিয়া বসে না। বাহার! দি, তাহাদিগকে একসময় কর্ম পরিত্যাগ করিতে হয়। তখন তাহারা আর ব্রাঙ্মণ নহেন, ক্ষত্রিয় নছেন, বৈশ্য নহেন--তখন সাহার! নিত্যকালের মানুষ-_তখন কর্ম তাহাদের পক্ষে আর ধর্ম নহে, নুতরাং অনায়াদে অপরিহারধ্য। এইকূপে দ্বিজসমাজ বিস্তা এবং 'অবিদ্তা উভয়কেই রক্ষা করিয়াছিলেন--ষ্ঠাহারা বলিয়াছিলেন, অবিভঞ়া মৃত্যুং তীর্ত বিদ্য়াসৃতমপ্স,তে-_অবিষ্ভার বারা মৃত্যু উত্তীর্ণ হইয়া বিস্তার দ্বার! অমৃত লাভ করিবে। এই চঞ্চল সংসারই মৃতা- নিকেতন, ইহাই অবিস্কাঁ_ইহাকে উত্তীর্ণ হইতে হইলে ইহার ভিতর বান্দণ। : 6৭ দিয়াই যাইতে হয়-_কিন্তু এমনভাবে যাইতে হয়, যেন ইছাই চরম না কইয়া! উঠে। কর্মকেই একান্ত প্রাধান্য দিলে সংসারই চরম হইয়া উঠে) মৃত্যুকে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না, অমৃত লাভ করিবার লক্ষ্যই অর হয়, তাছার অবকাশই থাকে না। এইজন্তই কর্্কে সীমাবদ্ধ কর!, কর্মকে ধর্মের সহিত যুক্ত করা, কর্ম্মকে প্রবৃত্তির হাতে, উত্তেগ্রনার হাতে, কর্ম্জনিত বিপুল বেগের হাতে ছাড়িয়া না দেওয়।; এবং এইজন্তই ভারতবর্ষে কর্মমভেদ বিশেষ বিশেষ জনশ্রেণীতে নিদ্দিষ্ট কর] । ইহাই আদর্শ। ধর্ম ও কর্দের সামগ্রস্ত রক্ষা করা এবং মানুষের চিত্ত হইতে কর্মের নানাপাশ শিথিল করিয়া তাহাকে একদিকে সংসারব্রতপরাপ্নণ, অন্যদিকে মুক্তির অধিকারী করিবার অন্ত কোন উপান্ধ ত দেখিনা । এই আদর্শ উন্নততম আদর্শ এবং ভারতবর্ষের আদর্শ। এই আদর্শে বর্তমান সমাজকে সাধারণভাবে আধকৃত ও চালিত করিবার উপায় কি, তাহা আমাদিগকে চিন্তা করিতে হইবে। সমাজের সমস্ত বন্ধন ছেদন করিয়া কর্মকে ও প্রবৃত্তিকে উদ্দাম করিয়া! তোলা-_সেজন্ত কাহাকেও চেষ্টা করিতে হয় না। সমাজের সে 'অবস্থ! জড়ত্বের দ্বারা, শৈথিল্যের দ্বারা আপনি আসিতেছে । বিদেশী শিক্ষার প্রাবল্যে, দেশের অর্থ নৈতিক অবস্থার প্রতিকূলতার এই ভারতব্ষীয় আদর্শ সত্র এবং সহজে সমস্ত সমাক্কে অধিকার করিতে পারিবে না, ইহা আমি জানি। কিন্তু যুরোপীয় আদর্শ অবলম্বন করাই যে আমাদের পক্ষে সহজ, এ ছুরাশাও আমার নাই। সর্বপ্রকার আদর্শ পরিত্যাগ করাই সর্বাপেক্ষ। সহজ--এবং সেই সহজ পথই আমরা অবলম্বন করিয়্াছি। মুরোপীয় সভ্যতার আদর্শ এমন একটা আল্গ! জিনিষ নহে যে, তাহা পাকা ফলটির যত কান 'জইলেই কৰল্ের মধ্যে অনায়াসে স্থান পাইতে পারে। পিসি সিল ৪৮ ভারতৰর্ষ। জইসিরকস্িপিসিত সকল পুরাতন ও বৃহৎ আদর্শের মধ্যেই বিনাশ ও রক্ষার একটি সামগ্রন্ত আছে। অর্থাৎ তাহার যে শক্তি বাড়াবাড়ি করিয়া মরিতে চায়, তাহার অন্তশক্তি তাহাকে সং্যত করিয়! রক্ষা করে। আমাদের শরীরেও যন্ত্রবিশেষের যতটুকু কাজ প্রয়োজনীয়, তাহার অতিরিক্ত অনিষ্টকর, সেই কাজটুকু আদায় করিয়া দেই অকাজটুকুকে বহিষ্কৃত করিবার ব্যবস্থা আমাদের শরীরতন্ত্রে রহিয়াছে) পিত্ের দরকারটুকু শরীর লয়, অদরকারটুকু বঙ্জন করিবার ব্যবস্থা করিতে থাকে। এই সকল সুব্যবস্থা অনেকদিনের ক্রিয়।-প্রক্রিয়।-প্রতিক্রিয়া দ্বারা উৎকর্ষখুলাভ করিয়া! সমাজের শারীরবিধানকে পরিণতি দান করিয়াছে । আমরা গঅন্তের নকল করিবার স্ময় সেই সমগ্র স্বাভাবিক ব্যবস্থাট গ্রহণ করিতে পারি ন।। সুতরাং অন্ত সমাজে যাহা ভান করে, নকলকারীর সমাঁজে তাহাই মন্দের ,কারণ হইয়া উঠে। যুরোপীয় মানবপ্রক্কতি সুদীর্ঘকালের কাধ্যে যে সভ্যতাবৃক্ষটাকে ফলবান্‌ করিয়া তুলিয়াছে, তাহার ছুটে?-একটা ফল চাহিয়া-চিন্তিয়া লইতে পারি, কিন্ত সমস্ত বৃক্ষকে আপনার করিতে পারি না। তাহাদের সেই অতীত কাল আমাদের অতীত। কিন্তু আমাদের ভারতবর্ষের অতীত যদ্দি-বা যত্বের অভাবে আমা- দিগকে ফল দেওয়া বন্ধ করিয়াছে, তবু সেই বৃহৎ অতীত ধ্বংস হয় নাই, হইতে পারে না,_ মেই অতীতই ভিতরে থাকিয়া আমাদের পরের নকলকে বারংবার অসঙ্গত ও অকৃতকার্ধ্য করিয়া! তুলিতেছে।, সেই অতীতকে অবহেল! করিয়া যখন আমরা নুত্তনকে আনি, তখন অতীত নিঃশবে তাহার প্রতিশোধ লয়--নুতনকে বিনাশ করিয়। পচাইয়। বায়ু দুষিত করিয়া! দেয়। আমর! মনে করিতে পারি, এইটে আমাদের নূতন দরকার, কিন্তু অতীতের সঙ্গে সম্পূর্ণ আপোষে যদি রফা-নিষ্পতি না করিয়। লইতে পারি, ভবে আবন্টকের ঘোছাই পাড়িয়া- কান্ধণ। ৪৯ ২০4272২5542 যে দেউড়ি খোল! পাইব, তাহা কিছুতেই নছে। নুতনটাকে সিঁধ কাটিয়া প্রবেশ করাইলেও, নূতনে-পুরাতনে মিশ না খাইলে সমন্তই পণ্ড হয়। সেইজন্ত আমাদের অতীত্তকেই নুতন বল দিতে হইবে, নুতন প্রাণ দিতে হইবে। শুফভাবে শুদ্ধ বিচারবিতর্কের দ্বারা সে প্রাণসঞ্চার হুইতে পারে না। যেদপ ভাবে চলিতেছে, সেইরূপ ভাবে চলিয়া যাইতে দিলেও কিছুই হইবে না। প্রাচীন ভারতের মধ্যে যে একটি মহান্‌ ভাব ছিল--যে ভাবের আনন্দে আমাদের যুক্তহদয় পিতামহুগণ ধ্যান করিতেন, ত্যাগ করিতেন, কাজ করিতেন, প্রাণ দিতেন, সেই ভাবের আনন্দে, সেই ভাবের অযুতে আমাদের জীবনকে পরিপূর্ণ করিয়া তুলিলে, সেই আনন্দই অপূর্বশক্তিবলে বর্তমানের সহিত অতীতের সমস্ত বাধাগুলি অভাবনীয়রূপে বিলুপ্ত করিয়৷ দিবে। জটিল ব্যাখ্যার দ্বারা যাদু করিবার চেষ্টা না করিয়। অতীতের রসে হৃদয়কে পরিপূর্ণ করিয়া! দিতে হইবে । তাহ দিলেই আমাদের গ্রকৃতি আপনার কাজ আপনি করিতে থাকিবে। সেই প্রকৃতি খন কাজ করে, তখনি কাজ হয়-_তাহার কাজের হিসাব আমরা কিছুই জানি না ১-- কোনও বুদ্ধিমান লোকে বা বিদ্বান লোকে এই কাজের নিয়ম ব! উপায় কোনমতেই আগে হইতে বলিয়! দিতে পারে না। তর্কের দ্বারা তাহার! বেগুলিকে বাধ! মনে করে, সেই বাধ! গুলিও সহায়তা করে, ধাহাকে ছোট বলিয়| প্রমাণ করে, সে-ও বড় হইয়া উঠে। কোন জিনিষকে চাই বলিলেই, পাওয়া যায় না-_অতীতের সাহাষ্য এক্ষণে আমাদের দরকার হইয়াছে বলিলেই যে তাহাকে সর্বঞোভাবে পাওয়া যাইবে, তাহা কখনই ন|। সেই অতীতের ভাবে বখন আমাদের বুদ্ধি-মন-প্রাণ অভিষিক্ত হইয়া! উঠিবে, তখন দেখিতে পাইব, সব নম্ঘ আকারে, নৰ নব বিকাশে আবাদের কাছে সেই পুরান ৪ €৫* ভারতবর্ষ । নবীন হুইয়া, প্রফুল্ল হইয়া, ব্যাপ্ত হইয়া উঠিয়াছে, তখন তা! শ্বশান- শধ্যার নীরস ইন্ধন নহে, জীবননিকুঞ্জের ফলবান্‌ বৃক্ষ হইয়। উঠিয়াছে। অকন্মাৎ উদ্বেলিত সমুদ্রের বন্তার ন্যায় যখন আমাদের সমাজের মধ্যে ভাবের আনন্দ প্রবাহিত হইবে, তখন আমাদের 'দেশে এই সকল প্রাচীন নদীপথগুলিই কুলে-কুলে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিবে। তখন স্বভাবতই আমাদের দেশে বর্মচর্ষ্যে জাগিয়! উঠিবে, সামসঙ্গীতধ্বনিতে জীগিয়া উঠিবে, ব্রাঙ্মণে ক্ষত্রিয়ে বৈশ্তে জাগিয়া উঠিবে। যে পাখীর প্রভাতকালে তপোবনে গান গাহিত, তাঁহারাই গাহিয়া উঠিবে, দাড়ের কাকাতুয়! বা খাঁচার কেনারি-নাইটিজেল্‌ নহে। আমাদের সমস্ত সমাজ সেই প্রাচীন দ্বিজত্বকে লাভ করিবার জন্ত চঞ্চল হইয়া উঠিতেছে, প্রত্যহ তাহার পরিচয় পাইয়া মনে আশার সঞ্চার হইতেছে । একসময় আমাদের হিদ্দৃত্ব গোপন করিৰার, বর্ন করিবার জন্ত আমাদের চেষ্টা হইয়াছিল-,সেই আশায় আমরা অনেকদিন চাঁদনীর দোকানে ফিরিয়াছি ও চৌরঙ্গী-অঞ্চলের দেউড়িতে হাঁজ্রি দিয়াছি। আজ যদি আপনাদিগকে ক্রান্ষণ-ক্ষত্রিয-বৈহ্ট বলিয়া প্রতিপন্ন করিবার উচ্চাকাজ্ষা আমাদের মনে জাগিয়। থাকে, যদি আমাদের সমাজকে পৈতৃক গৌরবে গৌরবান্বিত করিয়াই মহত্বলাভ করিতে ইচ্ছ। করিয়া থাকি, তবে ত আমাদের আনন্ের দিন। আমরা ফিরিঙ্গি হইতে চাই না, আমরা দ্বিজ হইতে চাই। ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে ইহাতে যাহারা বাধা দিয়া অনর্থক কলহ করিতে বসেন, তর্কের ধুলায় ইহার দুদুরব্যাপী মফলতা| যাহারা ন! দেখিতে পান, বৃহৎ ভাবের মহত্বের কাছে দ্মাপনাদের ক্ষত পাঙিত্যের বার্থ বাদ্র-বিবাদ যাহারা লজ্জার সহিত নিরম্ত না করেন, তাহারা যে সমাজের আশয়ে মানুষ ছইয়াচছেন, সেই সমাজেরই শক্র | দীর্ঘকাল হইতে ভারতবর্ম আগন জান্ষপক্ষজিয়'বৈষ্ত সমাজকে আহ্বান করিতেছে | যুরোগ তাছার ব্রাঙ্গণ। : ৫১ জ্ঞান-বিজ্ঞানকে বহুতর ভাগে বিভক্ত-বিচ্ছিন করিয়। তূলিয়া বিহ্বল- বুদ্ধিতে তাহার মধ্যে সম্প্রতি গ্ক্য সন্ধান করিয়৷ ফিরিতেছে-_ভারত- বর্ষের সেই ব্রা্ষণ কোথায়, যিনি ম্বভাবসিদ্ধ প্রতিভাবলে, অতি অনায়াসেই সেইফুীপুল জটিলতার মধ্যে এরক্যের নিগৃঢ় সরলপথ নির্দেশ করিয়া দিবেন 7 সেই ব্রাহ্গণকে ভারতবর্ষ নগরকোলাহল ও শ্বার্থসংগ্রামের বাহিরে তপোবনে ধ্যানাসনে অধ্যাপকের বেদীতে আহ্বান করিতেছে,_ত্রাঙ্মণকে তাহার সমস্ত অবমানন1 হইতে দূরে 'আকর্ষণ করিয়া ভারতবর্ষ আপনার অবমাননা দূর করিতে চাহিতেছে। বিধাতার আশীর্বাদে ব্রাহ্মণের পাছুকাঘাতলাভ হুয় ত ব্যর্থ হইবে না-_ নিদ্রা অত্যন্ত গভীর হইলে এইরূপ নিষ্ঠুর আঘাতেই তাহা তাঙ্গাইতে হুয়। যুরোপের কর্দিগগণ কন্মজালে জড়িত হুইয়। তাহা হইতে নিষ্কৃতির কোন পথ খুঁজিয়1 পাইতেছে না, সে নানা দিকে নানা আঘাত করিতেছে, ভারতবর্ষে যাহারা ক্ষাত্রব্রত, বৈশ্বাত্রত গ্রহণ করিবার অধিকারী, আজ তাহারা. ধর্মের দ্বারা কর্্মকে জগতে গৌরবাস্থিত করুন--তাহার। প্রবৃত্তির+ঝুডিজাধে নহে, উত্তেজনার অন্থরোধে নহে-- ধর্মের অনুরোধেই অবিচলিউপিসঠার সহিত ফলকামনায় একাস্ত আসক্ত না হইয়া প্রাণ সমর্পণ করিতে প্রস্তত হউন্। নতুবা ব্রাহ্মণ প্রতিদিন শৃদ্র, সমাজ প্রত্যহ ক্ষুদ্র এবং প্রাচীন ভারতবর্ষের মাহাত্ম্য, যাহ! অটল পর্বতশৃ্গের স্তায় দৃঢ় ছিল, তাহা দূরস্থত ইতিহাসের দিক্প্রান্তে মেঘের সার, কুছেলিকার স্তায় বিলীন হইয়া যাইবে এবং কর্মকাস্ত একটি বৃহৎ কেরাণীসম্প্রদায় একপাটি বৃহৎ পাছুকা প্রাণপণে আকর্ষণ করিয়া! ক্র কৃষ্ণপিপীলিকাশ্রেণীর মত মৃত্তিকাতলবন্তী বিবরের অভিুখে ক্বাহিত হওয়াফেই হিতিরিরিডিও একমাত্র পদ্ধতি বলিয়া গণ্য. করিবে। | ৫২. ভারতবর্ষ । পা সর সস আপস সমস সস সপ আপ অপ সস সিলসিলা সিমি বলসিতসসসসািলা পাস সি চীনেম্যানের চিঠি। “জন্‌ চীনেম্যানের চিঠি* বলিয়া একথানি চটি বই ইংরাজিতে বাহির হুইয়াছে। চিঠিগুলি ইংরাজকে সম্বোধন করিয়া লেখা হইয়াছে। লেখক নিজের বিষয়ে বলেন--“দীর্ঘকাল ইংলঙ্ডে বাদ করার দরুণ তোমাদের (ইতরাজদের ) আচার-অনুষ্ঠান-সন্বন্ধে কথ! কহিবার কিছু অধিকার আমার জন্মিয়াছে; অপরপক্ষে, শ্বদ্দেশ হইতে দূরে"আ'ছি বলিয়া আমাদের সম্বন্ধেও আলোচনা করিবার ক্ষমতা থোয়াইয়। বসি নাই। চীনেম্যান্‌ সর্বত্রই সর্বদাই চীনেম্যান্ই থাকে ) এবং কোন কোন বিশেষ দিক্‌ হইতে বিলাতি সভ্যতাকে আম যতই পছন্দ করি না কেন, এখনে। ইহার মধ্যে এমন কিছু দেখি নাই, যাঁহাতে পুর্বদেশের মানুষ হইয়া জন্মিয়াছি বলিয়। আমার মনে কোন্প্রকার ক্ষোভ হইতে পারে ।* ইংরাজিভাধার় লেখকের অসামান্ত দখল দেখিলেই বুঝা যায় যে, ইংরাজিশিক্ষায় ইনি পাক হইয়াছেন--এইতআঅন্ত বিলাতনম্বন্ধে ইনি যাহ! বলিয়াছেন, তাহাকে নিতান্ত অনভিজ্ঞ লোকের অত্যুক্তি বলিয়া গণ্য করা যায় না। এই ছোট বইথানি পড়িয়া আমর! বিশেষ আনন্দ ও বল পাইয়াছি। ইহা হইতে দেখিয়াছি, এসিয়ার় ভিন্ন ভিন্ন জাতির মধ্যে একটি গভীর ও বৃহৎ এফ্য আছে। চীনের সঙ্গে ভারতবর্ষের গ্রাণের মিল দেখিয়া! আমাদের প্রাণ যেন বাড়িয়। বায়। শুধু তাহাই নহে) এসিয়া যে চিরকাল যুরোপের আমালতেই আনামী হইয়া দীড়াইয়া তাহার ধিটারকেই বেদবাক্য বজিনা শিল্োধার্ধ্য করিবে, স্বীকার করিবে যে আমাদের সমাজের বারো-আনা অংশকেই একেবারে ভিন নির্ঘ,ল করিয়! বিলাতি এফিমিক্নারের গর্যান্‌ অনুসারে বিলাতি ইট্কাঠ দিয়া চানেম্যানর চিঠি। ও গড়াই আমাদের পক্ষে একমাত্র শ্রেয়--এই কথাটা! ঠিক নহে, আমাদের বিচারালয়ে যুরোপকে ফড় করাইয়া তাহারে! মারাত্মক অনেকগুলি গলদ আলোচনা করিয়া! দেখিবার আছে, এই বইখানি হইতে সেই ধারণা আমাদের মনে একটু বিশেষ জোর পায়। প্রথমত ভারতবর্ষের সভ্যতা এসিয়ার সভ্যতার মধ্যে প্রক্য পাইয়াছে, ইহাতেও আমাদের বল) দ্বিতীয়ত এসিয়ার সভ্যতার এমন একটি গৌরব আছে, সাহা সত্য বলিয়াই প্রাচীন হইয়াছে, যাহা সত্য বলিয়াই চিরস্তন হইবার অধিকারী, ইহাতেও আমাদের বল। সম্প্রতি আমাদের মক্্যে একটা চঞ্চলত। জন্মিয়াছে ; আমাদের ম্বাধীন 'শক্তি- আমাদের চিরকালের শক্তি কোন্থানে প্রচ্ছন্ন হইয়! আছে, তাহাই সন্ধান করিয়া সেইথানে আশ্রয় লইবার জন্য আমাদের মধ্যে একটা চেষ্টা জাগিয়াছে। বিদেশীর সহিত আমাদের সংঘাত ক্রমশ যতই কঠিন হইয়া! উঠিতেছে, শ্বদেশকে ততই বিশেষভাবে জানিবার ও পাইবার জন্ত আমাদের একটা ব্যাকুলতা বাড়িয়া উঠিতেছে। 'দেখিতেছ্ি, ইহা কেবল আমাদের মধ্যে নহে। ফযুরোপের সংঘাত সমস্ত সভ্য এসিয়াকেই সজাগ করিতেছে । এসিয়া আজ আপনাকে সচেতনভাবে, সুতরাং সবলভাৰে উপলদ্ধি করিতে বসিয়াছে। বুঝিয়াছে, 'আত্মানং বিদ্ধিঃ_-আপনাকে জান--ইছাই মুক্তির উপায়। “পরধরন্মো ভয়াবহ১,-_-পরের অন্ুকরণেই বিনাশ। _ ৰস্তপ্রধান শক্তিপ্রধান সভ্যতার সম্পদ্‌ আমাদের ইন্দ্রির়মনকে অভিভূত করিয়া! দেয়। তাহার কল দ্রুত চলে, তাহার প্রাসাদ আকাশ স্পর্শ করে, তাহার কামান শতত্ী, তাহার বাণিষ্যজাঙ ব্গদ্যাপী-__ইহা আমাদের দৃষ্টিকে আচ্ছন্ন ও বুদ্ধিকে ত্ন্ভিত না করিয়া থাকিতে পারে না। কিন্তু না ছৌক্‌, বিপুলতার একট! গায়ের জোর আছে, দেই জোরকে ঠেলিয়া-উচিক়া। মনকে ঘোহহুক্ত কর! আমা &৪ ভারতবর্ষ মত ছুর্বধের পক্ষে বড় কঠিন। যদি বিপুলতাগ্রন্ত এই সত্যতার দিকেই একমান্ধ আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করি, তবে তাহাতে আমাদের ষানসিক দুর্বলত। কেবল বাড়িতেই থাকে,_-এই সভ্যতাকেই একমাত্র আদর্শ বলিয়া বোধ হয়, এবং নিজের সামথ্যক্ষে ও সম্পদূকে একেবারে নগণ্য বলিয়া জ্ঞান হয়। ইহাতে স্বচেষ্টা পরাস্ত হয়, আত্মগৌরব দু'র হয়, ভবিষ্যতের জন্ত কোন আশ! থাকে না, এবং জড়ত্বের মধ্যে অনায়াসেই আত্মসমর্পণ করিয়। নিরাপত্তির আরামে নিদ্রার অচেতনতাক্ক সমস্ত ভুলিয়া থাকিতে ইচ্ছা! হয়। বিশেষত আমাদের বর্তমান অবস্থা ধর্মেকর্ম্ে বিষ্াবুদ্ধিতে অত্যস্ত দীন। যুরোগীয় সভ্যতাকে কেবলি নিজের সেই দীনতার সহিত, তুলন! করিয়া নিজেদের সম্বন্ধে হতাশ্বাস হইয়া! পড়ি। এ অবস্থায় প্রথমে আমাদের বুঝিতে হইবে, বস্তপ্রধান শক্তিপ্রধান সত্যতাই একমাত্র সভ্যত|। নহে, ধর্মপ্রধান মঙ্গল প্রধান সভ্যতা তাহ! অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । তাহার পরে, এই শেষোক্ত সভ্যতাই আমাদের ছিল, সুতরাং শেষোক্ত সভ্যতার শক্তি আমাদের প্রকৃতির মধ্যে নিহিত হইয়া আছে, ইহাই জানিয়। আমাদিগকে মাথা তুলিতে হইবে, আমাদিগকে আশা ও আনন্দ লাভ করিতে হইবে । আমরা বর্তমান ছুর্গতির মধ্যে নিজেদের বিচ্ছিন্ন ক্ষুদ্র করিয়া! রাখিলে, যুরোপীয় ব্যাপারের বৃহ্ত্ব- আমাদের বুদ্ধিকে দলন-পেষণ করিয়! তাহাকে আপনার চিরদাস করিয়। রাখিবে। সেই বুদ্ধির দাসত্ব, রুচির দাসত্ব আমরা! প্রত্যহ অস্থভব করিতেছি। গ্রাচীন ভারতের সহিত নিজেকে সংযুক্ত করিয়! নিজেকে বড় করিয়া তুলিতে হইবে। জড়পদার্ধের অপেক্ষা মানুষ জটিল জিনিষ, জড়শক্তি অপেক্ষ।। আন্ষের ইচ্ছাশক্তি ছৃদ্র্যতর, এবং বাহসম্পদদের অপেক্ষা সুখ অনেক ৰেশি ভর্মভ। সেই মানুষকে আকর্ষণ করিয়।, ভাছার প্রবৃত্বিকে সংঘত, চীনেম্যানের চিঠি। ৫৫ করিয়া, তাহার ইচ্ছাশক্তিকে নিয়ন্ত্রিত করিয়৷ যে সভ্যতা সুখ দিয়াছে, সন্তোষ দিষ্নাছে, আনন্দ ও মুক্তির অধিকারী করিয়াছে, সেই সভ্যতার মাহাত্ম্য আমাদিগকে ধথার্থভাবে উপলব্ধি করিতে হুইবে। উপলব্ধি করা কঠিন, কারণ তাহা বস্তপুঞ্ধে এবং বাহ্‌্শক্তির প্রাবল্যে আমাদের ইন্দ্রি়মনকে অতিমাত্র অধিকার করে না। সমস্ত শ্রেষ্ঠ পদার্থের, ন্তায় তাহার মধো একটি নিগুঢ়ত। আছে, গভীরতা! আছে,_তাহা বাহির হইতে গায়ে পড়িয়! অভিভূত করিয়। দেয় না, নিজের চেষ্টায় তাহার মধ্যে প্রবেশ করিতে হয়__সংবাদপঞজ্ে তাহার কোন বিজ্ঞাপন নাই। এইজন্ত ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতাকে বস্তর তালিকাদ্ধার। স্ফীত করিয়। তুলিতে পারি না বলিয়া, তাহাকে নিজের কাছে প্রত্যক্ষগোচর করিতে পারি না বলিয়া, আমর পুষ্পক-রথকে রেলগাড়ি বলিতে চেষ্টা করি এবং ধর্মকে বৈজ্ঞানিক ব্যাথ্য। দ্বারা কুটিল করিয়৷ ফ্যারাডে- ডাবিনের প্রতিভাকে আমাদের শাস্ত্রের বিবর হুইতে টানিয়া বাহির করিবার প্রয়াদ পাই। এই সকল চাতুরী দ্বারাতেই বুঝা যায়, ভারতবর্ষের সভ্যতাকে আমরা ঠিক বুঝিতেছি না৷ এবং তাহা আমাদের বুদ্ধিকে সম্পূর্ণ তৃপ্ত করিতেছে না। ভারতবর্ষকে কৌশলে যুরোপ বলিয়া প্রমাণ না৷ করিলে আমরা স্থির হইতে পারিতেছি ন|। ইহার একট! কারণ, যুরোপীয় সভ্যতাকে যেমন আমরা অত্যন্ত ব্যাপ্ত করিয়৷ দেখিতেছি, প্রাচ্য সভ্যতাকে তেমন ব্যাপ্ত করিয়া দেখিতেছি না। ভার্তবর্ষায় সভ্যতাকে অন্তান্ত সত্যতার সহিত মিলাইয়। মানবগ্রক্ৃতির মধ্যে তাহার একটা বৃহত্ব_একট! ফ্রবন্ উপলব্ধি করিতেছি না। ভারতবর্ষকে কেবল ভারতবর্ষের মধ্যে দেখিলেই তাহার সভ্যতা, তাহার স্থাক্িত্বযৌগ্যতা৷ আমাদের কাছে সবথার্থরূপে প্রমাণিত হয় না। একদিকে প্রত্যক্ষ যুরোপ, আর এক- ৫৬ ভারতবর্ষ। দিকে শাস্ত্রের কথা পু'থির প্রমাণ, একদিকে প্রবল শক্ত, আর শ্রকর্দিকে আমাদের দোছুল্যমান বিশ্বাসমাত্র--এ অবস্থায় অসহায় ভক্তিকে ভারতবর্ষের অভিমুখে স্থির করিয়া! রাখাই কঠিন। এমন সময় আমাদের সেই পুরাতন সভ্যতাকে যদি চীনে ও জাপানে গ্রসারিত দেখি, তবে বুঝিতে পারি, মানবপ্রক্কৃতির মধ্যে তাহার একটা বৃহৎ স্থান আছে, তাহা কেবল পু'থির বচনমাত্র নহে। যদি দেখি, চীন ও জাপান সেই সভ্যতার মধ্যে সার্থকতা অন্থৃতব করিতেছে, তবে আমাদের দীনতার অগৌরব দুর হয়, আমাদের ধনভাগ্ার কোন্থানে, তাহা বুঝিতে পারি। | মুরোপের বন্তা জগৎ প্লাবিত করিতে ছুটিয়াছে, তাই আজ সভ্য এসিয়া আপনার পুরাতন বাধগুলিকে সন্ধান ও তাহাদিগকে দৃঢ় করি- বার জন্য উদ্ভত। প্রাচ্যসভ্যত। আত্মরক্ষা করিবে। যেখানে তাহার বল, সেইখানে তাহাকে দড়াইতে হইবে । তাহার বল ধর্শে, তাহার বল সমাজে! তাহার ধর্ম ও তাহার সমাজ যদি আপনাকে ঠেকাইতে না পারে, তবে সে মরিল। যুরোপের প্রাণ বাণিজ্যে, পলিটিকে-_ আমাদের প্রাণ অন্যত্র | সেই প্রাণ রক্ষা করিবার জন্ত এসিয়। উত্ত- রোত্তর ব্যগ্র হইয়া! উঠিতেছে। এইখানে আমর| একাকী নহি; সমস্ত এসিয়ার সহিত আমাদের যোগ রহিয়াছে । চিনেম্যানের চিঠি- গুলি তাহাই প্রমাণ করিতেছে । | | লেখক তাহার প্রথম পত্রে লিখিতেছেন £-- আমাদের সভ্যতা জগতের মধ সব চেয়ে গ্রাচীন। অবশ্ত ইহ! হইতেই গ্রমাণ হয় ন! যে, তাহা সব চেয়ে ভাল ;--তেমনি আবার ইছাও প্রমাণ হয় না যে, তাহা সবচেয়ে মন্দ। এই প্রাচীনত্বের খাতিরে অন্তত এটুকুও শ্বীকার করিতে হইবে যে, আমাদের আচার-অম্ুষ্ঠান আমাদিগকে যে একটা স্থার়িত্বের আশ্বাস দিয়াছে, যুরোগের কোন জাতির মধ্যে তাহা খু'জিয়া চীনেম্যানের চিঠি। ৫৫ ৯ 55428228 পাওয়। ভার। আমাদের সভ্যতা কেবলষে গ্রুব, তাহা নহে, ইহার মধ্যে একটা ধর্মনীতির শৃঙ্খলা আছে; কিন্তু তোমাদের মধ্যে কেবল একটা অর্থ নৈতিক উচ্ছৃঙ্খলতা দেখিতে পাই। তোমাদের ধর্ম .আমা- 'দের ধর্মের চেয়ে ভাল কি না, এ জায়গায় আমি সে ঘর্ক তুলিতে চাই না-কিন্ত এটা নিশ্চয়, তোমাদের সমাজের উপর তোমাদের ধর্মের কোন প্রভাব নাই। তোমরা থৃষ্টানধর্ম শ্বীকার কর, কিন্ত তোমাদের সভ্যতা কোনকালেই খুষ্টান হয় নাই। অপর পক্ষে আমা- দের সভ্যতা একেবারে অস্তরে অন্তরে কন্ফ্যুশীয়ান্। কন্ফুযুশিয়ান্‌ বলাও যা, আর ধর্মনৈতিক বলাও তা। অর্থাৎ ধর্মবন্ধানগুলিকে ই ইহা প্রধানভাবে গণা করে। অপরপক্ষে অর্থনৈতিক বন্ধনকেই তোমর! প্রথম স্থান দাও, তাহার পরে, যতটা পার, তাহার সঙ্গে ধন্মনীতি বাহির হইতে জুড়িয়া দিতে চেষ্টা কর। তোমাদের পরিবার এবং আমাদের পরিবারের তুলনা করিলেই 'আমার কথাটা স্পষ্ট হইবে। সন্তান যতদিন পর্য্স্ত না বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া নিজের ভার লইতে পারে, তোমাদের পরিবার ততদিন পর্য্যন্ত তাহাকে আহার দিবার ও রক্ষা করিবার একট। উপায়স্বব্পমান্র। যত সকাল- সকাল পার, ছেলেগুলিকে পাবিকৃক্কুলে পাঠাইয়া দাও, সেখানে তাহারা যত শীত পারে, গৃহের প্রভাব হইতে নিজেদের মুক্তিদান করিয়! বসে। যেমনি তাহার! বয়ঃপ্রাপ্ত হয়, অমনি তাছাদিগকে রোজগার করিতে ছাড়িয়া দাও--এবং তাহার পরে অধিকাংশস্থলেই বাপ-মার প্রতি নির্ভর যখনই ফুরাইল, বাপ-মার গ্রতি কর্তব্যন্বীকারও অমনি শেষ হইল। তাহার পরে ছেলের! যেখানে খুসি যাক, যাহা খুসি করুক্‌, বত খুসি পাক এবং ধেমন খুসি ছড়াক্‌, তাহাতে কাহারে। কথ! কহিবার নাই), -পরিবারবন্ধন রক্ষা! করিবে কিনা করিবে, তাহ! সম্পূর্ণ তাহাদের ইচ্ছা। তোমাদের সমাজে এক একটি ব্যক্কি একজন এবং সেই এক- €৮ : ভারতবর্ষ । অনেরা ছাড়াছাড়া । কেহ কাহারো সহিত বন্ধ. নহে, তেম্বনি কোথাও কাহারো শিকড় নাই। তোমাদের সম্গাজকে তোমরা গতিশীল বলিয়া থাক-_সর্বদাই তোমর। চলিতেছ। প্রত্যেকেই নিজের জন্ত একট! নূতন রাস্তা বাহির কর! কর্তব্য ড্ঞান করে। যে অবস্থার মধ্যে ছনিয়াছ,। সেই অবস্থার মধ্যে স্থি্ থাকাকে তোনর। অগৌরব মনে কর। পুরুষ যদি পুরুষ হইতে চায় তবে সে সাহস করিবে, চেষ্টা করিবে, লড়াই করিবে এবং জয়ী হইবে। এই ভাব হইতেই তোমাদের সমাজে অপরিসীম উদ্ভমের সহি হইয়াছে, এবং বস্তগত শিল্পাদির তোমরা। উন্নতি করিতে পারিয়াছ। কিন্তু ইহা! হইতেই তোমাদের মমাজে এত আস্থরত], উচ্ছৃঙ্ঘলতা এবং এইজন্ই আমাদের মতে ইহার মধ্যে ধর্মরভাবের অভাব ;--চীনেম্যানের চোখে এইটেই বেশি করিয়া ঠেকে | তোমাদের মধ্যে কেহই সন্তুষ্ট নও-_ জীবনযাত্রার আয়োজন বুদ্ধি করিতে সকলেই এত ব্যগ্র যে, কাহারো জীবনযাত্রার অবকাশ জোটে না। মানুষের মধ্যে অর্থের সন্বন্ধকেই তোমর! শ্বীকার কর। পূর্বদেশীয় আমাদের কাছে ইহু। বর্ধরসমাজের লক্ষণ বলিয়া বোধ হয়। জীবনযাত্রার উপকরণবৃদ্ধির মাপে আমর! সভ্যতাকে মাপি না, কিন্তু সেই জীবনযাত্রার প্রকৃতি ও মুল্য দ্বারাই আমরা সভ্যতার বিচার: করি। যেখানে কোন সন্বদয় ও গ্রুব বন্ধন নাই, পুরাতনের প্রতি ভক্তি নাই, বর্তমানের প্রতিও যথার্থ শ্রদ্ধা নাই, কেবল ভবিষ্যৎকেই লুন্ধভাবে লু্ঠন করিষার চেষ্টা আছে, সেখানে আমাদের মতে বধার্থ সমাজই নাই। যদি তোমাদের আচার-অঙ্ুষ্ঠানের নকল না করিলে ধনে, বিজ্ঞানে ও শিল্পে তোমাদের সঙ্গে টক্কর দেওয়া! না যায়, তবে আমর! টক্কর ।ন1 দেওয়াই ভাল মনে করি। এ সকল, ব্যাপারে আমাদের পদ্ধতি তোমাদের ঠিক উন , সলাপাস্িপিন্ছটাপা- চীনেষ্যানের চিঠি । ৫৯ বাপ সি আমাদের কাছে সমাজ প্রথম, ব্)ক্তিবিশেষ তাহার পয়ে। আমাদের মধ্যে নিয়ম এই যে, মানুষ যে সকল সম্বন্ধের মধ্যে জন্মলাভ করে, চিরজীবন তাহারই মধ্যে সে আপনাকে রক্ষা! করিবে। সে তাহার পরিবারতন্ত্রের অঙ্গ হুইয়া জীবন আরম্ভ করে, সেই ভাবেই জীবন শেষ করে এবং তাহার জীবননির্ববাহের সমস্ত তত্ব এবং অন্থষ্ঠান এই অৰ- স্থারই অনুযায়ী । সে তাহার পূর্বপুরুষদিগকে পৃজ। করিতে শিখিয়াছে, তাহার পিতামাতাকে ভক্তি ও মান্ত করিতে শিথিয়াছে এবং অল্পবয়ন হইতেই পতি ও পিতার কর্তব্যসাধনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করিয়াছে । বিবাহের দ্বারা পরিবারবন্ধন ছিড়িয় যায় না, শ্বামী পরিবারেই থাকে এবং স্ত্রী আত্মীয়কুটুন্ববর্গের অঙ্গীভূত হয়। এইরূপ এক একটি কুটুম্ব-- শ্রেণীই সমাজের এক একটি অংশ। ইহার ভুমিথণ্, ইহার দেবপীঠ ও. পুজাপদ্ধতি, আত্মীয়দের মধ্যে বিবাদমীমাংসার বিচার-বাবস্থ', এ সমস্তই পরিবারের মধ্যে সরকারী । চীনদেশে নিজের দোষে ছাড়া কোন লে।ক একল! পড়ে না। চীনে কোন একজন ব্যক্তির পক্ষে তোমাদের মত ধনী হুইয়া উঠ] সহজ নহে, তেমনি তাহার পক্ষে অনাহারে মরাও- শক্ত ;--যেমন রোজগারের জন্ত অত্যন্ত ঠেলাঠেলি করিবার উত্তেজন! তাহার নাই, তেমনি প্রবঞ্চন এবং পীড়ন করিবার প্রলোভনও তাহার; অল্প। অত্যাকাজ্ষার তাড়ন। এবং অভাবের আশঙ্কা! হইতে মুক্ত হইয়া জীবনযাত্রার উপকরণ উপাজ্জনের অবিশ্রাম চেষ্টা ছাড়িয়া জীবনযাত্রার জন্তই সে অবসর লাভ করে। প্রকৃতির দানসকল উপভোগ করিতে শিষ্টতার চর্চা করিতে, এবং মানুষের সঙ্গে সহদয় নিঃস্বার্থ সম্বন্ধ পাতা-' ইয়া! বসিতে, তাহার ভিতরের ্বভাব এবং বাহিরের স্থুযোগ দুই অন্থ- কুল। ইহার ফল হুইয়াছে এই যে,ধর্দের দিকেই বল, আর মাধুর্য্যের দিকেই বল, তোমাদের যুরোপের অধিকাংশ জঅধিবারীর চেয়ে আমা- দের লোকের! শ্রে্ঠত। লাভ করিয়াছে। তোমাদের কার্যকরী এবং- ৩ ভারতবর্ষ ॥ ০০০৪ বৈজ্ঞানিক সফলতার মহত্ব আমরা ম্বীকার করি-__কিস্তু শ্বীকার করিয়াও, তোমাদের যে সভ্যতা হইতে বড় বড় সহরে এমন রূঢ় আচার, এমন অবনত ধন্মনীতি এবং বাহৃশোভনতার এমন বিকার উৎপন্ন হই- যাছে, সে সভ্যতাকে আমর! সমস্ত মন দিয়! প্রশংসা কর! অসম্ভব দেখি। তোমরা যাহাকে উন্নতিশীল জাত বল, আমর। তাঁহা নই, এ কথ! মানিতে রাজি আছি-_কিন্তু ইহাও দেখিতেছি, উন্নতির মূল্য সর্বনেশে হইতে পারে। তোমাদের আর্থিক লাভের চেয়ে আমাদের ধর্দমনৈতিক লাঁভ- কেই আমরা শিরোধাধ্য করি--এবং তোমাদের সেই সম্পদ হইতে যদি বঞ্চিত হইতে হয়, সে-ও ম্বীকার, তধু আমাদের যে সকল আচার-অনুষ্ঠান আমাদের ধর্মলাভকে সুনিশ্চিত করিয়াছে, তাহাকে আমরা শেষ পর্য্যন্ত আকড়িয়। ধরিবার জন্য দৃঢ়- 'প্রতিজ। এই গেল প্রথম পত্র। দ্বিতীয় পত্রে লেখক অর্থ নৈতিক-অবস্থা- সম্বন্ধে আলোচন! করিয়াছেন। তিনি বলেন, আমাদের যাহা দরকার তাহাই আমর! উৎপন্প করি, আমরা! যাহ! উৎপন্ন করি, তাহা আমরাই খাই। অন্তজাতের উৎপর্নদ্রব্য আমর] চাহি নাই, আমাদের দরকারও হয় নাই। আমাদের মতে সমাজের স্থিতি ক্ষ! করিতে হইলে, তাহার আর্থিক স্বাধীনতা থাকা চাই। বৃহৎ বিদেশী বাণিজ্য সামাজিক ভ্রষট- তার একট! নিশ্চিত কারণ। তোঁমর। যাঁছা খাইতে চাও, তাহ! তোমর! উৎপন্ন করিতে পার না, €তোমাদিগকে যাহা! উৎপন্ন করিতে হয়, তাহা! তোমরা ফুরাইতে পার না। প্রাণের দায়ে এমনতর কেনাবেচার গঞ্জ তোমাদের দরকার, যেখানে তোমাঁদের কারখানার মাল চালাইতে_ পার, এবং থাগ্য এবং ক্কধিজাত দ্রব্য কিনিতে পার। অতএব যেমন করিয়া হৌক্‌, চীনকে তোমাদের দরকার ।, চীনেম্যানের চিঠি । ৬১ সা ১স্ছলাসতাস্প্পিপমপলাসপাসমপকচি পাস পাপ লাসটিপািপাদিলাসি পাস পা শাস্তি সিপিএ সি পিল লী পাস সস তোমর! চাও, আমরাও ব্যবসাদার হই এবং আমাদের রাষ্ট্রীয় ও আর্থিক যে স্বাধীনতা আছে, তাহা বিসর্জন দিই; কেবল যে আমাদের সমস্ত কারকারবার উলট্পালট্‌ করিয়া দিই, তাহা নহে, আমাদের আচার-ব্যবহার, ধর্ম, আমাদের সাবেক রীতিনীতি, সমন্তই বিপর্ষ্যস্ত করিয়া ফেলি। এমত অবস্থায়, তোমাদের দশাট1! কি হইয়াছে, তাহা ষদ্দি বেশ করিয়! আলোচনা করিয়। দেখি, তবে আশ করি, মাপ করিবে। যাহা দেখ! যায়, সেটা! ত বড় উতৎসাহজনক নহে। প্রতিযোগিতা- নামক একট! দৈত্যকে তোমরা ছাড়িয়া দিয়াছ, এখন আর সেটাকে কিছুতেই কায়দা করিতে পারিতেছ না। তোমাদের গত একশো! বতনরের বিধি-বিধান কেবল এই আর্থিক বিশৃঙ্খলাকে সংযত করিবার জন্ত অবিশ্রাম নিক্ষল চেষ্টামাত্র। তোমাদের গরিবেরা, মাতালেরা, অক্ষমের1, তোমাদের পীড়। ও জরাগ্রস্তগণ একটা বিভীষিকার মত তোমাদের ঘাড়ে চাপিক্া আছে। মানুষের সহিত সমস্ত ব্যক্তিগত বন্ধন তোমরা ছেদন করিয়া বসিয়া আছ, এখন ষ্টেট অর্থাৎ সরকারের অব্যক্তিক উদ্ভমের দ্বারা তোমর! ব্যক্তির সমস্ত কাজ সারিয়! লইবার বৃথা চেষ্টা করিতেছ। তোমাদের সভ্যতার প্রধান লক্ষণ দায়িত্ব- বিহীনতা। তোমাদের কারবারের সর্ধত্রই তোমরা ব্যক্তির জায়গায় কোম্পানি এবং মজুরের জায়গায় কল বসাইতেছ। মুনফার চেষ্টাতেই সকলে ব্যন্ত--শ্রমজীবীর মঙ্গলের ভার কাহারই নহে, সেটা সরকারের মরকার সেটাকে সামলাইয়া উঠিভে পারেন না। সহত্রক্রোশ দূরে হদদি।ছুর্ভিক্ষ হয়, যর্দি কোথাও মাণুলের কোন পরিবর্তন হয়, তবে. তোমাদের লক্ষ লোকের কারবার বিল্লিষ্ট হইবার জে। হুয়--বাছার উপরে তোষাদের হাত নাই, তাহার উপয়ে তোমাদিগকে নির্ন- করিতে হয়। তোমাদের মূলধন একট! সজীব পদার্ধ, মেট। খোরাকের? ২. ভারতবর্ষ ০০০০০০০০৮০০ জন্ত সর্বদাই চীৎকার করিতেছে; তাহাকে আহার না৷ জোগাইলে সে তোমাদের গল চাপিয়া ধরে। তোমরা যে উৎপর় কর, সেটা ইচ্ছামত নহে, অগত্যা, এবং তোমরা যে কিনিগ্না থাক, সেট! যে চাও বলিয়া, তাহা! নহে, সেটা তোমাদের ঘাড়ের উপর আসির! পড়ে বলিয়া । এই যে বাঁণিজ্যটাকে তোমর! মুক্ত বল, ইহার মত বদ্ধ বাণিজ্য আর নাই । কিন্তু ইহা কোন বিবেচনাসঙ্গত ইচ্ছার দ্বারা বদ্ধ নহে, ইহা আকম্মিক খেয়ালের স্তপাকার মুঢ়তার দ্বারা বন্দীকৃত। ঠীনেম্যানের চক্ষে তোমাদের দেশের ভিতরকার আধিক অবস্থা এইরকমই ঠেকে । পররাষ্ট্রের সহিত তোমাদের বাণিজ্যসম্বন্ধ, সে-ও অত্যন্ত উল্লাসজনক নয়। পঞ্চাশবৎসর পূর্বে ধারণ! হইয়াছিল যে, বিভিন্ন জাতির মধ্যে যখন বাণিজ্যসন্বদ্ধ স্থাপিত হইবে, তখন শাস্তির সত্যযুগগ আদিবে। কাজে দেখা গেল, সমন্তই উল্টা। প্রাচীনকালের রাজাদের অত্যাকাজ্ক। ও ধর্দযাজকদের গৌড়ামীর চেয়ে এই বাণিজ্য- স্থান লইয়া পরম্পর টানাটানিতে যুদ্ধবিগ্রহের সম্ভাবনা আরো বেশি প্রবল হইয়া উঠিতেছে। পৃথিবীর যেখানেই একটুখানি অপরিচিত স্থান ছিল, সেইখাঁনেই যুরোপের লোক একেবারে ক্ষুধিত হিংস্রজস্বর মত হৃক্কার দিয়া পড়িতেছে। এখন ফুরোপের এলাকার সীমানার স্বাহিরে এই পুঠনব্যাপার চলিতেছে । কিন্তু যতক্ষণ ভাগাভাগি চলি- তেছে, ততক্ষণ পরস্পরের প্রতি পরস্পর কট্‌মট্‌ করিয়া তাকাইতেছে। “আজ হৌক্‌ ব৷ কাল হৌকৃ, যখন আর বাঁটোয়ারা করিবার জন্ত কিছুই বাকি থাকিবে না, তখন তাহারা পরস্পরের ঘাড়ের উপরে গিয়া! পড়িবে । তোমাদের শত্্রসজ্জার এই আসল তাৎপর্যয--হয় তোমরব ব্তকে গ্রাস করিবে, নয় অন্তে তোমার্দিগঞক্ষে গ্রাস করিবে । যে ব্ধণিজাসম্পর্ককে তোমর! শাস্তির বন্ধন মনে করিগ্নছিলে, তাহাই, “তোমাদিগকে পরজ্পরের গলাকাঁটাকাঁটির প্রতিযোগী করিয়। ভূলিয়াছে চীনেম্যানের চিঠি। ৬৩ এবং তোমাদের সকলকে একট! বিরাট বিনাশব্যাপারের ইনি আনিয়। স্বাপস করিয়াছে । লেখক বলেন, পরিশ্রম বাঁচাইবার কল তৈরি করিতে তোমর। যে বুদ্ধি 'খাটাইতেছ, তাহাতে সমাজের কল্যাণ হইতেছে না। তাহাতে ধনবৃদ্ধি হইতেছে সন্দেহ নাই, কিন্তু সেটা যে মঙ্গলই, আমার মতে, এমন কথা মনে করিবার হেতু নাই। ধন কিরূপে ভাগ হয় এবং দেই ধনে জাতির চরিত্রের উপরে কি ফল হয়, তাহাই চিন্তার বিষয়। সেইটে যখন চিস্ত। করি, তখন বিলাতি পদ্ধতি চীনে ঢুকাইবার প্রস্তাবে মন বিগড়িয়। যায়। এই তোমরা ধতদিন ধরিয়া যন্ত্রতস্তরের শ্রীবুদ্ধিসাধনে লাগিয়াছ, তত- দিনে, তোমাদের শ্রমজীবীদ্দিগকে সঙ্কটে ফেলিয়া তাহা হইতে উদ্ধারের ' কোন একট! ভাল উপায় বাহির কর নাই। ইহা আশ্চর্য্যের বিষয় 'নহে। কারণ টাক! করা তোমাদের প্রধান লক্ষ্য, জীবনের আর সমস্ত লক্ষ্য তাহার নীচে। চীনেম্যানের কাছে এট! কিছুতেই উৎসাহ জনক ঠেকে না। বিলাতি কারবারের প্রণালী বদি চীনদেশে ফালাও করিয়া তোলা ষায়, তবে তাহার চষ্লিশকোটি অধিবাপীর মধ্যে ষে নিশ্চিত বিশৃঙ্খলা জাগিয়া! উঠিবে-_অন্তত আমি ত তাহাকে অত্যান্ত আশঙ্কার চক্ষে দেখি! তোমর! বলিবে, সে বিশৃঙ্খলা সাময়িক, আমি ত 'দেখিতেছি, তোমাদের দেশে তাহ! চিরস্থায়ী । আচ্ছা সে কথাও বাঁক, তাহাতে আমাদের লাভটা কি? আমর! ত তোমাদেরই মত হইয়া ষাইৰ ! সে সম্ভাবনা কি অবিচলিতচিত্তে কল্পনা কর! যায়? তোমাদের লোকেরা না হয় অমোদের চেয়ে আরামে খায় বেশি, পাঁন করে বেশি, নিদ্রা যায় বেশি-কিস্ত তাহার! গ্রসু নয়, সন্ধ্ট নয়, শ্রমানুরাগী নয়, তাহার! আইন মানেল্সা । তাহাদের কর্ম শরীরমনের পক্ষে অস্থাস্থ্য- কর,_ তাহার! প্রকৃতি হইসে বিছা হইয়া, ভূমিখার্ঠের অধিকার হইতে ৬৪ ভারতবর্ষ । সমতা পো পাস ্পস পাস্তা লাস বঞ্চিত হইয়া সহরে এবং কারখানার মধ্যে ঠাপাঠাসি করিয়া, থাকে। আমাদের কবিগণ--লেখকগণ ধনের মধ্যে, ক্ষমতার মধ্যে, নানা- প্রকার উদ্যোগের মধ্যে, কল্যাণ অনুসন্ধান করিতে উপদেশ দেন নাই, কিন্তু মানবজীবনের অত্যন্ত সরল ও বিশ্বব্যাপী সম্বন্ধগুলির সংযত, স্ুনির্বাচিত, স্ুমার্জিত রসাস্বাদনের পথে আমাদের মনকে তাহার! প্রবন্তিত করিয়াছেন। এই জিনিষটা! আমার্দের আছে--এটা তোমরা আমাদিগকে দিতে পার না, কিন্তু এটা তোমরা অনায়াসে অপহরণ করিতে পার। তোমাদের কলের গর্জনের মধ্যে ইহার স্বর শোন! যায় না, তোমাদের কারখানার কালো ধোয়ার মধ্যে ইহাকে দেখিতে পাওয়া যায় না,-তোমাদদের বিলাতি জীবনযাত্রার ঘূর্ণা এবং ঘর্ষণের মধ্যে ইহ! মরিয়। যায়। যে কেজে লোকদিগকে তোমরা অত্যন্ত খাতির করিয়। থাক, যখন দেখি তাহারা ঘণ্টার পর ঘণ্টায়, দ্রিনের পর দিনে, ৰৎসরের পর বৎসরে তাহাদের তার মধ্যে আনন্দহীন অগত্যা-প্রেরিত খাটুনিতে নিযুক্ত, যখন দেখি তাহাদের দিনের উৎকণ্ঠীকে তাহারা স্বল্লাবশিষ্ট অবকাশের মধ্যে টানিয়া আনিতেছে, এবং পরিশ্রমের দ্বার! ততটা নহে, যতটা গু সঙ্কীর্ঘ হৃশ্চিন্ত] বার আপনাকে জীর্দ করিয়া ফেলি- তেছে, তখন--এ কথ স্বীকার করিতেই হইবে যে, আমাদের দেশের গ্রাচীন বৈশ্যবৃত্তির সরলতর পদ্ধতির কথা স্মরণ করিয়। আমি সস্তোষ- লাভ করি---এবং আমাদের ধে সকল চিরব্যব্ৃত পথগুনি আমাদের অভ্যস্ত চরণের কাছে এমন পরিচিত যে, তাহা! দির] চলিবার সময়েও অনন্ত নক্ষজ্রমগ্ুলীর দিকে দৃষ্টিপাত করিবার অন্ত আমাদের অবকাশের, অভাব ঘটে না-_তোমাদের সবুদয় নৃতন ও ভয়লন্ুল বনের চেয়ে সেই পথগুলিকে আমি অধিক মৃল্যবান্‌ বলির়। গৌরব করি। ইহার পরে লেখক দ্বাষটরতন্ের কখ। তুলিগাছেম। তিনি বলেন, চীনেম্যানের চিঠি । ৬৫ পরম গ্রবর্মেন্ট, তোমাদের কাছে এতই প্রধান এবং সর্বত্রই সে তোমাদের সঙ্গে এমনি লাগিয়াই আছে যে, যে জাতি গবর্মেন্ট কে প্রায় সম্পূর্ণই বাদ দিয়া চলিতে পারে, তাহার অবস্থা তোমরা কল্পনাই করিতে পার ন1। অথচ আমাদেরই সেই অবস্থা । আমাদের সভ্যতার সরল এবং অকৃ- প্রিম ভাব, আমাদের লোকদের শান্তিপ্রিয় প্রকৃতি, এবং সর্ধোচ্চে আমাদের সেই পরিবারতন্ত্র, যাহা পোলিটিক্যাল্‌, সামাজিক ও আর্থিক ব্যাপারে এক একটি ক্ষুদ্র রাজ্যবিশেব, তাহারা আমাদিগকে গবর্মেন্টও শাসন হইতে এতটা “দুর মুক্তিদান করিয়াছে যে, যুরোপের পক্ষে তাহা! বিশ্বান করাই কঠিন। আমাদের সমাজের গোড়াকার জিনিষগুলি কোন রাজক্ষমতার শ্বেচ্ছাকৃত স্থজন নহে । আমাদের জনসাধারণ নিজের জীবনকে এইব্প শরীরতন্ত্রের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে। কোন গবর্মেন্ট, তাহাকে গড়ে নাই, কোন গবর্মেন্ট. তাহার বদল করিতে পারে না। এক কথায়, আইন-জিনিষট। উপর হইতে আমাদের মাথায় চাপান হয় নাই,_তাহ। আমাদের জাতিগত জীবনের মৃলসুত্র, এবং যাহ শাস্ত্রে লিপিবদ্ধ আছে, তাহাই ব্যবহারে প্রবর্তিত হইয়াছে । এইজন্ত চীনে গবর্মে্ট, যথেচ্ছা চারী নহে, অত্যাবশ্তকও নয়। রাজপুরুষদের শাসন তুলিয়া লও, তৰু আমাদের জীবনযাত্রা প্রায় পূর্বের মতই চলিয়া! বাইবে। যেআইন আমর! মান্ত করি, সে আমাদের শ্বভাবের আইন, বহুশতাববীর অভিজ্ঞ- তায় তাহ অভিব্যক্ত হইয়। উঠিয়াছে,_বাহিরের শাদন তুলিয়া! লইলেও ইহার কাছে আমরা বস্তা স্বীকার করি। যাহাই ঘটুক না, আমাদের পরিবার ধাকে, পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে মনের সেই গঠনটি থাকে, সেই শৃঙ্খলা, কর্ণ নিষ্ঠতা ও মিতব্যন্থিতার ইডি থাকিয়া যার। ইহারাই চীনকে তৈরি, কদির়াছে। ভোষাদের পশ্চিমদেশে গবর্েন্ট াপাকটা রি খ্বতন্্র। এখানে ৬ ভারতবর্ষ। জালা কোন মূলবিধান.নাই, কিন্তু ইচ্ছাকৃত অন্তহীন আইন গড়িয়া আছে। মাটি হইতে ফিছুই গজাইয়! উঠে না, উপর হইতে সমস্ত পুতিয়া দিতে হুয়। যাহাকে একবার পৌতা হয়, তাহাকে আবার পৌতা দরকার হুয়। গত শত বৎসরের মধ্যে তোমর1 তোমাদের সমস্ত সমাজকে উল্টাইয়! দিয়াছ। সম্পত্তি, বিবাহ, ধর্ম, চরিব্র, শ্রেণীবিভাগ পদ- বিভাগ, অর্থাৎ মানবসঘন্ধগুলির মধ্যে যাহা! কিছু সব চেয়ে উদার ও গভীর, তাহাদ্িগচক একেবারে :শিকড়ে ধরিয়া! উপ্ড়াইয়া কালের মোতে আবর্জনার মত ভাসাইর। দেওয়া হইয়াছে । এইজন্তই তোষা- দের গবর্মেন্টকে এত বেশি উদ্ভম প্রয়োগ করিতে হয়_-কারণ,. গবর্ষেন্ট, নহিলে কে তোমাদের সমাজকে ধারণ করিয়া রাখিবে? তোমাদের পক্ষে গবর্মে্ট, যত একান্ত আবশ্তক, সৌভাগ্যক্রমে আমাদের পূর্বদেশের পক্ষে তত নয়। আমার কাছে এটা একটা 'অমলল বলিয়াই বোধ হয়-_কিন্তু দেখিতেছি, ইহা! নহিলেও তোমাদের চলিবার উপায় নাই। তবু, এত বড় কাজটা যাহাকে দিয়! আদার করিতে চাও, সেই যন্ত্রটার অসামান্ত অপটুতা দেখিয়া আমি আরো! আশ্চর্য্য হই। যোগ্য-লোক নির্বাচনের সুনিশ্চিত উপায় আবিফার বা উদ্ভাবন কর। দুরূহ, সে কথা স্বীকার করি, কিন্তু তবু এট! বড়ই অদ্ভূত যে, যাহাদের উপরে এমন একটা মহৎ-ভার দেওয়। হয়, [তাহাদের বর্খনৈতিক ও বুদ্ধিগত সাম্যের কোনপগ্রকার পরীক্ষার চেষ্টা হয় না। ইলেক্‌শন্-ব্যাপারটার অর্থ কি? তোমরা! সুখে বল, তাহার অর্থ জনসাধারণের দার! প্রতিনিধি-নির্ধ্বাচন--কিস্ত তোমরা মনে মনে কি নিশ্চয় জান না, তাহার অর্থ তাহ! নহে? বসত এক একটি দলীয় স্বার্থেরই প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। জজিদার, মদের কারখানার কারা, রেল কোম্পানির অধ্যক্ষ--ইহারাই কি তোমাদিগকে শাসন করিতেছে, 1? আমি জামি, একাল-আছে, তাহারা, “মাস অর্থাৎ জবগামারণের স্৯লসপািপািলসিলা ৯ সতী উপ পিসি সি সি পা পাট পচ চীনেম্যানদের চিঠি । প্রচ্ড পণ্ডশক্তিকেও এই কর্তৃপঞ্চদের দতৃক্ত করি সামঞ্জসাসাধন করিতে চাহে। কিন্তু তোমাদের দেশে জনসাধারণও যে একটা স্বতত্্ বিশেষ দল-__তাহাদেকও একটা দলগত সক্কীর্ণ স্বার্থ আছে। তোমাদের এই যন্ত্রটার উদ্দেস্ত দেখিতেছি, একটা গর্থের মধ্যে কত্তকগুলা প্রাইভেট স্বার্থের আত্স্তরী শক্তিকে ছাড়িয়৷ দেওয়া,--তাহারা শুদ্ধমাত্র পরস্পর লড়াইয়ের জোরেই সাধারণের কল্যাণে উপনীত হুইবে। ধন্ম এবং সন্বিষেচনার কর্তৃত্বের উপর চীনেম্যামের এমন একটা মজ্জাগত শ্রদ্ধ! আছে যে, তোমাদের এই প্রণালীকে আমার ভালই বোধ হয় না। €তামাদের বিশ্ববিস্তালয়ে এবং অন্তত আমি এমন সকল লোক দেখিয়াছি, ধাহারা তোমাদের ব্যবস্থাযোগ্য সমস্ত বিষয়গুলিকে স্থগভীরভাবে আলোচনা করিয়াছেন, ধাহাদের বুদ্ধি পরিষ্কৃত, বিচার পক্ষপাতশূন্ত, উৎসাহ নিশ্বার্থ এবং নির্মল,--কিন্ত তাহার! তাহাদের প্রাজ্ঞতাকে কোন কাজে লাগাইবার আশাও করিতে পারেন না-কারণ, তাহাদের প্রক্কৃতি, তাহাদের শিক্ষা, তাহাদের অভ্যাস, জানপাদিক ইলেকৃশনের উপদ্রব সহ করিবার পক্ষে তাহাদিগকে অপটু করিয়াছে। পার্ণামেণ্টের সত্য হওয়াও একট। ব্যৰসাবিশেষ--এবং ধর্মনৈতিক ও মানসিক যে সকল গুণ সাধারণের মঙ্গলমাধনের জন্য আবহ্ক, এই ব্যবসায়ে প্রবেশ করিবার গুণ তাহ। হইতে স্বতন্ত্র বলিয়াই বোধ হয়! আমি সংক্ষেপে চীনেম্যানের পত্রের প্রধান অংশগুলি উপরে বিবৃত করিলাম। এই পত্রগুলি পড়িলে প্রাচাসমাজের সাধারণ ভিত্তি-সম্ন্ধে 'ামাদের পরস্পরের যে এক্য, হাহা বেশ স্পট বোঝ বায়। কিন্তু সইহাও দেখিতে পাই, এই মে শান্তি এবং শৃঙ্খলা, সম্ভোষ এবং সংঘমের উদ্ধরে সমস্ত মাকে গড়িয়া তোলা/-তাহার চরম সার্থকত়ার সা 'এই চিঠিখলির মধ্যে গ্রাওয় যার না। চীরদেস- সখী, সন্ত, করনি হইয়াছে কিন্তু সেই থকারা,খ্যহ নই |, 'আখে-অসুক্োহে মাহ ৮ | ভারতবর্ষ । ০৪ ডি পু ব্যর্থ করিতে পারে, কিন্তু সুথে-স্তোষে মাগ্যকে ক্ষুত্র করে। : চীন বলিতেছে, আমি বাহিরের কিছুতেই দৃক্পাত করি নাই নিজের এজা কার মধ্যেই নিঞ্রের সমস্ত চেষ্টাকে বদ্ধ করিয়। সুথী হইয়াছি, কিন্তু এ কথ। যথেই্ নহে। এই সবস্কীর্ঘতাটুকুর মধ্যে পরল উৎকর্ষ লাভ করা” কেই চরম মনে করিলে হতাশ হইতে হয়। জলধার৷ যাঁদ সমুদ্রকে চার, তবে নিজেকে দুই তটের মধ্যে নংহত-সংযত করিয়া তার্থীকে চলিতে হয়, কিন্তু তাই বাঁলয়া নিজেকে একজায়গার আনয়। বদ্ধ করিলে চলে ন। মুক্তির জন্তই তাহাকে সংঘত হইতে হয়, কিন্ত নিজেকে বন্দী কৰিলে তাহার চরম উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়--তাহা হইলে নদীকে ঝিল হইতে হয় এবং শ্রোতের অন্তহীন ধারাকে সমুদ্রের অন্তহীন তৃপ্তির মধ্যে লইয়৷ যাওয়া হয় না। ভারতবর্ষ সমাজকে সংযত-সরল করিয়। তুঁলয়াছিল, তাহ! সমাজের আবদ্ধ হইবার জন্ত নহে। নিজেকে শতধাবিভক্ত অন্ধচেষ্টার মধ্যে বিন্িপ্ত না করিয়া, নে আপন সংহত শক্তকে অনন্তের অভিমুখে একাগ্র করিবার জন্তই ইচ্ছাপুর্বক বাহ্বিষয়ে সম্কীণত। আশ্রয় করিয়া- ছিল। নদীর তটবন্ানের স্তায় সমাজবন্ধন তাহাকে বেগদান করিবে; বন্দী করিবে না, এই তাহার উদ্দেশ্ত ছিল। এইজন্ত ভারতবর্ষের দমস্ত ক্রিয়াকর্মের মধ্যে, সুখশাস্তিসস্তোষের মধ্যে মুক্তির আহ্বান আছে--আত্মাকে তুমানন্দে ব্রন্ষের মধ্যে বিকশিত করিয়! তুলিবার জন্তই সে সমাজের মধ্যে আপন শিকড় বাধিয়াছিল। যদি সেই লক্ষ্য হইতে তরষ্ট হই, জড়ত্ববশত সেই পরিণামকে উপেক্ষা! করি, তবে বন্ধন কেবল বন্ধনই থাকিস! যায়, তবে অভিক্ষুত্র সন্ভোষ-শাস্তির কোন অর্থই খাকে না। ভারতবর্ষের লক্ষ্য ক্ষুত্র নহে, তাহা! ভারতবর্ষ স্বীকার 'করিরাছে--ভুমৈব ুখং নায়ে দ্খমন্ডি-_তূমাই দুখ, অযধে সুখ নাই। সারের ব্রঙ্গবাদিনী বালিরাছেন--বেনাহং নানৃত| স্ভাং কিমহং ডেল চীনেম্যানের চিঠি। ৬৯ কুরধ্যাম্‌-_যাহার বারা অমর না হইব, ছাহা লইয়া আমি কি করিব? কেবলমাত্র পারিবারিক শৃঙ্খলা এবং সামাজিক সুব্যবস্থার দ্বারা আমি অমর হইব না, তাহাতে আমার আত্মার বিকাশ হইবে না। সমাজ বদি আমাকে সম্পূর্ণ সার্থকতা না দেয়, তবে সমাজ আমার কে? লমাজকে রাখিবার জন্য যে আমাকে বঞ্চিত হইতে হুইবে, এ কথ! স্বীকার কর] যায় না-_মুরোপও বলে, 170110891কে যে সমাজ পঞ্ঠু ও প্রতিহত করে, সে সমাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করিলে হীনতা স্বীকার করা হয়। ভারতবর্ষ ৪ অত্যন্ত অপঙ্কোচে নির্ভয়ে বলিয়াছে, আত্মার্থে পৃথিবীং তাজেৎ।: সমাজকে মুখ্য করিলে উপায়কে উদ্দেশ্ত কর। হয়। ভারতবর্ষ তাহা করিতে চাহে নাই, সেইজন্ত তাহার বন্ধন যেমন দৃঢ়, তাহার ত্যাগও সেইবূপ সম্পূর্ণ। সাংসারিক পরিপূর্ণতার মধ্যে ভারতবর্ষ আপনাকে বেষ্টিত, বন্ধ করিত না, তাহার বিপরীত্ই করিত। যখন সমস্ত সঞ্চিত হইয়াছে, ভাণ্ডার পূর্ণ হইয়াছে, পুত্র বয়ঃপ্রাপ্ত হইয় বিবাহ করিয়াছে, যখন সেই পূর্ণপ্রতিষিত সংসারের মধ্যে আরাম করিবার, ভোগ করিবার অবলর উপস্থিত হইয়াছে, ঠিক সেই সময়েই সংসারপরিত্যাগের ব্যবস্থা-_যতদিন থাটুনি, ততদিন তৃমি আছ, যখন থাটুনি বন্ধ, তখন আরামে ফলভোগের দ্বার! জড়ত্বলাভ করিতে বসা নিষিদ্ধ। সংসারের কাজ হইলেই সংসার হইতে মুক্তি ছুইল-_তাহার পরে আত্মার অবাধ অনস্ত গতি। তাহা নিশ্চেষ্টত! মহে। সংসারের হিসাবে তাহা জড়ত্বের স্তায় দৃশ্তমান- কিন্তু চাকা অতান্ত ঘুরিলে যেমন তাহাকে দেখা যায় ন1, তেমনি আত্মার অত্যন্ত বেগকে নিশ্চলতা বলিয়। প্রতীয়মান হয়। আত্মার সেই বেগকে চতু্দিকে নানারূপে অপব্যয় না করিয়া সেই শক্তিকে উদ্বোধিত করিয়া 'তোলাই আমাদের সমাজের কাজ ছিল। আমাদের সমাজে গ্রবৃত্বিকে খর্ব করিয়া প্রত্যহই নিঃস্বার্থ মঙ্গলসাধনের যে ব্যবস্থা আছে, তাহ! ৭9 ভারতবর্ষ । ন্ধলাভের সোপান বঙগিয়াই আমর1 তাহা লইয়া গৌরৰ করি। বা নাকে ছোট করিলে আত্মাকেই বড় ঝরা হয়, এইজন্তই আমরা বাসনা খর্ধ করিস্সন্তোষ অনুভব করিবার অন্ত নহে। যুরোপ মরিতেও' রাজি আছে, তবু বাসনাকে ছোট করিতে চায় না, আমরাও মরিতেও, রাজি আছি, তবু আত্মাকে তাহার চরমগতি_পরমসম্পদ্‌ হইতে বঞ্চিত, ফরিয়। ছোট করিতে চাই ন|| ছূর্গতির দিনে ইহা আমর] বিস্বৃত, হইয়াছি--সেই সমাজ আমাদের এখনো আছে, কিন্তু তাহার ভিতর, দিয়! বদ্মাভিমুখী মোক্ষাভিমুখী বেগবতী শোতোধারা “যেনাহং নামৃতা সাং কিমহং তেন কুর্ধ)াম” এই গান করিয়া ধাবিত হইতেছে না-_ মাল! ছিল তার ফুলগুলি গেছে রয়েছে ডোর। সেইজন্ত আমাদের এতদিনকার সমাজ আমাদিগকে বল দিতেছে, না, গৌরব দিতেছে না, আধ্যাত্মিকতার দিকে আমাদিগকে অগ্রসর করিতেছে না, আমাদিগকে চতুর্দিকে প্রতিহত করিয়া রাখিয়াছে। এই সমাজের মহৎ উদ্দেস্ত যখন আমরা সচেতনভাবে বুঝিব, ইহাকে সম্পূর্ণ সফল করিবার জন্ত যখন সচেষ্টভাবে উদ্ভত হইব, তখনই মৃহ্র্তের মধ্যে বৃহৎ হইব, মুক্ত হইব, অমর হইব--জগতের মধ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠা হইবে, প্রাচীন ভারতের তপোবনে খধিরা যে যজ্ঞ করিয়।-. ছিলেন, তাহা সফল হইবে, এবং গিতামহগণ আমাদের মধ্যে ₹তান্ধ হইয়া! আমাদিগকে আশীর্বাদ করিবেন। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার আদর্শ। ৭১ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার আদর্শ । ফরাসী মনীষী গিজে! যুরোগীয় সভ্যতার প্ররৃতি-সন্বস্ধে। যাহা বলিয়াছেন, তাহা! আমাদের আলোচনার যোগ্য । প্রথমে তাঁহার মত নিয়ে উদ্ত করি। তিনি বলেন, আধুনিক যুরোগীয় সভ্যতার পূর্ববর্তী কালে, কি এপিয়ায় কি অন্যত্র, এমন কি, প্রাচীন গ্রীদরোমেও, সভ্যতার মধ্যে একটি একমুখীভাব দেখিতে পাওয়া যাঁয়। প্রত্যেক সততা যেন একটি মূল হইতে উঠিয়াছে এবং একটি ভাবকে আশ্রন্ন করিয়া অধিঠিত রহিয়াছে। সমাছ্গের মধ্যে তাহার প্রত্যেক অনুষ্ঠানে, তাহার আচারে বিচারে, তাহার অবয়ববিকাশে, সেই একটি স্থায়ী ভাবেরই কর্তৃত্ব দেখা যায়। যেমন, ইজিপ্টে এক পুরোহিতশাসনতন্ত্রে সমস্ত সমাজকে অধিকার কিয়! বসিয়াছিল ; তাহার আচার-ব্যবহারে, তাহার কীতিস্তস্ত গুলিতে, ইহারই একমাত্র প্রভাব । ভারতবর্ষেও ব্রাহ্ধণাতন্ত্রেই সমস্ত সমাজকে একভাবে গঠিত করিয়! তুলিয়াছিল। সময়ে সময়ে ইহাদের মধ্যে ভিন্ন শক্তির বিরোধ উপস্থিত হয় নাই, তাহা! বল! যায না7কিস্তু তাহার সেই কর্তৃভাবের দ্বার পরাস্ত হইয়াছে। এইক্প একভাবের কর্তৃত্বে ভিন্ন দেশ ভিন্নরূপ ফললাভ করিয়াছে। সমগ্র সমাজের মধ্যে এই ভাবের এ্রক্যবশত গ্রীস অতি আশ্তর্যয ক্রুতবেগে এক অপূর্ব উন্নতি লাভ করিয়াছিল। আর কোন জাতিই এত অল্পকালের মধ্যে এমন উজ্জ্রত| লাভ করিতে পারে নাই। কিন্তু গ্রীন তাহার উরতির চরমে উঠিতে ন! উঠিতেই যেন জীর্ণ হইয়। পড়িল। তাহার অবনতিও বড় আকম্মিক। যে মৃলভাবে গ্রীক ধং | ভারতবর্ষ । সভ্যতায় প্রাণসঞ্চার করিয়াছিল, তাহা যেন রিক্ত নিঃশেষিত হই গেল ; আর কোন নুতন:শক্তি আসিয়া তাহাকে বলদান বা তাহার স্থান অধিকার করিল না। অপরপক্ষে, ভারতবর্ষে ও ইজিপ্টেও সভ্যতার মূলভাঁব এক বটে, "কিন্ত সমাজকে তাহা অচল করিয়া রাখিল। তাহার সরলতায় সমস্ত যেন একঘেয়ে হইয়া গেল। দেশ ধ্বংস হইল না, সমাঁজ টি"কিয়া রহিল, কিন্তু কিছুই অগ্রসর হইল না, সমস্তই একজায়গায় আসিয়া বন্ধ হইয়া! গেল। | প্রাচীন সভ্যতামাত্রেই একট! না একটা কিছুর একাধিপত্য ছিল। সে আর কাহাকেও কাছে আসিতে দ্রিত না, সে আপনার চারিদিকে আটঘাট বাঁধিয়া রাখিত। এই প্রক্য, এই নরলতার ভাব সাহিত্যে এবং লোকসকলের বুদ্ধিচেষ্টার মধ্যেও আপন শাসন বিস্তার করিত। এই কারণেই প্রাচীন হিন্দুর ধর্ম ও চারিত্রগ্রস্থে, ইতিহাসে কাব্যে সর্বত্রই একই চেহারা দেখিতে পাওয়] যায় । তাহাদের জ্ঞানে এবং কল্পনায়, তাহাদের জীবনযাত্রায় এবং অস্থষ্ঠানে, এইঃএকই ছাদ। এমন কি, গ্রীসেও জ্ঞানবুদ্ধির বিপুলব্যাপ্তিসত্বেও তাহার সাহিত্যে ও শিল্পে এক আশ্চর্য্য একপ্রবণতা দেখা যায়। যুরোপের আধুনিক সভ্যতা ইহার সম্পূর্ণ বিপরীত। এই সত্যতার উপর দিয়! একবার চোখ বুলাইয়া৷ যাও, দেখিবে, তাহা কি বিচিত্র, জটিল এবং বিক্ষুব্ধ । ইহার অভ্যন্তরে সমাজতন্ত্রের সকলরকম মুলতত্বই বিরাজমান; লৌকিক এবং আধ্যাত্মিক শক্তি, পুরোহিততন্ত্র, রাজতন্ত্র, প্রধানতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র, সমাজ-পদ্ধতির সকল পর্যায়, সকল অবস্থাই, বিজড়িত হুইয়া দৃষ্তমান ; স্বাধীনতা, ীশ্ব্য্য এবং ক্ষমতার সর্বপ্রকার ক্রমান্বয় ইহার মধো স্থান গ্রহণ করিয়াছে। এই বিচিত্রশক্তি স্থির নাই, ইহারা আপনা-আপনির যধ্যে কেবলি লড়িতেছে। অথচ: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সত্যতার আদর্শ । শে রর সপা্িনিসিছিরি ইহাদের কেহই আর সকলফেই অভিভূত করিয়া সমাজকে একা অধিকার করিতে পারে না। একই কালে সমস্ত বিরোধি-শক্তি পাশাপাশি কাজ রুরিতেছে ; কিন্তু তাহাদের বৈচিত্র্যসত্ত্েও তাহাদের মধ্যে একটি পারিবারিক সাদৃশ্ঠ দেখিতে পাই,--তাহাদিগকে যুরোগীয় ঘলিয়। চিনিতে পারা যায় | ৰ চারিত্রে, মতে এবং ভাবেও এইরূপ বৈচিত্র্য এবং বিরোধ । তাহার! অহরহ পরস্পরকে লঙ্ঘন করিতেছে, আঘাত করিতেছে, লীমাবদ্ধ করিতেছে, ব্ূপাস্তরিত করিতেছে এবং পরস্পরের মধ্যে অনুপ্রবিষ্ট হইতেছে । একদিকে স্বাতস্ত্র্যের ছুরস্ত তৃষ্ণা, অন্তদ্িকে একাস্ত বাধ্যতাশক্তি; মন্ুষ্যে মন্থুয্যে আশ্চর্য বিশ্বাসবন্ধন, অথচ সমস্ত শৃঙ্খল 'মোচনপূর্বক বিশ্বের আর কাহারে! প্রতি জ্রক্ষেপমাত্র না করিয়া একাকী নিজের স্বেচ্ছামতে চলিবার উদ্ধত বাসনা । সমাজ যেমন বিচিত্র, মনও তেমতি বিচিত্র । আবার সাহিত্যেও সেই বৈচিত্র্য । এই সাহিত্যে মানবমনের চেষ্টা বন্থধা বিভক্ত, বিষয় বিবিধ, এবং গভীরতা দূরগামিনী। সেই জন্যই সাহিত্যের বাহা আকার ও আদর্শ প্রাচীনসাহিত্যের ন্যায় বিশুদ্ধ, সরল ও সম্পূর্ণ নহে। সাহিত্যে ও শিল্পে ভাবের পরিস্ফুটতা, সরলতা! ও এঁক্য হইতেই রচনার সৌন্দধ্য উদ্ভূত হইয়া থাকে। কিন্তু বর্তমান যুরোপে ভাব ও চিন্তার অপরিসীম বছুলতায়, রচনার এই মহৎ বিশ সারল্য রক্ষা করা.উত্তরোত্তর কঠিন হইতেছে। আধুনিক যুরোপীয় সভ্যতার প্রত্যেক অংশে প্রত্যংশেই আমরা এই বিচিত্র প্রকৃতি দেখিতে পাই। নিঃসন্দেহ ইহার অন্থবিধাও আছো ইহার কোন একটা অংশকে পৃথক করিরা দেখিতে গেলে, হয় ত, গ্রাচীনকালের তৃলনায় খর্ব দেখিতে পাইব-_কিন্ত:নমগ্রভাবে মি ইছার খ্বর্ধ্য আমাদের কাছে প্রতীয়মান হইবে। ৪ ). ভারতবর্ষ ॥ " মুরোপীয় সভ্যত| পঞ্চদশ-শতাব-কাঁল টিকিয়।! আছে এবং বরাবর অগ্রসর হইয়া চলিয়াছে। ইহা গ্রীকূসভাতার স্কায় তেমন দ্রতবেগে। চলিতে পারে নাই বটে, কিন্তু পদে পদে নব নব অভিথাত প্রাপ্ত হইয়া এখনো ইহা সম্মুখে ধাবমান। অন্তান্ত সভ্যতায় এক ভাব _এফ আদর্শের একাধিপত্যে অধীনতা বন্ধনের স্ট্টি করিয়াছিল, কিন্তু যুরোপে কোন এক সামাজিক শক্তি অপর শক্তিগুলিকে সম্পূর্ণ অভিভূত: করিতে না পারায়, এবং ঘাতপ্রতিঘাতে পরম্পরকে সচেতন অথচ সংযত করিয়া রাখায়, যুরোপীয় সভ্যতায় স্বাধীনতার জন্ম হইয়াছে? ক্রমাগত বিবাদে এই সকল ৰিরোধি-শক্তি অপসে একটা বোঝাপড়। করিয়। সমাজে আপন আপন অধিকার নির্দিষ্ট করিয়া লইয়াছে এইজন্ত ইহার] পরস্পরকে উচ্ছেদ করিবার ভন্ত সচেষ্ট থাকে না, এবং' নানা গ্রতিকূলপক্ষ আপন স্বাতন্ত্রা রক্ষা করিস্বা চলিতে পারে ইহাই আধুনিক ঝুরোপীয় সভ্যতার মূল প্রকৃতি, ইহাই ইছার' শ্রেন্ঠত। গিজো বলেন, বিশ্বজগতের মধ্যেও এই বৈচিত্রের সংগ্রাম । ইহা! সুস্পষ্ট যে, কোন একটি নিয়ম, কোন এক প্রকারের গঠনতন্ত্র কোন একটি সরলভাব, কোন একটি বিশেষ শক্তি, সমস্ত বিশ্বকে একা অধিকার করিয়া, তাহাকে একটিমাত্র কঠিন ছাচে ফেলিয়া, সমস্ত" বিরোধী প্রভাকে দূর করিয়া, শাসন করিবার ক্ষমতা পায় নাই।" বিশ্বে নানা শক্তি, নান। তত্ব, নান] তন্ত্র, জড়িত হইয়] যুদ্ধ করে, পরস্পরকে গঠিত করে, ফেহু কাহাফে টির করে না, সম্পূর্ণ পরাস্ত হর না। _ অথচ এই সকল গঠন, তত্ব ও ভাবের বৈচিজ্রা_তাহাদের সংগ্রাম ও যেগ, কটি হিশেষ ধফ্য_এফটি হিশেষ আদর্শের জভিমুখে চলিয়াছে। যুরোপীয় সভ্যতাই এইয়াপ বিশৃতন্ত্রের গ্রতিবিদ্ব। ইহা প্রাচা ও পাশ্চান্তা সভাতার আদর্শ । ৭৫ ছলনা? সন্বীর্ঘরূপে সীমাবদ্ধ, একরত ও অচল নহে। জগতে সভ্যতা এই প্রথম নিজের বিশেষ মূর্তি বর্জন করিয়া! দেখা দিয়াছে। এই গ্রথম ইহার বিকাশ বিশ্বব্যাপারের বিকাশের সায় বহুবিভক্ত, বিপুল এবং বহু" চেষ্টাগত। যুরোগীয় সত্যত্তা এইনূপে চিরস্তন সত্যের পথ পাইয্নাছে, তাহা জগণীশ্বরের কাধ্য গ্রণালীর ধারা গ্রহণ করিয়াছে, ঈশ্বর যে পথ নির্মাণ করিয়াছেন, এ সভ্যতা সেই পথে অগ্রসর হইতেছে। এ, সভ্যতার শ্রেষ্ঠতাতত্ব এই সত্যের উপরেই নির্ভর করে। গিজোর মত আমর! উদ্ধৃত করিয় দিলাম । যুরোপীয় সভ্যতা এক্ষণে বিপুলায়তন ধারণ করিয়াছে, তাহাতে: সন্দেহ নাই । যুরোপ, আমেব্িকাঁ, অষ্েলিয়া_তিন মহাদেশ এই সভ্যতাঁকে বহন পোষণ করিতেছে । এত ভিন্ন ভির বহুসংখ্যক দেশের” উপরে এক মহাসভাতার প্রতিষ্ঠা, পৃথিবীতে এমন আশ্চর্য্য বৃহদ্ব্যাপার, . ইতিপূর্বে আর ঘটে নাই। সুতরাং কিসের সঙ্গে তুলনা করিয়। ইহার বিচার করিব? কোন্‌ ইতিহাসের সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়৷ ইহার পরিণাম নির্ণয় করিব? অন্ত সকল সভ্যতাই একদেশের সভ্যতা. এফ জাতির সভ্যতা । সেই জাতি যতদিন ইন্ধন যোগাইয়াছে, ততদিন তাহ! জলিয়াছে, তাহার পরে তাহা নিবিয়! গেছে, অথব| ভন্মাচ্ছন্ন হইয়াছে। যুরোপীয় সভাতাহোমানলের সমিধ্কাষ্ঠ যোগাইবার' তার লইয়াছে__নানা দেশ নানা জাতি । অতএব এই ঘজ্ত-ুতাশন কি নিষিবে, ন', ব্যাপ্ত হইয়! সম্ত পৃথিবীকে গ্রাস করিবে? কিন্তু এই সভ্যতার মধ্যেও একটি কর্তৃভাব আছে,-_কোন সভ্যত্ভাই আকারগ্রকার- স্বীন হইতে পারে না। ইহার সমত্ত অবয়বকে চালনা, করিতেছে. এন্নন একটি বিশেষ শক্তি নিশ্টযই আছে। সেই শক্তির অভ্যুর্য় ও. পন্নাতবের উপরেই এই লত্যতার উন্নতি ও ধ্বংস নির্ভর করে। . তাহা ফি? ভাহার বহবিচিজ চেষ্ঠ। গু স্বাতস্তরোর মধো এক্যতন্র কোথায়? ১ | ভারতবধ। ছি . দ্বুরোপীয় সভ্যতাকে দেশে দেশে খণ্ড খণ্ড করিয়া দেখিলে, অন্ত সকল বিষয়েই তাহার স্বাতন্ত্রা ও বৈচিত্র দেখা যার, কেবল একট বিষয়ে তাহার এক্য দেখিতে পাই । তাহা বাীয স্বার্থ।]] ইংলগ্ডে বল, ফ্রান্সে বল, আর সকল বিষয়েই জনসাধারণের মধ্যে 'অতবিশ্বাসের প্রভেদ থাকিতে পারে, কিন্তু স্ব স্ব রাই্রীয় স্বার্থ প্রাণপণে রক্ষা ও পৌষণ করিতে হইবে, এ সম্বন্ধে মততেদ নাই। সেইখানে তাহারা একাগ্র, তাহার! প্রবল, তাহার! নিষ্ঠুর, সেইথানে আঘাত বাগিলেই সমস্ত দেশ একমৃত্তি ধারণ করিয়া দণ্ডায়মান হয়। জাতিরক্ষা আমাদের যেমন একট। গভীর সংস্কারের মত হইয়া গেছে; রাষটীযনথার্থরক্ষা স্বুরোপের সর্বমাধারণের তেমনি একটি অন্তনিহিত সংস্কার। ইতিহাদের কোন্‌ গুঢ়নিয়মে দেশবিশেষের সভ্যতা ভাববিশেষকে অবলম্বন করে, তাহা নির্ণয় করা কঠিন; কিন্তু ইহা সুনিশ্চিত যে, যখন সেই ভাব তাহার অপেক্ষা উচ্চতর ভাবকে হনন করিয়! বসে, তখন ধ্বংস অদুরবর্থী হয়। ক. প্রতোক জাতির যেমন একটি জাতিধর্্ম আছে, তেমনি জাতিধর্থের অতীত একটি শ্রেষ্ধর্ম আছে, তাহা মানবসাধারণের। আমাদের দেশে বর্ণাশ্রমধর্্ণে যখন সেই উচ্চতর ধর্দকে আঘাত করিল, তখন ধর্ম তাহাকে আঘাত করিল- ধর্ম এব হতো] হস্তি ধর্ম রক্ষতি রক্ষিত2। এক সময় আধ্যসভ্যতা আত্মরক্ষার জন্ত ব্রাহ্মণশূত্ে ছর্লজ্য ব্যবধান রচনা করিয়াছিল। কিন্তু ক্রমে সেই ব্যবধান বর্ণাশ্রমধর্থের '্উচ্চতর ধঙ্দকে পীড়িত করিল। বর্ণাশ্রম আপনাকে রক্ষ। করিবার: বন্য চেষ্ট! করিল, কিন্তু ধর্মকে রক্ষার জন্ত চেষ্টা করিল না। সে যখন উচ্চ অঙ্গের মনুষ্যস্বচর্চা হইতে পূড্রকে একেবারে বঞ্চিত করিল, তখন বর্ম, তাহার প্রতিশোধ লইল1 তখন ক্রাঙ্গপ্য আপন জানধর্্ম লইয়া প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার আদশ। . শ্ হাসি সপসপিসাাসপসসসপ সি পসপ্সিলিবা্পসপসীপস্পসসপর এ পোস্পরসিপীপিস্পলিসমপসপসপস্পসপসসপ্পসিপস্সিস্পি্সপপসিপাস্পিস্পিস্সি পূর্বের মত আর অগ্রনর হুইতে পারিল না । অজ্ঞানধড় তরস্্রধায় সমাজকে গুরুভারে আকৃ্ করিয়া! নীচের দিকে টানিয়া রাখিল। শৃদ্রকে ব্রাহ্মণ উপরে উঠিতে দেয় নাই, কিন্তু শূদ্র ত্রাহ্ণকে নীচে নামাইল। আজিও ভারতে ব্রাহ্মণপ্রধান বর্ণাশ্রম থাকা সত্বেও শুদ্ের সংস্কারে, নিকৃষ্ট অধিকারীর অজ্ঞানতায়, ব্রাহ্মণসমাজ পধ্যস্ত আচ্ছন্ন, আবিষ্ট। ইংরাজের আগমনে যখন জ্ঞানের বন্ধনমুক্তি হইল, যথন সকল. মনুয্ুই মনুস্তত্বলাভের অধিকারী হইল» তখনি ক্রাহ্ষণধর্ম্মের মুচ্ছাপগমের লক্ষণ প্রকাশ পাইল। আজ ব্রাঙ্গণ-শুদ্রে কলে মিলিয়। হিন্দুজাতির অন্তনিহিত আদর্শের বিশ্ুদ্ধমুত্তি দেখিবার জন্ত সচেষ্ট হইয়া, উঠিয়াছে। শুত্রেরা আজ জাগিতেছে বলিয়্াই, ব্রাঙ্গণধর্্মও জাগিবার, উপক্রম করিতেছে । যাহাই হউক, আমাদের বর্ণাশ্রমধর্ম্ের সক্কীর্ণতা নিত্যধর্নকে নানাস্থানে খর্ধ করিয়াছিল বলিয়াই, তাহ। উন্নতির দিকে না গিয়া বিকৃতির পথেই গেল। মুরোপীয় সত্যতার মূলভিত্তি রাষরীয় স্বার্থ দি এত অধিক ক্ষীতিলাভ- করে যে, ধর্খের সীমাকে অতিক্রম করিতে থাকে, তবে বিনাশের, ছিদ্র দেখ! দিবে এবং সেই পথে শনি গ্রবেশ করিবে। ্ার্থের গ্রকতিই বিরোধ । মুরোগীয় সভ্যতার মীমায় সীমায় সেই. বিরোধ উত্তরোত্তর কণ্টকিত হইয়! উঠিতেছে। পৃথিবী লইয়া ঠেলাঠেজি কাড়াকাড়ি পড়িবে, তাহার পূর্ববস্চন] দ্বেখ। যাইতেছে । ইহাও দেখিতেছি, যুরোপের এই রাষীয স্বাথপরত! ধর্মকে প্রকান্ত- ভাবে অবজ্ঞ! 'করিতে আরম্ত করিয়াছে। “জোর বার ুনুক তার” এ নীতি স্বীকার করিতে আর লজ্জা! বোধ করিতেছে না . . ইহাও স্পট নেখিতেছি, বে বর্মনীতি ব্যক্তিবিপেষের নিকট বরবীয পচ ভারতবর্ষ । 41 51 " সপ্ঠা্িরজক্পা্পিশ্িপ সত এপি তাহ! রাস্্রীয় ব্যাপারে আবশ্তকের অনুরোধে বর্জনীয়, এ কথা এক- প্রকার সর্ধজনগ্রাহ্থ হইয়া উঠিতেছে। রাষ্ট্রতন্ত্রে মিথ্যাচরণ, সত্য, প্রবঞ্চন, এখন আর লজ্জাজনক বলিয়া! গণ্য হয় না। যেনকল জাতি অন্য মন্ুষ্যে বাবহারে সত্যের মর্যাদা রাখে, ভতায়াচরণকে শ্রেয়োজান করে, রাষ্ট্রতন্ত্রে তাহাদেরও ধর্মবোধ অসাড় হইয়। থাকে। সেই জন্ত -ফ্করাসী, ইংরাজ, জর্্মণ, রুশ, ইহারা পরম্পরফ্ষে কপট, ভর, প্রবঞ্চক বলিয়া উচ্চস্বরে গালি দিতেছে । ইহা হইতে এই প্রমাণ হয় যে, রাষ্ট্রীয় সার্থকে যুরোগীয় সভ্যতা! এতই আত্যন্তিক প্রাধান্য দিতেছে যে, সে ক্রমশই স্পর্ধিত হুইয় গ্রব- ধর্মের উপর হস্তক্ষেপ করিতে উদ্ভত হইয়াছে। এখন গত শতাববীর সাম্য-সৌত্রাত্রের' মন্ত্র যুরোপের মুখে পরিহাসবাক্য হইল়্া উঠিয়াছে। এখন খৃষ্টান মিদনারীদের মুখেও “ভাই,কথার মধ্যে ্রাত্ৃতাবের সুর লাগে না। জনদদ্বিখ্যাত পরিহাসরমিক মার্কট্োয়েন গত ফেব্রুয়ারি মাসের নর্থ "্মামেরিকান্‌ রিভিষু পত্রে "তিমিরবাসী ব্যক্তিটির প্রতি” (70029 0০৫- 3017 91006 ?0 181107653) নামক যে প্রবন্ধ লিখিয়াছেন, তাহা পাঠ করিলে আধুনিক সভ্যতার ব্যাধিলক্ষণ কিছু কিছু চোখে পড়িবে । তীব্র স্পরিহাসের দ্বার! প্রথরশাণিত সেই প্রবন্ধটি বাঙলায় অসগুবাদ কর! অসম্ভব। লেখাটি সভ্যমগুলীর রুচিকর হয় নাই) কিন্তু শ্রদ্ধেয় লেখক “স্বার্থপর সত্যতার বর্বরতার যে সকল উদাহরণ উদ্ধৃত করিয়া! দিয়াছেন, 'ব্তাহা প্রামাণিক। ছূর্বলের, প্রতি সবলের 'অভ্যাচার এবং হানাহ!নি- কাড়াকাড়ির যে চিজ তিনি উদবাটন করিয়াছেন, তাহার বিভীষিকা ' কার উজ্জল পরিহাসের জালোে ভীষপরূণে পরিস্ফুট হইয়ান্ছে। : রা শবা্থপন্বত|' যে মুরোগের সাহিতা ও ধর্মকে জঞ্জশ অধিকার ককথিতেছে; ভাঙা কাহারও অষগাচর নাই। ক্লিপ্লিং এক্ষণে ইংাজি. প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার আদর্শ। ৭৯. ০০০ সাহিত্যের শর্বস্থানে, এবং চেম্বর্পেন ইংরাজ রাষ্্ব্যাপারের এক জন গ্রধান কাগডারী। ধূমকেতুর ছোট মুণ্ডটির পশ্চাতে তাহার ভীষণ কাঁটার মত পুচ্ছটি দিগন্ত ধাঁটাইয়া আসে--তেমনি মিশনরির করধৃত খুষ্টান্‌ ধর্মালোকের পশ্চাতে কি দারুণ উৎপাত জগতকে সন্ত্রস্ত করে, তাহা এক্ষণে জগন্ধিখ্যাত হইয়া! গেছে। এ সম্বন্ধে মার্কটযোয়েনের মন্তব্য পাঁদটাকার উদ্ধত হইল ।* কচ 00172 00911010515 [010 006 “০ ০৫ 11001)” ০06 01011500095 159. [0 ০92/69 0007 0080 )08110915001019 00179501700, [01095 ৪. 50802 ৪00 10000006206 50070, 1006 009 750517656 216 006 09101511 ০1৮11156025 9০6 ৬1791 0567 12001) %/1)0117 ০1৮11200077 ৮1111 001 6511 99: 4৫1) 77155101081 00650100০0৫ ০08156) 000010125 &, 10151009 [01905. 1) 02 01508591910. 1 19100 116 ৪3 899606121] 0080 002 /০50০11 2০০19 091 0050128009 0৫ 006 51001076106 10216) 0026 161151995 10555101501 901157691 00810016505 09৮০1] 95001) 0128101258610105 216 091005- [100016 00 ঠ110150911706 65060161009, ৪170 91)0010 100 021 ০ 0150098176517217090 00 0090 50610 05250193 910010 195 80010650001 00617 50010195510]. 110 99117211616 15 009 079 10155101781 0188.1015861925 090500000 8 ০979080 1008179809 00 796809001 100911)9,010121 118610105.৮ 5/2// 206 7101096095১ 90211 ৮6 8০9 01) ০0216100176 001 58511280102 9091) 00০ 09০00165 00৪0 516 10) 0811017659) 01 5181] 56 0156 0005 0০0০৫ (10185 86501 90911 ৮5102181120 81680 1. 00৮ 0107010709১ 10110) 01005 985, 2100 ০001016 005 17657 0917081 60 006 82796 ; 017 51181] 86 50061 80 ৪170 51 00৮17 8170 6100 10 0৮5 মি9৮ ? ৬০10 16096 0 019060€ 80 £96 ০৪: 0151115561017409915 69850091787 586 1805 00800 5008 5 196 0) 10900 10 006 ছাওট ০01 01555 79805 ৪100. 11)501095%, ৪00 112%00 0015 200. 12000, 30905, ৪170 শু 90650518817 2 019055 01 21082595 210 -1101181765000017, (08506 5910509015.0285) £০০৫ 09010-%1119255 100) 079০0 90089109008 27009191362 1136 99০42), 8100. 2715 2$ 006 71086 8100 1955) 90 002৮ ৩1097 170061118570% 00৫05. ঃ 1. ভারতবর্ষ। প্রাচীন গ্রীক ও রোমক সত্যতারও মূলে এই রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ছিল। সেই অন্ত রাষ্থীয়-মহত্ব-বিলোপের সঙ্গে সঙ্গেই গ্রীক ও রোমক সভ্যতার অধঃপতন হইম়াছে। হিন্দুসভ্যত| রাষ্ট্রীয় ্রক্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত নহে। সেই জন্ত আমরা স্বাধীন হই ঝ৷ পরাধীন থাকি, হিন্দুসভ্যতাকে 'সমার্ের ভিতর হইতে পুনরায় সঞ্জীবিত করিয়া! তুনিতে পারি, এ, আশ৷ ত্যাগ করিবার নহে। | “নেশন” শব্দ আমাদের ভাষায় নাই, আমাদের দেশে ছিল না। সম্প্রতি যুরোপীয় শিক্ষাগ্ডণে স্যাশনাল্‌ মহত্বকে আমর! অত্যধিক আদর দিতে শিখিয়াছি। অথচ তাহার আদর্শ আমাদের অন্তঃকরণের মধ্যে নাই। আমাদের ইতিহাস, আমাদের ধর্ম, আমাদের সমাজ, আমা" দের গৃহ, কিছুই নেশনগঠনের প্রাধান্য শ্বীকার করে না। যুরোপে স্বাধীনতাকে ষে স্থান দেয়, আমরা মুক্তিকে সেই স্থান দিই। আত্মার স্বাধীনত! ছাড় অন্ত স্বাধীনতার মাহাত্য আমর! মানি না। রিপুর' বন্ধনই প্রধান বন্ধন--তাহ! ছেদন করিতে পারিলে রাজামহারাজার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠপদ লাভ করি । আমাদের গৃহস্থের কর্তব্যের মধ্যে ০ পপ পপ, পা পাপ 59116501001 609 ০9061006 017০ 19051100255 ০01 5611] ০08 006 11০- [০160 874 56870 8 00৮ (15111280001 ১০176016 016০665 ? [15105100175 006 81995106506 01511125000 00 ০৪ [310061 %/100 5165 10 10411017655 085 0960. ৪ ০9০90 (809. 200 1755 0810 50011, 010 0) 41015 7 2100 00916 15 1201৩5 10 10560 16০81608115 ০0116607006 106 600020, 17009 11050677610, 60108106817 00173108121016 1191. 80519521015, [5 0901016 026 916 (7 10851150635 21666001105 19 6 (0০. 508/:০০---000 50810 200 0090 91007. 4800 9001) ৫91100995 ৪9 9 70৮ 1606 9 15911506100 21 10701761610 00511520৫10 911: ৩1090510106 58006, 0006 10050 0 00956 7601315 796 51010 10211006335 10855 0561) 001719060 ত10) 10016 1161 (091) ৮95 20০0 001 (1960. 01 010105015 00105, ৯৩ 0856 ১৩০1) 10050101005, ৪ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার আদর্শ। ৮১ জে প্রত কর্তব্য জড়িত রহিগ্াছে। আমরা গৃহের মধোই সমন্ত ব্রন্মাণ্ড ও ত্রহ্মাগুপতির প্রতিষ্ঠা করিয়াছি। আমাদের সর্ধপ্রধান কর্তব্যের আদর্শ এই একটি মন্ত্রেই রহিয়াছে-_ ্রন্মনিষ্ঠে। গৃহস্থ: স্তাৎ তন্তজ্ঞানপরায়ণঃ| যদ্যৎ কর্ম প্রকুব্বাত তদুত্রন্ষণি সমর্পয়েৎ ॥ এই আদর্শ যথার্থভাবে রক্ষা কর৷ ম্তাশনাল্‌ কর্তব্য অপেক্ষা দুরূহ এবং মহত্তর। এক্ষণে এই আদর্শ আমাদের সমাজের মধ্যে সজীব নাই বলিয়াই, আমর! যুরোপকে ঈর্ষা করিতেছি। ইহাকে যদি ঘরে ঘরে সঞ্জীবিত করিতে পারি, তবে মউজর্‌ বন্দুক ও দম্দম্‌ বুলেটের সাহায্যে বড় হইতে হইবে না) তবে আমর! যথার্থ স্বাধীন হইব, স্বতন্ত্র হইব, আমাদের বিজেতার্দের অপেক্ষা। নুন হইব ন|। কিন্তু তাহাদের নিকট হইতে 'দরখান্তের দ্বার! যাহা পাইব, তাহার দ্বার! আমর! কিছুই বড় হইব না।, পনেরে| ষোলো! শতাব্দী খুব দীর্ঘকাল নহে। নেশন্ই থে সভ্যতার অভিব্যক্তি, তাহার চরম পরীক্ষা হয় নাই। কিন্তু ইহা দেখিতেছি, তাহার চারিত্র আদর্শ উচ্চতম নহে। তাহা অন্তায় অবিচার ও মিথ্যার দ্বার আকীর্ঘণ এবং তাহার মজ্জীর মধ্যে একটি ভীষণ নিষুরত; আছে। এই স্তাশনাল্‌ আদর্শকেই আমাদের আদর্শবূপে বরণ করাতে আমাদের মধ্যেও কি মিথ্যার প্রভাব স্থান পায় নাই? আমাদের রাষ্ীয় মভাগুলির মধ্যে কি নানাগ্রকার,মিথ্যা, চাতুরী ও আত্মগোপনের প্রাছর্ভাব নাই 1? আমর! কি যথার্থ কথাম্পষ্ট করিয়া বলিতে শিখি- তেছি ? আমর কি পরস্পর বলাবলি করি ন! যে, নিজের স্বার্থের জ্ত ' যাহ! দৃষণীয়, রাইীয স্বার্থের জন্ত তাহ! গহিত নহে। কিন্ত আমাদের শান্্েই কি বলে না1__ | : ধর্ম এব হতে হত ধর্দো রনক্ষতি রঙ্দিতঃ। ক্মীৎ ধর্দো। ন হস্তাবযো সা নো ধর্মে! হতে! ববীৎ ৯৮২. ভারতবর্ষ লা স্মিীস্ষি পাপী সপ বস্তত প্রত্যেক সভ্যতারই একটি মূল আশ্রয় আছে। সেই আশ্রয়টি ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত কি না, তাহাই বিচাধ্য। যদি ?তাহা উদার ব্যাপক না হয়, যদি তাহা ধর্শীকে পীড়িত করিয়! বর্ধিত হয়, তবে তাহার আপাত উন্নতি দেখিয়া আমরা তাহাকে যেন ঈর্ষা এবং তাহ।- কেই একমাত্র ঈপ্সিত বলিয়া বরণ না করি। আমাদের হিন্দুসভ্যতার মূলে সমাজ, যুরোপীয় সভ্যতার মুলে রাষ্রনীতি। সামাজিক মহত্বেও শাঞ্ুষ মাহাত্ম্য লাভ করিতে পারে, রাষ্ট্রনীতিক মহত্বেও পারে। কিন্তু আমরা যদি মনে করি, যুরোপীয় ছাদে নেশন্‌ গড়িয়া! তোলাই সভ্যতার একমাত্র প্রক্কৃতি এবং মনুষ্যত্বের একমান্র লক্ষ্য, তবে আমরা ভুল বুঝিব। পাটি সস সিএ এপ্স সিাতসিলাস্ পিপাসা সিল ৯. ৮৯ ৯ সিস্টার বারোয়ারি-মঙ্গল। আমাদের দেশের কোন বন্ধু অথব! বড়লোকের মৃত্যুর পর আমরা বিশেষ কিছুই করি না। এইজন্য আমর! পরস্পরকে অনেকদিন হইতে অরুঙজ বলিয়া নিন্দা করিতেছি--অথচ সংশোধনের কোন লক্ষণ দেখা যাইতেছে না। ধিকার যদি আন্তরিক হইত, লজ্জা যদি যথার্থ পাইতাম, তবে এতদিনে আমাদের ব্যবহারে তাহার কিছু-না" ভা পরিচয় পাওয়া মাইত । ্ কিন্ত কেন আমরা পরস্পরকে লজ্জা দিই, অথচ লজ্জা পাইনা? ইহার কারণ আলোচন! করিয! দেখা কর্তরা। ষ! মারিলে যদি দরজা না খোলে, তাকে দেখিতে হয়, তালা বন্ধ আছে:কি না। বারোয়ারি-মঙ্গল। ৮৩ “বসল পিসি পিপিপি পস্দিস্সসপিসপসপাপাানপাস্পিপাসপসিা সি স্বীকার করিতেই হুইবে, মৃত মান্তব্যক্তির জন্ত পাথরের মৃগ্তি গড়। আমাদের দেশে চলিত ছিল্‌ না) এইগ্রকার মার্বলপাথরের পিওদান- প্রথা আমাদের কাছে অভ্যন্ত নহে। আমর! হাহাকার করিয়াছি, অশ্রপাত করিয়াছি, বলিয়াছি, “আহা, দেশের এত-বড় লোকটাও গ্েল স্কিন্ত কমিটির উপর স্থৃতিরক্ষার ভার দিই নাই। এখন আমর। শিথিয়াছি এইরূপই কর্তব্য, অথচ তাহা আমাদের স্কারগত হয় নাই, এইজন্ত কর্তব্য পালিত না৷ হইলে মুখে লজ্জ! দিই, কিন্ত হৃদয়ে আঘাত পাই না। | ভিন্ন মানুষের হৃদয়ের বৃত্তি একরকম হইলেও বাহিরে তাহার প্রকাশ নানাকারণে নানারকম হুইয়া থাঁকে। ইংরাজ প্রিয়ব্যত্তির মৃতদ্গেহ মাটির মধ্যে ঢাকিয়। পাথরে চাঁপা! দিয়া রাখে, তাহাতে নামধাম-তারিখ খুিয়া রাখিয়! দেয় এবং তাহার চারিদিকে ফুলের গাছ করে। আমর! পরমাতীয়ের মৃতদেহ শ্মশানে তন্ম করিয়া চলিয়া আসি। কিন্ত প্রিয্- জনের প্রি্বত্ব কি আমাদের কাছে কিছুমাত্র অল্প? ভালবাসিতে এবং শোক করিতে আমরা জানি না, ইংরাজ জানে, এ কথ! কবর এবং শশানের সাক্ষ্য লইয়া ঘোষণা করিলেও, হৃদয় তাহাতে সায় দিতে পারে না। ইহার অন্ুন্ূপ তর্ক এই যে, প্ধ্যাক্কু*র প্রতিবাক্য আমরা বাংলায় ব্যবহার করি না, অতএব আমরা অকৃতজ্ঞ । আমাদের হৃদয় ইহার উত্তর এই বলিয়া! দেয় যে, কৃতজ্ঞতা আমার যে আছে, আমিই তাহ জানি, অতএব থথ্যান্ক যু”বাক্য ব্যবহারই যে কৃতজ্ঞতার একমাত্র পরি" য়), ভাহ। হইতেই পায়ে না । ক : "থ্যান্যুপষের দ্বারা হাতে-হাতে কৃতজ্ঞতা বাড়িয়া ফেলিবার, একটা চেষ্ট! আছে, সেটা আমরা 'জবাবস্বরূপ বলিতে পারি। যুরোপ, কাহারো কাছে বাধ্য থাকিতে চাহে না--সে হ্বতক্র। কাঁজাক “কাছে, ৮৪ ভারতবর্ষ । তাহার কোন দাবী নাই, সুতরাং যাহ। পায়, তাহা সে গায়ে রাখে না। উধিয্ন। তখনি নিষ্কৃতি পাইতে চায়। | পরম্পরের প্রতি আমাদের দাবী আছে, আমাদের সমাজের গঠনই: সেইরপ। আমাদের সমাজে যে ধনী, সে দান করিবে? যে গৃহী, সে আতিথ্য করিবে? ষে জ্তানী, সে অধ্যাগন করিবে) যে জ্যেষ্ঠ, সে পালন করিবে; যে কনিষ্ঠ, সে সেবা করিবে) ইহাই বিধান। পরম্পরের দাবীতে আমর! পরস্পর বাধ্য । ইহাই আমর মঙ্গল বলিয়া জানি। প্রার্থী যদি ফিরিয়। যায়, তবে ধনীর পক্ষেই তাহা অশ্তত, অতিথি যদ্ধি ফিরিয়! যায়, তবে গৃহীর পক্ষেই তাঁহা অকল্যাণ। গুভকর্্ম কর্মকর্তার পক্ষেই গুভ। এইজন্ত নিমন্ত্রণকারীই নিমন্ত্রিতের নিকট কৃতজ্ঞতা" ত্বীকার করেন। আহৃতবর্গের সস্তোষে যে একটি মক লজ্যোতি গৃহ পরিব্যাপ্ত করিয়। উদ্ভাসিত হয়, তাহ! নিমন্ত্রণকারীর পক্ষেই পুরস্কার ।, আমাদের দেশে নিমন্ত্রণের প্রধানতম ফল নিমন্ত্রিত পায় না, নিমন্ত্রণ" কারীই পায়--তাহা, মঙ্গলকর্ম স্ুসম্পন্ন করিবার আনন্দ, তাহা রসনা" ভৃণ্ডির অপেক্ষা অধিক। এই মঙ্গল যদি আমাদের সমাজের মুখ্য অবলম্বন না হইত, তৰে সমাজের গ্রর্কৃতি এবং কর্ণ অন্ত রকমের হইত। স্বার্থ এবং দ্বাতস্ত্রাকে যে বড় করিয়! দেখে, পরের জন্ত কাজ করিতে তাহার সর্বদা উত্তেজন! আবগ্তক করে| সে যাহা দেয়, অস্তত তাহার একটা রসিদ লিখিয়াঁ রাখিতে চাঁয়। তাহার যে ক্ষমতা আছে, সেই ক্ষমতার ভ্বারা অভ্র উপরে সে বদি প্রভাব বিস্তার করিতে না পারে, তবে ক্ষমতা প্রয়োগ করিবার যথেষ্ট উৎসাহ তাহার না থাকিতে পারে। এইজন্ত শ্বাতগ্্য-- প্রধান সমাজকে ক্ষমতাশালী লোকের কাছ হইতে কাজ আদার করিবার, জন্তু নর্বদ] বাহুব! দিতে হয়; যেদান করে, তাছার যেমন সমায়োহ» “য়ে গ্রহণ করে, তাহারও তেমনি অনেক আয়োজনের দয়কার হয়) বারোয়ারি-মঙ্গল। ৮৫ গ্রত্যেক সমাজ নিজের বিশেষ প্রকৃতি এবং বিশেষ আঁবশ্তক অন্ুদারে নিজের নিয়মে নিজের কাজ উদ্ধারে প্রবৃত্ত হয়। দাতা দান করিয়াই কৃতার্থ, এই ভাবটার উপরেই আমরা অত্যন্ত ঝৌক দিয়া থাকি; আর গ্রহীতা গ্রহণ করিয়া কৃতার্থ, এই ভাবটার উপরেই যুরোপ অধিক ঝৌক দিয় থাকে। স্বার্থের দিক্‌ দিয়া! দেখিলে যে গ্রহণ করে, তাহারই গরজ “বেশি, মঙ্গলের দিক্‌ দিয়া! দেখিলে যে দান করে, তাহারই গরজ বেশি। অতএব আদর্শভেদে ভিন্ন সমাজ ভিন্ন পথ দিয়া নিজের কাজে যাত্রা করে। কিন্ত স্বার্থের উত্তেজন! মানবপ্রক্কৃতিতে মঙ্গলের উত্তেজনা! অপেক্ষ। সহজ এবং প্রবল, তাহাতে সন্দেহ নাই। অর্থনীতিশান্ত্রে বলে, ডিমাণ্ড, অনুদারে সাপ্লাই অর্থাৎ চাহিদা অন্থুদারে যোগান্‌ হুইয়! থাচক। খরিদৃ- দারের তরফে যেখানে অধিক মূল্য হাকে, ব্যবসাদারের তরফ হইতে 'মেইখানেই অধিক মাল আসিয়া পড়ে। যে সমাজে ক্ষমতার মুল্য বেশি, সেই সমাজেই ক্ষমতাশালীর চেষ্টা বেশি হইয়া থাকে, ইহাই সহজ দ্বতাবের নিয়ম। কিন্তু আমাদের হৃষ্টিছাড় ভারতবর্ষ বরাবর সহজ ন্বভাবের নিয়- মের উপর জয়ী হইবার চেষ্টা করিয়াছে। অর্থনীতিশান্ত্র আর সব জায়গাতেই খাটে, কেবল ভারতবর্ষেই তাহা৷ উলট্‌পালট্‌ হইয়া যায়। ছোট বড় সকল বিষয়েই ভারতবর্ষ মানবন্বভাবকে সহজ শ্বভাবের উরে তাখিতে চেষ্টা করিয়াছে। ক্ষুধাতৃষ্ণ। হইতে আরস্ত করিয়া ধনমান- সম্ভোগ পর্য্যস্ত কোন বিষয়েই তাহার চালচলন সহজরকম নহে । আর কিছু না পায় ত অন্তত তিথিনক্ষত্রের দোহাই দিয়া সে আমাদের অত্যন্ত স্বাভাবিক গ্রবৃত্বিগুলাকে পদে-পদে প্রতিহত করিয়া রাখে। এই ছুঃসাধ্য কার্যে সে অনেক সময় মূঢ়তাকে সহায় করিয়া! অবশেষে সেই সুতার দ্বারা নিজের সর্বনাশসাধন করিয়াছে। ইহা হইতে, তাহায় চেষ্টার এফাস্ত লক্ষ্য কোন্‌ দিকে, তাহা বুঝ! যায়। ৮৬ ভারতবর্ষ। পসসিসটিপাকাস পা লি পপি দুর্ভাগ্যক্রমে মানুষের দৃষ্টি সন্ধীর্ণ। এইজন্ত তাঁহার প্রবল চেষ্টা, এমন-সকল উপায় অবলম্বন করে, যাহাতে শেষকালে সেই উপাদ্ষের দ্বারাতেই সে মার! পড়ে। সমস্ত সমাজকে নিফাম মঙ্গলকর্থে দীক্ষিত করিবার প্রবল আবেগে ভারতবর্ষ অন্ধতাকেও শ্রেয়োজ্ঞান করিয়াছে ।। এ কথা ভুলিয়া গেছে যে, বরঞণ স্বাথের কাজ অন্ধভাবে চলিতে পারে, কিন্ত মঙ্গলের কাজ তাহা পারে নাঁ। সজ্জান ইচ্ছার উপরেই মঙ্গলের মঙ্ণত্থ গ্রতিষ্ঠিত| করেই হউক, আর বলেই হউক, উপযুক্ত কাজটি: করাই! লইতে পারিলেই স্থার্থসাধন হয়, কিন্তু সম্পূর্ণ বিবেকের সঙ্গে কাছ না করিলে কেবল কাজের দ্বার মঙ্গলসাধন হইতে পারে না। তিথিনক্ষত্রের .বিভীষিকা এবং জন্মজন্মাস্তরের সদগতির লোভ দ্বারা মঙ্গলকাঁজ করাইবার চেষ্টা করিলে, কেবল কাজই করান হয়, মঙ্গল করান হয় না। কারণ, মঙ্গল স্বার্থের স্তায় অন্য লক্ষ্যের অপেক্ষা করে না, মঙ্গলেই মঙ্গলের পূর্ণতা । কিন্তু বৃহৎ জনসমাজকে এক আদর্শে বাধিবার সময় মানুষের ধৈর্য্য থাকে না। তখন ফললাভের প্রতি তাহার আগ্রহ ক্রমে যতই বাড়িতে, থাকে, ততই উপায়সন্বন্ধে তাহার আর বিচার. থাকে না। রাষ্ট্রহিতৈষা. বে-সকল দেশের উচ্চতম আদর্শ, সেখানেও এই অন্ধত৷ দেখিতে পাওয়া ষায়। রাষট্রছিতৈষার চেষ্টাবেগ যতই বাড়িতে থাকে, ততই সত্যমিথ্য! স্তায়অন্তায়ের বুদ্ধি তিরোহিত হইতে থাকে। ইতিহাসকে অনীক: করিয়া, গ্রতিজ্ঞাকে লঙ্ঘন করিয়া, ভদ্রনীতিকে উপেক্ষা করিয়া, রাষ্ট্র মহ্মাকে বড় করিবার চেষ্ট! হয়, অন্ধ অহঙ্কারকে প্রতিদিন অভ্রভেদী; করিয়! তোলাকেও শ্রেয় বলিয়া বোধ হইতে থাকে--অবশেষে, ধর্ম, ঘিনি সকলকে ধারণ করিয়া রক্ষা করেন, তাহাকে সবলে আঘাত করিয়। নিজের আঁশ্রয়পাখাটিকেই ছেদন কর! হয়। ধর কলের মধ্যেও বিনষ্ট হন, বলের দ্বারাও বিক্ষিপ্ত হইয়। থাকেন । আমরা আমাদের মঞজলকে বারোয়ারি-মঙ্গল। : ৯৮৭ দন লীলা ৪৮০ ৮০০ পিপি ৯ সিল পাপা তত হাসি ৯ পা পি পাপা কলের মধ্যে ধ্য ধরিয়া রাখিতে গিয়। মারিয়৷ ফেলিয়াছি, যুরোপ স্বারোর- তিকে বলপূর্বক চাপিয়া রাখিতে গিয়া গ্রত্যহই বিনাশ করিতেছে । অতএব, আমাদের প্রাচীনসমাজজ আজ নিজের মঙ্গল হারাইয়াছে, হুর্গাতর বিস্তীর্ণ জালের মধ্যে অঙ্গে-গ্রতাজে জড়ীভূত হইয়া আছে, ই€। প্রত্যক্ষ দেখিতেছি বটে) তবু বলিতে হুইবে, মঙ্গলকেই লাভ করিবার জন্ত ভারতবর্ষের সর্বাঙ্গীণ চেষ্টা ছিল। স্বার্থমাধনের গ্রয়াসই যদি স্বভাবের সহজ নিয়ম হয়, তবে মে নিয়মর্চে ভারতবর্ষ উপেক্ষা করিয়াছিল। সেই নিয়মকে উপেক্ষা করিয়াই যে তাহার ছুর্গতি ঘটি্রাছে, তাহা নহে) কারণ, সে নিয়মের বশবর্তী হইয়াও গুরুতর দুর্গতি ঘটে-_কিস্তু সমাজকে সকল দিক্‌ হইতে মঙ্ললজালে জড়িত করিধার প্রবল চেষ্টায় অন্ধ হইয়া], সে নিজের চেষ্টাকে নিজে ব্যর্থ করিয়াছে । ধৈর্য্যের সহিত যদি জ্ঞানের উপর এই মঙ্গলকে প্রতিষ্ঠিত করিবার চেষ্টা করি, তবে আমাদের সামাজিক আদর্শ সত্য জগতের সমুদয় আদর্শের অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হইবে । অর্থাৎ আমাদের পিতামহদের শুভ ইচ্ছাকে যদি কলের দ্বারা সফল করিবার চেষ্টা না করির৷ জ্ঞানের গ্রার সফল করিবার চেষ্টা করি, তবে ধর্্থ আমাদের সহায় হইবেন। কিন্তু কল-কিনিষটাকে একেবারে বর্ধান্ত কর! যায় না। এক এক দেবতার এক এক বাহন আছে--সম্প্রদায়দেবতার বাহন কল। বহুত লোককে এক আদর্শে গঠিত করিতে গেলে বোধ করি বারো-আন৷ লোককে অন্ধ অভ্যাসের বশবত্তী করিতে হয়। দ্রগতে বত ধর্মমসম্প্রদায় আছে, তাহাদের মধ্যে সন্তান নিষ্টাসম্পন্ন লোক বেশি পাওয়া বায় ন। খ্ষ্টানজ্াতির মধ্যে আস্তরিক খ্রীষ্টান কত অল্প, তাহা ছর্ভাগ্যক্রমে আমর! জানিতে পাইয়াছি। এবং হিন্দুদের মধ্যে অন্ধসংস্কারবিদুক্ত বখার্থ জানী হিন্ু যে কত বিরল, তাহা আমর! চিরাভ্যাসের জড়ত।- বশত ভাল করিয়! জাঁনিতেও পাই না। সফল লোকের প্রন্কতি খন: ৮৮ ভারতবর্ষ | এক হয় না, তখন এক আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করিতে গেলে অনেক বাজে মাল্মস্লা আসি পড়ে। যে সকল বাছা-বাছা লোক এই আদর্শের অনুসারী, তীহার! সাম্প্রদায়িক কলের ভাবটাকে প্রাণের দ্বারা ঢাকিয়া লন। কিন্তু কলটাই যদ্দি বিপুল হুইয়! উঠিয়! প্রাণকে পিষিয়া ফেলে, প্রাণকে খেলিবার সুবিধা না দেয়, তবেই বিপদ্‌। সকল দেশেই মাঝেমাঝে মহাপুরুষরা উঠিয়া! সামাজিক কলের বিরুদ্ধে সকলকে মচেতন করিতে চেষ্ট৷ করেন--সকলকে সতর্ক করিয়া বলেন, কলের অন্ধ গতিকেই সকলে প্রাণের গতি বলিয়া! যেন ভ্রম না করে। অল্পদিন হুইল, ইংরাজসমাজে কার্লাইল এইরূপ চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইয়া- ছিলেন। অতএব বাহনটিই যখন সমাজদেবতার কাধের উপর চড়িয়! বিবার চেষ্টা করে, যন্ত্র যখন যন্ত্রীকেই নিজের যন্্ব্ূপ করিবার উপক্রম কচর, তখন সমাজে ও মমাজের কলে মাঝেমাঝে ঝুটাপুটি বাধিয়া যায়। মানুষ যদি সেই যুদ্ধে কলের উপর জয়ী হয় তভাল, আর কল যদি মানুষকে পরাভূত করিয়া চাকার নীচে চাপিয়া রাখে, তবেই সর্বনাশ । | আমাদের সমাজের প্রাচীন কলটা নিজের সচেতন আদর্শকে অন্তরাল করিয়া ফেলিয়াছে বলিয়া, জড় অনুষ্ঠানে জ্ঞানকে সে আধমরা! করিয়া পিঁজরার মধ্যে আবন্ধ করিয়াছে বলিয়া, আমর! যুরোপীয় আদর্শের সহিত নিজেদের আদর্শের তুলনা করিয়! গৌরব অনুভব করিবার অবকাশ পাই না। আমর! কথায়-কথায় লজ্জা পাই। আমাদের সমাজের ছূর্ভেদ্য জড়ন্ত,প হিন্গুসত্যতার কীত্তিস্তস্ত নহে-_ ইহার অনেকটাই নুদীর্ঘকালের আযন্বসঞ্চিত ধুলামান্র। অনেকসময় সুরোপী়্ সভ্যতার কাছে ধিকার পাইয়া আমরা এই ধুলিত্তপকে লইক়াই গায়ের জোরে গর্ব করি-কালের এই সমস্ত অনাহৃত আবর্জনারাশিকেই আমরা আপনার বলিয়া অভিমান করি--ইহার বারোয়ারি-মঙ্গল। ৮৯ পপি পিপাসা পাপাপাপাপিপাপস্পিপাপিপপিিথ অভ্যন্তরে যেখানে আমাদের বথার্থ গর্ধের ধন হিন্দুসভ্যতার প্রাচীন আদর্শ আলোক ও বায়ুর অভাবে মূচ্ছান্থিত হইয়া পড়িয়া আছে, সেখানে দৃষ্টিপাত করিবার পথ পাই না। এ প্রাচীন ভারতবর্ষ স্থখ, স্বার্থ এমন কি খ্রশ্থ্য্যকে পর্য্যন্ত থর্ব করিয়া 'মঙ্গলকেই যে ভাবে সমাজের প্রতিষ্ঠাস্থল করিবার চেষ্টা করিয়াছিল, এমন আর কোথাও হয় নাই। অন্যদেশে ধনমানের ভন্থা, গ্রতুত্ব- ঘর্জনের জন্য, হানাহানি-কাঁড়াকাঁড়ি করিতে সমাজ প্রত্যেককেই উৎসাহ দিয়। থাকে। ভারতবর্ষ সেই উৎসাহকে সর্বগ্রকারে নিরন্ত করিরাছে; কারণ স্থার্থোক্ধতি তাহার লক্ষ্য ছিল ন।, মঙ্জলই তাহার লক্ষ্য ছিল। আমরা--ইংরাজের ছাত্র আজ :বলিতেছি, এই প্রতি- 'যোগিতা--এই ,হানাহানির অভাবে আমাদের আজ ছুর্গতি হইয়াছে। প্রতিযোগিতার উত্তরোত্তর প্রতয়ে ইংলগু-ক্রান্স-জন্মণি-রাশিয়া- আমেরিকাকে ক্রমশ কিরূপ উগ্র হিংঅরতার দিকে টানিয়া লইয়! যাইতেছে, কিরূপ প্রচণ্ড সংঘাতের মুখের কাছে দাড় করাইয়াছে, সভ্যনীতিকে প্রতিদিন কিরূপ বিপর্যস্ত করিয়। দিতেছে, তাহ দেখিলে প্রতিযোগিতাপ্রধান সভ্যতাকেই চরম সভ্যতা :বলিতে কোনমতেই প্রবৃত্তি হয় না। বলবুদ্ধি ও খরশ্বর্ধ্য মনুষ্যাত্বের একটা অঙ্গ হইতে পারে, কিন্তু শাস্তি, সামঞ্রন্ত এবং মঙ্গলও কি তদপেক্ষ! উচ্চতর অঙ্গ নহে? তাহার আদর্শ এখন কোথায়? এখনকার কোন্‌ বণিকের 'আপিসে, কোন্‌ রণক্ষেত্রে? কোন্‌ কালো! কোর্তায়, লাল কোর্তায় বা খাখি কোর্তায় সে সজ্জিত হইয়াছে 1 সে ছিল প্রাচীন ভারতবর্ষের কুটারপ্রাঙ্গণে শুত্র উত্তরীয় পরিয়া। সে ছিল ব্রহ্ধপরায়ণ তপন্বীর স্তিমিত ধ্যানাসনে, সে ছিল ধর্মাপরায়ণ আর্ধ্য গৃহন্থের কর্মমুখক্মিত বজ্ঞশালায়। দল বীধিয়! পূজা, কমিটি করিয়া শোক বা! চাদ! করির! কৃতজ্ঞতাগ্রকাশ, এ আমাদের জাতির গ্ররুতিগত নহে, এ কথ! ৯5 ভারতবধ । রাহী কারার কের আমাদিগকে ্বীকার করিতেই হইবে। এ গৌরবের অধিকার আমা- দের নাই-_কিন্তু তাই বলিয়া! আমরা লজ্জা পাইতে গ্রস্ত নহছি। ংসারের সর্বজই হরণ-পূরণের নিয়ম আছে। আমাদের বাঁদিকে কম্তি থাকিলেও ডান-দিকে বাড়তি থাকিতে "পারে । যে ওড়ে, তাহার ডান! বড়, কিন্ত পা ছোট )ষে দায়, তাহার পা বড়, কিন্ত ডান! নাই। আমাদের দেশে আমর! বলিয়। থাকি, মহাত্বাদের নাম প্রাতঃ- শ্বরণীয়। তাহা কৃতঙ্ঞতার খণ শুধিবার জন্ত নহে-_ভক্তিভাজনকে দিবসারস্তে যে ব্যক্তি ভক্তিভাবে স্মরণ করে, তাহার মঙ্গল হয়,__ মহাপুকষদের তাহাতে উৎপাহবৃদ্ধি হয় না, যে তক্তি করে, সে ভাল হয়। ভক্তি-কর৷ প্রত্যেকের প্রাত্যহিক কর্তব্য । কিন্তু তবে ত 'একটা লম্বা নামের মাল! গাঁধিয়া প্রতাহ আওড়াইতে হয় এবং দে মালা ক্রমশই বাড়িয়া চলে। তাহা! হয় না। যথার্থ তক্তিই যেখানে উদোশ্ত, সেখানে মাল! বেশি বাড়িতে পারে না। ভক্তি «যদি নিজ্জীব না হয়, তবে সে জীবনের ধর্শ-মনুসারে গ্রহণ-বর্জন করিতে থাকে কেবলি সঞ্চয় করিতে থাকে না| পুস্তক কতই প্রকাশিত হইতেছে__কিস্ত যদ্দি অবিচাঁরে সঞ্চয় করিবার প্রবৃত্তি না থাকে, যদি মনে করি, কেবল যে বইগুলি যথার্থই আমার প্রিয়, যাহা! আমার পক্ষে চিরদিন পড়িবার যোগ্য, সেইগুলিই রক্ষা করিব, তবে শতবৎসর পরমাযু হইলেও আমার পাঠাগ্রস্থ আমার পক্ষে দুর্ভর হইয়া উঠে না। তেমনি আমার প্রকৃতি যে মহাত্বাদের প্রত্যহম্মরণযোগ্য বলিয়! ভক্তি করে, তাহাদের নাম যদি উচ্চারণ করি, ভবে কতটুকু সময়; লয়! প্রত্যেক পাঠক বদি নিজের মনে চিত্ত! করিয়। দেখেন, তবে কয়টি নাম তাহাদের মুখে আমে? ভক্তি ধঁহাদিগ্রকে হৃদয়ে সজীব! বারোয়ারি মঙ্গল। ৯১ সম ইপিপা্পীসস পাশা পাপা পাপা? ৯ ওলা করিয়া! ন| রাখে, বাহিরে তাহাদের পাথরের মূর্তি গড়িয়। রাখিলে আমার তাহাতে কি লাভ? তাহাদের তাহাতে লা আছে, এমন কথা উঠিতেও পারে। লোকে দল বাঁধিয়া প্রতিম! স্বাপন করিবে, অথবা! মুতদেহ বিশেষ স্থানে সমাহিত হইয়! গৌরব প্রাপ্ত হইবে, এই আশ! স্পষ্টত বা অলক্ষ্যে মনকে উৎদাহ দিতেও পারে। কবরের দ্বারা খ্যাতি লাভ করিবার একটা মোহ আছে, তাহা তাজমহল প্রভৃতির ইতিহাস হইতে জান বায়। কিন্ত আমাদের. সমাজ মহাত্বাদিগকে সেই বেতন দিয়া বিদায় করিতে চাহে নাই। আমাদের সমাজে মাহাত্মা সম্পূর্ণ বিনা-বেতনের | ভারতবর্ষে অধ্যাপক, সমাঞ্ষের নিকট হইতে ব্রাঙ্ষণের প্রাপ্য দান- দক্ষিণা গ্রহণ করিয়া থাকেন, কিন্ত অধ্যাপনার বেতন শোধ করিয়া দিয়া আমাদের সমাজ তাহাদিগকে অপমানিত করে না। পূর্বেই বলিয়াছি, মঙ্গলকর্্ম যিনি করিবেন, তিনি নিজের মঙ্গলের জন্যই করিবেন, ইহাই ভারতবর্ষের আদর্শ। কোন বাঁহ্‌মূল্য লইতে গেলেই মঙ্লের মূল্য কমিয়া ঘায়। দলের একটা উৎসাহ আছে, তাহা সংক্রামক--তাছা মুঢ়ভাবে পরস্পরের মধ্যে সঞ্চারিত হয়--তাহার অনেকটা অলীক । ণগোলে হুরিবোল” ব্যাপারে হরিবোল যতট। থাকে, গোলের মাত্রা তাহ। অপেক্ষা অনেক বেশি হইয়া পড়ে। দলের আন্দোলনে অনেকসময় তুচ্ছ উপলক্ষ্যে ভক্তির ঝড় উঠিতে পারে-_তাহার সাময়িক প্রবলতা যতই. হোক না কেন, ঝড়-জিনিষট। কখনই স্থায়ী নহে । সংসারে এমন কতবার কতশত দলের দেবতার অকন্মাৎ সি হইয়াছে এবং জয়ঢাক ৰাজিতে বাজিতে অতলম্পর্শ বিস্থৃতির মধ্যে তাহাদের বিসর্জন হুইয়! গেছে। পাখরের মূর্তি গড়ি! জবর্দত্তি করিয়! কি কাহাকেও- ৯২ | ভারতবর্ষ । মনে রাখা যায়? ওয়েষ্টমিন্ার আবিতে কি এমন অনেকের নাম পাথরে খোদা হয় নাই, ইতিহাসে যাহাদের নামের অক্ষর প্রত্যহ ক্ষুদ্র ও ম্লান হইয়া আসিতেছে । এই সকল ক্ষণকালের দেবতাঁগণকে দলীয় উৎসাহের চিরকালের আসনে বদসাইবার চেষ্টা করা, না দেবতার পক্ষে ভাল, না দলের পক্ষে গুভকর। দলগত প্রবল উত্তেজনা যুদ্ধে-বিগ্রহে এবং প্রমোদ-উৎসবে উপযোগী হইতে পারে, কারণ ক্ষণিকতাই তাহার প্রক্ৃতি_কিস্তু স্নেহ প্রেম-দয়া-ভক্তির পক্ষে সংযত-সমাহিত শাস্তিই শোভন এবং অনুকূল, কারণ তাহা অকৃত্রিম তা এবং ঞ্রবতা চাহে, উন্মত্ব- তায় তাহ। আপনাকে নিঃশেষিত করিতে চাহে না। মুরোপেও আমর! কি দেখিতে পাই ? সেখানে দল বীধিয়। যে ভক্তি উচ্ছ'সিত হয়, তাহা কি যথার্থ ভক্তিভাজনের বিচার করে ? তাহা কি সাময়িক উপকারকে চিরস্তন উপকারের অপেক্ষা বড় করে না, তাহা কি গ্রাম্যদ্েবতাকে রিশ্বদেবতার চেয়ে উচ্চে বসায় না? তাহ। মুখর দ্লপতিগণকে যত সম্মান দেয়, নিভৃূতবাসী মহাতপন্বীদিগকে কি তেমন সম্মান দিতে পারে? গুনিয়াছি লর্ড. পামার্ষ্টনের সমাধিকালে যেরূপ বিরাট সম্মানের সমারোহ হইয়াছিল, এমন কচিৎ হুইয়া.থাকে। দুরে হইতে আমাদের মনে একথ। উদয় হয় যে, এই তক্তিই কিশ্রেয়? পামার্ইঈটনের নামই কি ইংলগ্ডের প্রাতঃম্মরণীয়ের মধ্যে-_সর্বাগ্রগণনীয়ের মধ্যে স্থান গাইল ? দলের চেষ্টায় যদি কিম উপারে সেই উদ্দেস্ত কিয্ৎপরিমাণে সাধিত হইয়া থাকে, তবে দলের চেষ্টাকে প্রশংসা করিতে পারি নাযদি না হইয়া থাকে, তবে সেই বৃহৎ আড়ম্বরে বিশেষ গৌরব করিবার এমনি কি কারণ আছে? ধাহাদের নামন্মরণ আমাদের সমস্ত দিনের বিচির মঙগলচেষ্টর উপযুক্ত উপক্রমণিক বলিয়! গণ্য হইতে পারে, তাহারাই আমাদের প্রাতঃক্মণীয়। তাহার অধিক আর বৌবাই করিবার কোন দরকার বারোয়ারি-মঙ্গল। ৯৩ অপিপাস্পািসিপাসিপাসিপাসিপাসিীসিপাসিপীসিাসিপাসিপাস্পাসিলাসিিসিলািপিসিাস্পিস্পািস্পিস্পিিি পিপাসা সিসি নাই। ব্যয়কাতর কূপণের ধনের মত, ছোট-বড়-মাঝারি, ক্ষণিক এবং চিরস্তন, সকলপ্রকার মাহাত্ম্যকেই শাদ। পাথর দিয়া চাপ! দিয়া রাখি- বার প্রবৃত্তি যি আমাদের ন! হয়, তবে তাহা! লইয়া লজ্জা না করিলেও চলে। তক্িকে যদি প্রতিদিনের ব্যবহারযোগ্য করিতে হয, তৰে তাহ! হইতে প্রতিদিনের অভাগত অনাবশ্ঠক ভারগুলি বিদায় করিবার উপায় রাখিতে হর, তাহার বিপরীত প্রণালীতে সমস্তই স্ত,পাঁকার করিবার চেষ্টা না করাই ভাল। যাহ! বিনষ্ট হইবার, তাহাকে বিনষ্ট হইতে দিতে হইবে, যাহা অগ্নিতে দগ্ধ হইবাঁর, তাহ! ভন্ম হইয়া যাক! মৃতদেহ যদি লুপ্ত হইয়া না যাইত, তৰে পৃথিবীতে জীবিতের অবকাশ থাকিত না, ধরাতল একটি প্রকাণ্ড কবরস্থান হইয়৷ থাকিত। আমাদের হৃদয়ের ভক্তিকে পৃথিবীর ছোট এবং বড়, খাঁটি এবং ঝু্টা, সমস্ত বড়ত্বের গোরস্থান করিয়া রাখিতে পারি নাঁ। যাহা চিরজীবী, তাহাই থাক্‌ ) যাহা মৃত- দেহ, আব্রবাদে-কাল কীটের খান্ত হইবে, তাহাকে মুগ্ধন্নেহে ধরিয়া রাখিবার চেষ্টা না করিয়। শোকের সহিত অথচ বৈরাঁগ্যের সহিত শ্মশানে ভন্ম করিয়া আসাই বিহিত। পাছে ভুলি, এই আশঙ্কায় নিজেকে উত্তেজিত রাধিবার জন্ত কল বানাইবার চেয়ে ভোলাই ভাল। ঈশ্বর আমাদিগকে দয়া করিয়াই বিশ্মরণশক্তি দিয়াছেন। সঞ্চয় নিতান্ত অধিক হুইয়। উঠিতে থাকিলে, বাছাই.করা সাধ্য - হয়। তাহা ছাড়! সঞ্চয়ের নেশা বড় হুর্জয় নেশা--একবার বদি হাতে- কিছু জমিয়! যায়, তবে জমাইবার ঝৌক আর সামলানো! যায় না। আমাদের দেশে ইহাকেই বলে-_নিরানব্বইয়ের ধাকা। যুয়োপ একবার, বড়লোক জমাইতে আরম করিয়া এই নিরানব্বইয়ের আবর্ের মধ্যে. পড়িয়া গেছে। হুরোপে দেখিতে পাই, কৈহ ব! ডাকের টিকিট[জমায়*, ৯৪ ভারতবর্ষ। সিন্স সিসি ত সসপস্ছিলা্িল সি পা্পাসপসপাসাসসপসি পাস পাস পাপ পি পাস সপ পাস কেহ হব দেশালাইয়ের বাকের কাগজের আচ্ছাদন জমার, কেহব৷ পুরাতন জুতা, কেহ বা! বিজ্ঞাপনের ছবি জমাইতে থাকে-_সেই নেশার রোখ যতই চড়িতে থাকে, ততই এই মকল জিনিষের একটা কৃত্রিম সূল্য অসম্ভবরূপে বাড়িয়া উঠে। তেমনি যুরোপে মৃত বড়লোক জমাইবার ষে একটা! প্রচণ্ড নেশা আছে, তাহাতে মূল্যের বিচার আর _খাকে না। কাহাকেও আর বাদ দিতে ইচ্ছা করে না। যেখানে একটুমাত্র উচ্চত! ৰ! বিশেষত্ব আছে, সেইথানেই যুরোপ তাড়াতাড়ি সিঁদুর মাখাইয় দিরা ঘণ্ট। নাড়িতে থাকে। দেখিতে দেখিতে দল ভুটিয়। যায়। বস্তত মাহায্স্যের সঙ্গে ক্ষমতা বা প্রতিভার প্রভেদ আছে। মহা- আসার আমাদের কাছে এমন একটি আদর্শ রাখিয়া যান, যাহাতে তাহাদিগকে ভক্তিভরে স্মরণ করিলে জীবন মহত্বের পথে আকৃষ্ট হয়, কিন্তু ক্ষমতাশালীকে স্মরণ করিয়া আমর! যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইতে পারি, তাহা নছে। ভক্তিভাবে শেক্স্পিয়রের স্রণমাত্র আমাদিগকে শেকৃস্‌- পিক্রের গুণের অধিকারী করে না, কিন্তু যধার্থভাবে কোন সাধুকে অথবা বারকে ম্মরণ করিলে আমাদের পক্ষে সাধুত্ব ব৷ বীরত্ব ফিয়ৎ" পরিমাথেও দরল হইয়া আসে। ্‌ তবে গুণিনম্বন্ধে আমাদের কি কর্তব্য? গুণীকে তাহার গুণের স্বারা স্মরণ করাই আমাদের স্বাভাবিক কর্তব্য। শ্রদ্ধার সহিত তান, এসনের গানের চর্চা করিয়াই গুণমুগ্ধ গারকগণ তানসেমফে যথার্থভাবে স্মরণ করে। ফ্রুপদ শুনিলে যাহার গায়ে জর আসে, সে-ও তানসেনের প্রতিমা গড়িবার অন্ত টাদ। দিয়! ধ্রহিক-পার্রিক, কোন ফললাভ করে, একথা মনে করিতে পারি না। সকলকেই যে গানে ওস্তাদ হইতে হইবে, এমন কোন অবস্তবাধ্যতা নাই। কিন্তু সাধুতা রা! বীরত্ব সকলে” বরই, পক্ষে মাদর্শ। সাধুদিগের 'এবং মহতকর্থে প্রাগষিপর্জনপর, বারোয়ারি-মঙ্গল। ৯৫ ক বীরদিগের শ্বৃতি মনকলেরই পক্ষে মঙ্গলকর। কিন্তু দল বাধিয়। ধণশোধ- করাকে সেই স্ৃতিপালন কহে না, ইহ! প্রত্যেকের পক্ষে প্রত্যহথের কর্তবা। ্‌ ... মুরোপে এই ক্ষমতা এবং মাহায্বোর প্রভেদ লুপ্তপ্রায়। উভয়েরই কজয়ধবজ। একই-রকম--এমন কি, মাহাত্মোর পতাকাই যেন কিছু 'খাটো। পাঠকগণ অনুধাবন করিয়। দেখিলেই বুঝিতে পারিবেন, বিলাতে অভিনেতা আর্ভিঙের সম্মান পরমসাধুর প্রাপ্য সম্মান অপেক্ষা অল্প নহ্বে। রামমোহন রায় আজ যদ ইংলগ্ডে যাইতেন, তৰে তাহার গৌরব ক্রিকেট-খেলোয়াড় রঞ্জিতসিংহের গৌরবের কাছে খর্ব হইয়! থাকিত। আমরা কবিচরিতনীমক প্রবন্ধে উল্লেখ করিয়াছি, যুরোপে ক্ষমতা- শালী লোকের জীবনচরিত লেখার একটা নিরতিশয্ উদ্ভম আছে। যুরোপকে চরিতবাযুগ্রস্ত বলা যাইতে পারে। কোনমতে একটা যে- কোন-প্রকারের বড়লোকত্বের সুদুর গন্ধটুকু পাইলেই তাহার সমস্ত চিঠিপত্র, গল্পগুজব, প্রাত্যহিক ঘটনার সমস্ত অবর্জনা সংগ্রহ করিয়া মোট। দুই ভল্যুমে জীবনচরিত লিখিবার জন্ত লোকে ই! করিয়া বসিয়া থাকে। যে নাচে, তাহার জীবনচরিত, ষে গান করে, তাহার জীবন- চরিত, যে হাসাইতে পারে, তাহার জীবনচরিত-_জীবন যাহার যেষনই হোক, যে লোক কিছু-একটা পারে, তাহারই জীবনচরিত ! কিন্তু ষে মহাত্মা ীবনযাআর আদর্শ দেখাইয়াছেন, তীহারই জীবনচরিত সার্থক-ধহার৷ সমস্ত জীবনের দ্বারা কোন কাজ করিয়াছেন, তাহাদেরই জীবন আলোচ্য_-ধিনি কবিতা লিখিয়াছেন, .গান তৈরি করিয়াছেন, তিনি কবিতা! এবং গ্ানই দান করিয়া গ্রেছেন, তিনি জীবন দান করি! বান নাই, তাহার জীবনচরিত্বে কাহার কি প্রয়োজন? টেনিসনের কব্তি] | পড়িয়া আমরা টেনিসনূকে দত বড় করিয়। জানিযাছি, তাহার ৯৬ ভারতবর্ষ। জীবনচরিত পড়িয়া তাহাকে তাহা অপেক্ষা অনেক ছোট করিয়া জানিয়াছি মাত্র! কৃত্রিম আদর্শে মন্্াবকে এইরূপ নিবিবেক করিয়া তোলে। মেকী এবং থাটির এক দর হইয়া আসে। আমাদের দেশে আধুনিক কালে পাপ পণ্যের আদর্শ কৃত্রিম হওয়াতে তাহার ফল কি-হইয়াছে? ব্রাহ্মণের পায়ের ধুলা লওয়া এবং গঙ্গায় স্নান করাও পুণ্য, আবার অচৌধ্য ও. সত্যপরায়ণত| ও পুণ্য, কিন্তু কৃত্রিমের সহিত খাটি পুণ্যের কোন জাতি- বিচার না থাকাতে, যে ব্যক্তি নিত্য গঞ্গান্নান ও আচারপালন করে» সমাজে অলুন্ধ ও সত্যপরায়ণের অপেক্ষ। তাহার পুণ্যের নম্মান কম নহে» বরঞ্চ বেশি। যে ব্যক্তি যবনের অন্ন খাইয়াছে, আর যে ব্যক্তি জাল মকদ্দমায় যবনের অন্নের উপায় অপহরণ করিয়াছে, উভয়েই পাপীর কোঠায় পড়ায় প্রথমোক্ত পাপীর গ্রতি ঘ্বণ। ও দণ্ড যেন মাত্রায় বাড়িস়া উঠে। যুরোপে তেমনি মাহাত্ম্যের মধ্যে জাতিবিচার উঠিয়! [গেছে । ষে' ব্যক্তি, ক্রিকেটখেলায় শ্রেষ্ঠ, যে অভিনয়ে শ্রেষ্ঠ, যে দানে শ্রেষ্ঠ, ষে- সাধুতায় শ্রেষ্ঠ, সকলেই গ্রেট্ম্যান্। একই-জাতীয় সম্মানশ্বর্গে সক- লেরই সদগতি। ইহাতে ক্রমেই যেন ক্ষমতার অর্থ্য মাহায্স্যের অপেক্ষা বেশি ফাঁড়াইয়াছে। দলের হাতে বিচারের ভার থাকিলে, এইরূপ ঘটাই- অনিবার্ধ্য। যে আচারপরায়ণ, সে ধন্দপরায়ণের সমান হইরা দড়ায়, এমন কি,'বেশি হইয়! ওঠে) যে ক্ষমতাশালী, সে মহাত্াদের সমান, এমন কি, তাহাদের চেয়ে বড় হুইয়। দেখা দেয়। আমাদের সমাজে দ্বলের লোকে যেমন আচারকে পুজ্য করিয়া! ধর্মকে খর্ব করে, তেমনি সুয়োপের সমাজে দলের লোকে, ক্ষমতাকে পুজ্য করিয়া! মাহাত্ম্যকে ছোট করিয়! ফেলে। বার্থ ভক্তির উপর পুজার তার ন! দিয়া লোফারণোর উপর পুজার বারোয়ারি-মঙ্গল। ক পাপী সিলাদিপাস্পিশীসা্পস্দিলিস্পির্িলাসিপা সিরা সিটি পিসি সিসি তাপস লি পিপি সিলসিলা পতি স্পা সা সিকি পাস এ ভিলা ভার দিলে দেবপুজার ব্যাঘাত ঘটে। বারোয়ারির দেবতার যত ধুম, গৃহদেবতা-_ইষ্টদেবতার তত ধুম নছে। কিন্তু বারোর়ারির দেবতা! কি মুখ্যত একট! অবান্তর উত্তেক্দনার উপলক্ষ্যমাত্র নহে? ইহাতে ভক্তির চর্চা না হইয়! ভক্তির অবমানন! হয় নাকি? আমাদের দেশে আধুনিক কালের বারোয়ারির শোকের মধ্যে-_ বারোয়ারির স্বৃতিপালনচেষ্টার মধ্যে, গভীর শুন্ততা দেখিয়া আমরা পদে-পদে ক্ষুব্ধ হই। নিজের দেবতাকে কোন্‌ প্রাণে এমন কৃত্রিম সভায় উপস্থিত করিয়া পৃজার অভিনয় করা হয়, বুঝিতে পারি ন1। সেই অভিনয়ের আয়োজনে যদি মাল্মন্লা! কিছু কম হয়, তবে আমরা পরস্পরকে লঙ্জ। দিই--কিন্ত লঙ্জার বিষয় গোড়াতেই। যিনি ভক্ত, তিনি মহতের মাহাত্ম্য কীর্তন করিবেন, ইহ স্বাভাবিক এবং সকলের পক্ষেই শুভফলপ্রদ ; কিন্ত মহাআ্বাকে লইয়া! সকলে মিলিয়! একদিন বারোগ়ারির কোলাহল তুলিয়া কর্তব্যসমাধার চেষ্টা লঙ্জাকর এবং নিক্ষল। বিদ্তাসাগর আমাদের সমাজে ভক্তিলাভ করেন নাই, এ কথা কোনমতেই বল। যায় ন। তাহার প্রতি বাঙালিমাত্রেরই ভক্তি অকৃত্রিম। কিন্ত যাহারা বর্ষে বর্ষে বিদ্বাপাগরের স্মরণসভা আহ্বান করেন, তাহার। বিদ্তাসাগরের স্থৃতিরক্ষার জন্ত-সমুচিত চেষ্টা হইতেছে ন! বলিয়া আক্ষেপ করিতে থাকেন। ইহাতে কি এই প্রমাণ হয় যে, বিদ্তাপাগরের জীবন আমাদের দেশে নিক্ষর্ণ হইয়াছে? তাহ নহছে। তিনি আপন মহত্বদ্বার। দেশের হৃদয়ে অমরস্থান অধিকার করিয়াছেন, সন্দেহ নাই। নিষ্ষল হ্ইয়াছে তাহার স্মরণসভ1। বিদ্যাপাগরের জীবনের যে উদেশ্ত, তাহা তিনি নিজের ক্ষমতা বলেই।সাধন করিয়াছেন-- 'ম্বরণমভার যে উদ্দেস্ট, তাহা সাধন করিবার ক্ষমতা ্রণমতার ৷ লাই, উপায় সে জানে না | থ পিপাসা স্পা ৪৮ ভারতবর্ষ । স্পা মঙ্গলভাব স্বভাবহই আমাদের কাছে কত পুজা, বিদ্যাসাগর তাহার দৃষ্টান্ত । তাহার অদামান্য ক্ষমতা অনেক ছিল, কিন্তু সেই সকল ক্ষম- 'তায় তিনি আমাদিগকে আকর্ষণ করেন নাই। তাহার দয়া, তাহার অকৃত্রিম অশ্রাস্ত লোকহিতৈষাই তাহাকে বাংলাদেশের আবালবৃদ্ধ- বণিতার হৃদয়ে গ্রতিষ্টিত করিয়াছে । নূতন ফ্যাশনের টানে পড়িয়া আমর! যতই আড়ম্বর করিয়া যত চেষ্টাই করি না! কেন, আমাদের অন্তঃকরণ ম্বভাবতই শক্তি-উপাসনায় মাতে না। ক্ষমতা আমাদের আর।ধ্য নহে, মঙ্গলই আমাদের আরাধ্য । আমাদের ভক্তি শক্তির অন্র' ভেদী সিংহদ্বারে নহে, পুণ্যের ক্সিপ্*নিভূত দেবমন্দিরেই মন্তক নত করে। আমর! বলি-__কীততির্স্ত সজীবতি। বিনি ক্ষমতাপন্ন লোক, তিনি নিজের কীত্তির মধ্যেই নিজে বাচিয়া থাকেন। তিনি যদি নিজেকে বাচাইতে ন! পারেন, তৰে তাহাকে বাচাইবার চেষ্টা আমর! করিলে তাহা হাস্তকর হয়। বঙ্কিমকে কি আমরা শ্বহস্তরচিত পাথরের ুত্িদ্ধারাঁ অমরত্লাভে সহায়তা করিব? আমাদের চেয়ে তাহার ক্ষমতাকি অধিক ছিল ন1? তিনি কি নিজের কাত্তিকে স্থায়ী করিয়। যান নাই ? হিমালয়কে স্মরণ রাখিবার জন্তকি টাদ! করিয়া তাহার একটা কীণ্তিস্তস্ত স্থাপন করার প্রয়োজন আছে ? হিমাঁলয়কে দর্শন করিতে গেলেই তাহার দেখা পাইব-_-অন্তত্র তাহাকে ম্মরণ করিবার উপায় 'করিতে যাওয়া মূঢ়তা। কৃত্বিবাসের জন্স্থানে বাঙালি একটা কোন প্রকারের ধুমধাম করে নাই বলিয়া বাঙালি কূতিবাদকে অবন্ত1 করিয়াছে, এ কথা কেমন করিয়া! ৰলিব ? যেমন “গঙ্গা পৃধি গ্পাজলে*'তেমনি বাংলাদেশে মুদির দোকান হইতে রাজার প্রাসাদ পর্য্স্ত কৃত্তিবাসের কীন্ডিঘ্বারাই কৃত্িবাস কত শতাব্দী ধরিয়া প্রত্যহ পূজিত হুয়া আদিতেছেন। এমন প্রত্যক্ষ পূজা আর কিসে হইতে পারে? বারোয়ারি-মঙ্গল। ৯৯ ্পপসপিপিন্পসিপীজলি লাস্ট স্টপ স্পস্ট দিসি সপস্সিাসিী যুরোপে যে দল বাধিবার ভাব আছে, তাহার উপযোগিতা নাই, এ কথা বল! মুঢুতা | যেসকল কাজ বলপাধ্য,_বহুলোকের আলো” চনার দ্বার সাধ্য, সে সকল কাজে দল না বাধিলে চলে না। দল বাধিয়! যুরোপ যুদ্ধে, বিগ্রহে, বাণিজ্যে, রাষ্ট্রব্যাপারে বড় হইয়া উঠ্ি- য়াছে, সন্দেহ নাই। মৌমাছির পক্ষে যেমন চাক-বীধা, যুরোপের পক্ষে তেমনি দল-বাঁধা প্রকৃতিদিদ্ধ। সেইজন্য যুরোপ দল বাঁধিয়া দয়! করে, ব্যক্তিগত দয়াকে প্রশ্রয় দেয় না) দল বাঁধিয়া পূজা করিতে ধাঁয়, ব্যক্তিগত পুজাহিকে মন দেয় না) দল বাঁধিয়! ত্যাগ স্বীকার করে, ব্যক্তিগত ত্যাগে তাহাদের আস্থা নাই। এই উপায়ে ষুরোপ এক- প্রকার মহত্ব লাভ করিয়াছে, অন্তপ্রকার মহত্ব খোয়াইয়াছে। একাকী কর্তব্যকন্ম নিষ্পন্ন করিবার উৎসাহ তাহার নাই। আমাদের সমাজে প্রত্যেককে প্রত্যহই প্রত্যেক প্রহরেই ধর্মপালন করিতে বাধ্য বলিয়া জানে। যুরোপে ধন্মপালন করিতে হইলে কমিটিতে ব1 ধর্মসভায় যাইতে হয়। দেখানে সম্প্রদায়গণই সদনুষ্ঠানে রত--সাঁধারণ লোকের! স্বার্থসাধনে তৎপর। কৃত্রিম উত্তেজনার দোষ এই যে, তাহার অভাবে মানুষ অসহায় হইয়। পড়ে । দল বাধিলে পরম্পর পরস্পরকে ঠেলিয়া খাড়া করিয়। রাখে, কিন্ধ দলের বাহিরে, নামিয়া পড়িতে হয়। আমা- 'দের দেশে প্রত্যেকের প্রতাহের কর্তব্য ধর্মকর্মরূপে নির্দিষ্ট হওয়াতে 'আবালবুদ্ধবনিতাকে যথাসম্ভব নিজের স্বার্থপ্রবৃত্তি ও পশুপ্রক্তিকে সংযত করিয়। পরের জন্ত নিজেকে উৎসর্গ করিতে হয়, ইহাই আমাদের, আদর্শ। ইহার জন্ত সভা করিতে ৰা খবরের কাগজে রিপোর্ট পাঠা- ইতে হয় না। এইজন্ত সাধারপত্ত সমস্ত হিন্দুসমাজে একটি সান্বিক ভাব বিরাজমান-_এখানে ছোট-বড় সকলেই মঙ্গলচর্চায় রত, 'কারণ গৃহই তাহাদের মঙ্গলচ্চার স্থান। এই যে আমাদের ব্যক্তিগত মঙ্গল- ভাব, ইহাকে আমরা শিক্ষার দ্বার! উন্নত, অভিজ্ঞতার দ্বার বিস্তৃত গং. টিটি? ভারতবর্ষ ।। সািলসপা্াসপাসটাপসিটাখসিতামি সিাসপিসিল পির সা ৯তপপপাসিরসি পািরতস৫সিত ৯পসিসিপসিসি সি ৯ পস্পিসিসপিসিসিস্পাসাসিত সিসি ১৫৭ পালি পপির ৯ পাটি সি পাসদিীসিপাসিশ সপ জ্ঞানের দ্বাব। উদ্দতর করিতে পারি) কিন্ত ইছাকে নঃ হইতে দিতে পাঁর না, ইহাকে অবজ্ঞা করিতে পারি না,-যুরোপে ইহার প্রাহূর্ভাৰ নাই বলিয়া ইহাকে লজ্জা দ্দিতে এবং ইহাকে লইয়া লজ্জা করিতে পারি না--দলকেই একমাত্র দেবত! জ্ঞান করিয়া তাহার নিকট ইহাকে ধূলিনু্ঠিত করিতে পারি নাঁ। যেখানে দল-বাধ। অত্যাবশ্থক, সেখানে যদি দল বাধিতে পারি ত ভাল, যেখানে অনাবস্তুক, এমন কি, অদঙগত, সেখানেও দল বীধিবার চেষ্টা করিয়া শেষকালে দলের উগ্র নেশ! যেন, অভ্যাস না করিয়া বসি । সর্বাগ্রে সর্বোচ্চে নিজের ব্যক্তিগতকৃত্য, | তাহ! প্রাত্যহিক, তাহা চিরন্তন) তাহার পরে দলীয় কর্তব্য, তাহ! বিশেষ আবশ্তকসাধনের অন্ত ক্ষণকালীন--তাহা অনেকটা-পরিমাণে বন্ত্রমাত্র, তাহাতে নিজের ধর্মপ্রবুত্তির সর্বতোভাবে সম্পূর্ণ চর্চা হয়, না। তাহা ধর্দরনাধন অপেক্ষা গ্রয়োজনমাধনের পক্ষে অধিক উপষোগী। কিন্তু কালের এবং ভাবের পরিবর্তন হইতেছে। চারিদিকেই দল বীধিয়া উঠিতেছে-_কিছুই নিভৃত এবং কেহই গোপন থাকিতেছে না। নিজের কীন্তির মধ্যেই নিজেকে কৃতার্থ করা, নিজের মঙ্গলচেষ্টার মধ্যেই নিজেকে পুরস্কৃত করা, এখন আর টেকে না। গুভকর্ম এখন আর সহজ এবং আত্মবিস্বৃত নহে, এখন তাহ। সর্বদাই উত্তেজনার অপেক্ষা, রাখে। যে সকল ভাল কাজ ধ্বনিত হইয়া উঠে না, আমাদের কাছে, তাহার মূল্য প্রতিদিন কমিয়া আসিতেছে, এইজন্য ত্রমশ আমাদের গৃহ পরিত্যত্ত, আমাদের জন্পদ নিঃসহায়, আমাদের জন্মগ্রাম রোগজীর্ণ, আমাদের পল্লীর সরোবরসকল পঞ্ছদুষিত, আমাদের সমস্ত চেষ্টাই কেবল নতানমিতি এবং সংবাদপত্রহাটের মধ্যে। ভ্রাতৃগ্াব এখন: ত্রাঙ্তাকে ছাড়িয়। বাহিরে ফিরিতেছে, দয় এখন দীনকে ছাড়! সংবাদদাতার শুভ্র উপর চড়িয়] দাড়াইতেছে এবং লোক হিতৈধিত বারোয়ারি মজল। ১৪১ সিসি পপি লি লো পিস এস এখন লোককে ছাড়িয়া রাজদ্বারে খেতাব খুঁজিরা বেড়াইতেছে। ম্যাজিষ্রেটের তাড়া না খাইলে এখন আমাদের গ্রামে স্কুল হয় না, রোগী ওহধ পায় না, দেশের জলকষ্ট দূর হয় না। এখন ধ্বনি এবং ধন্তবাদ এবং করভালির নেশ! যখন ক্রমে চড়িয়া উঠিয়াছে, তখন সেই গ্রলোভনের বাবস্থ। রাখিতে হয়। ঠিক যেন বাছুরটাকে কশাইথানায় বিক্রয় করিয়! ফু'কা-দেওয়া দুধের ব্যবসায় চালাইতে হইতেছে । অতএব আমর! যে দল বাধিয়। শোক, দল বাধিয়। কৃতজ্ঞতা প্রকা শের জন্ত পরম্পরকে প্রাণপণে উৎসাহিত করিতেছি, এখন তাহার সময় আসিয়াছে। কিন্ত পরিবর্তনের সন্ধিকালে ঠিক নিয়মমত কিছুই হয়না। সকালে কয় ত শীতের আভাস, বিকালে হয় ত বসন্তের বাতাস দিতে থাকে । দ্দিশি হানা কাপড় গায়ে দিলে হঠাৎ সঙ্দি লাগে, বিলাতি মোটা কাপড় গায়ে দিলে ধর্মাক্তকলেবর হইতে হয়। সেইজন্য আজকাল দিশি ও বিলাতি কোন নিয়মই পূরাপূরি খাটে না। যখন বিলাতি-প্রথায় কাজ করিতে যাই, দেশি সংস্কার অলক্ষ্যে হৃদয়ের অস্তঃপুরে গাকিয়া বাধা দিতে থাকে, আমরা লজ্জায় ধিক্কারে অস্থির হইয়া উঠি_দেশিভাবে ধধন কাঙ্জ ফাঁদিয়া বসি, তখন বিলাতের রাজ-অতিথি আসিয়া! নিজের বিবার উপযুক্ত আসন না পাইয়া নাস কুঞ্চিত করিয়! সমস্ত মাটি করিয়। দেয়। সভাসমিতি নিয়মমত ডাকি, অথচ তাহা! সফল হয় না,-_টাদার থাতা। খুলি, অথচ তাহাতে যেটুকু অন্কপাত হয়, তাহাতে কেবল আমাদের কলঙ্ক ফুটিয়। উঠে। আমাদের সমাজে যেরূপ বিধান ছিল, তাহাতে আমাদের প্রতোক শৃছন্থকে প্রতিদিন চীদা দিতে হইত। তাঙ্থার তহবিল আত্মীয়স্বজন, অতিথি-অভ্যাগত, দীনছুঃখী, সকলের জন্তই ছিল। এখনে! আমাদের দেশে যে দরিদ্র, সে লিজের ছোট ভাইকে স্কুলে গড়াইতেছে, ভগ্গিনীর বিষাহ দিতেছে, পৈতৃক নিতানৈমিত্তিক ক্রিয়া সাধন করিতেছে, ১০২ ভারতবর্ষ । বিধবা পিলী-মাসীকে সমস্তান পালন করিতেছে। ইহাই দ্রিশিমতে টানা, ইহার উপরে আবার ধিলাতিমতে টাদা লোকের সহা হয় কি করিয়। ? ইংরাঁজ নিজের বয়স্ক ছেলেকে পর্য্যস্ত স্বতন্ত্র করিয়া! দেয়, তাহার কাছে টাদার দাবী কর! অসঙ্গত মহে। নিজের ভোগেরই অন্ত: বাহার তহবিল, তাহাকে বাহ উপায়ে স্বার্থত্যাগ করাইলে ভালই হয়) আমাদের কয়জন লোকের নিজের ভোগের জন্ত কতটুকু উদ্ধত থাকে? ইহার উপরে বারোমাসে তেরোশত নৃতন-নৃতন অনুষ্ঠানের জন্য টাদা টাছিতে আসিলে বিলাতী সভ্যতার উত্ভেজনাসত্বেও গৃহীর পক্ষে বিনয় রক্ষা কর! কঠিন হয়। আমর! ক্রমাগতই লজ্জিত হইয়া বলিতেছি, এত-বড় অনুষ্ঠানপত্র বাহির করিলাম, টাক আসিতেছে না কেন, এত-বড় ঢাক পিটাইতেছি, টাক আসিয়! পড়িতেছে ন! কেন, এত-বড় কাজ আরম্ভ করিলাম, অর্থাভাবে বন্ধ হইয়া যাইতেছে কেন? বিলাত হইলে এমন হইত, তেমন হইত, হুছু করিয়া মুষলধারে টাকা বধিত হুইয়। যাইত,_-কবে আমরা বিলাতের মত হইব? বিলাতের আদর্শ আসিয়া! পৌছিয়াছে, বিলাতের অবস্থা এখনে বহুদুরে। বিলাতী মতের লঙ্জ। পাইয়াছি, কিন্ত সে লজ্জা নিবারণের ৰহুমূল্য বিলাতী বন্ত্র এখনো পাই নাই। সকলদিকেই "টানাটানি করিয়া মরিতেছি। এখন সর্বসাধারণে টাদা দিয় যেসকল কাজের চেষ্টা করে, পূর্বে আমাদের দেশে ধনীরা তাহা একাকী করিতেন-__ ভাহাতেই তাহাদের ধনের সার্থকত৷ ছিল। পূর্ব্বেই বলিয়াছি, আমাদের দেশে সাধারণ গৃহস্থ সমাজকৃত্য শেষ করিয়া নিজের স্বাধীন ভোগের জন্ত উদ্ত্ত কিছুই পাইত না, সুতরাং অতিরিক্ত কোন কাজ না! করিতে পারা তাহার পক্ষে লঙ্জার বিষয় ছিল না। ঘে সকল ধনীর ভাগারে উদ্ধত্ব অর্থ থাকিত, ইষ্টাপূর্তকাজের অন্ত তাহাদেরই উপর মমাজের সম্পূর্ণ দাবী থাকিত। তাহার! সাধারণের অভাবপুরণ করিবার জন্ত, বারোয়ারিমঙ্গল। ১০৩ সিসি পাস্তা লাস পা পালা পরি ছি লা পাকি লালিত সি সী পালি চা অপার পাস লীলা সিসি 0৯ অসি লি ট বায়সাধ্য মঙ্গলকর্থ্ে প্রবৃত্ত না হইলে নকলের কাছে লাঞ্চিত হুইত-- তাহাদের নামোচ্চারণও অণ্তভকর বলিয়া গণ্য হুইত। এর্র্য্যের আড়ন্বরই বিলাতী ধনীর প্রধান শোভা, মঙ্গলের আয়োজন ভারতের ধনীর প্রধান শোভা | সমাজস্থ বন্ধুদিগকে বহুমূল্য পাত্রে বহুমূল্য ভোজ দিয় বিলাতের ধনী তৃপ্র, আহুত-রবাহৃত-অনাহৃতদ্িগকে কলার পাতায় অন্নদান করিয়া আমাদের ধনীর! তৃপ্ু। প্রশ্বর্যকে মঙ্গলদানের মধ্যে প্রকাশ করাই ভারতবর্ষের পরশ্বর্যয--ইহ! নীতিশাস্ত্বের নীতিকথ! নহে--আমাদের সমাজে ইহা এতকাল পর্য্যন্ত প্রত্যহই ব্যক্ত হইয়াছে _সেইজন্যই সাধারণ গৃহস্থের কাছে আমারদগকে টানা চাহিতে হয় নাই। ধনীরাই আমাদের দেশে দুভিক্ষকালে অন, জলাভাবকালে জল দান করিয়াছে,--তাহারাই দেশের পশিক্ষাবিধান, শিল্পের উন্নতি, আনন্দকর উৎসবরক্ষা ও গুণীর উৎসাহসাধন করিয়াছে। হিতান্ুষ্ঠানে আজ যদি আমর! পৃর্ধাভ্যাসক্রমে তাহাদের দ্বারস্থ হই, তবে সামান্ত ফল পাইয়া! অথব। নিক্ষল হইয়া কেন ফিরিয়। আসি? বরঞ্চ আমাদের মধাবিত্তগণ সাধারণ কাজে যেরূপ ব্যয় কয়! থাকেন, সম্পদের তুলনা করিয়া দেখিলে ধনীরা তাহা করেন না। তাহাদের ্বারবান্গণ স্বদেশের অভাবকে দেউড়ি পার হইয়া প্রাসাদে ঢুকিতে দেয় না ত্রমক্রমে ঢুকিতে দিলেও ফিরিবার সময় তাহার মুখে অধিক উল্লাসের লক্ষণ দেখা যায় না! ইহার কারণ, আমাদের ধনীদের ঘরে বিলাতের বিলাসিত। প্রবেশ করিগ়াছে, অথচ বিলাতের এখধ্য নাই। নিজেদের ভোগের জন্ত তাহাদের অর্থ উদ্বৃত্ত থাকে বটে, কিন্তু সেই ভোগের আদর্শ বিপাতের | বিলাতের ভোগীরা ভারবিহ্বীন স্বাধীন র্্য্যশালী, নিজের ভাগডারের সম্পূর্ণ কর্তা। সমাজবিধানে আমর! তাহ! নহি। অথচ ভোগের আদর্শ দেই বিলাতি তোগীর অনুরূপ হওয়াতে .খাটে-পালগ্কে, বসনে-ভূষণে, গৃহসজ্জায়, গাড়িতে-জুড়িতে ১৪৪ . ভারতবর্ষ। ভিন ০৬৯ াপাাগাাভাাসিসিিসািসািসিপাাসাসাপাসপিসপিাসিপি্পা পপি পা পপমপসি সপিসপিসিস ঈসিপ পামপািস্পিস্লি সপ আমাদের ধনীদিগকে আর বদান্ততার অবসর দেয় না তাহাদের বদদান্ততা বিলাতী জুতাওয়ালা, টুপিওয়ালা, ঝাড়লঠনওয়ালা, চৌকিটেৰিলওয়ালার স্ুবৃহৎ পকেটের মধ্যে নিজেকে উজাড় করিয়া দেয়, শীর্ণ কঙ্কালসার দেশ রিক্তহত্তে ম্লানমুখে ধাড়াইয়া থাকে । দেলী গৃহস্থের বিপুল কর্তব্য এবং বিপাতি ভোগীর বিপুল ভোগ, এই ছুই তার একল! কয়জনে হন করিতে পারে? কিন্ত আমাদের পরাধীন দরিদ্র দেশ কি বিলাতের সঙ্গে বরাবর এমনি করিয়া! টক্কর দিয়। চলিবে? পরের ছুঃসাধ্য আদর্শে অন্তাসত হুইয়। উঠিবার কঠিন চেষ্টায় কি উদ্বন্ধনে প্রাণত্যাগ করিবে? নিজেদের চিরকালের সহজপথে অবতীর্ণ হইয়া কি নিজেকে লজ্জা হইতে রক্ষা করিবে না? | বিজ্ঞসম্প্রদায় বলেন, যাহা ঘটিতেছে তাহা অনিবার্ধা, এখন এই নৃতন আদর্শে ই নিজেকে 'গড়িতে হইবে। এখন প্রতিযোগিতার যুদ্ধক্ষেত্রে নামিতে হইবে, শক্তির প্রতি শক্তি-অস্ত্র হানিতে হইবে। এ কথ! কোনমতেই মানিতে পারি ন1। আমাদের ভারতবর্ষের যে মঙ্গল-আদর্শ ছিল, তাহা মৃত আদর্শ নহে, তাহা সকল সত্যতার পক্ষেই চিরন্তন আদর্শ এবং আমাদের অন্তরে-বাহিরে কোথাও ভগ্ন, কোথাও সম্পূর্ণ আকারে তাহা বিরাজ করিতেছে । সেই আদর্শ আমাদের মমাজের. মধ থাকিয়া যুরোপের স্বার্থ-প্রধান, শক্তিগ্রধান, ্বাতগ্র গ্রধযন আদর্শের সহিত প্রতিদিন যুদ্ধ করিতেছে। সে যদিনা থাকিত, তবে আমরা অনেক পূর্বেই ফিরিঙ্গি হইয়। বাইতাম। ক্ষণে ক্ষণে আমাদের দেই ভীন্ম-পিতামহতুল্য প্রাচীন সেনাপতির পরাজয়ে এখনে! আমাদের হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতেছে । যতক্ষণ আমাদের সেই বেদনাবোধ আছে, ততক্ষণ আমাদের আশা আছে। মানব- প্রক্কতিতে স্বার্থ এবং স্বাতন্ত্রাই যে মঙ্গলের, অপেক্ষা বৃহত্তর সা এবং বারোয়ারি-মঙ্গল। ১০৫ শখ পট্টি স্টিল সির সি রস সপ রসি পপি ফ্রুবতর আশ্রয়স্থল, এ নান্তিকতাকে যেন আমর প্রশ্রয় ন দিই। আত্মত্যাগ যদি স্বার্থের উপর জয়ী না হইত, তবে আমর! চিরদিন 'বর্ধর থাকিয়া যাইতাম | এখনও বহুলপরিমাণে বর্ধরতা৷ পশ্চিমদেশে সভ্যতার নামাবলী পরিয়া ৰিচরণ করিতেছে বলিয়াই তাহাকে সভ্যতার অপরিহার্ধ্য অঙ্গস্বক্পপে বরণ করিতে হইবে, আমাদের ধর্ধবুদ্ধির এমন ভীরুতাঁ যেন না! ঘটে! মুরোপ আজকাল সত্যযুগকে উদ্ধতভাবে পরিহাস করিতেছে ৰলিয়া আমরা ধেন সতাধুগের আশ। কোনকালে পরিত্যাগ না করি! আমরা যে পথে চলিয়াছি, সে পথের পাথেয় আমাদের নাই-_-অপমানিত হইয়া আমাদিগকে ফিরিতেই হইবে । দর্ধাত্ত করিয়া এ পর্যাত্ত কোন দেশই রাষ্ট্রনীতিতে বড় হয় নাই, অধীনে থাকিয়া কোন দেশ বাণিজ্যে স্বাধীন দেশকে দূরে ঠেকাইয়৷ রাখিতে পারে নাই--এবং ভোগ- বিলাসিতা ও এশ্বর্যযের আড়ম্বরে বাণিঞজ্যজীবিদেশের সহিত কোন ভূমিজীবিদেশ সমকক্ষতা রাখিতে পারে নাই। যেখানে প্রকৃতিগত এবং অবস্থাগত বৈষমা, সেখানে প্রতিযোগিতা অপঘাতমৃত্যুর কারণ। আমাদিগকে দায়ে পড়িয়া, বিপদে পড়িয়া, একদিন ফিরিতেই হইবে-_ তখন কি লজ্জার সহিত নতশিরে ফিরিব? ভারতব্ষের পর্ণকুটারের মধ্যে তখন কি কেবল দারিদ্র্য ও অবনতি দ্রেখিব? ভারতবর্ষ বে অলক্ষ্য এশ্বরধ্যবলে দরিদ্রকে শিব, শিবকে দরিদ্র করিয়া! তুলিয়াছিল, তাহা কি আধুনিক ভারতসস্তানের চাক্চিক্য-অন্ধ চক্ষে একেবারেই পড়িবে না? কখনই না| ইহা নিশ্চয় সত্য যে, আমাদের নুতন শিক্ষাই ভারতের প্রাচীন মাহাত্ব্কে আমাদের চক্ষে নৃতন করিয়া__ সজীব করিয়। দেখাইবে, আমাদের ক্ষণিক বিচ্ছেদের পরেই চিরন্তন আত্মীয়তাকে নবীনতর নিবিড়তার সহিত সমস্ত হদয় দিয়া সম্পূর্ণভাবে, গ্রহণ করিতে পারিব। চিরসহিষু ভারতবর্ষ বাহিরের রাজছাট হইছে ০০ ১০৬ | ভারতবর্ষ। শপ ৭ ৯ সি, পাত সিসি পলা পাস তাহার সন্তানদের গৃহ্প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষা করিয়া আছে; গৃহে আমাদিগকে ফিরিতেই হইবে, বাহিরে আমাদিগকে কেছ আশ্রয় দিবে না এবং ভিক্ষার অল্নে চিরকাল আমাদের পেট ভরিবে ন1। অত্যুক্তি। পৃথিবীর পূর্বকোণের লোকেরা, অর্থাৎ আমরা, অত্যুক্তি অত্যন্ত ব্যবহার করিয়া থাকি ; আমাদের পশ্চিমের গুরুমশায়দের কাছ হইতে এ'লইয়া আমর! প্রায় বকুনি খাই। বাহার সাত-সমুদ্র পার হইয়! আমাদের ভালর জন্য উপদেশ দিতে আসেন, তাহাদের কথা আমাদের নতশিরে শোনা উচিত। কারণ, তাহারা যে কেবল কথা বলিতে জানেন তাহা নহে_কফি করিয়া কথা শোনাইতে হয়, তাহাও তাহাদের অবিদিত নাই। আমাদের কানের উপর তাহাদের দখল সম্পূর্ণ । _আচারে-উক্তিতে আতিশধ্য ভাল নহে, বাক্যে-ব্যবহারে সংযম আবশ্তক, এ কথা আমাদের শান্ত্রেও বলে। তাহার ফল যে ফলে নাই, তাহা বলিতে পারি না। ইংরেজের পক্ষে আমাদের দেশশাসন সহজ হইত না, ষ্দি আমর! গুরুর উপদেশ না মানিতাম | ঘরে বাহিরে, এতদ্দিনের শাসনের পরেও, যদি আমাদের উক্কিতে কিছু পরিমাণাধিক্য থাকে, তবে ইহ! নিশ্চয়, সেই অত্যুক্তি অপরাধের নহে, তাহ! আমাদের একট৷ বিলাসমাত্র। আদল কথা, সকল জাতির মধ্যেই অত্যুক্তি ও আতিশয্য আছে। নিজেরটাকেই অত্যন্ত স্বাভাবিক ও পরেরটাঁকেই অত্যন্ত অসঙ্গত বোধ * দিশ্লিদরবারের উদ্যোগকালে লিখিত। অত্যুক্তি। * ১.০9 লাল সসিলাসিসির শত হয়। যে প্রসঙ্গে আমাদের কথা আপনি বাড়িয়া চলে, সে প্রসঙ্গে ইংরেজ চুপ-_থে প্রসঙ্গে ইংরেজ অত্যন্ত বেশি বকিয়া থাকে, পে প্রসঙ্গে আমাদের মুখে কথ! বহির হয় না। ,আমর! মনে করি--ইংরেজ বড় বাড়াবাড়ি করে, ইংরেজ মনে করে-_ প্রাচ্যলোকের পরিমাঁণবোধ নাই। আমাদের দেশে গৃহস্থ অতিথিকে সম্বোধন করিয়। বলে--ণসমন্ত আপনারি--আপনাঁরি ঘর, আপনারি বাড়ী।” ইহা অত্যুক্তি। ইংরেজ তাহার নিজের রান্নাঘরে প্রবেশ করিতে হইলে রীধুনিকে জিজ্ঞাস, করে--“ঘরে টুকিতে পারি কি?” এ একরকমের অতুযুক্তি। স্ত্রী হ্ুনের বাটি সরাইয়! দিলে ইংরেজ স্বামী বলে-_-আমার ধন্যবাদ জানিবে!” ইহা অতুযুক্তি। নিমন্ত্রণকারীর ঘরে চর্ধ্যচোষ্য খাইয়। এবং ৰাধিয়1 এদেশীয় নিমন্ত্রিত বলে--প্বড় পরিতোষ লাভ করিলাম”-_ অর্থ আমার পরিতোষেই তোমার পারিতোধষিক। নিমন্ত্রণকারী বলে-_-“আমি কৃতার্থ হইলাম”-_-ইহাকে অত্যুক্তি বলিতে পার। আমাদের দেশে স্ত্রী স্বামীকে পত্রে “শ্রীচরণেযু* পাঠ লিখিয়া থাকে, ইংরেজের কাছে ইহা অত্যুক্তি। ইংরেজ যাহাকে-তাহাকে পঞক্রে প্রিয়সদ্বোধন করে_-অভ্যন্ত ন। হইয়া গেলে ইহা আমাদের কাছে অত্যুক্তি বলিয়। ঠেকিত। | নিশ্চয়ই আরো এমন সহশ্র দৃষ্টান্ত আছে। কিন্তু এগুলি বাধা অতুযুক্তি_-ইহীরা পৈতৃক | দৈনিক ব্যবহারে আমরা নব নব অতুযুক্তি রচন! করিয়! থাকি-_ইহাই প্রাচ্যজাতির প্রতি ভতসনার কারণ। তালি একহাতে বাজে না। তেমনি কথ! ছুজনে মিলিয়! হয়-_. শ্রোতা ও বক্ত। যেখানে পরম্পরের ভাষা বোঝে, সেখানে অতুযুক্তি উভয়ের যোগে আপনি সংশোধিত হুইয়া আসে। দাহেব যখন চিঠির শেষে আমাকে লেখেন ১০৪5 01 সত্যই তোমারি, তখন তাহার এই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার সত্যপাঠটুকুকে তর্জম। কিয়. ১০৮ ভারত্তবধ। সস বড, পান সি পি টিলা তাত পা পি পা লাল লস লা পিসি মফস্বল ল্া্দ্ছক্িরী আমি এই বুঝি, ভিনি সত্যই আমারি নছেন। বিশেষত বড়সাছেহ যখন নিজেকে আমার বাধ্যতম ভূত বলিয়া বর্ণনা করেন, তখন অনা- য়াসে সে কথাটার ফোল-আনা ঘাদ দিয়! তাহার উপরে আরে! ষোল" আন কাটিগা লইতে পারি। এগুলি বাঁধাদস্থরের অতুক্তি, কিন্ত প্রচলিত ভাষা প্রয়োগের অত্যুক্তি ইংরেজীতে ঝুড়িঝুড়ি আছে। 11005109615, 11000685112015, %:01510615, 2৮ 0115, 102101615, 91050100017, 95০৫ 50110) 001 019 1106 01776) 01" 079 011, 00120017050, 701635 প্রভৃতি শব গ্রয়োগগুলি যদি সর্বত্র যথার্থভাঁবৈ লওয়। যায়, তবে প্রাচা মত্যুক্তিগুলি ইহজন্মে আর মাথা তুলিতে পারে আ। বাহ্বিষয়ে আমাদের কতকট! টিলামি আছে, এ কথা হ্বীকার করিতেই হইবে। বাহিরের ক্ষিনিষিক আমরা ঠিকৃঠাকমত দেখি না, ঠিকৃঠাকৃ্মত গ্রহণ করি না। যখন-তখন বাহিরের নয়কে আমর! ছদ়্ এবং ছয়কে আমরা! নয় করিয়া থাকি । ইচ্ছ/ করিয়া না করিলেও এস্কলে অজ্ঞানকৃত প'পের ডৰল্‌ দোষ--একে পাপ, তাহাতে অজ্ঞান । ইন্দ্রিয়কে এমন অলস এবং বুদ্ধিকে এমন অসাবধান করিয়! রাখিলে, পৃথিবীতে আমাদের ছুটি প্রধান নির্ভরকে একেবারে মাটি করা হুয়। বৃত্বাস্তকে নিতান্ত ফাকি দিয়া সিদ্ধান্তকে যাহারা কল্পনার সাহায্যে গড়িয়া তুলিতে চেষ্টা করে, তাহার! নিজেকেই ফীঁকি দেয়। যে-ষে বিষয়ে আমাদের ফাকি আছে, সেই-সেই বিষয়েই আমর! ঠকিয়! বসিয়া আছি। একচক্ষু হরিণ যে দিকে তাহার কাণা চোখ ফিরাইয়া আরামে বাম খাইতেছিল, সেই দিক্‌ হইতেই ব্যাধের তীর তাহার বুকে বাঁজিয়াছে। আমাদের কাণ! চোখট! ছিল, ইহলোকের দিকে--সেই তরফ.হইতে আবাদের শিক্ষা যথেষ্ট হইয়াছে । সেই দিকের ঘা খাইয়া 'আমর! মরিলাম ! কিন্ত স্বভাব ন। বায় মলে ! | অত্যুক্তি। ১০৯ পি এপ ৬ কব ' নিজের দোষ কবুল করিলাম, এবার পরের প্রতি দোষারোপ করিবার অবণর পাওয়া যাইবে। অনেকে এরূপ চেষ্টাকে নিন্দা করেন, আমরাও করি। কিন্ত যে লোক বিচার করে, অন্ঠে তাহাকে বিচার করিবার অধিকারী । দে অধিকারটা ছাড়িতে পারিব না । তাহাতে পরের কোন উপকার হুইবে বলিয়া আশা করি না-_কিন্ত অপমানের দিনে যেখান হইতে যতটুকু আত্মপ্রসাদ পাওয়। যায়, তাহা ছাড়িয়। দিতে পারিব না । ' আমরা দেখিয়াছি, আমাদের অত্যুন্তি অলসবুদ্ধির বাহ্বিকাঁশ। ত৷ ছাড়া মাঝে মাঝে সুদীর্ঘকাল পরাধীনতাবশত |চত্তবিকারেরও হাত দোখতে পাই । যেমন আমাপিগকে যখন-তখন, সময়ে অসময়ে, উপলক্ষ্য থাক বা না থাক্‌, চীৎকার করিয়া বালিতে হয়-_-আমর রাজ- ভক্ত। অথচ ভক্তি করিব কাহাকে, তাহার ঠিকানা নাই। আইনের বইকে, না, কমিশনর সাহেবের চাপরাশকে, না, পুলসের দারোগাকে? গবর্মেটে আছে, কিন্তু মানুষ কই? হৃদয়ের সম্বন্ধ পাতাইব কাহার সঙ্গে? আপিদ্কে বক্ষে আ।লঙ্গন করিয়া ধরিতে পার না। মাঝে, মাঝে অপ্রত্যক্ষ রাজার মৃত্যু বা অভিষেক উপলক্ষ্যে খন বিবিধ টাদার আকারে রাজতাক্ত দোহন কাঁরয়া লইবার আয়োজন হয়, তখন, ভাঁত।চত্বে, শুঞতাক্ত ঢাকিবার জগ্ত অতদান ও অত্যুক্তির ঘারা রাজ- পাত্র কানায় কানায় পুর্ণ করিয়া দিতে হয়। যাহা স্বাভাবিক নহে, তাহাকে প্রমাণ করিতে হইলে লোকে অধিক চীৎকার করিতে থাকে-_ এ কথা ভুলিয়া যায় যে, মৃহ্হ্বরর যে বেস্ুরা ধর। পড়ে না, চীৎকারে তাহ চারগুণ হুইয়। উঠে। কিন্তু এই শ্রেণীর অতুযুক্তির জন্ত আমর] এক! দায়ী নই। ইহাতে, পরাধান জাতির ভীরুত। ও হীনত প্রকাশ পায় বটে, কিন্তু এই -অবস্থা- টায় আমাদের কর্তৃপুক্রষদের মধস্ব ও সত্যান্্রাগের এমাণ (য় না ৯ ১১০ হু ৪৮৮৮ ০৯ (পো্িপাসিাপিলাসিত ৯৫ ৯পাসিল পাপ সিসি সিলাস্মিশসপাসিপাসছিত জলাপয়ের জল সমতল নহে, এ কথা যখন কেহ উনি বলে, তখন বুঝিতে হইবে, মে কথাট। অবিশ্বাস্ত হইলেও তাহার মনিব তাহাই স্ুনিতে চাহে । আজকালকার সাম্রাজ্যমদমত্ততার দিনে ইংরেজ মানাপ্রকারে শুনিতে চান্ন আমর! রাজভক্ত,_--আমর1 তাহার চরণতলে স্বেচ্ছায় বিক্তীত। এ কথা জগতের কাছে, তাহারা ধ্বনিত-প্রতিধবনিত করিতে চাহে। | এদ্দিকে আমাদের প্রতি দিকি-পয়সার বিশ্বীস মনের মধ্যে নাই) এত-বড় দেশট! সমস্ত নিঃশেষে নিরস্ত্র; একটা হিংস্র পণ্ড খারের কাছে আঁদিলে দ্বারে অর্গল লাগানো ছাড়া আর কোন উপায় আমাদের হাতে নাই__অথচ জগতের কাছে সাম্রাজ্যের বলপ্রমাণ উপলক্ষ্যে আমাদের অটল ভক্তি রটাইবার বেলা আম্র! আছি! মুনলমান সমাটের সময় দেশনায়কতা-সেনানায়কতার অধিকার আমর! হারাই নাই ;-_মুসলমান সম্াটু যখন সভাস্থলে সামস্তরাজগণকে পার্থ লইয়া বসিতেন, তথন তাহা শূন্গর্ভ প্রহদনমাত্র ছিল না। যথার্থই রাজার! সম্রাটের সহায় ছিলেন, রক্ষী ছিলেন, সম্মীনভাঙ্গন ছিলেন। আজ রাজাদের সন্মান মৌধিক, অথচ তাহাদিগকে পশ্চাতে টানিয়! লইয়। দেশে-বিদেশে রাজভক্তির অভিনয় ও আড়ম্বর তখনকার চেয়ে চারগুণ। হতভাগ্য রাজাগুলির এইটুকুমাত্র কাজ। যখন ইংলগ্ডের সাম্রাজ্যলক্া সাজ পরিতে বমেন, তখন কলনিগুলির সামান্য. শামন- কর্তারা মাথার মুকুটে ঝল্মল্‌ করেন) আর ভারতবর্ষের প্রাচীনবংশীয় রাজগণ তাহার চরণন্ুপুরে কিন্ছিণীর মত আবদ্ধ হইয়া কেবল বঙ্কার দিবার কাজ করেন--এবারকার বিলাতী দরবারে তাহা বিশ্বজগতের ক্কাছে জারি হইয়াছে! হায় জয়পুর যোধপুর-কোলাপুর, ইংরেজ- সাআাজ্যের মধ্যে তোমাদের কোথায় স্থান, তাহা কি এমন করিয়| দেশে-বিদেশে ঘোষণা করিয়া আদিবার জন্যই এত লক্ষ-ক্ষ টাকা অত্যুক্কি । ১১১ এপি বোনাস তা ১ লা, 07 এপস পাাস্সিপাস্সপ সিসি পাস পিপি লাস্ট বিলাতের জলে জলাঞ্জলি দিয়া আমিলে? ইংরেজের সাআাজ্য" জগন্নাথজীর মনরে, যেখানে কানাডা, নিষুজিল্যা্ড, অষ্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিক। স্বীত উদর ও পরিপুষ্ট দেহ লইয়! দিব্য ইাকৃভাক্‌ সহকারে পাগাগিরি করিয়া বেড়াইতেছে, সেখানে কশজীর্ণত্থ ভারতবর্ষের কোথাও প্রবেশাধিকার নাই-ঠাকুরের চভোগও তাহার কপালে অর্নই জোটে-_কিস্তু যে দিন বিশ্বজগতের রাজপথে তাহার অভ্রভেদী রথ বাহির হয়, সেই একটা দিন রথের দড়া ধরিয়া টানিবার জন্য ভারতবর্ষের ডাক পড়ে । সেদিন কত বাহবা, কত করতালি, কত সৌহার্দ্য-_সেদিন কার্জনের নিষেধশৃঙ্খলমুক্ত ভারতবর্ষীয় রাজাদের মণিমাণিক্য লগ্ডনের রাজপথে বঝল্মল্‌ করিতে থাকে এবং লওনের হীসপতালগুলির *পরে রাঁজভক্ত রাজাদের মুষলধারে বদান্ততা বৃষ্টির ৰার্তী ভারতবর্ষ নতশিরে নীরবে শ্রবণ করে! এই ব্যাপারের সমস্তটা পাশ্চাত্য অত্যুক্তি। ইহ! মেকি অত্যুক্তি-_-খাটি নহে! প্রাচ্যদিগের অতুযুক্তি ও আতিশষ্য অনেক সময়েই তাহাদের স্বভাবের ওুদীর্ধ্য হইতেই ঘটিয়৷ থাকে। পাশ্চাত্য অতযুক্তি সাজানে। জিনিষ, তাহা! জাল বলিলেই হয়। দিল্দরাজ মোগলসম্রাটুদের আমলে দিল্লিতে দরবার জমিত। আজ সেদিল্‌ নাই, সে দিল্লি নাই, তবু একট! নকল দরবার করিতে হইবে। সংবংসর ধরিয়া রাজারা পোলিটিকাল্‌ এজেণ্টের রাহুগ্রাসে কবলিত ;- সাত্রাজাচালনায় তাহাদের স্থান নাই, কাজ নাই, .তাহার্দের স্বাধীনত। নাই--হঠাৎ একদিন ইংরেজসম্রাটের নায়েব, পরিত্যক্তমহিম! দিল্লিতে সেলাম কুড়াইবার জন্ত রাজাদিগকে তলব দিলেন, নিজের তুলুন্ঠিত পোষাকের প্রান্ত শিখ, ও রাজপুত রাজকুমারদের দ্বার বহন করাইয়া লইলেন,--. আক্ন্মিক উপন্তরবের মত একদিন একটা দমারোহের আগ্নেয় উচ্ছাস উদগীরিত হইয়া উঠিল,__ভাহার পর সমস্ত শৃন্ধ, সমস্ত নিপ্রভ। পপির সপ ১১২ ভারতবর্ষ । পি পিপিবসপিনাপ সা এখনকার ভারতসাম্রাজ্য আপিনে এবং আইনে চলে--তাহার রংচং নাই, গীতবাস্ত নাই, তাহাতে প্রত্যক্ষ মানুষ নাই। ইংরেজের, খেলাধুলা, নাচগান, আমোদগ্রমোদ, সমস্ত নিেদের মধ্যে বন্ধ_সে আনন্ব-উৎসবের উদ্ধত্ত খুদকুঁড়ীও ভারতরর্ষের জনসাধারণের জন্ত প্রমোদশালার বাহিরে আদিয়৷ পড়ে না। .আমাদের সঙ্গে ইংরেজের সম্বন্ধ আপিসের বাধ! কাজ এবং হিসাবের খাতা সহির সম্বন্ধ। প্রাচ্য সম্রাটের ও নবাবের সঙ্গে আমাদের অন্নবন্ত্র, শিল্পশোভা, আনন্দ- উৎসবের নান! নন্বন্ধ ছিল। তাহাদের প্রাসাদে এমোদের দীপ জলিলে তাহার আলোক চারিদিকে প্রজাদের ঘরে ছড়াইয়া পড়িত-_ তাহাদের তোরণদ্বারে যে নহবৎ বসিত, তাহার আনন্দধ্বনি দীনের কুটারের মধ্যেও গ্রতিধ্বনিত হইয়। উঠিত। ইংরেজ সিভিলিয়ান্গণ পরস্পরের আমন্ত্রণে-নিমন্ত্রণে-দামাজিকতায়, যোগদ।ন করিতে বাধ্য, যেব্যক্তি শ্বতাবদোষে এই সকল বিনোদন- ব্যাপারে অপটু, তাহার উন্নতির অনেক ব্যাঘাত ঘটে। এই সমস্তই নিজেদের জন্ত । যেখানে পাঁচটা ইংরেজ আছে, সেখানে আমোদ- আহ্লাদের অভাব নাই--কিন্ত সে আমোদে চারিদিক আমোদিত হইয়! উঠে না। আমরা কেবল দেখিতে পাই-কুলিগুলা বাহিরে বমিয়া সন্তস্তচিত্বে পাখার দড়ি টানিতেছে, সহিদ্‌ ডগ্কার্টের ঘোড়ার লাগাম ধরিক্] চামর দিয়া মশামাছি তাড়াই তেছে, মৃগয়ার সময় বাজে লোকের! জঙ্গলের শিকার তাড়। করিতেছে এবং বন্দুকের টো একটা! গুলি পণুলক্ষ্য হইতে ত্রষ্ট হইগ্জা নেটিভের মর্মভেদ করিতেছে। তারতবর্ষে ইংরেজরাঞ্যের বিপুল শাসনকার্ধা একেবারে আনন্দহীন, সৌনর্ধ/হীন_তাহার সমস্ত পথই আপিদ্‌আদালতের দিকে--জন- সমাজের হৃদয়ের দিকে নছে। হঠাৎ ইহার মধ্যে একটা খাপ্ছাড়! দরবার কেন? সমস্ত পাদনপ্রণালীর সঞ্গে তাহার কোন্ধ।নে যোগ সপ্ন সপ পাস্ি পপাসপ সাি পীসি প্িিপসিটিসত অতুযুক্তি। | ১১৩ গাছেণতায় ফুল ধরে, আপিসের কড়ি-বরগায় ত মাধবী-মঞ্জরা ফোটে না! এ যেন মরুভূমির মধ্যে মরাচিকার মত। এ ছায়া 'তাগনিবারণের জন্ত নহে, এ জল তৃষ দুর করিবে না। পূর্বেকার দরবারে সম্রাটের যে নিজের প্রতাপ জাহির করিতেন তাহ! নছে; দে সকণ দরবার কাহারে। কাছে তারস্বরে কিছু প্রমাণ করিবার জন্ত ছিল না,_তাহা স্বাভাবিক ;_-সে সকল উৎসব বাদশাহ- নবাবদের ওদার্য্যের উদ্বেলিত-প্রবাহত্বরূপ ছিল;- -সেই গ্রবাহ বদান্ুতা বহন কারত, তাহাতে প্রার্থর প্রার্থনা পুর্ণ করিত, দীনের অভাব দুর হইত, তাহাতে আশা এবং আনন্দ দুরদুরাস্তরে বিকীর্ণ হইয়। যাইত । অগাম দরবার উপলক্ষ্যে কোন্‌ পীড়ত আশ্বস্ত হইয়াছে, কোন্‌ দরিদ্র সুখন্বপ্ন দেখিতেছে? সেদিন যদি কোনে। ছুরাশাগ্রপ্ত হূর্তাগ। দরখাস্ত হাতে সততরট্প্রতানধির কাছে অগ্রপর হইতে চায়, তৰে কি পুলিশের প্রহার পুঞ্জেলইরা তাহাকে কীদির়। ফারতে হইবে না? তাই বালতেছিলাম আগামা দিল্লির দরবার পাশ্চাত্য অত্যুক্তি, তাহা নেকি অত্যুক্তি। এাদ্কে হিসাবকিতাব এবং পোকানদারিটুকু আছে--ওাদকে প্রাচ্যসম্রাটের নকলটুকু না করিলে নয়। আমর! দেশব্যাপী অনশনের দিনে এই নিতাস্ত ভূয়া দরবারের আড়ম্বর দেখিয়া ভীত হইয়াছিলাম বাঁলয়া কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়। বলিয়াছেন__থরচ খুব বেশি হুইবে না, যাহাও হইবে, তাহার অর্ধেক আদায় করিয়। লইতে পারিব। কিন্তু সেদিন উৎদব করা চলে না, যেদিন খরচপত্র সাম্লাইয়া চলিতে হয়। তহবিলের টানাটানি বই উত্মৰ করিতে হইলে, নিজের খরচ বাচাইবার দিকে দৃষ্টি রাখিয়া অন্তের খরচের প্রতি উদানীন হইতে হয়|. তাই আগামী দরবারে সম্রাটের নায়েব অল্প খরচে কাজ চালাইবেন বটে, কিন্ত আড়ম্বরটাকে স্ফীত করিয়া ভূলিবার জন্ত রা্া- | দিগকে খরচ কাইবেন ॥ প্রত্যেক রাজাকে অন্তত কণট। হাতা, কটা ৮ ১১৪ ভারতবর্ষ । পরস্পর সিসি সিসি স্তন ঘোড়া, কজন লোক আনিতে হুইবে, গুনিতেছি তাহার অন্থশাসন জারি হইয়াছ। সেই সকল রাঙ্গাদেরই হাতিঘোড়া-লোকলস্তরে $ষথাভ্তব অল্প খরচে চতুর সমাট্গ্রতিনিধি যথানস্তব বৃহত্ব্যাপার ফীঁদিয়। তুলিবেন। ইহাতে চাতুরধ্য ও প্রতাগের পরিচয় পাওয়া যায়, কিন্ত ব্দান্তত। ও ওদা্ধ্য- প্রাচ্য সম্প্রদায়ের মতে যাহা রাজকীম্ব উৎসবের প্রা বলিলেই হয় তাহা ইহার মধ্যে থাকে না। একচক্ষু টাকার থলিটির দিকে এবং অন্ত চক্ষু সাবেক বাদ্‌শাহের অন্ুকরণকার্ষ্যে নিযুক্ত রাখিয়। এ সকল কাজ চলে না। এ নব কাজ যেস্বভাবত পারে, দে-ই পারে এবং তাহাকেই শোভ। পায়। ইতিমধ্যে আমাদের দেশের একটি রাজা সম্রাটের অভিষেক উপলক্ষে তাহার প্রঙ্জাদ্িগকে বহুসহত্র টাক খাজ্ন। মাপ দিয়াছেন। আমাদের মনে হইল, ভারতবর্ষে রাজকীয় উৎসব কি ভাবে চালাইতে হয়, ভারতবর্ষীয় এই রাজাটি তাহ! ইংরেজ কর্তৃপক্ষদিগকে খিক্ষ। দিলেন। কিন্তু যাহারা নকল করে, তাহার৷ আমল শিক্ষাটুকু গ্রহণ করে না, তাহারা বাহ আড়ম্বরটণকেই ধরিতে পারে। তণগ্তবালুকা স্যর মত তাপ দে, ।কন্ত আলোক দেয় না। মেইজন্ত তপ্তবালুকার তাপকে আমাদের দেশে অসহা আতিশয্যের উদাহরণ বলিয়া উল্লেখ করে। আগামী দিল্লিদরবারও সেইরূপ প্রতাপ বিকিরণ করিবে, কিন্ত আশা ও আনন্দ দিবে না । শুদ্ধমাত্র দণ্ড-প্রকাশ সম্রাটুকেও শোভ। পায় না--ওদার্য্ের দ্বারা-_দয়াদাক্ষিণ্যের দ্বার ছুঃলহ দত্তকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখাই,ষথার্থ রাজোচিত। আগামী দরবারে ভারতবর্ষ তাহার সমস্ত বাজরাজন্থ লইয়া বর্তমান বাদৃশাহের নায়েবের কাছে নতিম্বীকার করিতে যাইবে, কিন্তু বাধশাহ তাহাকে কি সম্মান, কি সম্পদ, কোন্‌ অধিকার ধান করিবেন? কিছুই নহে। ইহাতে যে কেবল ভারগবর্ষের অবনত্বীকার তাহা নহে, এইরূপ শৃন্তগর্ত আকন্দিক অত্যুক্তি। ১১৫ দরবারের বিপুল কার্পণ্য মি রাজমহিম। লচা্গাতির নিকট বর্ব না! হইয়! থাকিতে পারে না। যেসকল কাব ইংঢরজী দস্বরমতে সম্পন্ন হয়, তাহা! আমাদের প্রথার সঙ্গে না মিলিলেও সে সম্বন্ধে আমরা চুপ করিয়৷ থাকিতে বাধ্য । যেমন, আমাদের দেশে বরাবর রাজার আগমনে বা রাজকীয় সুভকর্মাদিতে যে সকল উৎনব মামোদ হইত, তাহার বায় রাজাই -বহুন করিতেন, প্রজারা গন্মতিথি প্রভৃতি নানাগ্রকার উপলক্ষ্যে রাজার অনুগ্রহ লাভ করিত। এখন ঠিক তাহার উল্টা হইয়াছে। রাজা জন্মিলে-মরিলে নড়িলে-চড়িলে প্রজার কাছে রাজার তরফ হইতে টাদার খাতা বাহির হয়, রাজা-বাম়বাহাছুর প্রভৃতি খেতাবের রাজকীয় নিলামের দোৌকান জমিয়া উঠে। আকবর-শাজাহান্‌ প্রভৃতি বাদ্‌শারা নিজেদের কীত্তি নিজের! রাখির। গেছেন,এখনকার দিনে রাজকর্মচারীর। নানা ছলে নানা কৌশলে প্রজাদেব কাছ :হইতে বড় বড় কীততিস্তস্ত আদায় করিয়া লন। এই যে সম্রাটের প্রতিনিষি স্ুর্য্যবংশীয় ক্ষত্রিয় রাজাদিগকে সেলাম দিবার জন্ত ডাকিয়াছেন, ইনি নিজের দানের দ্বারার কোথায় দীঘি খনন করাইয়াছেন, কোথায় পাস্থশাল! নিষ্মাণ করিয়াছেন, কোথায় দেশের বিগ্ভাশিক্ষা ও শিল্পচচ্চাকে আশ্রয় দান করিয়াছেন? সেকালে বাদশারা, নবাবরা, রাজকর্মচারি- গণও এই সকল মঙ্গলকার্যের ছারা প্রজাদের হৃদয়ের সঙ্গে যোগ রাখিতেন। এখন বাজকর্মমচারীর অভাব .নাই--তাহাদের বেতনও যথেষ্ট মোটা বলিয়া জগছিখ্যাত-কিন্তু দানে ও সৎকর্থে এদেশে তাহাদের অস্তিত্বের কোন চিন্তু তাহারা রাখিয়া যান না। বিলাতী 'দোকান হুইতে তাহারা ভ্রিনিষপত্র কেলেন, বিলাতী সঙ্গীদের সঙ্গে আমোদ-আহলাদ করেন, এবং বিলাতের কোণে বসিয়া সডিদকান, পর্য্যন্ত তাদের পেন্সন্‌ সস্ভোগ করিয়। থাকেন। ' ১১৬ ভারতবর্ষ। রতি ভারতবর্ষে লেডি :ডফারিণের নামে যে ষকল হাসপাতাল খোলা হইল, তাহার টাকা ইচ্ছায-অনিচ্ছায় ভারতবর্ষের প্রনধারাই ৪জাগাইয়াছে। এ গ্রথ। খুব ভাল হইতে পারে, কিন্তু ইহ! ভারতবর্ষের প্রথা নহে-_নুতরাং এই প্রকাত্রের পুর্তৃকার্ষ্য আমাদের হৃদয়স্পশ করে, 'না। না করুক্‌, তথাপি বিলাতের রাজা বিলাতের প্রথামতই চলিবেন, ইহাতে বলিবার কথ। কিছু নাই। কিস্তু কখনে। দিশি কথনে! বিলিতি. হইলে কোনোটাই মানান্নই হয় না। বিশেষেত আড়ম্বরের বেলায় দিশি দত্তর এবং খরচপত্রের বেলায় বিলিতি দস্তর হইলে আমাদের কাছে ভারি অনঙ্গত ঠেকে । আমাদের বিদেশী কর্তারা ঠিক করিয়া বসিয়। আছেন, যে প্রাচ্যহৃদ় আড়ম্বরেই ভোলে, এইজন্তই ভ্রিখকোটি অপদার্কে অভিতূত করিতে দিল্লির দরবার নামক একটা সুবিপুল অন্যুক্তি বহু চিন্তায়"চেষ্টায় ও হিসাবের বহুতর কশাকশি দ্বার খাড়া করিয়। তুলিতেছেন-_ জানেন না যে, প্রাচ্যহদয় দানে, দয়াদাক্ষিণ্যে, অবারিত মঙ্গল-অনুষ্ঠটানেই ভোলে। আমাদের যে উৎসব-সমারোহ, তাহা আহুত-নাহ্ত-রবাহতের আনন্দ-সমাগ্রম? তাহাতে £এহি এছি দ্নেহি দেহি গীয়তাং ভূজ্যতাত রবের কোথাও বিরাম ও বাধা নাই। তাহ্‌। প্রাচ্য আতিশয্যের লক্ষণ হইতে পারে, কিন্তু তাহা। খাঁটি, তাহা স্বাভাবিক ;--আর পুলিসের দ্বার! সীমানাবদ্ধ, সড়ীনের দ্বার! কণ্টকিত, সংশয়ের ছার! সন্ত্রস্ত, সতর্ক কপণতার দ্বার! সঙ্কীর্ণ, দয়াহীন দানহীন যে দ্বরৰার--বাহা কেবলমাত্র দস্ত প্রচার, তাহ! পাশ্চাত্য অত্যুক্ত--তাহাতে, আমাদের হুদ পীড়িত ও লাঞ্ছিত হয়--আমাদের কল্পনা আকৃষ্ট, ন| হইস। গ্রতিহত হইতে থাকে । তাহা গদাধ্য হইতে উৎসারিত নহে», সাহ। গ্রাচ্ধ্য হইতে উদ্বেলিত হয় নাই। এই গেল নকল-কর! অত্যুক্ধি কিন্ত নকল, বাহ্‌ আড়ঘরে মুলকে _ ছাড়াইবার চেষ্টা করে, এ কথা সকলেই জানে। দ্মতরাং সাহেব যদি সালা দির্সিলীমপ সী টিসি লা দি রস্টিলাসিরাসিশিি | ভিসির অত্যুক্তি। ১১৭ সাছেষী ছাড়িক্। নবাবী ধরে, তবে তাহাতে যে আতিশব্য প্রকাশ হইয় পড়ে, তাহ! কতকটা কৃত্রিম, অতএব তাহার দ্বারা জাতিগত অত্যুক্তির প্রকৃতি ঠিক ধরা যায় না। ঠিক খাঁটি বিলাতি অত্যুক্তির একটা দৃষ্টাস্ত মনে পড়িতেছে। গবর্মেন্ট সেই দৃষ্টান্তটি আমাদের চোখের সাম্নে পাথরের স্ীস্ড দিয়া স্থায়িভাবে খাড়া করিয়। তুলিয়াছেন, তাই সেটা ন্থঠাৎ মনে পড়িল। তাহা অন্ধকৃপহত্যার অত্যুক্তি। পূর্বেই বলিগ্াছি, প্রাচ্য অত্যক্তি মানসিক টিলামি। আমরা “কিছু প্রাচ্্্যপ্রিয়, আঁটার্জীটি আমাদের সহে না। দেখ না আমাদের কাঁপড়গুলা টিলাঢালা, আবশ্তটফের চেয়ে অনেক বেশি- ইংরেজের 'বেশতৃষা কাঁটার্থটা, ঠিক মাপসই-_এমন কি, আমাদের মতে তাহা 'আটিতে আটিতে ও কাটিতে কাটিতে শালীনতার সীমা ছাড়াইয়া "গেছে । আমরা, ্ৈ প্রচুররূপে নগ্ন, নয় প্রচুররূপে আবুৃত। আমাদের কথাবার্তীও দেই ধরণের,_হুম্ন একেবারে মৌনের কাছাকাছি, নয় 'উদারভাবে স্থুবিস্তৃত। আমাদের ব্যবহারও তাই, হয় অতিশয় সং -নয় হৃদয়াবেগে উচ্ছসিত। কিন্তু ইংরেজের অত্যুক্তির সেই স্বাভাবিক প্রা নাই,_ তাহা | অত্যুক্তি হইলেও ধর্বকায়। তাহা আপনার অমুলকতাকে নিপুণভাবে আটিচাপ! দিয়া ঠিক সমূলকতার মত সাব্াইয়! তুলিতে পারে। প্রাচ্য অত্যুক্তির অভিটুকুই শোভা, তাহাই তাহার অলঙ্কার, সুতরাং তাহা 'অসঙ্কোচে বাহিরে আপনাকে ঘোষণা করে। ইংরেজি অত্যুক্ির অতিটুকুই গভীর ভাবে ভিতরে থাকিয়! যাঁ়_-বাহিরে তাহ! বাস্তবের সংযত সাজ পরিয়া থাটি মতের সহিত এক পংক্তিতে বসিয়া পড়ে । আমরা হইলে বলিতাম, অন্ধকুপের মধ্যে হাজারো লোক অরিয়াছে। সংবাদটাকে একেবারে একঠেলায় অত্যুক্তির মাঝ-দরিয়ার মধ্যে রওনা করিয়! দিতাম। হুল্ওয়েল্‌ সাহেব একেবারে জনসংখ্যা ১১৮ ভারত ॥ দি 4222525 ০০০ সম্পূর্ণ নিরব করিয়া তাহার তালিক! দিয়া অন্ধকৃপের আয়তন একেবারে ফুট-হিদাবে গণন। করিয়। দিয়াছেন! যেন সত্যের মধ্যে কোথাও কোন ছিদ্র নাই। ওদিকে যে গণিত শান্তর তাহার প্রতিবাদী হইয়৷ বসিয়া আছে, সেটা খেয়াল করেন নাই। হুল্ওয়েলের মিথ্যা ষেকতস্থানে কতরূপে ধর! পড়িয়াছে, তাহা শ্রীযুক্ত . অক্ষমকুমার মৈত্রেয মহাশয়ের পিয়াজন্দৌন্ল। গ্রন্থে ভালরূপেই আলোচিত হইয়াছে ।, আমাদের উপদেষ্টা কার্জন্‌ সাহেবের নিকট স্পর্ধা পাইয়! হল্ওয়েলের, সেই অত্যুক্তি রাজপথের মাঝখানে মাটি ফু'ড়িরা স্বর্গের দিকে পাষাণ- অন্ুষ্ঠ উযাপিত করিয়াছে । প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সাহিত্য হইতে ছ্ই বিভিন্ন ্রেদীর অত্যুক্তির' উদ্দাহরণ দেওয়া যাইতে পারে। প্রাচ্য অতযুক্ির উদাহরণ আরব্য উপন্তাদ এবং পাশ্চাত্য অত্যুক্তির উদাহরণ রাডিয়ার্ড কিপ্লিংয়ের' “কিম্চ এবং তাহার ভারতবধাঁয় চিত্রাবলী। আরব্য উপন্তাসেও- ভারতবর্ষের কথ, চীনদেশের কথ! আছে, কিন্ত সফলেই জানে তাহা! গল্পমাব্র-_তাহীর মধ্য হইতে কাল্পনিক সত্য ছাড়া আর কোন সত্য ক্ষেহ প্রত্যাশাই করিতে পারে না, তাহ! এতই সুম্পষ্ট। কিন্তু কিপ্লিং তাহার কল্পনাকে আচ্ছন্ন রাখিরা এমনি একটি সত্যের আড়ম্বর করিয়াছেন যে, যেমন হুলপৃ-পড়। সাক্ষীর কাছ হইতে লোকে প্রক্কত- বৃত্তান্ত প্রত্যাশ। করে, তেমনি কিপ্লিঙের গল্প হইতে ত্রিটিশপাঠক্ষ ভারতবর্ষের প্রক্কত বৃত্তান্ত প্রত্যাশা না করিয়। থাকিতে পারে না। ব্রিটিশ পাঠককে এমনি ছল করিয়া ভুলাইতে হুয়। কারণ ব্রিটিশ পাঠক বাস্তবের প্রিয় । শিক্ষালাভ করিবার বেলাও তাহার বাস্তগন চাই। থেলেনাকেও বাস্তব করিয়া তুলিতে না পারিলে তাহার খেলার সুখহ্য় না| আমর! দেখিয়াছি, ব্রিটিশ ভোজে খরগোষ রাধিয়া জন্ধটাকে যথাসস্তভব অবিকল রাখিয়াছে। সেট! যে সুখাস্ভ ইহাই- ্ত্যুক্তি। ১১৯ যথেষ্ট আমোদের নহে, কিন্তু সেটা যে একট বাস্তবজন্ত ব্রিটিশ ভোগী তাহা! প্রত্যক্ষ অনুভব করিতে চায়। ব্রিটিশ খানা যে কেবল খান! তাহা নহে, তাহ! গ্রাণিবৃত্বান্ত্ের গ্রন্থবিশেষ বলিলেই হয়। যদি কোন বাগনে পাঁবীগুলা ভাজ! ময়দার আবরণে ঢাকা পড়ে, ওবে তাহাদের পাগুল! কাটিয়। আবরণের উপরে বসাইয়া রাখা হয়। বাস্তব এত আবশ্তক। কল্পনার নিজ এলাকার মধ্যেও বৃটিশ পাঠক বাস্তবের সন্ধান করে--তাই কল্পনাকেও দায়ে পড়িয়। প্রাণপণে বাস্তবের ভাঁণ করিতে হয়। যেব্যন্কি অসম্ভব স্থান হইতেও সাঁপ দেখিতেই চায়, সাপুড়ে তাহাকে ঠকাইতে বাধ্য হয়। সে নিজের ঝুলির ভিতর হইতেই সাপ বাহির করে, কিন্তু ভাঁণ করে যেন দর্শকের চাদরের মধ্য হইতে বাহির হইল। কিপ্লিং নিজের কল্পনার ঝুলি হইতেই সাপ বাছ্ির করিলেন, কিন্তু নৈপুণাগুণে ব্রিটিশ পাঠক ঠিক বুঝিল যে, এসি- য়ার উত্তরীয়ের ভিতর হইতেই দরীস্যপগুলা দলে দলে বাহির হইয়া আসিল। | বাহিরের বাস্তব সতোর প্রতি আমাদের প্রতি আমাদের এরূপ একাস্ত লোলুপতা নাই । আমর! কল্পনাকে কল্পনা জানিয়াও তাহার মধ্য হইতে রস পাই। এজস্ত গল্প গুনিতে বসিয়া! আমর! নিজেকে নিজে তুলাইতে পারি- লেখককে কোনবূপ ছলন1 অবলম্বন করিতে হয় না। কাল্পনিক সত্যকে বাস্তব সত্যের ছদ্মগোপদাড়ি পরিতে হস না। আমরা বরঞ্চ বিপরীত দ্রিকে যাই । আমর! বাস্তব সত্যে কল্পনার রং ফলাইয়। তাহাকে অপ্রাকৃত করিয়! ফেলিতে পারি, তাহাতে আমাদের ছুঃখবোধ হয় না। আমর! বাস্তঘ সত্যকেও কল্পনার সহিত মিশাইয়। দিই-_-আর যুরোপ কল্পনাকে ও বাস্তব সত্যের মৃত্তি পরিগ্রহ করাইয়া তবে ছাড়ে । আমাদের এই শ্বভাঁবদোষে আমাদের বিস্তর ক্ষতি হইয়াছে_-আর ইংরেজের স্বভাবে ইংরেজের কি কোনে লোক্‌- ১২০ ভারতবর্ষ। সান্‌করে নাই? গোপন-মিথ্যা কি দেখানে ঘরে-বাছিরে বিহার করিতেছে না? সেখানে খবরের কাগজে খবর-বানানো। চলে, তাহা! দেখ গিয়াছে এবং সেখানে বাবসাদার'মহলে শেয়ার-কেনাবেচার বাজারে যে কিরূপ সর্বনেশে মিথা! বানানো হইয়া থাকে, তাহা . কাহারো! অগোচর নাই ।. বিলাতে বিজ্ঞাপনের অত্যুক্ি ও মিথ্যোক্তি নানা বর্ণে নানা চিত্রে নানা অক্ষরে দেশ-বিদেশে নিজেকে কিরূপ ঘোষণা করে, তাহ। আমর। জানি--এবং আজকাল আমরাও ভদ্রাভব্রে মিলিয়া নিলজ্ঞভাবে এই অভ্যাস গ্রহণ করিয়াছি! বিলাঁতে পজিটিকো বানানে বাজেট তৈরি করা, প্রশ্নের বানানে। উত্বর দেওয় প্রভৃতি . অভিযোগ তুলিয়া এক পক্ষের প্রতি অপর পক্ষে যে সকল দোষারোপ করিদ্বা থাকেন, তাহ যদি মিথ্যা হয় তবে লজ্জার বিষয়, যদি না হয় তবে শঙ্কার বিষয় ননেহ নাই । সেখানকার পার্লামেণ্টে পালামেন্ট- সঙ্গত ভাষায় এৰং কথনে! বা তাহা লঙ্ঘন করিয়াও বড় বড় লোককে মিথ্যুক, গ্রবঞ্চক, সতাগোপনকারী বল! হইয়া! থাকে; হয়, এরূপ নিন্নাবাদকে অত্যুক্তিপরায়ণতা| বলিতে হয়, নয়, ইংলগ্ডের পলিটিকা, মিথ্যার দ্বারা জীর্ণ এ কথ ত্ীকার করিতে হয়। যাহা হউক, এ সমস্ত আলোচনা করিলে এই কথা৷ মনে উদয় হয় যে, বরঞ্চ অত্যুক্কিকে সুস্পষ্ট অতুাক্তিরূপে পোষণ করাও ভাল, কিন্তু অত্যুক্তিকে সুকৌশলে ছীটিয়া-ছু'টিয়া! তাহাকে বান্তবের দলে চালাই- বার চেষ্টা করা ভাল নহে-_তাহাতে বিপদ অনেক বেশি । পূর্বেই বলিয়াছি, যেখানে ঢই পক্ষে উভয়ের ভাষা বোঝে, সেখানে পরম্পরের যোগে অতুক্তি আপনি নংশোধিত হুইয়! আসে। কিন্ত ছুর্ভাগাক্রমে বিলাতি অতুযুক্তি বোঝ! আমাদের পক্ষে শক্ত । এইজন্য তাহা অক্ষরে-অক্ষরে বিশ্বাস করিয়া, আমরা নিজের অবস্থাকে হান্তকর ও শোচনীয় করিয়া তুলিয়াছি। ইংরেজ বলিয়াছিল, আমর! তোমাদের অত্যুক্তি। ১২৯ ভাল করিধার জন্তই তোমাদের দেশ শাসন করিতেছি, এখানে শাদা" কালোয় অধিকারভেদ নাই, এখানে বাঘে-গোরুতে একঘাটে জল খায়, মত্রাট্শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ আকবর যাহা করপনামাত্র করিয়াছিলেন, আমা" দের সাম্রাজ্যে তাহাই সত্যে ফলিতেছে। আমরা তাড়াতাড়ি ইহাই 'বিশ্বাস করিয়া আশ্বাসে ক্ষীত হইয়া বসিয়। আছি | আমাদের দাবীর 'আর অন্ত নাই। ইংরেজ বিরক্ত হইয়া আজকাল এই সকল অত্যুক্কিকে খর্ব করিয়া লইতেছে। এখন বলিতেছে-_যাহা! তরবারি দিয়া জয় করিয়াছি, তাহ! তরবারি দিয়া রক্ষা করিব। শাদা-কালোয় যে যথেষ্ট ভেদ আছে, তাহা এখন অনেক সময়ে নিতাস্ত গায়ে পড়িয়া নিতান্ত স্পষ্ট করিয়া দেখানো হইতেছে । কিন্তু তবু বিলাতি অত্যুক্তি এমনি স্থনিপুণ ব্যাপারে যে, আজে! আমর! দাবী ছাড়ি নাই, আজে। আমরা বিশ্বাস আকড়িয়া বলিয়া আছি, সেই সকল অত্যুক্তিকেই আমাদের প্রধান দলিল করিয়া! আমাদের জীর্শ-চিরপ্রানে বযত্বে বাধিয়া রলাখি- স্বাছি। অথচ আমরা প্রত্যক্ষ দেখিতেছি, এক সময়ে ভারতবর্ষ পৃথিবীকে কাপড় জোগাইয়াছে, আজ সে পরের কাপড় পরিয়৷ লঙ্জ! ৰাড়াইতেছে-_-এক সময়ে ভার ততৃমি অন্বপূর্ণ। ছিল, আজ “হাদে লক্ষী হুইল লক্ষমীছাড়1”__এক সময়ে ভারতে পৌরুষরক্ষ। করিবার অস্ত্র ছিল, আজ কেবল কেরাণীগিরির কলম কাঁটিবার ছুরিটুকু আছে। ইষ্ট ইত্ডিয়।৷ কোম্পানি রাজত্ব পাইয়। অবধি ইচ্ছা পূর্বক চেষ্পূর্ব্বক ছলে- বলে-কৌশলে ভারতের শিল্পকে পন্থু করিয়া সমস্ত দেশকে কুষিকার্ষ্ে দীক্ষিত করিয়াছে, আম আবার সেই কৃষকের খাজন| বাড়িতে বাড়িতে সেই হতভাগ্য খণসমুদ্রের মধ্যে চিরদিনের মত নিমগ্ন হইয়াছে--এই ত গেল বাণিজ্য এবং কৃষি ।--তাহার পর বীধ্য এবং অস্ত্র, সে কথার উল্লেখ করিবার প্রয়োজন নাই। ইংরেজ বলে, তোমরা কেবলি চাক্রির দিকে ঝু'কিয়াছ, ব্যবসা কর না কেন? এদিকে দেশ হইতে, ১২৭ ভারতবর্ষ । বর্ষে বর্ষে প্রায় পাচশতকোটি টাক! খাজনায় ও মহাজনের লাভে বিদ্বেশে চলিয়া যাইতেছে ] মূলধন থাকে কোথায়? এই অবস্থায় ঈাড়াইয়াছি। তবু কি বিলাতির অতুাক্তির উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া কেবলি দরখাস্ত জারি করিতে হইবে? হায় ভিক্ষুকের অনস্ত ধৈর্য্য ! হায় দরিদ্রাণাং মনোরথাঃ! রোমের শাসনে, স্পেনের শাসনে, মোগলের, শাসনে এত-বড় একটা বুহৎ দেশ কি এমন নিঃশেষে উপায়বিহীন ইইয়াছে? অথচ পরদেশশাসনসন্বন্ধে এত বড়-বড় নীতি কথার দস্ত- পূর্ণ অতুযুক্তি আর কেহ কি কখনে৷ উচ্চারণ করিয়াছে? কিন্ত এ সকল অপ্রিয় কথা উত্থাপন করা কেন? কোন একটা জাতিকে অনাবশ্তাক আক্রমণ করিয়া গীড়া দেওয়া আমাদের" দেশের লোকের ব্বভাঁবসঙ্গত নহে_ইহা! আমরা ক্রমাগত ঘা খাইয়া ইংরেজের কাছ হইতেই শিখিয়াছি। নিতান্ত গায়ের জালায় আমা- দিগকে যে অশিষ্টতায় দীক্ষিত করিয়ুছে, তাহা আমাদের দেশের জিনিষ নহে। কিন্ত অন্তের কাছ হইতে আমরা যতই আঘাত পাই না কেন, আমাদের দেশের যে চিরস্তন নম্রতা; যে ভদ্রতা, তাহ পরিত্যাগ করিব কেন? ইহাঁকেই বলে চোরের উপর রাগ করিয়া নিজের ক্ষতি করা। অবস্থ পরের নিকট হইতে স্বজাতি মখন অপবাদ ও অপমান সহা করিতে থাকে, তখন যে আমার মন অবিচলিত থাকে, এ কথ! আমি বলিতে পারি না। কিন্তু সেই অপবাদ-লাঞ্চনার জবাঁব দিবার জন্তই যে আমার এই প্রবন্ধ লেখা, তাহা নহে | আমর যেটুকু জবাব দিবার চেষ্টা করি, তাঁহা নিতাস্ত ক্ষীণ, কারণ বাকৃশক্তিই আমাদের একটিমাক্র ্রক্তি। কামানের যে গর্জন তাহা ভীষণ, কারণ তাহার সে সঙ্গে লোহার গোলাট। থাকে, কিন্ত প্রতিধবনির যে প্রত্যুত্তর তাহা ফাকা । সেরূপ থেলামাত্রে আমার অভিকুচি নাই । অতুযৃক্তি। ১২৩ এ প্‌ ইংরেজ আমার এ লেখ! পড়িবে না, পড়িলেও সকল কথা ঠিক বুঝিবে না। আমার এ লেখা আমাদের শ্বদেশীয় পাঠকদের জন্তাই। অনেকদিন ধরিয়া চোখ বুজিয়৷ আমরা বিলাতি সভ্যতার হাতে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করিয়াছিলাম। ভাবিয়াছিলাম সে সভ্যতা স্বার্থকে অভি-. ভূত করিয়া বিশ্বহিতৈষ! ও বিশ্বজনের শৃঙ্খলমুক্তির পথেই মত্য-প্রেম- শাস্তির অনুকূলে অগ্রসর হইতেছে । কিন্তু আজ হঠাৎ চমক ভাডিবার সময় আসিয়াছে । , পৃথিবীতে এক এক নময়ে প্রলয়ের বাতাস হঠাৎ উঠিয়া! পঞ্টে। এক সময়ে মধ্য এসিয়ার মোগলগণ ধরণী হইতে লক্ষীত্রী ঝাটাইতে বাহির হইয়াছিল--এক সময়ে মুলমানগণ ধুমকেতুর মত পৃথিবীর উপর গ্রলয়পুচ্ছ সঞ্চালন করিয়! ফিরিয়াছিল। পৃথিবীর মধ্যে যে কোণে ক্ষুধার বেগ বা ক্ষমতার লালস! ক্রমাগত, পোষিত হইতে থাকে, সেই কোণ হুইতে জগদ্ধিনাণী ঝড় উঠিবেই | প্রাীনকালে এই ধ্বংসধবজা! তুলিয়া গ্রীক, রোমক, পারসীকগণ অনেক রক্তসেচন করিয়াছে। ভারতবর্ষ বৌদ্ধ-রাঁজার্দের অধীনে বিদেশে আপন ধর্ম প্রেরণ করিয়াছে, আপন স্থার্থবিস্তার করে নাই।' ভারতবর্ধীয় সন্যতায় বিনাশপ্লাবনের বেগ কোনোকালে ছিল না। ক্ষমতা ও স্বার্থবিস্তার ভারতবর্ষীয় সত্যতার ভিন্ভি নছে। মুরোপীয় সভ্যতার ভিত্তি তাহাই ।'তাহা সর্বপ্রধত্বে নানা আকারে, নানাদিক্‌ হইতে আপনার:ক্ষমতাকে ও স্বার্থকেই বলীয়ান করিবার চেষ্টা করিতেছে। স্বার্থ ও ক্ষমতাম্পৃহা কোনোকালেই নিজের অধিকারের মধ্যে নিজেকে রক্ষা করিতে পারে না" এবং অধিকার লজ্বনের পরিগামফল নিঃ ংশয় বিপ্লব। _ ইহা-ধর্থের নিষ্বম, ইহা ঞ্ব। সমন্ত সুরোপ আজ অন্ত্েশস্কে দত্তরু হইয়। উঠিয়াছে। ব্যবসারবুদ্ধি তাহার ধর্ণবুদ্ধিকে অতিক্রম কৰ্িতেছে। ১২৪ ভারতবর্ষ | আমাদের দেশে বিলাতি সভ্যতার এমন সকল পরম ভক্ত আছেন-_ বাহারা ধর্মকে অবিশ্বাস করিতে পারেন, কিন্তু বিলাতি সত্যতাকে অবিশ্বাস করিতে পারেন না। তীহীরা বলেন, বিকার যাহা-কিছু “দেখিতেছ, এ সমস্ত কিছুই নহে--ছুই দিনেই কাটিয়া যাইবে। তাহারা ৰলেন, যুরোপাঁয় সভাতার রক্তচক্ষু এজিন্টা সার্কদ্রনীন রাতের পথে 'ধকৃধক্‌.পবে ছুটিয়। চলিয়াছে। এরূপ অসামান্য অন্ধভক্তি. সকলের কাছে প্রত্যৰশা! করিতে পারি 11 সেইজন্যই পূর্বদেশের হৃদয়ের মধ্যে আজ এক স্থগতীর চাঞ্চলোর ষধ্চার হইয়াছে। আসন্ন ঝড়ের আশঙ্কায় পাথী যেষন আপন নীড়ের দিকে ছোটে; তেমনি বাঁুকোণে রক্তমেঘ দেখিয়া পূর্বদেশ হঠাৎ আপনার নীড়ের সন্ধানে উড়িবার উপক্রম করিয়াছে,২_-বজ্গর্জনকে সে সার্ব- ভৌমিক প্রেমের মঙ্গল-শঙ্খধ্বনি বলিয়া কল্পনা করিতেছে না । যুরোপ ধরণীর চারিদিকেই আপনার হাত বাড়াইতেছে__তাহাকে প্রেমালিলনে -বাহুবিস্তার মনে করিয়! প্রাচ্যথণ্ড পুলকিত হইয়। উঠিতেছে না। এই অবস্থায় আমরা বিলাতি সভ্যতার যে সমালোচনায় প্রবৃত্ত 'ক্ইয়াছি, তাহা! কেৰলমাত্র আত্মরক্ষার আকাক্ায়। আমর! যদি বাদ পাই যে, বিলাতি সভ্যতার মূলকাগ্ড যে পলিটিকৃম্‌--সেই পলিটিকৃম্‌ হইতে স্বার্থপরতা, নির্দায়ত1 ও অসত্য, ধনাভিমান ও ক্ষমতা- ভিমান প্রতাহু জগৎ ভুড়িয়া শাখাপ্রশাখা বিস্তার করিতেছে, এবং যদি ইহা৷ বুঝিতে পারি যে, স্বার্থকে সভ্যতার মূলশক্তি করিলে এরূপ দারুণ পরিণাম একাস্তই অবশ্থন্তাবী, তবে সে কথা সর্বতোভাবে আলোচনা ন্করিয়! দেখা আবশ্যক হইয়া! পড়ে--পরকে অপবাদ দিয়া সাত্বন। পাই- বার জন্ত নহে: নিজেকে সময় থাকিতে সংযত করিবার জন্ত। - আমরা' আজকাল পলিটিক্স অর্থাৎ রাষ্ট্রগত একাস্ত স্বার্থপরতাঁকেই সত্যতার একটি মাত্র মুকুটমণি ও বিরোধপরতাকেই উন্নতিগ্লাতের অভ্যুক্তি। ৯২৫. ০০০০ একটিমা্ পথ বণিয়। ধরিয়। লইয়াছি) আমর! পলিটিক্সের মিথ ও দোকানদারীর মিথ্যা বিদেশের দৃষ্টান্ত হইতে প্রতিদিন গ্রহণ করিতেছি ১. আমর! টাকাকে মন্ুষ্যত্থের চেয়ে বড় এবং ক্ষমতালাভকে মঙ্গলত্রতা- চরণের চেয়ে শ্রের বলিয়৷ জানিয়াছি--তাই এতকাল যে স্বাভাবিক নিযনমে আমাদের দেশে লোকহিতকর কন্ম ঘরে ঘরে অনুঠিত হইতে- ছিল, তাহা হঠাৎ বন্ধ হইয়া] গেছে। ,ইংরেজ-গোয়ালা বাটে হাত ন1 দিলে আমাদের কামধেনু আর একফৌটা ছুধ দেয় না-_নিজের বাছুর- কেও নহে। এমনি দারুণ মোহ আমাদিগকে আক্রমণ করিয়াছে ?. সেই মোহজাল ছিন্ন করিবার জন্ত যে সকল তীক্ষবাক্য প্রয়োগ করিতে হইতেছে, আশা করি তাহা বিদ্বেষবুদ্ধির অন্ত্রশালা হইতে গৃহীত হইতেছে না, আশ। করি তাহ! স্বদেশের মঙ্গল-ইচ্ছা হইতে প্রেরিত।, আমর! গালি খাইয়। যদি জবাব দিতে উদ্ভত হইয়া থাকি, সে জবাব, বিদেশী গালিদাতার উদ্দেশে নহে-সে কেবল আমাদের নিজের কাছে. নিজের সন্মান রাখিবার জন্ত, আমাদের নিজের প্রতি ভগ্নপ্রবণ বিশ্বা- সকে বাধিয়। তুলিবার জন্ত, শিশুকাল হইতে বিদেশীকে একমাত্র গুরু বলিয়া মানা অভ্যাস হওয়াতে তাহাদের কথাকে বেদবাক্য বলির স্বগাতির প্রতি শ্রদ্ধাবিহীন হুইবার মহাবিপদ হইতে নিজেরা রক্গ। পাইবার জন্ত। ইংরেজ যে পথে যাইতে চায় যাকৃ, যত দ্রুতবেগে- রথ চালাইতে চাহে চালাক্‌, তাহাদের চঞ্চল চাবুকটা যেন আমাদের, পৃষ্ঠে না৷ পড়ে এবং তাহার্দের চাকার তলায় আমর! যেন অন্তিমগতি- লাভ না করি, এই হুইলেই হইল। ভীথ্‌ আমর! চাহি না) উত্তরোত্তর হূর্ণভতর আঙুরের গুচ্ছ অক্ষমের অদৃষ্টে প্রতিদিন টকিযা উঠিতেছে, বলিয়াই হউক আর যে কারণেই হউক্‌, আমাদের আর ভিক্ষায় কাজ- নাই_-এবং এ কথা বলাও বাহুল্য, কুততাতেও আমাদের প্রয়োজন দেখি ন।। শিক্ষাই বল, চাকরীই বল, যাহ! পরের কাছে মাগিয়া- ১২৬ ভারতবর্ষ । পাতিয়! লইতে হয় পাছে কবে আবার কাড়িয়া লয় এই ভয়ে যাহাঁকে পীজরের কাছে সবলে চাপিয়! ধরিয়া বক্ষ ব্যথিত করিয়৷ তুলি, তাহা! “খোওয়া গেলে অত্যন্ত বেশি ক্ষতি নাই ; কারণ, মান্থষের প্রাণ বড় কঠিন, সে বাচিবার শেষ চেষ্টা না করিয়া থাকিতে পারে না। তাহার "যে কতট। শক্তি আছে, নিতান্ত দায়ে না পড়িলে তাহা সে নিজেই “বোঝে না; নিজের সেই অন্তরতর শক্তি আবিষ্কার করিবার জন্ত বিধাতা ষদ্দি ভারতকে সর্বপ্রকারে' বঞ্চিত হইতে দ্রেন, তাহাতে শাপে বর হইবে। এমন জিনিষ আমাদের চাই যাহা সম্পূর্ণ আমাদের স্বায়ত্ব, স্বাহা কেহ কাড়িয়! লইতে পারিবে না--সেই জিনিষটি হৃদয়ে রাখিয়া আমরা যদ্দি কৌগীন পরি, বদি সন্ন্যানী হই, যদি মার, সে-ও ভাল। শভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ।” আমাদের খুব বেশি ব্যঞ্চনে দরকার নাই, যেটুকু আহার করিব, নিজে যেন আহরণ করিতে পারি, খুব বেশি সাঙ্জনজ্জা না হইলেও চলে, মোটা কাপড়টা যেন নিজের হয়, এবং “দেশকে শিক্ষ! দিবার ব্যবস্থা আমরা যতটুকু নিজে করিতে পারি, তাহা যেন সম্পূর্ণ নিজের দ্বারা অনুষ্ঠিত হয়। এক কথায়, যাহা করিব আত্মত্যাগের ঘারায় করিব, যাহা পাইব আতত্মবিসর্জনের দ্বারায় গাইব, যাহা দিব আত্মদরানের দ্বারাঁতেই দিব; এই যদি সম্ভব হয় ত হউকৃ, না যদি হয়, পরে চাঁকরী না দিলেই যদি আমাদের অন্ন না জোটে, পরে বিস্তালয় বন্ধ করিবামাত্রই যদি আমাদিগকে গণ্রমূর্খ হইয়া থাকিতে হয় এবং পরের নিকট হইতে উপাধির প্রত্যাশা না থাকিলে দেশের কাজে আমাদের টাকার থলির গ্রস্থিমোচন যদি না হইতে পারে, তবে পৃথিবীতে আর কাহারো উপর কোন দোষারোপ না করিয়া যথাম্তব জ্বর যেন নিঃশবে এই ধরাতল হইতে বিদায় গ্রহণ করিতে পারি। _ভিক্ষাবৃত্বির তারম্বরে, অক্ষম বিলাপের সাম্ুনাসিকতায় রাজপথের মাঝখানে আমরা যেন বিশ্বজগতের দৃষ্টি নিজেদের প্রতি আকর্ষণ না মন্দিরের কথা। ৯২৭ করি! যদি আমাদের নিজের চেষ্টায় আমাদের দেশের কোন বৃহৎ কাঁজ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তবে হে মহামারি, তুমি আমাদের বান্ধব, হে ছূর্ভিক্ষ, তুমি আমাদের সহায়! পাপা মন্দিরের কথা । উভিষ্যায় ভূবনেশ্বরের মন্দির ষথন প্রথম দেখিলাম, তথন মনে হুইল, একট! যেন কি নূতন গ্রন্থ পাঠ করিলাম । বেশ বুঝিলাম, এই পাথরগুলির মধ্যে কথ| আছে; মে কথ। বহুশতাবী হইতে স্তম্ভিত বলিয়া, মুক বলিয়া; হ্বদয়ে আরে! যেন বেশি করিয়া আঘাত করে। খক্‌-রচয়িতা খষিছন্দে মন্ত্ররচন। করিয়া গরিয়াছেন, এই মন্দিরও পাথরের মন্ত্র; হৃদয়ের কথা দৃষ্টিগোচর হইয়। আকাশ জুড়িয়া াড়াইয়াছে। মানুষের হৃদয় এখানে কি কথা গাথিয়াছে? ভক্তি কি রুহস্ত প্রকাশ করিয়াছে? মানুষ অনস্তের মধ্য হইতে আপন অস্তঃকরণে এমন কি বাণী পাইয়াছিল, যাহার প্রকাশের প্রকাণ্ড চেষ্টায় এই 'শৈলপদমূলে বিস্তীর্ঘ প্রান্তর আকীর্ঘ হুইয়। রহিয়াছে ? এই যে শতাধিক দেবালয়_-যাহার অনেকগুলিতেই আজ আর সন্ধ্যারতির দীপ জলে না, শঙ্খঘণ্ট। নীরব, যাহার খোদিত প্রস্তরথণড- 'গুলি ধূলিলুঠিত-_ ইহারা কোনো একজন ব্যক্তিবিশেষের কল্পনাকে 'আকার দিবার চেষ্টা করে নাই। ইহারা তখনকার সেই অজ্ঞাত যুগের ভাষাভারে আত্রান্তব। যখন ভারতবর্ষের জীর্ণ বৌদ্ধধর্ম নবতৃমিষ্ঠ হিন্দুধর্মের মধ্যে দেহাস্তর লাভ করিতেছে, তখনকার সেই মবজীধনোচ্ছাদের তরললীলা এই প্রস্তরপুঞ্জে আবদ্ধ হইয়। ভারত বর্ষের ১২৮ ভারতবর্ষ। উল্লাস ' এক প্রান্তে যুগান্তরের জাগ্রত মানবহৃদয্ের বিপুল. কলধ্বনিকে আজ সহত্রবসর পরে নিঃশব ইঙ্গিতে ব্যক্ত করিতেছে । ইহা! কোনে একটি প্রাচীন নবধুগের মহাকাব্যের কর্েকথণ্ড ছিন্নপন্্র। এই দেবালরশ্রেণী তাহার নিগৃঢ়-নিহিত নিস্তব্ধ চিত্তশক্তির দ্বারা' দর্শকের অন্তঃকরণকে সহস। যে ভাবান্দোলনে উদ্বোধিত করিয়া তুলিল, তাহার আকম্মিকতা+ তাহার সমগ্রতা, তাহার বিপুলতা, তাহার অপূর্বস্ধ প্রবন্ধে প্রকাশ করা কঠিন-_ বিশ্লেষণ করিয়া, খণ্ড-থও করিয়া বলিবার চেষ্টা করিতে হইবে। মানুষের ভাষা এইখানে পাথরের কাছে হার মানে--পাথরকে পরে-পরে বাক্য গাথিতে হন না, সে স্পষ্ট কিছু বলে না, কিন্তু বাহা-কিছু বলে, সমস্ত একসঙ্গে বলে--এক পলকেই সে সমস্ত মনকে অধিকার করে__্ৃতবাং মনযে কি বুঝিল, কি গুনিল, কি পাল, তাহ ভাবে বুঝলেও ভাষায় বুঝতে সময় পায় না, অবশেষে স্থির হইয়। ক্রমে ক্রমে তাহাকে নিজের কথায় বুঝর। লহতে হয়। দেখিলাম, মাণ্দরাত(তির সব্বাঙ্গে ছব খোদা । কোথাও অবকশমাত্র নাই। বেখানে চোখ পড়ে এবং থেখানে চোখ পড়ে না, সর্বত্রই শিল্পার নিরলস চেষ্ট। কাজ করিরাছে। ছবিগুাল বিশেষভাবে পৌরাণিক ছবি নন্ন ) দশ অবতারের লীল! বা স্বর্থলোকের দেবকাহিনীই যে দেবালয্নের গায়ে লিখিত হইয়াছে, তাও বলিতে পারি না। মানুষের ছোটবড় ভালমন্দ প্রতিদিনের ঘটনা--তাহার খেণ। ও কাল, যুদ্ধ ও শাস্তি, ঘর ও বাহির, বিচিত্র আলেখ্যের দ্বারা মন্দিরকে নিবিড়ভাবে বেষ্টন করিয়া! আছে। এই ছবিগুনির মর্যে আর কোন উদ্দেস্ত দেখি না, কেবল এই নংসার যেমন ভাবে চলিতেছে, তাহাই আকিবার চেষ্টা নুতরাং চি্শ্রেণীর ভিতরে এমন অনেক জিনিষ চোখে পড়ে, যাহা দেধালগ়ে অন্কনযোগ্য বলিগন। হঠাৎ মনে হয়ন।। ইহার মধ্যে বাছা- মন্দিরের কথ! । ১২৯ ১০০ বাছি কিছুই নাই-_তুচ্ছ এবং মহৎ, গোপনীয় এবং ঘোষণীয়, সমন্তই আছে। _ কোনো গির্জার মধ্যে গিয়া যদি দেখিতাম, পেখানে দেয়ালে ইংরাজসমাঁজের প্রতিদিনের ছবি ঝুলিতেছে £--কেহ থান! খাইতেছে, ফেহ ডগৃকার্ট হাঁকাইতেছে, কেহ ভুইষ্ট, খেলিতেছে, কেহ পিয়ানে! বাজাইতেছে, কেহ সঙ্গিনীকে বাছপাশে বেষ্টন করিয়। পন! নাঁচিতেছে, তবে হতবুদ্ধি হইয়! ভাঁবিতাম, বুঝি-বা স্বপ্ন দেখিতেছি-_ কারণ, গির্জা সংসারকে সর্ধতোভাবে মুছিয়া-ফেলিয়। আপন স্বর্গীয়ত। প্রকাশ করিতে চেষ্টা করে। মানুষ সেখানে লোকালয়ের বাহিরে আসে__তাহা যেন যথাসম্ভব মর্ত্যসংস্পর্শবিহীন দেবলোকের আদর্শ। ৃ . তাই, ভূবনেশ্বর-মন্দিরের চিত্রাবলীতে প্রথমে মনে বিদ্বয়ের আঘাত লাগে। .স্বভাবত হয় ত লাঁগিত না, কিন্ত আশৈশব ইংরাজিশিক্ষায় আমর! স্ব্ম্ত্যকে মনে মনে ভাগ করিয়া রাখিয়াছি। সর্বদাই সন্তর্পণে ছিলাম, পাছে দেব-আদর্শে মানবভাবের কোন আঁচ লাগে; পাছে দেবমানবের মধ্যে যে পরমপবিত্র স্থদুর ব্যবধান, ক্ষুত্র মানব তাহা লেশমাত্র লঙ্ঘন করে। এখানে মান্য দেবতার একেবারে যেন গায়ের উপর আদিয়! পড়ি- যাছে__তাও ষে ধুলা! ঝাড়িয়া আসিয়াছে, তাও নয়। গতিশীল, কর্ম রত, ধুলিলিপ্ত সংসারের প্রতিকৃতি নিঃসক্কোচে সমুচ্চ হইয়। উঠিয়! দেবতার প্রতিমৃত্তিকে আচ্ছন্ন করিয়া রহিয়াছে । | মন্দিরের ভিতরে গেলাম-_সেখানে একটিও চিত্র নাই, আলোক নাই, অনলঙ্কৃত নিভৃত অস্ফুটতার মধ্যে দেবমূর্তি নিস্তব্ধ বিরাজ করিতেছে | ইছার একটি বৃহৎ অর্থ মনে উদয় ন৷ রা খাতে পারে না | ৬ | $ ১৩" ভারতবর্ষ 1 | সপা্পপাপাম্পািসিলাসসিাসিলাপণটি পি তসিপাস্পাসিলা সি ০৮৯৪ সিপাপাস্টিিিক এ মানুষ এই প্রস্তরের ভাষায় যাহ! বলিবার চেষ্টা জা, ভা সেই বছ দুরকাল হইতে আমার মনের মধ্যে ধ্বনিত হইয়া উঠিল। সে কথা এই-_দেবতা দুরে নাই, গির্জায় নাই, তিনি আমাদের মধ্যেই আছেন। তিনি জন্মমৃত্া,ুথছঃ ধ, পাপপুণ্য, মিলনবিচ্ছেদের মাঝখানে স্তব্ধভাবে বিরাজমান। এই সংসারই তাহার চিরন্তন মন্দির। এই সজীব-সচেতন বিপুল দেবালয় অহরহ বিচিত্র হইয়া রচিত হইয়া উঠিতেছে। ইহা, কোনকালে নূত্তন নহে, কোনকালে পুরাতন হয় না। ইহার কিছুই স্থির নহে, সমস্তই নিয়ত পরিবর্তমান --অথচ ইহার মহৎ এক্য, ইহার সত্যতা, ইহার নিত্যতা নষ্ট হয় না, কারণ এই চঞ্চল বিচিত্রের মধ্যে এক নিত্যসত্য প্রকাশ পাইতেছেন। ভারতবর্ষে বুদ্ধদেব মানবকে বড় করিয়াছিলেন। তিনি জাতি মারেন নাই, যাগবজ্ঞের অবলন্বন হইতে মানুষকে যুক্তি দিয়াছি- লেন, দেবতাকে মানুষের লক্ষ্য হইতে অপস্থত করিয়াছিলেন। তিনি মানুষের আত্মশক্তি গ্রচার £করিয়াছিলেন। দয়া এবং কল্যাণ তিনি স্বর্গ হইতে প্রার্থনা করেন নাই, মানুষের অন্তর হইতেই তাহা তিনি আহ্বান করিয়াছিলেন। এমনি করিয়! শ্রদ্ধার দ্বারা, তক্তির দ্বারা মানুষের অন্তরের জ্ঞান, শক্তি ও উদ্যমকে তিনি মহীয়ান্‌ করিয়া! তুলিলেন। মানুষ যে দীন দৈবাধীন হীনপদার্থ নহে, তাহা তিনি ঘোষণা করিলেন | এমন সম হিন্দুর চিত্ত জাগ্রত হইয়া কহিল-সে কথা যথার্থ_- মানুষ দীন নহে, হীন নহে; কারণ, মানুষের যে শক্কি--যে শক্তি মানুষের মুখে ভাষা! দিয়াছে, মনে ধী দিরাছে, বাছতে নৈপুণ্য. দিয়াছে, যাহা সমাজকে গঠিত করিতেছে, সংসারকে “চালনা করিতেছে, তাহাই দৈবী শক্তি। ধুদ্ধাদেব যে অন্রভেদী মন্দির,.রচন1| করিলেন; নবপ্রবুদ্ধ হিন্দু ই মন্দিরের কথা । ১৩৯ সস মধ্যে তাহার দেবতাকে লাভ করিলেন! বৌদ্বধর্ম হিন্ুধর্শের অন্তর্গত হইয়া গেল। মানবের মধ্যে দেবতার প্রকাশ, সংসারের মধ্যে দেবতার প্রতিষ্ঠা, আমাদের প্রতিমুহ্র্তর স্থখছুঃখের মধ্যে দেবতার সঞ্চার, ইহাই নবহিন্দুধর্থের মর্মবকথা হইয়া উঠিল। শাক্তের শক্তি, বৈষ্ণবের প্রেম ঘরের মধ্যে ছড়াইয়া পড়িল--মানুষের ক্ষুদ্র কাজে- কর্ধে শক্তির 'প্রতাক্ষ হাত, মানুষের স্সেহগ্রীতির সম্ন্ধের মধ্যে দিব্য- প্রেমের প্রত্যক্ষ লীলা অত্যন্ত নিকটবত্তা হইয়া! দেখা দিল। এই দেব- তার আবির্ভীবে ছোট-বড়র ভেদ ঘুচিবার চেষ্টা করিতে লাগিল। সমাজে যাহার! ঘ্বণিত ছিল, তাহারাও দৈবশক্তির অধিকারী বলিয়া অভিমান করিল--প্রাকৃত পুরাণগুলিতে তাহার ইত্তিহাঁদ রহিয়াছে। _উপনিষদে একটি মন্ত্র আছে. “বৃক্ষ ইব স্তক্ষো দিবি তিষ্টত্যেক£”__ যিনি এক, তিনি আকাশে বৃক্ষের স্তায় স্তব্ধ হইয়া আছেন। ভুবনে” শ্বরের মন্দির দেই মন্ত্রকেই আর একটু বিশেষভাবে এই বলিয়া উচ্চারণ করিতেছে_-যিনি এক, তিনি. এই মানবসংপারের মধ্যে স্তব্ধ হইয়া আছেন। জন্মমৃত্যুর যাতায়াত্ত আমাদের চোখের উপর দিয়া কেবলি আবস্তিত হইতেছে, স্ুখছুঃখ উঠিতেছে-পড়িতেছে, পাপ-পুণ্য আলোকে- ছায়ায় সংসারভিত্তি খচিত করিঙ্া দিতেছে, সমস্ত বিচিন্র--সমস্ত চঞ্চল, _ইহারই অন্তরে নিরলঙ্কার নিভৃত, সেখানে যিনি এক, তিনিই বর্ত- মান। এই অস্থির-সমুদয়, যিনি স্থির তাহারই শাস্তিনিকেতন,_-এই পরিবর্তনপরম্পরা, যিনি নিত্য তাহারই চিরপ্রকাশ। (েবমানব, ্বরমর্ত্য, বন্ধন ও মুক্তির এই অনস্ত সামগ্রস্ত--ইহাই প্রস্তরের ভাঁষাক্ খবনিত। ছিব 4 উপনিষদ্‌ এইরূপ কথাই একটি উপমায় প্রকাশ করিয়াছেন. স্ব৩২ ভারতবর্ষ | স্ব পর্ণ! সযুজ। সখায়! সমানং বৃদ্গং গরিষ্বজাঙে। তয়োরস্তঃ পিগলং স্াহত্যনগ্নন্চ্োহভিচাকপ্ীতি |” ছুই সুন্দর পক্ষী একত্র সংযুক্ত হইয়৷ একবৃক্ষে বাস করিতেছে । তাহাক্ক মধ্যে একটি স্বাছু পিপ্লল আহার হি অপরটি অনশনে থাকিয়! তাহ! দেখিতেছে। ভীবাঝা-পরমাত্বার এরূপ দাধুজ্য, এরূপ সারূপ্য, এরূপ সালোক্য, এত অনায়ানে, এত সহজ উপমায়, এমন সরল পাহসের সহিত আর কোথায় বল! হইয়াছে! জীবের সহিত ভগবানের সুন্দর সাম্য যেন কেহ প্রত্যক্ষ চোখের উপর দেখিয়া কথা! কহিয়! উঠিয়াছে-_সেইজন্ত তাহাকে উপমার জন্তু আকাশ-পাতাল হাতড়াইতে হয় নাই | অরণ্য- চারী কবি বনের ছুটি সুন্দর ডানাওয়াল! পাখীর মত করিয়া! সসীমকে ও অদীমকে গায়ে-গায়ে মিললাইয়৷ বসিয়া থাকিতে দেখিয়াছেন, তাই কোনো! গ্রকাও উপমার ঘট! করিয়া এই নিগুঢ় তত্বকে বৃহৎ করিয়া তুলিবার চেষ্টামান্র করেন নাই। ছুটি ছোট পাখী যেমন শ্শষ্টরূপে . গ্রোচর, যেমন মুন্দরভাবে দৃশ্বমান, তাহার মধ্যে নিত্যপরিচয়ের সরলতা যেমন একান্ত, কোনো বৃহৎ উপমায় এমনটি থাকিত না। উপমাটি ক্ষুত্র হইয়াই মত্যটিকে বৃহৎ করিয়া প্রকাশ করিয়াছে-বৃহৎ সত্যের যে নিশ্চিন্ত নাহল, তাহা ক্ষুদ্র সরল।উপমাতেই যথার্থভাবে ব্যক্ত হইয়াছে। ইহারা ছুটিই পাখী, ভানায়-ডানায় সংযুক্ত হইয়া আছে_- ইহারা সখা, ইহারা একবৃক্ষেই পরিষক্ত--ইহার মধ্যে একজন ভোক্তা, আর একজন সাক্ষী, একজন চঞ্চল, আর একজন স্তব্ধ । ভূবনেশ্বরের মদিরও যেন এই মন্ত্র হন করিতেছে-তাহা দেবালয় _ হইতে মানবন্ধকে মুছিয়! ফেলে নাই--তাহা ছুই পাখীকে একত্র গ্রৃতি- ঠিত করিয়। ঘোষণ! করিয়াছে। মঙ্গিরের কথা। ১৩৩ কিন্তু ভৃষনেশ্বরের মন্দিরের মধ্যে আরো! যেন একটু বিশেষ আছে। খধিকবির উপমার ভা নিতৃত্ত অরণ্যের একান্ত নির্জনভার ভাবটুকু রহিয়া গেছে। এই উপমার দৃষ্টিতে প্রত্যেক জীবাত্বা থেন এফাকিরূপেই পরমাত্মার সহিত সংযুক্ত । ইহাতে যে ধ্যানচ্ছবি মনে আনে, তাহাতে দেখিতে পাই যে,যষে আমি ভোগ করিতেছি, ভ্রমণ করিতেছি, সন্ধান করিতেছি, সেই আমির মধ্যে "শাস্তং শিবমদ্বৈতংঃ স্তব্ধতাবে নিয়ত আবিভূর্ত। কিন্তু এই একের সহিত একের সংযোগ ভূধনেশ্বরের মন্দিরে লিখিত হয় নাই। সেখানে সমস্ত মানুষ তাহার সমস্ত কর্ম, সমস্ত ভোগ লইয়া, তাহার তুচ্ছ-বৃহৎ সমস্ত ইতিহাস বহন করিয়া, সমগ্রভাবে এক হইয়া আপনার মাঝখাঁনে অস্তরতররূপে, স্তব্ধরূপে, সাক্ষিরূপে ভগবান্চক প্রকাশ করিতেছে,--নিজ্জনে নহে, যোগে নহে--মজনে, কর্মের মধ্যে । তাহ৷ সংপারকে, লোকালয়কে দেবালয় করিয়া ব্যক্ত করিয়াছে__তাহা সমষ্টিৰপে মানবকে দেবসত্বে অভিষিক্ত করিয়াছে । তাহ প্রথমত ছোট- বড় সমস্ত মানবকে আপন প্রস্তরপটে এক করিয়! তুলিয়াছে, তাহার পর দেখাইয়াছে, পরম এঁক্যটি কোন্থানে আছে--তিনি কে। এই ভূমা-এক্যের অস্তরতর আবির্ভাবে প্রত্যেক মানব সমগ্রমানবের সহিত মিলিত হুইয়! মহীয়ান্। পিতার সহিত পুত্র, ভ্রাতার সহিত ভ্রাতা, পুরুষের সহিত স্ত্রী, প্রতিবেশীর সহিত প্রতিবেশী, এক জাতির সহিত অন্ত জাতি, এক কালের সহিত অন্ত কাল, এক ইতিহাসের সহিত '্অন্ত ইতিহাস দেবতাত্মা, দ্বার! একাত্ম হইয়। উঠিয়াছে! ১৯৩৪ ৪ ভাঙতবর্ষ। - ধম্মপদঞ। ধম্মপদ্দং |” -অর্থাৎ ধন্মপদ নামক পালিগ্রন্থের মূল, অন্বয়,. সংস্কৃত ব্যাখ্যা ও বঙ্গাগ্ুবাদ। শ্রীচারুচন্ত্র বন্থু কর্তৃক সম্পাদিত, প্রণীত ও প্রকাশিত । মূল্য দেড় টাক|। জগতে 'যে কয়েকটি শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থ আছে, প্ধম্মপদ্ং* তাহার" একটি। বৌদ্ধদের মতে এই ধন্মপদ গ্রন্থের সমস্ত কথা শ্বয়ং বুদ্ধদেবের উক্তি এবং এগুলি তাহার মৃত্যুর অনতিকাঁল পরই গ্রন্থাকাঁরে আবদ্ধ- হইয়াছিল। এই গ্রন্থে যে সকল উপদেশ আছে, তাহা! সমস্তই বুদ্ধের নিজের রচন1 কি না, তাহা নিঃসংশয়ে বল! কঠিন, অন্তত এ কথা স্বীকার করিতে হইবে, এই সকল নীতিবাক্য ভারতবর্ষে বুদ্ধের সময়ে এবং তাহার পূর্বকাগগ হইতে প্রচলিত হইয়া আমিতেছে। ইহার মধ্যে অনেকগুলি শ্লোকের অনুরূপ শ্লোক মহাভারত, পঞ্চতন্ত্র, মনুনংহিত| প্রভৃতি গ্রন্থে দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা! পণ্ডিত সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ- মহাশয় এই বাংল! অন্থবাদ গ্রন্থের ভূমিকায় দেখাইয়াছেন। _ প্রস্থলে কে কাহার নিকট হইতে সংগ্রহ করিয়াছে, তাহ লইয়া তর্ক কর! নিরর্থক। এই সকল ভাবের ধারা ভারতবর্ষে অনেকদিন, হইতে প্রবাহিত হুইয়। আমিতেছে। আমাদের দেশে এমনি করিয়াই চিন্ত। করিয়া আসিয়াছে । বুদ্ধ এইগুলিতে চতুর্দিক্‌ হইতে সহজে আকর্ষণ করিয়। আপনার করিরা, সুসম্বদ্ধ করিয়।। ইহাদ্দিগকে চিরস্তন- রূপে স্থায়িত্ব দিয়া! গেছেন,_যাছ! বিক্ষিপ্ত ছিল, তাহাকে এঁক্যনৃত্ে গাখিয়া মানবের ব্যবহারযোগা করিয়া গেছেন। অতএব, ভগবদগীতা য়, ভারতবর্ষ যেমন আপনাকে প্রকাশ করিয়াছে, গীতার উপদেষ্টা ধন্মপদং | ১৩৫ ভারতের চিন্তাকে যেমন একস্থানে একটি সংহতমুত্তি দান করিয়াছেন, ধন্মপদংগ্রস্থেও ভারতবর্ষের চিত্তের একটি পরিচয় তেমনি ব্যক্ত হইয়াছে । এইজন্তই কি ধন্মপদে, কি গীতান্, এমন অনেক কথাই আছে, ভারতের অন্তান্ত নান৷ গ্রন্থে যাহার প্রতিরূপ দেখিতে পাওয়৷ যায়। | ধর্মগ্রস্থকে যাহারা ধর্মগ্স্থরূপে ব্যবহার করিবেন, তাহারা যে ফললাত করিবেন, এখানে তাহার আলোচনা করিতেছি না। এখানে আমর! ইতিহাসের দিক্‌ হইতে বিষয়টাকে দেখিতেছি-_সেইজন্ত ধন্মপদং গ্রস্থটিকে বিশ্বজ্নীনভাবে না লইয়া! আমরা তাহার সহিত ভারতবর্ষের সংশ্রবের কথাটাই বিশেষ করিয়া পাড়িয়াছি। সকল মানুষের জীবনচরিত যেমন, তেম্নি সকল দেশের ইতিহাস একভাবের হইতেই পারে না, এ কথা আমরা পূর্বে অন্তত্র কোথাও বলিয়াছি। এইস, যখন আমর! বলি যে, ভারতবর্ষে ইতিহাসের উপকরণ মেলে না, তখন এই কথা বুঝিতে হইবে যে, ভারতবর্ষে যুরোগীয়ছাদের ইতিহাসের উপকরণ পাওয়া যায় না । অর্থাৎ ভারত- বর্ষের ইতিহাস রাষ্ট্রীয় ইতিহাস নহে। ভারতবর্ষে এক বা একাধিক নেশন্‌ কোনোদিন নকলে মিলিয় রাষ্ট্রের চাক বীধিয়া তুলিতে পারে নাই। স্বতরাং এদেশে কে কৰে রাজ হইল, কতদিন রাজত্ব করিল, তাহা লিপিবদ্ধভাবে রক্ষা করিতে দেশের মনে কোনো আগ্রহ জন্মে নাই। তারতবর্ষের মন যদি রাষ্ট্রগঠনে লিপ্ত থাকিত, তাহা হইলে ইতিহাসের বেশ মোটা-মোটা উপকরণ পাওয়া যাইত এবং এতিহাসিকের কাজ অনেকটা! সহজ হইত। কিন্ত তাই বলিয়া ভারতবর্ষের মন যে নিজের অতীত ও ভবিষ্যৎকে কোনে! পকানথত্রে গ্রথিত করে না, তাহ। শ্বীকার করিতে পারি ন।। সেক শৃঙ্ষ, ১৩৬ ভারতবর্ষ । কিন্ত তাহার প্রভাব সামান্ত নহে;-তাহ! স্থলভাবে গোঁচর নহে, কিন্ত তাহ! আব পর্যাত্ত আমাদিগকে কিচ্ছিন্-বিক্ষিপ্ত হইতে দেয় নাই। সর্বন্ধ যে বৈচিত্র্যহ্থীন সাম্য স্থাপন করিয়াছে, তাহ নহে, কিন্তু সমস্ত বৈচিত্র্য ও বৈষম্যের ভিতরে ভিতরে একটি মুলগত অপ্রত্যক্ষ যোখনুজ্ রাখিয়! দিয়াছে । সেইজন্ত মহাভারতে বণিত ভারত এবং বর্তমান শতাববীর ভারত নান! বড় ঝড় বিষয়ে বিভিন্ন হইলেও উভয়ের মধ্যে নাড়ির যোগ বিচ্ছিম্ন;হয় নাই। সেই যোগই ভারতবর্ষের পক্ষে সর্ব্বাপেক্ষা! সত্য এবং সেই যোগের ইতিহাসই ভারতবর্ষের যথার্থ ইতিহাস। সেই যোগটি কি লইয়া? পূর্বেই বলিয়াছি, রাষ্ট্রীয় স্বার্থ লইয়া নভে । এক কথায় বলিতে গেলে বলিতে হইবে, ধর্ম লইয়া । কিন্তু ধর্ম কি, তাহা লইয়া! তর্কের সীমা নাই--এবং ভারতবর্ষে ধর্মের বাহ্রূপ যে নান। পরিবর্ভনের মধ্যে দিয়া সিন্যি তাহাতেও সন্দেহ নাই । তাহা হইলেও এটা বোঝ! উচিত, পরিবর্তন বলিতে বিচ্ছেদ বুঝায় না। শৈশব হইতে যৌবনের পরিবর্তন বিচ্ছিন্নতার ভিতর দিয়া ঘটে ন1। যুরোপীয় ইতিহাসেও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতির বহুতর পরিবর্তন ঘটিয়াছে। সেই পরিবর্তনের ভিতর দিয়া পরিণতির চেহারা দেখাইয়া দেওয়াই ইতিহাসবিদের কাজ। যুরোগীয় নেশন্গণ নান! চেষ্টা ও নানা পরিবর্তনের ভিতর দি মুখ্যত রাষ্ট্র গড়িতে চেষ্টা করিয়াছে । ভারতবর্ষের লোক নানা চেষ্টা ও পরিবর্তনের মধ্য দিক ধর্মকে সমাজের মধ্যে আকার দিতে চেষ্ট! করিয়াছে । এই একমাত্র চেষ্টাতেই প্রাচীন ভারতের সহিত আধুনিক ভারতের এঁক্য। ৃ মুরোপে ধর্থের চেষ্টা আংশিকভারে কাজ করিয়াছে ট ধন্থপদং। ১৩৭ পি সর্বাঙ্গীণভাবে 'কাজ করিয়াছে। ধর্ম সেখানে ম্বতন্ত্রভাবে উদ্ভূত হইলেও রাষ্ট্রের অঙ্গ হইয়া পড়িয়াছে ) যেখানে দৈবক্রমে তাহা হয় নাই, সেখানে রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মের চিরস্থায়ী বিরোধ রহিয়! গেছে। আমাদের দেশে মোগলশাননকালে শিবান্জিকে আশ্রয় করিয়! যখন বাষ্ট্রচেষ্টা মাথ! তৃলিয়াছিল, তথন সে চেষ্টা ধর্মকে লক্ষ্য করিতে ভূলে নাই। শিবাজির ধর্মগুক রামদাস এই চেষ্টার প্রধান অবলম্বন ছিলেন । অতএব, দেখা যাইতেছে, রাষ্ট্রচেষ্টা ভারতবর্ষে আপনাকে খর্দ্ের অঙ্গীতৃত করিয়াছিল। পলিটিক্স, এবং নেশন্‌ কথাটা যেমন ফুরোপের কথা, ধর্্মকথাটাও তেম্নি ভারতবর্ষের কথা । পলিটিক্স এবং নেশন্‌ কথাটার অনুবাদ যেমন আমাদের ভাষায় সম্ভবে না, তেম্নি ধর্মশব্দের প্রতিশব যুরোপীয় ভাষায় খুঁজিয়া পাওয়া অসাধ্য । এইজন্য ধর্মকে ইংরিজি রিলিজন্রূপে কল্পন1 করিয়া আমরা অনেক সময়ে ভূল করিয়া বসি। এইজন্য, ধর্মমচেষ্টার একাই যে ভারতবর্ষের ধক্য, এ কথ৷ বলিলে তাহ অম্পষ্ট শুনাইবে। | মানুষ মুখ্যভাবে কোন্‌ ফলের প্রতি লক্ষ্য করিয়! বন্ধ করে, তাহাই কাহার প্রকৃতির পরিচয় দেয়। লাভ করিব, এ লক্ষ্য করিয়াও টাকা করা যায়,--কল্যাণ করিব, এ লক্ষ্য করিয়াও টাক1 কর! যায়। যে ব্যক্তি কল্যাণকে মানে, টাক করিবার পথে তাহার অনেক অগ্রা- সঙ্গিক বাধা আসে, সেগুলিকে সাবধানে কাটাইয়। তবে তাহাকে 'অগ্রসর হইতে হয়--যে ব্যক্তি লোভকেই মানে, তাহার পক্ষে এ নকল বাধার অস্তিত্ব নাই। রঃ | .. এখন কথা এই, কল্যাণকে কেন মানিব? অস্তত ভারতবর্ষ লোভের চেয়ে কল্যাণকে, প্রেয়ের চেয়ে শ্রেয়কে কি বুৰিয়া মানিয়াছে, তাহা ভাবিয়া দেখিতে হইবে। | | ৯৩৮ | ভারতবর্ষ। যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ এক।, তাহার ভালমন্দ কর্ম কিছুই নাই। আত্ম গনাত্মের যোগে ভালমন্দ সফল কর্থের উত্ভব। অতএব গোড়ায় এই আত্ম-অনাত্মের সত্যসম্ন্ধনির্ণয় আবশ্বক। এই সপ্ধন্ধনির্ণয় এবং জীবনের কাজে এই সম্বদ্ধকে শ্বীকার করিয়া চলা, ইহাই চিররির ভারতবর্ষের সর্ব প্রধান চেষ্টার বিষয় ছিল।, ভারতবর্ষের আশ্চর্যোর বিষয় এই দেখ! যায় যে, এখানে ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায় এই সম্বন্ধকে ভিন্নভিন্নরূপে নির্ণয় করিয়াছে, কিন্তু ব্যবহারে একজায়গায় আপসিয়! মিলিয়াছে। ভিন্ন ভি শ্বতন্ত্র দিক হইতে ভারতবর্ষ একই কথা বলিয়াছে। এক সম্প্রদায় বলিয়াছেন, আত্ম-অনাত্মের মধ্যে কোনো সত্য গ্রভেদ নাই । যে গ্রভেদ প্রতীয়মান হইতেছে, তাহার মুলে অবিস্বা। কিন্ত যদ্দি এক ছাড়! ছুই না থাকে, তবে ত ভালমন্দের কোনো! স্থান থাকে না। কিন্তু এত লহজে নিষ্কৃতি নাই। যে অজ্ঞানে এককে ছুই করিয়া তুলিয়াঁছে, তাহাকে বিনাশ করিতে হইবে, নতৃব! মায়ার চক্রে পড়িয়া দুঃখের অন্ত থাকিবে না। এই লক্ষ প্রতি দৃষ্টি রাখিষ্া কর্ের তালমন স্থির করিতে হইবে। আর এক সম্প্রদায় বলেন, এই যে সংসার আবর্তিত হইতেছে, আমর! বাসনার দ্বারা ইহার সহিত আবদ্ধ হুইয়! ঘ্বুরিতেছি ও ছুঃখ পাইতেছি-_-এক কর্মের দ্বারা আর এক কর্খ এবং এইরূপে অন্তহীন কর্মশৃঙ্খল রচনা! করিয়া! চলিতেছি--এই কর্্মপাশ ছেদন করিয়া চা হওয়াই মান্থুষের একমান্্র শ্রেয়। | কিন্ত তবে ত সকল কর্ম বন্ধ করিতে হয়। তাহা নহে, এত সহজে নিষ্কৃতি নাই। কর্্মকে এমন করির। নিয়মিত করিতে হয়. খাহাতে কর্মের দুশ্ছেস্ত বন্ধন ক্রমশ শিথিল হইয়া আসে । এই দিকে পক্ষ্য সবাখিয়! ক্ষোন্‌ কর্ম গুভ, কোন্‌ কর্ম অ্ডভ, তাছা স্থির করিতে হইবে । খন্মপদং। ১৩৯ পি সপ্ন সত স্টীল ম্মন্ত সত্প্রদার বলেন, জগতসংলার ভগবানের লীলা! এই লীলার মূলে তাহার গ্রেম,_তাহার আনন অনুভব করিতে পারিলেই -আমাদের সার্থকতা । | এই স্বার্থকতার উপায়ও পূর্বোক্ত ছুই সম্প্রদাঙ্কের উপায় হইতে, বস্তত (ভিন্ন নহে। নিজের বাসনাঁকে থর্বধ করিতে না পারিলে ভগ- বানের ইচ্ছাকে অনুভব করিতে পার! যায় না। ভগবানের ইচ্ছার, মধ্যেই নিজের ইচ্ছাকে মুক্তিদীনই মুক্তি। সেই মুক্তির প্রতি লক্ষ্য করিয়াই কর্মের গশুভাণ্তভ স্থির করিতে হইবে। ধাহার। অদ্বৈতানন্দকে লক্ষ্য করিয়।ছেন, তাহারাও বাসনামোহকে ছেদন করিতে উদ্যত ; ধাহাঁর। কর্মের অনস্তশৃঙ্খল হইতে মুক্তিপ্রার্থা, তীহারাও বাদনাকে উংপাটিত কারতে চান; ভগবানের প্রেমে বাহার নিজেকে সম্মিলিত করাই শ্রেয় জ্ঞান করেন, তাহারাও বিষয়বাসনাকে তুচ্ছ করিবার কথ! বলিয়াছেন। যদ্দি এই সকল ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের উপদেশগুলি কেবল আমাদের জ্ঞানের বিষয় হইত, তাহ! হইলে আমাদের পরম্পরের মধ্যে পার্থক্যের, সীম। থাকিত না। কিন্তু এই ভিন্ন সম্প্রদায়গণ তাহাদের ভিন্র ভিন্ন ত্বকে কাজে লাগাইবার চেষ্টা করিয়াছেন। সে তব যতই সুক্ষ বা যতই স্থল হউক্‌, দে তত্বকে কাঞ্জের মধ্যে অন্গদরণ করিতে হইলে ষতদূর পর্য্যস্তই যাওয়। যাক্‌, আমাদের গুরুগণ নির্ভীকচিন্তে সমস্ত স্বীকার করিয়া সেই তত্বকে কর্মের তারা সফল করিতে চেষ্ট! করিম্বাছেন। ভারতবর্ষ কোনে। বড় কথাকে অদাধ্য বা সংসারযান্ত্রার সহিত অসঙ্গত বোধে কোনোদিন ভীরুতাবশত কথার কথ। করিয়| রাখে নাই। এইজন্ত একসময়ে যে ভারতবর্ষ মাংসাশী ছিল, সেই ভারতবর্ষ আতর প্রায় সর্বত্রই নিরামিষাশী হইয়া উঠিয়াছে। জগতে এরপ দৃষ্টান্ত অন্ত কোথাও পাওয়। যায় না । যে মুরোপ জাতিগত সমুদয় পরিবর্তনের মূলে স্থৃবিধাকেই লক্ষ্য করেন, ১৪০ ভারতরর্্ । "সখা সপলী পা, ৪ তাহারা বলিতে পারেন যে, কৃষির ব্যাণ্তিনহৃকারে ভারতবর্ষে আর্থিক- কারণে গোমাংসভক্ষণ রহিত হইয়াছে। কিন্ত মন্থু প্রভৃতি শাস্ত্রের 'বিধানসন্বেও অন্ত নকল মাংসাহারও, এমন কি, মতস্তভোজনও ভারত- বর্ষের অনেকস্থান হইতেই লোপ পাইয়াছে। কোন প্রাণীকে হিংসা করিবে না, এই উপদেশ জৈনদের মধ্যে এমন করিয়া পালিত হইতেছে যে. তাছ! সুবিধার তরফ হইতে দেখিলে নিতান্ত বাড়াবাড়ি না মনে করিয়। থাকিবার জে! নাই। যাঁহাই হউক, তত্বজ্ঞান যতদুর পৌছিয়াছে, ভারতবর্ষ কর্ুকেও 'ততদূর পধ্যস্ত টানিয়া লইয়া গেছে। ভারতবর্ষ তত্বের সহিত কর্তের ভেদ সাধন করে নাই । এইজন্য আমাদের দেশে কন্মই ধর্শ। আমরা বলি, মান্থৃষের কর্মাত্রেরই চরমলক্ষ্য কর্ম হইতে মুক্তি--এবং মুক্তির উদ্দেশে কর্ম করাই ধর্ম । পূর্ব্বেই বলিয়াছি, তত্বের মধ্যে আমাদের যতই পার্থক্য থাক্‌, কর্শে 'আমাদের ত্ক্য আছে। অদ্বৈতান্ভৃতির মধ্যেই মুক্তি বল, আর গত- সংস্কার নির্বাণবাসনার মধ্যেই মুক্তি বল, আর ভগবানের অপরিমেয় 'প্রেমাননের মধ্যেই মুক্তি বল--প্রকৃতিভেদে ষেমুক্তির আদর্শই যাহাকে আকর্ষণ করুক না! কেন, সেই মুক্তিপথে যাইবার উপায়গুলির মধ্যে একটি প্রক্য আছে। সে এ্রক্য আর কিছু নয়, সমস্ত কর্মাকেই নিবৃ- ত্তির অভিমুখ কর1। সোপান যেমন সোপানকে অতিক্রম করিবার উপায়, ভারতবর্ষে কর্ম তেম্নি কন্ধকে অতিক্রম করিবার উপায়। 'আামাদের দমন্ত শান্ত্রেপুরাণে এই উপদেশই দিয়াছে এবং .আমাদের সমাজ এই ভাবের উপরেই প্রতিট্িত। যুরোপ কর্্ণকে কর্ণ হইতে মুক্তির সোপান করে নাই, নিন ক্ষ্য করিয়াছে। এইছন্ত যুরোপে কর্মসংগ্রামের অস্ত নাই--সেখানে ব্কর্ম ক্রমশই বিচি ও. বিপুল হইয়| উঠিতেছে, কৃতক্ষার্যা রং ০০০০০ ন্মপদং। ১৪১ হওয়া সেখানে সকলেরই উদ্ধত ॥ যুরোপের ইতিহাদ র্শেরই ইতিহাস। যুরোপ কর্ম্মকে বড় করিয়া দেখিয়াছে বলিয়া! কর্্মকরাদন্বন্ধে শ্বাধী-. নতা চাহিয়াছে । আমার যাহা ইচ্ছা তাহা করিব-_সেই স্বাধীন ইচ্ছ। যেথানে অন্টের কর্ম করিবার স্বাধীনতাকে হুনন করে, কেবল সেই- থানেই আইনের গ্রয়োজন। এই আইনের শাসন ব্যতিরেকে সমাজের. প্রত্যেকের যথামস্তব স্বাধীনতা! থাকিতেই পারে না। এইজন্য যুরো- পীয়সমাজে সমস্ত শাসন ও শাসনের অভাব প্রত্যেক মানুষের ইচ্ছাকে স্বাধীন করিবার জন্যই কল্পিত। | ভ।রতবর্ষও স্বাধীনতা চাহিয়াছে, কিন্তু সে স্বাধীনতা একেবারে কর হইতে স্বাধীনতা । আমর! জানি, আমরা যাহাকে সংসার বলি, সেখানে কর্মই বস্তত কর্তা, মানুষ তাহার বাহনমাত্র। জন্ম হইতে মৃত পর্য্যস্ত- আমর! এক বাসনার পরে আর এক বাদনাকে, এক কর্ম হইতে আর এক কর্মকে বহন করিয়া চলি_-হাপ ছাড়িবার সময় পাই না--তাহার পরে নেই কর্মের তার অন্তের ঘাঁড়ে চাপাইয়া-দিয়া হঠাৎ মৃত্যুর মধ্যে সরিয়া পড়ি। এই যে বাসনার তাড়নায় চিরজীবন অন্তবিহীন কর্ম করিয়। যাওয়া, ইহারই অবিরাম দাসত্ব ভারতবর্ষ উচ্ছেদ করিতে. চাহিয়াছে। এই লক্ষ্যের পার্থক্য থাকাতেই যুরোপ বাসনাকে যথাসম্ভব স্বাধী-. নত! দিয়াছে এবং আমর! বাসনাকে ষথাসম্ভব খর্ব করিয়াছি। বাসনা যে কোনোদিনই শান্তিতে লইয়। যায় না,-পরিণামহীন কর্মচেষ্টাকে: জাগ্রত করিয়া রাখে, ইহাকেই আমর! বাসনার দৌরাত্ম্য বলিয়া অস- হিষু হইয়া! উঠি-_যুরোপ বলে, বাসন! যে কোনে! পরিণামে লইয়া যায়, না, তাহা! নিয়তই যে আমাদের প্রয়াসকে উ্রিক্ত করিয়া রখে, ইহাই তাহার গৌরব মুরোপ বলে-_প্রান্থি নছে, সন্ধান আননা। .ভারত-- ১৪২. ভারতবর্ষ াসপিপাসসিশিসসিীসসপিসস্লি পি পরসপসপাসসসসপসমপসসপসপাপপাাল কিক ্ধ বলে_তোমরা যাহাকে প্রাপ্তি বল, তাহাতে আনন্দ নাই বটে.) কারণ, সে প্রাপ্তির মধ্যে আমাদের সন্ধানের শেষ নাই। সে প্রাপ্তি আমাদিগকে অন্ত প্রাপ্তির দিকে টানিয়! লইয়া যায়। প্রত্যেক প্রাপ্থি- কেই পরিণাম বলিয়া ভ্রম করি এবং তাহার পরে দেখিতে পাই, তাহা পরিণাম নহে। যে প্রাপ্তিতে আমাদের শাস্তি, আমাদের সন্ধানের শেষ, এই ভ্রমে তাহা হইতে আমাদিগকে ভ্রষ্ট করে, আমাদিগকে 'কোনোমতেই মুক্তি দেয় না । যে বাসন! সেই মুক্তির বিরোধী, সেই বাসনাকে আমর! হীনবল করিয়া দিব। আমর] কন্মকে জয়ী করিব নন, কর্মের উপরে জয়ী হইব। আমাদের গৃহধর্শ, আমাদের সন্ন্যাসধর্ম, আমাদের আহারবিহারের সমস্ত নিয়মসংযম, আমাদের বৈরাগী ভিক্ষুকের গান হইতে তত্জ্ঞালীদের শান্ত্রব্যাখ্য। পর্যযস্ত সর্বত্রই এই ভাবের আধিপত্য | চাষ! হইতে পণ্ডিত পর্য্যন্ত মকলেই বলিতেছে-_আমরা ছুলভ মানবজন্ম লাভ করিয়াছি বুদ্ধি- পুর্ব্বক মুক্তির পথ গ্রহণ করিবার জন্য, সংসারের অন্তহীন আবর্তের আকর্ষণ হইতে বহিগতি হইয়! পড়িবার জন্ত সংস্কৃতভাষায় ভবশবের ধাতুগত অর্থ হওয়া । ভবের বন্ধন অর্থাৎ হওয়ার বন্ধন আমরা কাটিতে চাই। যুরোপ খুব করিয়। হইতে চায় আমর| একেবারেই ন! হইতে চাই। এমনতর ভয়ঙ্কর স্বাধীনতার চেষ্টা ভাল কি মন্দ, তাহার বীমা করা বড় কঠিন। এরূপ নিরাসক্তি যাহাদের ; স্বভাবসিদ্ধ, আসক্ত 'লোকের সংঘাতে তাহাদের বিপদ্‌ ঘটিতে পারে, এমন কি, তাহাদের মার! যাইবার কথা। অপরপক্ষে কলিবার কথা এই যে, মরা ঝাঁচাই সার্থকতার চরমপরীক্ষা। নয়। ফ্রান্স তাহার ভীষণ রাষ্টরবিপ্লবে স্থাধী: নতার বিশেষ একটি আদর্শকে জয়ী করিবার ;চেষ্টা করিয়াছিল, সেই চেষ্টায় গ্রায় তাহার আত্মহত্যার জে! হইয়াছিল--যদিই সে. মরিত, তবু ধঙ্মপন্দং | ১৪৩ পলি লীলা টিপা পাপা পালার লালা লাস পাস শাস্পিশিলসি পালাল ক কাপাসিলাসাস্সিলাসা সপাসপা্পিলাপ পপির কি তাহার গৌরব কম হইত? একজন মজ্জমান ব্যক্তিকে নু করিবার চেষ্টায় একট! লোক প্রাণ দিল--আর একজন তীরে দাড়াইয়া থাঁকিল-_তাই বলিয়া! কি উদ্ধারচেষ্টাকে মৃত্যুপরিণীমের দ্বারা বিচার করিয়। ধিক্কার দিতে হইবে? পৃথিবীতে আজ সকল দেশই বাসনার 'অগ্নিকে প্রবল ও কর্মের দৌরাত্ম্যকে উৎকট করিয়া তুলিতেছে; আজ ভারতবর্ষ যদি--জড়ভাবে নহে, মুঢ়ুভাবে নহে- জাগ্রত সচেতনভাবে বাদনাবন্ধমুক্তির আদর্শকে, শাস্তির জযপতাকাকে এই পৃথিবীব্যাপী রক্তাক্ত বিক্ষোভের উর্ধে অবিচলিত দৃঢ়হস্তে ধারণ করিয়া মরিতে পারিত, তবে অন্ত সকলে তাহাকে যতই ধিক্কার দিক্‌, মৃত্যু তাহাকে অপমানিত করিত না। কিন্তু এ তর্ক এখানে বিস্তার করিবার স্থান নহে । মোট কথা এই, সুরোপের ইতিহাসের সঙ্গে আমাদের ইতিহাসের এঁক্য হইতেই পারে না, এ কথা আমরা বারংবার ভুলিয়া যাই। যে এক্যহুত্রে ভারতবর্ষের অতীত-ভবিষ্যৎ বিধৃত, তাহাকে বথার্থভাবে অনুসরণ করিতে গেলে আমানের শান্তর, পুরাণ, কাব্য, সামাজিক অনুষ্ঠান প্রভৃতির মধ্যে প্রবেশ করিতে হয়__রাজবংশাবলীর জন্ত বৃথা আক্ষেপ করিয়া বেড়াইলে বিশেষ লাঁভ নাই। যুরোপীয় ইতিহাসের আদর্শে ভারতবর্ষের ইতিহাস রচনা করিতে হইবে, এ কথ। আমাদিগকে একেবারেই ভুলিয়া যাইতে হইবে। এই ইতিহাসের বহুতর উপকরণ যে বৌদ্ধশাস্ত্রের মধ্যে আবন্ধ হুইয়া আছে, সে ব্ষিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। আমাদের দেশে বহুদ্দিন- 'অনাদৃত এই বৌদ্ধশান্ত্র যুরোপীয় পঙ্তিতগণ উদ্ধার করিতে প্রবৃত্ত হইয়া- ছেন। আমরা তাহাদের পদাহুদরধ করিবার প্রতীক্ষায় বসিয়া আছি। ইহাই আমাদের দেশের পক্ষে দারুণতম লজ্জার কারণ। দেশের প্রতি আমাদের সমস্ত ভালবাসাই কেবল গবর্ষেন্টের দ্বারে ভিক্ষাকার্যের ১৪৪ তারতবর্ষ | মধ্যেই আবদ্ধ--আর কোনো দিকেই তাহার কোনে গতি নাই? সমস্ত দেশে পাঁচজন লোকও কি বৌদ্ধশান্ত্র উদ্ধার করাকে চিরজীবনের ব্রতম্বয্ষপে গ্রহণ করিংতে পারেন না? এই বৌদ্ধশাস্ত্রের পরিচয়ের অভাবে ভারতবর্ষের মমস্ত ইতিহাস কাণ! হইয়। আছে, এ কথা মনে করিয়াও কি দেশের জনকয়েক তরুণ যুবাঁর উৎসাহ এই পথে ধাবিত হইবে না? সম্প্রতি শ্রীযুক্ত চারুচন্দ্র বন্থু মহাশয় ধম্মপদংগ্রস্থের অনুবাদ করিয়া, দেশের লোকের কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন। আশা করি, তিনি এই- খানেই ক্ষান্ত হইবেন না। একে একে বৌদ্শান্ত্রসকলের অনুবাদ বাহির করিয়! বঙ্গসাহিত্যের কলঙ্কমোটন করিবেন। _ চারুবাবুর প্রতি আমাদের একটা অনুরোধ এই যে, অন্ুবাদটি মূলের সঙ্গে একেবারে কথায়-কথায় মিলাইয়৷ করিলেই ভাল হয়--যেথানে ছুর্ব্বোধ হইয়া পড়িবে, সেখানে টাকার সাহাষ্যে বুঝাইয়৷ দিলে কোনে! ক্ষতি হইবে না। অনুবাদ যদি স্থানে স্থানে ব্যাখ্যার আকার ধারণ. করে, তবে অগ্তায় হয়--কারণ ব্যাখ্যায় অন্ুবাদকের ভ্রম থাকিতেও. পারে-এইজন্ত অন্থবাদ ও ব্যাথ্য। স্বতন্ত্র রাখিয়া দিলে পাঠককে বিচার, করিবার অবকাশ দেওয়! হয়। মুলের যে সকল কথার অর্থ সুস্পষ্ট নহে, অন্থবাদে তাহা বথাযথ রাখিয়। দেওয়াই কর্তব্য মনে করি। গ্রন্থের প্রথম শ্লোকটিই তাহার দৃষ্টাস্তস্থল। মুলে আছে-_ মনোপুববঙ্গম। ধন্ম। মনোসেঠ্ঠ! মনোময়া__ চারুবাবু ইহার অনুবাদে. নিখিয়াছেন £-_-“মনই ধর্ম্সমূহের পূর্বগামী, মনই ধর্সমূহের য় শ্রী: এবং ধন্ম মন হুইতে উৎপক্ন হয়।” যদি মূলের কথাগুলিই রাখিয়া লিখিতেন-_* ধর্সমূহ মনঃপুরববঙ্ম, মনঃশ্রেষঠ, মনোময়” তবে মূলের অস্পষ্টতা লইয়া পাঠকগণ অর্থ চিন্তা করিতেন। ধল্মপদং | ১৪$ (িঃ্প্পাম্পামিা অক “মনই ধর্মসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ” বলিলে তাল অর্থগ্রহ হয় না, সুতরাং এরপ স্থলে মূল কথাটা অবিকৃত রাখা উচিত। অকোছি মং অবৌধি মং অজিনি মং অহামি মে। যেতংন উপযহস্তি েরং তেশুপমম্মতি ॥ ইহার [অন্ববাদে আছে £-“আমাকে তিরস্কার করিল, আমাকে গ্রহার করিল, আমাকে পরাস্ত করিল, আমার দ্রব্য অপহরণ করিল, এইরূপ চিন্তা যাহার মনে স্থান দেয় না, তাহাদের বৈরভাব দূর হইয়া যায়।* | *এইরপ চিন্তা যাহারা মনে স্থান দেয় না” বাক্যটি ব্যাখ্যা, প্রকৃত অন্থবাদ নহে-_বোধ হয় “যে ইহাতে লাগিয়। থাকে না” বলিলে মূলের অন্্গত হইত। অর্থন্থগমতার অন্থরোধে অতিরিক্ত কথাগুলি ব্র্যাকে- টের মধ্যে দিলে ক্ষতি হয় নাঁ_যথা, "আমাকে গালি দিল, আমাকে মারিল, আমাকে জিতিল, আমার (৪ধন) হরণ করিল, ইহ! যাছার! (মনে) বাঁধিয়া ন! রাখে, তাহাদের বৈর শান্ত হয় |” এই গ্রন্থে মূলের অন্য, সংস্কৃত তাধাস্তর ও বাংল! অনুবাদ থাকাতে ইহা পাঠকদের ও ছাত্রদের পক্ষে বিশেষ উপযোগী হইয়াছে। এই গ্র্ অবলঘ্ধন করিলে গা্িতাষ! অধ্যয়নের বিশেষ সাহায্য হইতে পারিবে । এইখানে বলা আব্তক, মন্প্রতি ত্রিবেণী কপিলাশ্রম হইতে শ্রীমৎ হরিহরানন্ন স্বামী কর্তৃক ধন্মপদং সংস্কৃত) ও বাংলা ভাষায় অনুবাদিত হইয়াছে। আশা করি, এই গ্রস্থখানিও এই ধর্মশান্র গ্রচারের সাহাহ্য করিবে। ১৪৩ ভারতবর্ষ। পাটি পনি পো এ বিজয়া-সম্মিলন। বাংলাদেশে কতকাল হইতে কত বিজয়া দশমীর পরে ঘরে ঘরে গ্রীতিসন্মিলনের স্ুধাসআ্রোত প্রবাহিত হইয়া গেছে কিন্তু অন্ত এখানে এই ষে মিলনসভা৷ আহত হইয়াছে আশা করি আমাদের দেশের ইতিহাসে এই সভা চিরদিন স্মরণীয় হইয়া থাকিবে। আশা করি আজ হইতে বাংলাদেশের বিজয়া-সম্মিলন যে একটি নৃতন জীবন লইয়! অপূর্বভাবে পরিপুষ্ট হইয়া উঠিল সেই জীবনধারা কোনো ছুর্দিনে কোনো সুদুর- কালেও যেন শীর্ণ না হয়; আমাদের সৌভাগাক্রমে যে মিলন উৎস বিধাতার সঙ্কেতমাত্রে আমাদের দেশের পাষাণ-চাপা হৃদয় ভেদ করিয়! আজ অকণ্মাৎ উচ্ৃদিত হইয়! উঠিল, আমাদের পাপে কোনো অভি- শাপ কোনোদিন তাঁহাকে যেন শু না করে। এতদিন ব্জয়ামিলনের সীমাকে আমরা সন্কীর্ণ করিরা রাখিয়া" ছিমাম।--যে মিলন আমাদের সমন্ত দেশের অখণ্ড ধন তাহাকে আমর! ঘরে ঘরে খণ্ডিত করিয়া বিভক্ত করিয়া ফেলিয়াছিলাঁম ;-- বিজয়াঁমিলনকে কেবল আমাদের আত্বীয়বন্ধুদের মধ্যে আবদ্ধ করিয়া- ছিলাম; এ কথা ভূলিয়াছিলাম যে,'যে উত্ণব আমাদের সমগ্র দেশের উৎসব সেই উৎসবে দেশের লৌককে ঘরের লোক করিয়া লইতে হয়-- সেই উৎসবের দ্রিনে শরতের অন্নান আলোকে স্থবর্ণমগ্ডিত এই ফে নীলাকাশ ইহাই আমাদের গৃহের ছাদ, সেই উৎসবের দিনে শিশিরধৌত নবধান্তস্তামলা এই নদীমালিনী ভূমি ইহাই আমাদের গৃহপ্রাঙ্গণ বাঙালী জননীর কোলে জন্মগ্রহণ করিয়! যে কেহ একটি একটি করিয়া [ংল৷ কথ! আবৃত্তি করিতে শিখিয়াছে সেদিন সেই আমাদের বন্ধু সেই আমাদের আপন-_এতকাঁল ইহাই আমরা যথার্থভাবে উপলব্ধি করিতে বিজয়া-সন্মিলন | ১৪৭ ৪ পাপী সপা্পাস্পিস্মাসখতীডা পারি নাই বলিয়া আমাদের মিলনের মহাদিন বৎসরে বৎসরে আসিয়া বৎসরে বৎসরে ফিরিয়া গেছে--সে তাহার সম্পূর্ণ সফলতা বাখিক্কা সায় নাই। | একাকিনী যমুনা! যেমন বহুদুর যাত্রার পরে একদিন সহসা বিপুল ধারা গঙ্গার সহিত মিলিত হইয়া ধন্ঠ হইয়াছে পুণ্য হইয়াছে-_তেমনি আমাদের বাংলাদেশের বিজয়ামিলন বছকাঁল পরে আজ একটি দেশ- প্লাবী স্ুবৃহৎ ভাবজোতের সহিত সঙ্গত হইয়া সম্পূর্ণ সার্থকত। লাভ করিল। আজ হইতে এই উভয় ভাবধারা ষেন মিলিত গঙ্গাযমনার মত "আর কোনোদ্দিন বিচ্ছিন্ন না হয়। আজ হইতে বাংলাদেশে ঘরের মিলন এবং দেশের মিঙ্গন যেন এক উৎসবের মধ্যে আপিয়া সঙ্গত হয়। আজ হইতে প্রতি বৎসরে এই দিনকে (বল বান্ধব-সম্মিলন নহে 'আমাঁদের জাতীয় সন্মিলনের এক মহাদিন বলিয়া গণ্য করিব। যাহ আমাদের চিরপরিচিত তাহাকে আমর! যথার্থভাখে চিনিন! এমন ঘটনা আমাদের নিজের জীবনে এবং ' জাতীয় জীবনে অনেক অময়ে দেখিতে পাওয়া যায়। যাহাকে একাস্তই জানি বলিয়া মনে করি--হঠাৎ একদিন ঈশ্বর আমাদের চোথের পর্দা সরাইয়। দেন-_ অমনি দেখি যে তাহাকে এতদিন বুঝি নাই-_দেখি যে আজ তাহার সমস্ত তাৎপর্য্য একেবারে নুতন করিয়া উদ্দীপ্ত হইল। সেইরূপ ঈশ্বরের কৃপায় আজ বিজয়ার মিলনকে আমরা নৃতন করিয়! বুঝিলাম-_ এতদিন আমরা তাহার যথাযোগ্য আয়োজন করি নাই__যাহাঁকে সিংহাসনের উপরে বসাইবার তাহাকে আমাদের ঘরের দাওয়ার উপরে বসাইয়াছি। আজ বুৰিয়াছি যে মিগন আমাদিগকে বর দান করিবে, জয় দান করিবে, অভয় দান করিবে সে মহামিলন গৃহপ্রানের মধ্যে নহে, সে মিলন দেশে । সে মিলনে কেবল মাধূ্ধ্যরস নহে, দে মিলনে উদ্দীপ্ত '্সগ্সির তেজ আছে--তাহা কেবল তৃপ্তি নহে তাহ! শক্তি দান করে। ১৪৮ ভারতবর্ষ । স্টিম সিল সিসি পাপা লাস পাস পাস ৯ পা পোপ সপসিস্মপাসপস স্পা পোস্টাল সিলসিলা সিএ বন্ধুগণ, আব আমাদের চোখের পর্দা ধে কেমন করিয়। সরিয়া গেছে সেই অভাবনীয্ব ব্যাপারের বার্ত! বাংলায় কাহাকেও নূতন করিয়! গুন।- ইবার নাই। এতদিন আমর! মুখে বলিয়া! আদিয়াছি জননী জন্ম ভূমিশ্চ স্বর্মাদপি গরীয়মী-_কিন্তু জন্মভূমির গরিমা যে কতখানি তাহা! আজ আমাদের কাছে যেমন প্রত্যক্ষ হইয়। উঠিয়াছে তেমন কি পূর্বে আর কখনে! হইয়াছিল? একি কোনো! বক্ত.তায় কোনো! উপদেশে ঘটয়াছে? তাহা নছে। বঙ্গব্যবচ্ছেদ একটা উপলক্ষ্য শ্বরূপ হইয়া সমস্ত বাঙালির হৃদয়ে এক-আঘাত সঞ্চার করিতেই অমনি আমাদের যেন একটা তন্ত্র ছুটিয়া গেল_-অমনি আমরা মুহূর্তের মধ্যেই চোখ, মেলিয়৷ দেখিতে পাইলাম বহুকোটি বাঙালীর সম্মিলিত হ্বদয়ের মাঝ- খানে আমাদের মাতৃভূমির মৃন্তি বিরাজ করিতেছে । বাংলাদেশে চির- দিন বাদ করিন়াও বাংলাদেশের এমন অথণ্ড স্বরূপ আমর আর কখনে! দি নাই। সেইজন্তই আমাদের সম্তোজাগ্রত চক্ষুর উপরে জননীর মাতৃদৃষ্টিপাত হুইবামাত্রই এমন অনায়াসেই বাঙালী ৰাগালীর এত ক1ছে আসিয়া পড়িল--আমাদের সুখ দুঃখ, বিপদ্‌ সম্পদ মান: অপমান যে, আমাদ্দের সেই এক মাতার চিত্তেই আঘাত করিতেছে এ কথা বুঝিতে আমাদের আর কিছুমাত্র বিলম্ব হইল না। সেইজন্তই আন্গ আমাদের চিরস্তন দেবমন্দিরে কেবল ব্যক্তিগত পুজা নহে সমস্ত দেশের পুন্জা উপস্থিত হইতেছে-_-আমার্দের চির প্রচলিত সামাজিক উৎনবগুলি কেবলমাত্র পারিবারিক সম্মিলনে আমাদিগকে তৃপ্ত করিতেছে না-_-আনন্দের দিনে সমস্ত দেশের প্রন্ত আমাদের গৃহদ্বার আজ অর্গল মুক্ত হইয়াছে। আজ হুইতে আমাদের সমস্ত সমাজ যেন একটি নুতন তাৎপর্ধ্য গ্রহণ করিতেছে । আমাদের গার্স্থা, আমাদের ক্রিয়াকর্মম, আমাদের সমানধর্্ম একটি নূতন বর্ণে রঞ্জিত হুইয় উঠিতেছে-_সেই বর্ণ আমাদের সমস্ত দেশের নব আশাগ্রদীপ্ত ঘদয়ের বর্ণ। ধন্ত হুইল এই বিজয়া-সল্মিলন। ১৪৯ পাস এলসি পল সস লোপা ১৩১২ শাল, _ বাংলাদেশের এমন গুভক্ষণে আমরা যে আগ্গ জীবনধারণ করিয়া আছি আমরা ধন্ত হইলাম। | বন্ধুগণ, এতদিন শ্বদেশ আমাদের কাছে একট! শবমাত্র একটা ভাবমাত্র ছিল--আশ1 করি আজ তাহা আমাদের কাছে বন্তগত সত্যরূপে উজ্জল হইয়া উঠিয্বাছে। কারণ, যাহাকে আমরা সত্যরূপে না লাভ করি তাহার সহিত আমরা যথার্থ ব্যবহার স্থাপন করিতে, পারিন', তাহার জন্ত ত্যাগ করিতে পারি না, তাহার জন্ত ছুঃখস্বীকাঁর কর! আমাদের পক্ষে দুঃসাধ্য হয়। তাহার সম্বন্ধে যতই কথ শুনি যতই কথা কই সমস্তই কেবল কুহেলিক! সি করিতে থাকে । এই যে বাংল! দেশ ইহার মৃত্তিকা ইহার জল ইহার বাধু ইহার আকাশ ইহার বন ইহার শস্তক্ষেত্র লইয়া আমাদিগকে সর্বতোভাবে বেষ্টন করিয়৷ আছে, যাহা! আমাদের পিতাপিতামহগণকে বহুষুগ হইতে লালন করিয়া আসিয়াছে যাহা! আমাদের অনাগত সন্তানদিগকে বাঁক্ষ ধারগ করিবার জন্থ প্রস্তত হইয়া! আছে, যে কল্যাণী আমাদের পিতৃগণের অমর কীণ্ডি অমৃতবাণী আমাদের জন্ত বহন করিয়া! চলিয়াছে আমর! তাহাকে যেন সত্য পদার্থের মতই সর্বতোভাবে ভাল বাঁসিতে পারি, কেবলমাত্র ভাবরসসস্তোগের মধ্যে আমাদের সমস্ত গরীতিকে নিঃশেষ করিয়া না দিই। আমরা যেন ভাল বাসিয়া তাহার মৃত্তিকাকে উর্ধর! করি তাহার জলকে নির্মল করি, তাহার বাঁযুকে নিরাময় করি, তাহার বনস্থলীকে ফলপুষ্পবতী করিয়৷ তুলি, তাহার নরনারীকে মনুষ্যত্বলাভে সাহাষ্য করি যাহাকে এমনি সত্যরূপে জানি ও সত্যরূপে ভালবাসি তাহাকেই আমর! সকলদিক দিয়া এমনি করিয়া সাজাই সকলদিক হইতে এমনি করিয়! সেবা করি এবং সেই আমাদের সেবার সাদী প্রাণের ধনের জন্ত প্রাণ দিতে কুঠিত হুইন| | আমি যে একা আমি নহি) আমার যেমন এই ক্ষুন্র শরীর, ১৫৬ ভারতবর্ষ । তেমনি আমার যে একটি বৃহৎ শরীর আছে, আমার দেশের মাটি জল আকাশ যে আমারই দেহের বিস্তার, তাহারই স্বাস্থ্যে যে আমারই স্বাস্থ্য, আমার সমস্ত শ্বদেশীদের স্ুখহঃখময় চিত্ত যে আমারই চিত্তের বিস্তার, তাহারই উন্নতি যে আমারই চিত্তের উন্নতি এই' একাস্ত সত্য বতদিন আমরা না উপলব্ধি করিয়াছি 'ততঙ্গিন আমরা ছুতিক্ষ হইতে 'ছুভিক্ষে ছুর্গীতি হুইতে হুর্গীতিতে অবতীর্ণ হ্ইয়াছি ততদিন কেবলি আমরা ভয়ে ভীত এবং অপমানে লাঞ্চিত হইয়াছি। একবার ভাবিয়া দেখুন আজ যে বহুদিনের দাসত্বে পিষ্ট অন্নাভাবে ক্রিষ্ট বেরাণী সহসা অপমানে অসহিষ্ণু হইয়া ভবিষ্যতের বিচার বিসর্জন দিয়াছে তাহার কারণ কি? তাহার কারণ তাহারা অনেকট1 পরিমাণে আপনাকে সমস্ত বাঙালীর সহিত এক বলিয়া অনুভব করিয়াছে । যতদিন তাহার! নিজেকে একেবারে স্বতন্ত্র বিচ্ছিন্ন বলিয়া জানিত ততদিন তাহার! ভূল জার্রিত, ইহাই মারা। এই মায়াই তাহাদিগকে ক্রিষ্ট করিয়াছে অপমানিত করিয়াছে । মানুষ যে মৃত্াকে ভয় করে সেও এই ভ্রমবশতই করে। সে মনে করে আমি বুঝি স্বতন্ত্র সুতরাং মৃত্যুতেই আমার লোৌপ। কিন্তু নিজেকে সকলের সহিত মিলিত করিয়া উপলব্ধি করিলেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুভয় দুর হুইয়! যায় কারণ তখন আমি জানি সকলের সঙ্গে আমি এক, সকলের জীবনের মধ্যেই আমি জীবিত। এই সত্য উপলব্ধি করিয়াই জাপানের শতসহম্্র বীর দেশের জন্য অনায়াসে আপনার গ্রাণ উৎসর্গ করিয়াছে । আমরা যে নিজের প্রাণটাকে টাকার থলিটাকে একাত্ত আগ্রহে আকড়িয়! বসিয়া থাঁকি নিজেকে এক] বলিয়া! জানাই ইহার একমাত্র কারণ। যদি আজ আমি সমস্ত দেশকেই আমি বলিয়! জানিতে পারি তবে আমার ভয়কে আমার লোভকে দেশের মধ্যে মুক্তি দান করিয়! দেবন্ব লাভ করিতে স্পারি, অসাধ্য সাধন করিতে পারি। তখন যে নিতান্ত ক্ষুদ্র সেও বিজয়া-সক্ষিলন। ১৫১ বৃহৎ হয়, বে'নিতা্ত দুর্বল সেও সবগ হইয়া উঠে। আজ কতকাল পরে আমরা বাংলা দেশে এই সতোর আভাস পাইয়াছি ! সেই জন্ত যাঁছার কাছে যাহা প্রত্যাশ! করি নাই তাহাও লাভ করিলাম । সেইজন্য আমরা আপনাতে আপনি বিশ্মিত হইয়াছি, সেইজন্ত আজ আমাদের বাঙালীর চিত্তসন্মিলনের ক্ষেত্র হইতে যাহারা পৃথক্‌ হইয়া আছেন তাহাদের ব্যবহার আমাদিগকে এমন কঠোর আঘাত, করিতেছে, ফাহার! ভয় পাইতেছেন, দ্বিধা করিতেছেন, সকল দিক বাঁচাইবার জন্ত নিক্ষল চেষ্টা করিতেছেন তাহাদের প্রতি আমাদের অন্তরের অবজ্ঞা এমন ছুনিবার বেগে উদ্বেল হইয়া উঠিতেছে। "আমাদের মধ্যে যীহারা বিলাসে অভ্যস্ত ছিলেন তাহারা বিলাস উপকরণের জন্ত লজ্জিত হইতেছেন, ধাঁহার্দিগকে চপলচিত্ত বলিয়! জানিতাম তাহার! কঠিন ব্রত গ্রহণ করিতে কুন্ঠিত হুইতেছেন না, ধাহার1 বিদেশী আড়ম্বরের অগ্নিশিখায় পতঙ্গের মত ঝাঁপ দিয়াছিলেন তাহাদিগকে সেই সাংঘাতিক প্রলয়দীপ্তি আর প্রলুব্ধ করিতেছেন! । ইহার কারণ কি? ইহথার:কাঁরণ আমর। সত্য বস্তুর আভা পাইয়াছি, সেই সত্যের আবির্ভীব মাত্রেই আমরা বৃহৎ হইয়াছি বলিষ্ঠ হইয়াঁছি। এখন ঈশ্বরের কাছে একাত্ত মনে প্রার্থনা! করি এই সত্য যেন ক্রমশ উজ্দ্বলতর হুইয়৷ উঠে এই সত্যকে যেন আবার একদিন আমাদের শিথিল মুষ্টি হইতে স্থলিত'ছইতে না| দিই) অস্তকার সংঘাত-জনিত উত্তেজনা! যখন একদিন শান্ত হইয়! আসিবে তখনো! যেন জীবনের গ্রতিদিন এই সত্যকে আমর! অপ্রমত্ত চিত্তে সকল কর্দে ধারণ ও পোষণ করিতে পারি। মনে রাখিতে হইবে আজ শ্বদেশের স্বদেশীয়তা আমাদের কাছে যে প্রত্যক্ষ হইয়! উঠিয়াছে ইহা রাজার কোনে! প্রসাদ বা অগ্রসাদে নির্ভর করে-না; ফোনে আইন পাশ হউক ৰা ন। হউক ঘিলাতের লোক আমাদের করুণোক্তিতে কর্ণপাত, সানি ১৫২ ভারতবর্ষ | মত জারজ পলো সা ৬ ৯ লিগা ৯ ২৯৮ ৯পসিলাসিপিস্টিস্িপাসিপাসিপাসিত বালান পা সতী ডি তি উল িস্সি সনি উি ও সপ উপাসনা সপ টিপি িপিসিরসিসিতা ঈসা সিল ৯িপপাসটিরাসসা সিল টপ ৯০ সিলসিলা করুক ঝা না করুক্‌ আমার স্বদেশ আমার চিরন্তন স্বদেশ, আমার পিভৃপিতানহের স্বদেশ, আমার মন্তানসন্ততির স্বদেশ, আমার প্রাণদাঁতা শক্তিদাতা জঅন্পদদাত্তা ম্বদেশ। কোনো মিথ্যা আশ্বাসে তূলিও না, কাহারে। মুখের কথায় ইহাকে বিকাইতে পারিব না, একবার যে হস্তে ইহার স্পর্শ উপলব্ধি করিয়াছি সে চস্তকে ভিক্ষাপান্র বহনে আর নিযুক্ত করিধ না, সে হস্ত মাতৃসেবার জন্য সম্পূর্ণ- ভাঁবে উৎসর্গ করিলাম! আজ আমরা গ্রস্তত হইয়াছি। যে পথ কঠিন যে পথ কণ্টকসঞ্কুল সেই পথে যাত্রার জন্য প্রস্তত হইয়াছি। আব যাত্রারস্তে এখনে! মেঘের গঞ্জন শোনা যায় নাই বলিয়া সমস্তটাকে হেন থেল। বলিয়া মনে না করি। যদি বিছ্যৎ চকিত হইতে থাকে বজ্র ধ্বনিত হইয়া উঠে তবে তোমরা ফিরিয়োনা ফিরিয়োনা, ছুর্যোগের রক্তৃচক্ষুকে ভয় করিরা তোমাদের পৌরুষকে জগংসমক্ষে অপমানিত করিয়োনী। বাঁধার সম্তাবন। জানিয়াই চলিতে হইবে, ছুঃখকে স্বীকার করিয়াই অগ্রদর হইতে হইবে, অতিবিবেচকদের ভীত পরামশশে নজেকে ক্ুর্বল করিয়োন1। যখন বিধাতার ঝড় আসে ৰন্তা আসে তখন সংযত. বেশে আসে ন! কিন্তু গ্রয়োজন বলিয়াই আসে, তাহা ভালমন্দ লাভক্ষতি ছুইই লইয়া! আসে। যখন বৃহৎ উদ্ভোগে সমস্ত দেশের চিত্ত বহুকাল নিরুপ্ভমের পর প্রথম প্রবৃত্ত হয় তথন সে নিতান্ত শাস্ততাবে বিজ্ঞভাবে বিবেচকভাবে বিনীতভাবে প্রবৃত্ত হয় ন!। শক্তির প্রথম জাগরণে অন্তত থাকেই--তাহার বেগ, তাহার ছুঃখ, তাহার ক্ষতি আমাদের সকলকেই সহ্‌ করিতে হইবে--সেই অমুদ্রমস্থনের বিষ ও অমৃত উভয় কেই আমাদের স্বীকার করিয়া লইতে হইবে। হে বন্ধুগণ, আঙ্গ আমাদের বিয়া-সশ্মিলনের দিনে হৃদয়কে এক. ন্বার আমাদের এই বাংলাদেশের সর্বত্র প্রেরণ কর। উত্তরে হিমাচলের পাদমূল হইতে দক্ষিণে তরঙ্গমুখর সমুদ্রকূল পর্ধ্ত্ত, নদীজালজড়িনত বিজয়া-সম্মিলন। ১৫৩ ৯ ক ৯৯ লস লস্ট ও লাকি পাস শা রা টস রি ঝা শট পদাস্পরাঅ সন পাস্টিিসিপাসসি পাটি পতিত ০০» পূর্বদীমাস্ত হইতে শৈলমালাবন্ধুর পশ্চিম প্রান্ত পর্্যস্ত চিত্তকে প্রসারিত কর। যেচাষী চাষ করিয়া এতক্ষণে ঘরে ফিরিয়াছে তাহাকে সম্ভাষণ কর-_যে রাখাল ধেনুদলকে গোষ্ঠগৃহে এতক্ষণে ফিরাইয়া আনিয়াছে তাহাকে সম্ভাষণ কর, শঙ্খমুখরিত দেবালয়ে যে পূজার্থী আগত হইয়াছে তাহাকে সম্ভাষণ কর, 'অন্তন্থধ্যের দিকে মুখ ফিরাইয়া যে মুসলমান নমাজ পড়িয়া! উঠিয়াছে তাহাকে সম্ভাষণ কর। আজ সাক়্াহে গঙ্গার শাখাগ্রশাখা বাহিয়। ব্রহ্মপুত্রের কূল উপকূল দিয়া একবার বাংলাদেশের পুর্বে পশ্চিমে আপন অন্তরের আলিঙ্গন বিস্তার করিয়া দাঁও,__.আজ বাংলাদেশের সমস্ত ছায়াতরুনিবিড় গ্রামগুলির উপরে এতক্ষণে যে শারদ আকাশে একাদশীর চন্দ্রম! জ্যোৎক্নাধার| অজন্্র ঢালিয়৷ দিয়াছে সেই নিস্তব্ধ শুচিরচির সন্ধ্যাকাশে তোমাদের সম্মিলিত হৃদয়ের বন্দে মাতরং গীতিধবনি একপ্রান্ত হইতে আর একপ্রান্তে পরিব্যাপ্ত হইয়া যাক্‌--একবার করজোড় করিয়া নতশিরে বিশ্বভুবনেশ্বরের কাছে প্রার্থনা কর__ বাংলার ম।টিঃ বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুণ্য হউক্‌ পুণ্য হউক্‌ পুণায হউক্‌ হে ভগবান ॥ বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পূর্ণ হউক পুর্ণ হউক পূর্ণ হউক হে ভগবান। বাঙালীর পণ, বাঙালীর আশা বাঙালীর কাজ, বাঙালীর ভাষা ১৫৪ ভারতবর্ষ সত্য হউক, সত্য হউক সত্য হউক হে ভগবান ॥ বাঙালীর প্রাণ, বাঙালীর মন বাঙীলীর ঘরে যত ভাই বোন এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান ॥